বিষয়বস্তুতে চলুন

ধর্ম অবমাননা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
KanikBot (আলোচনা | অবদান)
ইংরেজি উইকিপিডিয়া ও উইকিউপাত্তের তথ্যের ভিত্তিতে বট কর্তৃক বিষয়শ্রেণী যোগ
 
(১৩ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৩৮টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:Hoet The Blasphemer Stoned.jpg|upright|thumb|The Blasphemer Stoned, as in Leviticus 24:13-23, published 1728, in "Figures de la Bible", P. de Hondt (publisher), The Hague]]
[[চিত্র:Hoet The Blasphemer Stoned.jpg|upright|thumb|ধর্মীয় অবমাননাকারীকে পাথর নিক্ষেপ, লেভিটিকাসের ২৪:১৩-২৩ অনুযায়ী, প্রকাশকাল ১৭২৮, "ফিগারস ডি লা বাইবেল", পি. ডি হন্ডট (প্রকাশক), দ্য হোগ]]
'''ধর্ম অবমাননা''' বা '''ধর্মনিন্দা''' বা '''ব্লাসফেমি''' হল পরমেশ্বর, পবিত্র জিনিস কিংবা পবিত্র বা অলঙ্ঘনীয় বিবেচিত এমন কোন কিছুর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা, ঠাট্টা করা বা অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা।
'''ব্লাসফেমি''' (ধর্ম অবমাননা) ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য এক ধরণের শাস্তি।<ref name="dainikjalalabad">''[http://www.dainikjalalabad.com/2013/04/09/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8/ ব্লাসফেমি আইনের পরিকল্পনা নেই —-প্রধানমন্ত্রী]'', দৈনিক জালালাবাদ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: এপ্রিল ৯, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অনেক দেশেই ব্লাসফেমি, ধর্মীয় অবমাননা এবং ধর্মত্যাগ শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ বাস্তবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক শত্রুতা, জমি নিয়ে বিরোধের ক্ষেত্রেও হাতিয়ার করা হয় এসব আইনকে৷<ref name="Deutsche Welle">''[https://m.dw.com/bn/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0/a-52557945 ব্লাসফেমি আইন ও মানবাধিকার]'', ডয়েচে ভেলে। প্রকাশের তারিখঃ ২৭-০২-২০২০।</ref>


== উদ্ভব ==
== উদ্ভব ==
ব্লাসফেমির উদ্ভব হয়েছিল প্রাচীন ও মধ্যযুগে। এখন থেকে এক হাজার ৪৫০ বছর আগে রোমের সামন্ত রাজারা প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী খ্রিষ্টান ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের সহায়তায় জনগণের ওপর ধর্মের নামে অত্যাচারের হাতিয়ার হিসেবে ‘ব্লাসফেমি’র ব্যবহার শুরু করেছিল। আধুনিক যুগে এসে যখন চার্চ ও রাষ্ট্রকে আলাদা করা হয়, তখন থেকে এ আইনের বিবর্তন ঘটে। বিভিন্ন দেশের আইনে ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও আচরণের জন্য আইন থাকলেও তার আর প্রয়োগ সেভাবে নেই।<ref name="p-alo">''[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-04-13/news/344517 জামায়াতের দাবিই উত্থাপন করল হেফাজত]'',রাশেদ খান মেনন, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৩-০৪-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
ধর্ম অবমাননার উদ্ভব হয়েছিল প্রাচীন ও মধ্যযুগে। এখন থেকে এক হাজার ৪৫০ বছর আগে রোমের সামন্ত রাজারা প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী খ্রিষ্টান ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের সহায়তায় জনগণের ওপর ধর্মের নামে অত্যাচারের হাতিয়ার হিসেবে ‘ধর্ম অবমাননা’র ব্যবহার শুরু করেছিল। আধুনিক যুগে এসে যখন চার্চ ও রাষ্ট্রকে আলাদা করা হয়, তখন থেকে এ আইনের বিবর্তন ঘটে। বিভিন্ন দেশের আইনে ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও আচরণের জন্য আইন থাকলেও তার আর প্রয়োগ সেভাবে নেই।<ref name="p-alo">''[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-04-13/news/344517 জামায়াতের দাবিই উত্থাপন করল হেফাজত] {{ওয়েব আর্কাইভ|url=https://web.archive.org/web/20130928123415/http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-04-13/news/344517 |date=২০১৩-০৯-২৮ }}'',রাশেদ খান মেনন, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৩-০৪-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।</ref>


== ইসলামে ব্লাসফেমি ==
== ইসলামে ধর্ম অবমাননা ==
{{মূল|ইসলাম এবং ব্লাসফেমি}}
{{মূল|ইসলাম ধর্ম অবমাননা}}
[[File:Salman-Rushdie-1.jpg|thumb|১৯৮৯ সালে, লেখক [[সালমান রুশদি]] তাঁর লিখিত বই [[দ্য স্যাটানিক ভার্সেস]] এ ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা ও অবমাননার দায়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ [[রুহুল্লাহ্‌ খামেনেই|রুহুল্লাহ খমেনি]] কর্তৃক ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন এবং সে সময়ে জারিকৃত একটি ফতোয়ার আসামী হিসেবে ঘোষিত হয়েছিলেন।]]
পবিত্র কুরআনের সূরা মায়েদার ৩৩ আয়াতে এবং সূরা আহযাবের ৫৭ থেকে ৬১ নং আয়াতে ব্লাসফেমি সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এছাড়া অনেক আলেম ব্লাসফেমি আইনের সমর্থন হিসেবে বেশ কিছু হাদিসের প্রতিও ইঙ্গিত করে থাকেন, যেখানে আল্লাহ, নবীর প্রতি কটুক্তি বা তিরষ্কারমূলক বক্তব্য প্রদান করার অপরাধে ব্যক্তিবিশেষকে দন্ড দেয়া হয়েছিল| তবে, পাকিস্তানের প্রখ্যাত ইসলামিক পণ্ডিত জাভেদ আহমদ ঘাদামি বলেছেন, ইসলামের কোথাও ব্লাসফেমি আইনের সমর্থনে কিছু বলা নেই| <ref>[http://www.guardian.co.uk/world/2011/jan/20/islam-ghamidi-pakistan-blasphemy-laws Islamic scholar attacks Pakistan's blasphemy laws] Guardian 20 January 2010. Retrieved 23 January 2010</ref> অনেক মুসলিম আইনবিদেরা একে ‘শরিয়ার’ অংশ হিসেবে দেখিয়েছেন।<ref>{{cite web|url=http://www.islamicvoice.com/April2006/QuestionHour-DrZakirNaik/ |title=Ruling for blassphemy in Islam: Zakir Naik |publisher=Islamic Voice |accessdate=10 November 2011}}</ref>
তবে, মুসলিম বিশ্বে সবশেষ আলোচিত ব্লাসফেমি'র উদাহরণ পাকিস্তানের খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবি'র ঘটনাটি। ২০১০ সালে মৃত্যুদন্ডের শাস্তি পাওয়া আসিয়া বিবি আট বছর কারাভোগ করার পর গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট তার রায় বাতিল করে। <ref name="BBC বাংলা">''[https://www.bbc.com/bengali/news-46086903 ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন মুসলিম দেশগুলোতেই বেশি কঠোরভাবে চর্চা করা হয়: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল]" বিবিসি বাংলা।</ref>


ইসলামী গ্রন্থে শাস্তির বিধান

{{quote|নিঃসন্দেহে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয় - আল্লাহ তাদেরকে পার্থিব জীবনে এবং পরকালে অভিশাপ দেন, এবং তাদের জন্য অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। যদি এই প্রতারকেরা , আর ঐ সব লোকেরা যাদের অন্তরে কলুষতা আছে, এবং ঐ সকল লোকেরা যারা শহরে মিথ্যা সংবাদ রটিয়ে থাকে তারা, (তাদের এসব কাজ থেকে) বিরত না হয়, তাহলে আমি অবশ্যই আপনাকে তাদের উপর শক্তিশালী করে দেবো: এরপর তারা শহরে আপনার কাছে অতি অল্পকালই অবস্থান করতে পারবে|[[কুর'আন]]|{{quran-usc|33|57|end=61}}||}}

এছাড়া অনেক আলেম ধর্ম অবমাননা আইনের সমর্থন হিসেবে বেশ কিছু হাদিসের প্রতিও ইঙ্গিত করে থাকেন, যেখানে আল্লাহ, নবীর প্রতি কটূক্তি বা তিরষ্কারমূলক বক্তব্য প্রদান করার অপরাধে ব্যক্তিবিশেষকে দন্ড দেয়া হয়েছিল, এই হাদিসগুলোর মধ্যে [[কাব বিন আশরাফ|কা'ব ইবনে আশরাফ]] নামক ইহুদি নেতাকে শাস্তির নির্দেশ দেয়ার হাদিসটি উল্লেখযোগ্য, যিনি বদর যুদ্ধে নিহত মুসলিম পুরুষদের তিরস্কার করেছিল এবং মুসলিম নারীদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছিল<ref>{{Hadith-usc|bukhari|usc=yes|4|52|270}} {{Hadith-usc|bukhari|usc=yes|5|59|369}}, {{hadith-usc|usc=yes|Muslim|19|4436}} {{Hadith-usc|bukhari|usc=yes|3|45|687}} {{Hadith-usc|bukhari|usc=yes|4|52|271}}</ref>। তবে, পাকিস্তানের প্রখ্যাত ইসলামিক পণ্ডিত জাভেদ আহমদ ঘাদামি বলেছেন, ইসলামের কোথাও ধর্ম অবমাননা আইনের সমর্থনে কিছু বলা নেই। <ref>[http://www.guardian.co.uk/world/2011/jan/20/islam-ghamidi-pakistan-blasphemy-laws Islamic scholar attacks Pakistan's blasphemy laws] Guardian 20 January 2010. Retrieved 23 January 2010</ref> অনেক মুসলিম আইনবিদেরা একে ‘শরিয়ার’ অংশ হিসেবে দেখিয়েছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.islamicvoice.com/April2006/QuestionHour-DrZakirNaik/ |শিরোনাম=Ruling for blassphemy in Islam: Zakir Naik |প্রকাশক=Islamic Voice |সংগ্রহের-তারিখ=10 November 2011}}</ref><ref>[http://www.aicp.ca/islamic-lessons/english/youth/the-islamic-education-series-book-5/chapter-of-belief/lesson-13-the-types-of-blasphemy-and-blasphemers/ Association of Islamic Charitable Projects, ''The Types of Blasphemy'' (2010)]</ref><ref>Lawton, D. (1993). Blasphemy. Univ of Pennsylvania Press</ref><ref>CW Ernst, in Eliade (Ed), ''Blasphemy - Islamic Concept'', The encyclopedia of religion, New York (1987)</ref><ref>Marshall and Shea (2011), ''Silenced'', Oxford University Press, {{আইএসবিএন|978-0199812288}}</ref>

<!-- অনুবাদ??
== গ্যালারি ==
== গ্যালারি ==
<gallery>
<gallery>
১৪ নং লাইন: ২৩ নং লাইন:
File:Jesus graffito.jpg|The satirical [[Alexamenos graffito]] is believed to be the earliest known [[representation of Jesus]].
File:Jesus graffito.jpg|The satirical [[Alexamenos graffito]] is believed to be the earliest known [[representation of Jesus]].
File:Félicien Rops - La tentation de Saint Antoine.jpg|La tentation de Saint Antoine
File:Félicien Rops - La tentation de Saint Antoine.jpg|La tentation de Saint Antoine
</gallery>
</gallery> -->


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|2}}
{{reflist|2}}

== আরও পড়ুন ==
* ''[[Maledicta]]: The International Journal of Verbal Aggression'' (ISSN US 0363-3659)
* Levy, L. ''Blasphemy''. Chapel Hill, 1993.
* [http://www.brentonpriestley.com/writing/blasphemy.htm Comprehensive academic study comparing global legal approaches to blasphemy in light of the Jyllands-Posten controversy]
* Dartevelle, P., S Borg, Denis, Ph., Robyn, J. (eds.). Blasphèmes et libertés. Paris: CERF, 1993
* Plate, S. Brent ''Blasphemy: Art that Offends'' (London: Black Dog Publishing, 2006) [ISBN 1-904772-53-6]

== বহিঃসংযোগ ==
* The Rational Response Squad: [http://www.blasphemychallenge.com The Blasphemy Challenge]
* [http://www.channel4.com/more4/news/news-opinion-feature.jsp?id=559 A More4 news film report on how insulting the prophet Mohammed in Pakistan is a capital offence, and defiling the Koran carries life imprisonment].
* [http://www.caslon.com.au/blasphemyprofile.htm review of laws relating to blasphemy and sacrilege in various jurisdictions]
* {{CathEncy|wstitle=Blasphemy|author=John Webster Melody}}
* [http://jewishencyclopedia.com/view.jsp?artid=1119&letter=B&search=Blasphemy Jewish Encyclopedia] – Blasphemy
* {{Cite Americana|wstitle=Blasphemy |short=x}}


<!-- বাংলা বইয়ের নাম দিন, বাংলা বহিঃসংযোগ দিন। ইংরেজি উইকি থেকে অন্ধভাবে অনুলিপি করে যোগ করবেন না। -->
{{Ten Commandments}}


[[বিষয়শ্রেণী:ধর্মনিন্দা| ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্ম অবমাননা| ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্মে অপরাধ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্মে অপরাধ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্মীয় আইন]]
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্মীয় আইন]]
[[বিষয়শ্রেণী:খ্রিস্টান আইন]]
[[বিষয়শ্রেণী:খ্রিস্টান আইন]]
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্মীয় পরিভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্মীয় পরিভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মত প্রকাশের স্বাধীনতা]]

০১:০৩, ৫ জুলাই ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ধর্মীয় অবমাননাকারীকে পাথর নিক্ষেপ, লেভিটিকাসের ২৪:১৩-২৩ অনুযায়ী, প্রকাশকাল ১৭২৮, "ফিগারস ডি লা বাইবেল", পি. ডি হন্ডট (প্রকাশক), দ্য হোগ

ধর্ম অবমাননা বা ধর্মনিন্দা বা ব্লাসফেমি হল পরমেশ্বর, পবিত্র জিনিস কিংবা পবিত্র বা অলঙ্ঘনীয় বিবেচিত এমন কোন কিছুর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা, ঠাট্টা করা বা অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অনেক দেশেই ব্লাসফেমি, ধর্মীয় অবমাননা এবং ধর্মত্যাগ শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ বাস্তবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক শত্রুতা, জমি নিয়ে বিরোধের ক্ষেত্রেও হাতিয়ার করা হয় এসব আইনকে৷[]

উদ্ভব

[সম্পাদনা]

ধর্ম অবমাননার উদ্ভব হয়েছিল প্রাচীন ও মধ্যযুগে। এখন থেকে এক হাজার ৪৫০ বছর আগে রোমের সামন্ত রাজারা প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী খ্রিষ্টান ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের সহায়তায় জনগণের ওপর ধর্মের নামে অত্যাচারের হাতিয়ার হিসেবে ‘ধর্ম অবমাননা’র ব্যবহার শুরু করেছিল। আধুনিক যুগে এসে যখন চার্চ ও রাষ্ট্রকে আলাদা করা হয়, তখন থেকে এ আইনের বিবর্তন ঘটে। বিভিন্ন দেশের আইনে ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও আচরণের জন্য আইন থাকলেও তার আর প্রয়োগ সেভাবে নেই।[]

ইসলামে ধর্ম অবমাননা

[সম্পাদনা]
১৯৮৯ সালে, লেখক সালমান রুশদি তাঁর লিখিত বই দ্য স্যাটানিক ভার্সেস এ ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা ও অবমাননার দায়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খমেনি কর্তৃক ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন এবং সে সময়ে জারিকৃত একটি ফতোয়ার আসামী হিসেবে ঘোষিত হয়েছিলেন।

তবে, মুসলিম বিশ্বে সবশেষ আলোচিত ব্লাসফেমি'র উদাহরণ পাকিস্তানের খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবি'র ঘটনাটি। ২০১০ সালে মৃত্যুদন্ডের শাস্তি পাওয়া আসিয়া বিবি আট বছর কারাভোগ করার পর গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট তার রায় বাতিল করে। []

ইসলামী গ্রন্থে শাস্তির বিধান

নিঃসন্দেহে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয় - আল্লাহ তাদেরকে পার্থিব জীবনে এবং পরকালে অভিশাপ দেন, এবং তাদের জন্য অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। যদি এই প্রতারকেরা , আর ঐ সব লোকেরা যাদের অন্তরে কলুষতা আছে, এবং ঐ সকল লোকেরা যারা শহরে মিথ্যা সংবাদ রটিয়ে থাকে তারা, (তাদের এসব কাজ থেকে) বিরত না হয়, তাহলে আমি অবশ্যই আপনাকে তাদের উপর শক্তিশালী করে দেবো: এরপর তারা শহরে আপনার কাছে অতি অল্পকালই অবস্থান করতে পারবে

এছাড়া অনেক আলেম ধর্ম অবমাননা আইনের সমর্থন হিসেবে বেশ কিছু হাদিসের প্রতিও ইঙ্গিত করে থাকেন, যেখানে আল্লাহ, নবীর প্রতি কটূক্তি বা তিরষ্কারমূলক বক্তব্য প্রদান করার অপরাধে ব্যক্তিবিশেষকে দন্ড দেয়া হয়েছিল, এই হাদিসগুলোর মধ্যে কা'ব ইবনে আশরাফ নামক ইহুদি নেতাকে শাস্তির নির্দেশ দেয়ার হাদিসটি উল্লেখযোগ্য, যিনি বদর যুদ্ধে নিহত মুসলিম পুরুষদের তিরস্কার করেছিল এবং মুসলিম নারীদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছিল[]। তবে, পাকিস্তানের প্রখ্যাত ইসলামিক পণ্ডিত জাভেদ আহমদ ঘাদামি বলেছেন, ইসলামের কোথাও ধর্ম অবমাননা আইনের সমর্থনে কিছু বলা নেই। [] অনেক মুসলিম আইনবিদেরা একে ‘শরিয়ার’ অংশ হিসেবে দেখিয়েছেন।[][][][][১০]


তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ব্লাসফেমি আইন ও মানবাধিকার, ডয়েচে ভেলে। প্রকাশের তারিখঃ ২৭-০২-২০২০।
  2. জামায়াতের দাবিই উত্থাপন করল হেফাজত ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-০৯-২৮ তারিখে,রাশেদ খান মেনন, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৩-০৪-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  3. ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন মুসলিম দেশগুলোতেই বেশি কঠোরভাবে চর্চা করা হয়: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল" বিবিসি বাংলা।
  4. সহীহ বুখারী, ৪:৫২:২৭০ (ইংরেজি) সহীহ বুখারী, ৫:৫৯:৩৬৯ (ইংরেজি), সহীহ মুসলিম, ১৯:৪৪৩৬ (ইংরেজি) সহীহ বুখারী, ৩:৪৫:৬৮৭ (ইংরেজি) সহীহ বুখারী, ৪:৫২:২৭১ (ইংরেজি)
  5. Islamic scholar attacks Pakistan's blasphemy laws Guardian 20 January 2010. Retrieved 23 January 2010
  6. "Ruling for blassphemy in Islam: Zakir Naik"। Islamic Voice। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১১ 
  7. Association of Islamic Charitable Projects, The Types of Blasphemy (2010)
  8. Lawton, D. (1993). Blasphemy. Univ of Pennsylvania Press
  9. CW Ernst, in Eliade (Ed), Blasphemy - Islamic Concept, The encyclopedia of religion, New York (1987)
  10. Marshall and Shea (2011), Silenced, Oxford University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০১৯৯৮১২২৮৮