বিষয়বস্তুতে চলুন

অম্বিকা চক্রবর্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যছক
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
 
(১৫ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৩৫টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১৪ নং লাইন: ১৪ নং লাইন:
| birth_name =
| birth_name =
| birth_date = ১৮৯২
| birth_date = ১৮৯২
| birth_place = [[চট্টগ্রাম]], [[ব্রিটিশ ভারত]], (বর্তমান {{পতাকা আইকন|Bangladesh}} [[বাংলাদেশ]])
| birth_place = [[চট্টগ্রাম]], [[ব্রিটিশ ভারত]] (বর্তমান [[বাংলাদেশ]])
| baptised =
| baptised =
| disappeared_date =
| disappeared_date =
৩০ নং লাইন: ৩০ নং লাইন:
| residence =
| residence =
| ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]]
| ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]]
| nationality = ভারতীয়
| nationality = ব্রিটিশ ভারতীয়
| religion = [[হিন্দু]]
| religion = [[হিন্দু]]
| other_names =
| other_names =
| citizenship = {{পতাকা|ব্রিটিশ ভারত}}
| citizenship = [[ব্রিটিশ ভারত]]
| education =
| education =
| alma_mater =
| alma_mater =
৪২ নং লাইন: ৪২ নং লাইন:
| organization =
| organization =
| agent =
| agent =
| known_for = [[চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন|চট্টগ্রামের অস্ত্রগার আক্রমণের]] ব্যক্তি
| known_for = [[চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন|চট্টগ্রামের অস্ত্রগার আক্রমণের]] ব্যক্তি
| notable_works =
| notable_works =
| style =
| style =
৫৫ নং লাইন: ৫৫ নং লাইন:
| predecessor =
| predecessor =
| successor =
| successor =
| party = [[অনুশীলন সমিতি]]
| party = স্বাধীনতার পুর্বে [[অনুশীলন সমিতি]], স্বাধীনোত্তর কালে [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]]
| movement = [[ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন]]
| movement = [[ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন]]
| opponents =
| opponents =
৮৬ নং লাইন: ৮৬ নং লাইন:
{{অনুশীলন সমিতি}}
{{অনুশীলন সমিতি}}


'''অম্বিকা চক্রবর্তী''' ({{lang-en|Ambika Chakrabarty}}) (১৮৯২- [[মার্চ ৬|৬ মার্চ]], ১৯৬২) ছিলেন [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] [[ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন|ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের]] একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।<ref name="সংসদ">{{cite book |last=বসু |first1=অঞ্জলি |title=সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান |volume=১ |edition=পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ |editor-last=বসু |editor-first=অঞ্জলি |editor2-last=সেনগুপ্ত |editor2-first=সুবোধচন্দ্র |location=কলকাতা |publisher=সাহিত্য সংসদ |year=নভেম্বর ২০১৩ |page=৪৪ |isbn=978-8179551356 |accessdate=2020-04-04 }}</ref>
'''অম্বিকা চক্রবর্তী''' (১৮৯২- [[মার্চ ৬|৬ মার্চ]], ১৯৬২) ছিলেন [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] [[ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন|ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের]] একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।<ref name="সংসদ">{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=বসু |প্রথমাংশ১=অঞ্জলি |শিরোনাম=সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান |খণ্ড=১ |সংস্করণ=পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ |সম্পাদক-শেষাংশ=বসু |সম্পাদক-প্রথমাংশ=অঞ্জলি |সম্পাদক২-শেষাংশ=সেনগুপ্ত |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=সুবোধচন্দ্র |অবস্থান=কলকাতা |প্রকাশক=সাহিত্য সংসদ |বছর=নভেম্বর ২০১৩ |পাতা=৪৪ |আইএসবিএন=978-8179551356 |সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-04 }}</ref>


==জন্ম ও শৈশব==
== জন্ম ও শৈশব ==
অম্বিকা চক্রবর্তীর জন্ম [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]]। তার পিতার নাম নন্দকুমার চক্রবর্তী।<ref name="সংসদ"/>
অম্বিকা চক্রবর্তীর জন্ম [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]]। তার পিতার নাম নন্দকুমার চক্রবর্তী।<ref name="সংসদ"/>
==বিপ্লবী কর্মকাণ্ড==
== বিপ্লবী কর্মকাণ্ড ==
[[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম মহাযুদ্ধের]] সময় ১৯১৬ সালের শেষভাগে বিপ্লবী দলের কাজে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার হন। ১৯১৮ সালে মুক্তি পান এবং বিপ্লবী নায়ক [[সূর্য সেন|সূর্য সেনের]] সংগে যোগ দিয়ে চট্টগ্রামে একটি বিপ্লবী ঘাঁটি গড়ে তোলেন। ১৯২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেল কোম্পানির টাকা ডাকাতি করার পর চট্টগ্রাম শহরের প্রান্তে তাদের গোপন ঘাঁটি পুলিশ ঘিরে ফেলে। অবরোধ ভেদ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নাগরখানা পাহাড়ে পুলিশের সংগে খণ্ডযুদ্ধ হয়। ঐ যুদ্ধে আহত হয়ে সূর্য সেন এবং তিনি বিষ পান করেন; কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যান ও পরে গ্রেপ্তার হয়ে বিচারে মুক্ত হন। আদালতে তাদের পক্ষ সমর্থন করেন ব্যারিস্টার [[যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত]]। ১৯২৪ সালে বাংলার অন্যান্য বিপ্লবীদের সংগে পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনের কিছু আগে ১৯২৮ সালে মুক্তি পান।<ref name="সংসদ"/>
[[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম মহাযুদ্ধের]] সময় ১৯১৬ সালের শেষভাগে বিপ্লবী দলের কাজে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার হন। ১৯১৮ সালে মুক্তি পান এবং বিপ্লবী নায়ক [[সূর্য সেন|সূর্য সেনের]] সংগে যোগ দিয়ে চট্টগ্রামে একটি বিপ্লবী ঘাঁটি গড়ে তোলেন। ১৯২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেল কোম্পানির টাকা ডাকাতি করার পর চট্টগ্রাম শহরের প্রান্তে তাদের গোপন ঘাঁটি পুলিশ ঘিরে ফেলে। অবরোধ ভেদ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নাগরখানা পাহাড়ে পুলিশের সংগে খণ্ডযুদ্ধ হয়। ঐ যুদ্ধে আহত হয়ে সূর্য সেন এবং তিনি বিষ পান করেন; কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যান ও পরে গ্রেপ্তার হয়ে বিচারে মুক্ত হন। আদালতে তাদের পক্ষ সমর্থন করেন ব্যারিস্টার [[যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত]]। ১৯২৪ সালে বাংলার অন্যান্য বিপ্লবীদের সংগে পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনের কিছু আগে ১৯২৮ সালে মুক্তি পান।<ref name="সংসদ"/>


==চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন==
== চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল ==
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চূড়ান্ত পর্যায়ের [[চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন|চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের]] দিন তার নেতৃত্বে একটি ক্ষুদ্র দল শহরের টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা ধ্বংস করে। আত্মরক্ষার জন্য পাহাড় অঞ্চলে চারদিন অভুক্ত অবস্থায় থাকার পর ২২ এপ্রিল তারিখে পুলিশ ও মিলিটারির এক বিরাট বাহিনীর সংগে জালালাবাদের যুদ্ধে গুরুতরভাবে আহত হন। সঙ্গীরা তাকে মৃত মনে করে ত্যাগ করে চলে যায়। গভীর রাতে জ্ঞান ফিরে আসে ও পাহাড় ত্যাগ করে একটি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। কয়েক মাস পরে ধরা পড়েন। বিচারে প্রথমে প্রাণদণ্ড ও পরে আপিলে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চূড়ান্ত পর্যায়ের [[চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল|চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের]] দিন তার নেতৃত্বে একটি ক্ষুদ্র দল শহরের টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা ধ্বংস করে। আত্মরক্ষার জন্য পাহাড় অঞ্চলে চারদিন অভুক্ত অবস্থায় থাকার পর ২২ এপ্রিল তারিখে পুলিশ ও মিলিটারির এক বিরাট বাহিনীর সংগে জালালাবাদের যুদ্ধে গুরুতরভাবে আহত হন। সঙ্গীরা তাকে মৃত মনে করে ত্যাগ করে চলে যায়। গভীর রাতে জ্ঞান ফিরে আসে ও পাহাড় ত্যাগ করে একটি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। কয়েক মাস পরে ধরা পড়েন। বিচারে প্রথমে প্রাণদণ্ড ও পরে আপিলে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।


==পরবর্তী জীবন==
== পরবর্তী জীবন ==
১৯৪৬ সালে মুক্তি পাবার পর [[সাম্যবাদ|কমিউনিস্ট]] আন্দোলনে যুক্ত হন। দেশবিভাগের পর উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের চেষ্টায় একটি সমবায় গঠন করেন। [[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৫১|ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে]] বিজয়ী হয়ে বঙ্গীয় সাধারণ সভার সদস্য হন। ১৯৪৮ সালে [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]] বেআইনি ঘোষিত হলে আত্মগোপন করেন। ১৯৪৯-৫১ সালে পুনরায় কারাবাস করেন।
১৯৪৬ সালে মুক্তি পাবার পর [[সাম্যবাদ|কমিউনিস্ট]] আন্দোলনে যুক্ত হন। দেশবিভাগের পর উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের চেষ্টায় একটি সমবায় গঠন করেন। [[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৫১|ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে]] বিজয়ী হয়ে বঙ্গীয় সাধারণ সভার সদস্য হন। ১৯৪৮ সালে [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]] বেআইনি ঘোষিত হলে আত্মগোপন করেন। ১৯৪৯-৫১ সালে পুনরায় কারাবাস করেন।


১০৩ নং লাইন: ১০৩ নং লাইন:
অম্বিকা চক্রবর্তী ১৯৬২ সালের ৬ মার্চ [[কলকাতা|কলকাতার]] রাজপথে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।<ref name="সংসদ" />
অম্বিকা চক্রবর্তী ১৯৬২ সালের ৬ মার্চ [[কলকাতা|কলকাতার]] রাজপথে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।<ref name="সংসদ" />


==তথ্যসূত্র==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}


১০৯ নং লাইন: ১০৯ নং লাইন:
{{ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন}}
{{ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন}}


{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:অম্বিকা চক্রবর্তী}}
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৯২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৯২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:পূর্ববঙ্গে জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৬২-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৬২-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী বিপ্লবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী বিপ্লবী]]
১১৫ নং লাইন: ১১৭ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম জেলার বিপ্লবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম জেলার বিপ্লবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:যুগান্তর দল]]
[[বিষয়শ্রেণী:অনুশীলন সমিতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:সূর্য সেন]]
[[বিষয়শ্রেণী:সূর্য সেন]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলা থেকে ভারতের স্বাধীনতা কর্মী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পূর্ব বাংলা থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পূর্ববঙ্গের ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিরোধী বিপ্লবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯শ শতাব্দীর রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি বিপ্লবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় স্বাধীনতার বিপ্লবী আন্দোলন]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন কর্মী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম জেলার ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ১৯৫১-১৯৫৭]]

১৯:৫৩, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

অম্বিকা চক্রবর্তী
জন্ম১৮৯২
মৃত্যু৬ মার্চ, ১৯৬২
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত
পরিচিতির কারণচট্টগ্রামের অস্ত্রগার আক্রমণের ব্যক্তি
রাজনৈতিক দলস্বাধীনতার পুর্বে অনুশীলন সমিতি, স্বাধীনোত্তর কালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি
আন্দোলনভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন
পিতা-মাতা
  • নন্দকুমার চক্রবর্তী (পিতা)

অম্বিকা চক্রবর্তী (১৮৯২- ৬ মার্চ, ১৯৬২) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।[]

জন্ম ও শৈশব

[সম্পাদনা]

অম্বিকা চক্রবর্তীর জন্ম চট্টগ্রামে। তার পিতার নাম নন্দকুমার চক্রবর্তী।[]

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড

[সম্পাদনা]

প্রথম মহাযুদ্ধের সময় ১৯১৬ সালের শেষভাগে বিপ্লবী দলের কাজে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার হন। ১৯১৮ সালে মুক্তি পান এবং বিপ্লবী নায়ক সূর্য সেনের সংগে যোগ দিয়ে চট্টগ্রামে একটি বিপ্লবী ঘাঁটি গড়ে তোলেন। ১৯২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেল কোম্পানির টাকা ডাকাতি করার পর চট্টগ্রাম শহরের প্রান্তে তাদের গোপন ঘাঁটি পুলিশ ঘিরে ফেলে। অবরোধ ভেদ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নাগরখানা পাহাড়ে পুলিশের সংগে খণ্ডযুদ্ধ হয়। ঐ যুদ্ধে আহত হয়ে সূর্য সেন এবং তিনি বিষ পান করেন; কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যান ও পরে গ্রেপ্তার হয়ে বিচারে মুক্ত হন। আদালতে তাদের পক্ষ সমর্থন করেন ব্যারিস্টার যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত। ১৯২৪ সালে বাংলার অন্যান্য বিপ্লবীদের সংগে পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনের কিছু আগে ১৯২৮ সালে মুক্তি পান।[]

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল

[সম্পাদনা]

১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চূড়ান্ত পর্যায়ের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের দিন তার নেতৃত্বে একটি ক্ষুদ্র দল শহরের টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা ধ্বংস করে। আত্মরক্ষার জন্য পাহাড় অঞ্চলে চারদিন অভুক্ত অবস্থায় থাকার পর ২২ এপ্রিল তারিখে পুলিশ ও মিলিটারির এক বিরাট বাহিনীর সংগে জালালাবাদের যুদ্ধে গুরুতরভাবে আহত হন। সঙ্গীরা তাকে মৃত মনে করে ত্যাগ করে চলে যায়। গভীর রাতে জ্ঞান ফিরে আসে ও পাহাড় ত্যাগ করে একটি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। কয়েক মাস পরে ধরা পড়েন। বিচারে প্রথমে প্রাণদণ্ড ও পরে আপিলে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।

পরবর্তী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৪৬ সালে মুক্তি পাবার পর কমিউনিস্ট আন্দোলনে যুক্ত হন। দেশবিভাগের পর উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের চেষ্টায় একটি সমবায় গঠন করেন। ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বঙ্গীয় সাধারণ সভার সদস্য হন। ১৯৪৮ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে আত্মগোপন করেন। ১৯৪৯-৫১ সালে পুনরায় কারাবাস করেন।

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

অম্বিকা চক্রবর্তী ১৯৬২ সালের ৬ মার্চ কলকাতার রাজপথে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. বসু, অঞ্জলি (নভেম্বর ২০১৩)। বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র, সম্পাদকগণ। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান (পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ সংস্করণ)। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৪৪। আইএসবিএন 978-8179551356