বিষয়বস্তুতে চলুন

এস এম সুলতান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Moheen (আলোচনা | অবদান)
২টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.9.5
Moheen (আলোচনা | অবদান)
বিষয়বস্তু যোগ
৩০ নং লাইন: ৩০ নং লাইন:


== জীবনী ==
== জীবনী ==
=== প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা ===
=== প্রাথমিক জীবন===
[[চিত্র:এস.এম সুলতানের বাসভবন.jpg|থাম্ব|২০১১ সালে [[নড়াইল|নড়াইলের]] মাসিমদিয়া গ্রামে সুলতানের বাসভবন।]]
[[চিত্র:এস.এম সুলতানের বাসভবন.jpg|থাম্ব|২০১১ সালে [[নড়াইল|নড়াইলের]] মাসিমদিয়া গ্রামে সুলতানের বাসভবন।]]


শেখ মোহাম্মদ সুলতান ১৯২৩ সালের ১০ আগস্ট তৎকালীন [[পূর্ব বাংলা]], [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] (বর্তমান [[বাংলাদেশ]]) [[নড়াইল জেলা|নড়াইলের]] মাসিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{sfn|খান|২০০৩|pp=৩১}} তার পৈতৃক ভিটা পুরুলিয়া গ্রামে।{{r|ইশতিয়াক}} তার জন্ম হয়েছিল দরিদ্র কৃষক-পরিবারে।{{r|বাংলাপিডিয়া}} তার মায়ের নাম মোছাম্মদ মেহেরুননেসা। তার বাবা শেখ মোহাম্মদ মেসের আলী পেশায় ছিলেন [[রাজমিস্ত্রির কাজ|রাজমিস্ত্রী]]।{{r|সাক্ষাতকার}}{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}} তবে কৃষিকাজই ছিল তার বাবার মূল পেশা, পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য [[ঘরামি|ঘরামির]] কাজ করতেন।{{r|গাফফার}} সুলতান ছিলেন পরিবারের একমাত্র সন্তান।{{sfn|খান|২০০৩|pp=৩১}}{{r|যুগান্তর}} শৈশবে পরিবারের সবাই তাকে ''লাল মিয়া'' বলে ডাকতো।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৪৫}} বিদ্যালয়ে পড়ানোর মত সামর্থ্য তার পরিবারের না থাকলেও ১৯২৮ সালে নড়াইলের [[নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়|ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে]] তাকে ভর্তি করানো হয়।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{r|গাফফার}} তবে মাত্র পাঁচ বছর অধ্যয়নের পর তিনি সেই বিদ্যালয়ে ছেড়ে বাড়ি ফিরে বাবার সহযোগী হিসেবে রাজমিস্ত্রীর কাজ শুরু করেন।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}} এ সময় বাবার ইমারত তৈরির কাজ সুলতানকে প্রভাবিত করে এবং তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজের ফাঁকে আঁকাআঁকি শুরু করেন। বাবার এই পেশাই সুলতানের ভেতরে শিল্পীসত্তার জন্ম দেয়।{{r|গাফফার-কিআ}} সুলতানের বাল্যবয়সের চরিত্র-গঠন সম্পর্কে [[আহমদ ছফা]] লিখেছেন: "কোনো কোনো মানুষ জন্মায়, জন্মের সীমানা যাদের ধরে রাখতে পারে না। অথচ যাদের সবাইকে ক্ষণজন্মাও বলা যাবে না। এরকম অদ্ভুত প্রকৃতির শিশু অনেক জন্মগ্রহণ করে জগতে, জন্মের বন্ধন ছিন্ন করার জন্য যাদের রয়েছে এক স্বাভাবিক আকুতি। ...শেখ মুহাম্মদ সুলতান সে সৌভাগ্যের বরে ভাগ্যবান, আবার সে দুর্ভাগ্যের অভিশাপে অভিশপ্ত।"{{sfn|ছফা|১৯৮১|pp=}}{{r|ইশতিয়াক}} ১৯৩৩ সালে, ১০ বছর বয়সে, যখন তিনি বিদ্যালয়ে পড়েন তখন রাজনীতিবিদ [[আশুতোষ মুখোপাধ্যায়|স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের]] ছেলে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি নড়াইলে ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল পরিদর্শনে এলে সুলতান তার একটি পেন্সিল স্কেচ আঁকেন।{{r|রহমান}} শাম্যপ্রসাদ তার আঁকা পেন্সিল স্কেচ দেখে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন এবং এই পেন্সিল স্কেচের মাধ্যমেই শিল্পী হিসেবে সুলতানের প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে।{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}}
শেখ মোহাম্মদ সুলতান ১৯২৩ সালের ১০ আগস্ট তৎকালীন [[পূর্ব বাংলা]], [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] (বর্তমান [[বাংলাদেশ]]) [[নড়াইল জেলা|নড়াইলের]] মাসিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{sfn|খান|২০০৩|pp=৩১}} তার পৈতৃক ভিটা পুরুলিয়া গ্রামে।{{r|ইশতিয়াক}} তার জন্ম হয়েছিল দরিদ্র কৃষক-পরিবারে।{{r|বাংলাপিডিয়া}} তার মায়ের নাম মোছাম্মদ মেহেরুননেসা। তার বাবা শেখ মোহাম্মদ মেসের আলী পেশায় ছিলেন [[রাজমিস্ত্রির কাজ|রাজমিস্ত্রী]]।{{r|সাক্ষাতকার}}{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}} তবে কৃষিকাজই ছিল তার বাবার মূল পেশা, পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য [[ঘরামি|ঘরামির]] কাজ করতেন।{{r|গাফফার}} সুলতান ছিলেন পরিবারের একমাত্র সন্তান।{{sfn|খান|২০০৩|pp=৩১}}{{r|যুগান্তর}} শৈশবে পরিবারের সবাই তাকে ''লাল মিয়া'' বলে ডাকতো।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৪৫}} বিদ্যালয়ে পড়ানোর মত সামর্থ্য তার পরিবারের না থাকলেও ১৯২৮ সালে নড়াইলের [[নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়|ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে]] তাকে ভর্তি করানো হয়।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{r|গাফফার}} তবে মাত্র পাঁচ বছর অধ্যয়নের পর তিনি সেই বিদ্যালয়ে ছেড়ে বাড়ি ফিরে বাবার সহযোগী হিসেবে রাজমিস্ত্রীর কাজ শুরু করেন।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}} এসময় বাবার ইমারত তৈরির কাজ সুলতানকে প্রভাবিত করে এবং তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজের ফাঁকে আঁকাআঁকি শুরু করেন। [[কাঠকয়লা]] দিয়ে আঁকার প্রতিটি সুযোগ তিনি কাজে লাগান।{{sfn|জার্মান সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট|১৯৮৭|pp=১১–৩৫}} তার বাবার এই পেশাই সুলতানের ভেতরে শিল্পীসত্তার জন্ম দেয়।{{r|গাফফার-কিআ}} সুলতানের বাল্যবয়সের চরিত্র-গঠন সম্পর্কে [[আহমদ ছফা]] লিখেছেন: "কোনো কোনো মানুষ জন্মায়, জন্মের সীমানা যাদের ধরে রাখতে পারে না। অথচ যাদের সবাইকে ক্ষণজন্মাও বলা যাবে না। এরকম অদ্ভুত প্রকৃতির শিশু অনেক জন্মগ্রহণ করে জগতে, জন্মের বন্ধন ছিন্ন করার জন্য যাদের রয়েছে এক স্বাভাবিক আকুতি। ...শেখ মুহাম্মদ সুলতান সে সৌভাগ্যের বরে ভাগ্যবান, আবার সে দুর্ভাগ্যের অভিশাপে অভিশপ্ত।"{{sfn|ছফা|১৯৮১|pp=}}{{r|ইশতিয়াক}} ১৯৩৩ সালে, ১০ বছর বয়সে, যখন তিনি বিদ্যালয়ে পড়েন তখন রাজনীতিবিদ [[আশুতোষ মুখোপাধ্যায়|স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের]] ছেলে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি নড়াইলে ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল পরিদর্শনে এলে সুলতান তার একটি পেন্সিল স্কেচ আঁকেন।{{r|রহমান}} শাম্যপ্রসাদ তার আঁকা পেন্সিল স্কেচ দেখে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন এবং এই পেন্সিল স্কেচের মাধ্যমেই শিল্পী হিসেবে সুলতানের প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে।{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}}


=== কলকাতা আর্ট কলেজে পড়াশোনা ===
=== কলকাতা আর্ট কলেজে পড়াশোনা ===
[[File:Govt College of Art and Craft, Kolkata.jpg|thumb|[[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা|কলকাতা আর্ট স্কুল]]]]
[[File:Govt College of Art and Craft, Kolkata.jpg|thumb|[[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা|কলকাতা আর্ট স্কুল]]]]


সুলতানের অল্প বয়সে স্থানীয় পৃষ্ঠপোষক তার আঁকা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তির জন্য জোর দেন। ছবি আঁকার প্রতিভার কারণে শৈশব থেকেই তিনি এলাকার জমিদার ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের স্নেহভাজন হয়ে উঠেন।{{r|রহমান}} ধীরেন্দ্রনাথের ভাইয়ের ছেলে অরুণ রায় তখন [[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা|কলকাতা আর্ট স্কুলের]] ছাত্র। সেই অরুণ রায়ের কাছে সুলতান ছবি আঁকা শিখতে শুরু করেন।{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৩৬}}
সুলতানের অল্প বয়সে স্থানীয় পৃষ্ঠপোষক তার আঁকা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তির জন্য জোর দেন। ছবি আঁকার প্রতিভার কারণে শৈশব থেকেই তিনি এলাকার [[জমিদার]] ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের স্নেহভাজন হয়ে উঠেন।{{r|রহমান}} ধীরেন্দ্রনাথের ভাইয়ের ছেলে অরুণ রায় তখন [[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা|কলকাতা আর্ট স্কুলের]] ছাত্র। সেই অরুণ রায়ের কাছে সুলতান ছবি আঁকা শিখতে শুরু করেন।{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৩৬}}


গতানুগতিক পড়াশোনার প্রতি সুলতানের আগ্রহ না থাকায় ১৯৩৮ সালে অষ্টম শ্রেণীতে উঠে তিনি বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। একইবছর ছবি আঁকা শেখার জন্য [[কলকাতা|কলকাতায়]] পাড়ি জমান।{{r|বাংলাপিডিয়া}} বয়স কম হবার কারণে তখন কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হতে পারেননি। কখনো ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ি, কখনো তার ভাই সত্যেন রায়ের বাড়ি, কখনো তাদের অন্যান্য ভাইদের বাড়িতে থেকে সুলতান তিন বছর ছবি আঁকার চর্চা করেন।{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৪১-১৪২}}
গতানুগতিক পড়াশোনার প্রতি সুলতানের আগ্রহ না থাকায় ১৯৩৮ সালে অষ্টম শ্রেণীতে উঠে তিনি বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। একইবছর ছবি আঁকা শেখার জন্য [[কলকাতা|কলকাতায়]] পাড়ি জমান।{{r|বাংলাপিডিয়া}} বয়স কম হবার কারণে তখন কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হতে পারেননি। কখনো ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ি, কখনো তার ভাই সত্যেন রায়ের বাড়ি, কখনো তাদের অন্যান্য ভাইদের বাড়িতে থেকে সুলতান তিন বছর ছবি আঁকার চর্চা করেন।{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৪১-১৪২}}


১৯৪১ সালে তিনি কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় অংশ নেয়া চারশো ছেলেমেয়েকে পনেরো মিনিটে [[ভেনাস ডি মিলো|ভেনাস মিলোর]] ছবি আঁকতে দেয়া হয়। সুলতান প্রথম হন, কিন্তু প্রবেশিকা পাশ না থাকার কারণে তার ভর্তি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তখন ধীরেন্দ্রনাথ রায় বিষয়টা অবগত করেন শিল্প ইতিহাসবিদ ও সমালোচক শাহেদ সোহরাওয়ার্দীকে। সোহরাওয়ার্দী তখন কলকাতা আর্ট স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সদস্য।{{r|ইশতিয়াক}} তার সাহায্যে সুলতান কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হন।{{r|বেঙ্গল}} তিনিই সুলতানকে পরামর্শ দেন ভর্তি হবার সময় কাগজপত্রে ''লাল মিয়া'' না লিখে ''শেখ মোহাম্মদ সুলতান'' লিখতে। সুলতানকে সোহরাওয়ার্দী সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করতে থাকেন। তার অসাধারণ সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার সুলতানের জন্য সব সময় উন্মুক্ত ছিল। কিছুকাল তার বাসায় ও তার ভাই শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বাসায় থেকে সুলতান পড়াশোনা করেন।{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৪৩-১৪৫}}
১৯৪১ সালে তিনি কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় অংশ নেয়া চারশো ছেলেমেয়েকে পনেরো মিনিটে [[ভেনাস ডি মিলো|ভেনাস মিলোর]] ছবি আঁকতে দেয়া হয়। সুলতান প্রথম হন, কিন্তু প্রবেশিকা পাশ না থাকার কারণে তার ভর্তি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তখন ধীরেন্দ্রনাথ রায় বিষয়টা অবগত করেন শিল্প ইতিহাসবিদ ও সমালোচক [[হাসান শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী|হাসান শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীকে]], যিনি তখন কলকাতা আর্ট স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সদস্য।{{r|ইশতিয়াক}} তার সাহায্যে সুলতান কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হন।{{r|বেঙ্গল}} তিনিই সুলতানকে পরামর্শ দেন ভর্তি হবার সময় কাগজপত্রে ''লাল মিয়া'' না লিখে ''শেখ মোহাম্মদ সুলতান'' লিখতে। সুলতানকে সোহরাওয়ার্দী সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করতে থাকেন।{{sfn|জার্মান সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট|১৯৮৭|pp=১১–৩৫}} তার অসাধারণ সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার সুলতানের জন্য সব সময় উন্মুক্ত ছিল। কিছুকাল তার বাসায় ও তার ভাই শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বাসায় থেকে সুলতান পড়াশোনা করেন।{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৪৩-১৪৫}} কলকাতা আর্ট স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক [[মুকুল দে|মুকুলচন্দ্র দের]] অধীনে, স্কুলটি পুরনো শিল্পগুরুদের অনুকরণকে গুরুত্বহীন করে তোলে এবং [[পুরাণ (ভারতীয় শাস্ত্র)|ভারতীয় পৌরাণিক]], রূপক এবং ঐতিহাসিক বিষয়গুলিকে ছাড়িয়ে যায়। সেসময় শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মৌলিক বিষয়বস্তুর মাধ্যমে সমকালীন দৃশ্য এবং প্রতিকৃতি আঁকতে উৎসাহিত করা হত।{{r|সেলিম}}


কলকাতা আর্ট স্কুলের অন্যান্য ক্লাসে তখন [[জয়নুল আবেদিন]], [[কামরুল হাসান]], [[সফিউদ্দীন আহমেদ|সফিউদ্দিন আহমেদ]], [[রাজেন তরফদার]], [[আনোয়ারুল হক|আনওয়ারুল হকের]] মত মানুষেরা পড়াশোনা করতেন। ফলে তাদের সাথে সুলতানের যোগাযোগ ঘটে। ছাত্র হিসেবে সুলতান ভাল ছিলেন, এর পাশাপাশি মঞ্চনাটকে অভিনয় করেও প্রশংসা অর্জন করেন।{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৪৬-১৪৭}} ১৯৪৩ সালে, তৃতীয় বর্ষে উঠে সুলতান আর্ট স্কুল ছেড়ে দেন।{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৫০}}{{r|কালিওকলম-মজুমদার}}
কলকাতা আর্ট স্কুলের অন্যান্য ক্লাসে তখন [[জয়নুল আবেদিন]], [[কামরুল হাসান]], [[সফিউদ্দীন আহমেদ|সফিউদ্দিন আহমেদ]], [[রাজেন তরফদার]], [[আনোয়ারুল হক|আনওয়ারুল হকের]] মত মানুষেরা পড়াশোনা করতেন। ফলে তাদের সাথে সুলতানের যোগাযোগ ঘটে। ছাত্র হিসেবে সুলতান ভাল ছিলেন, এর পাশাপাশি [[মঞ্চনাটক|মঞ্চনাটকে]] অভিনয় করেও প্রশংসা অর্জন করেন।{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৪৬-১৪৭}} ১৯৪৩ সালে, তৃতীয় বর্ষে উঠে সুলতান আর্ট স্কুল ছেড়ে দেন।{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৫০}}{{r|কালিওকলম-মজুমদার}}


==কর্মজীবন==
=== ১৯৪০ থেকে ১৯৬০-এর দশক===
===ভারতীয় আমল===
আর্ট স্কুল ছেড়ে সুলতান ভারত ভ্রমণে বের হয়ে পড়েন।{{r|বাংলাপিডিয়া}} যে সময়ে বিশেষত [[কাশ্মীর|কাশ্মীরে]] ভ্রমণ তার উপর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রাখে, যা কয়েক দশক পরে তৈরি করা তার কাজগুলিতে দেখা যায়।{{r|বেঙ্গল}} শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাঁধাধরা জীবন এবং প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার কঠোর রীতিনীতি সুলতানের জীবনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। তিনি ছিলেন বোহেমীয় জীবনাচারের অনুসারী। চেতনায় তিনি ছিলেন স্বাধীন এবং প্রকৃতিগতভাবে ছিলেন ভবঘুরে এবং ছন্নছাড়া। প্রকৃতিকে তিনি সবসময় রোমান্টিক কবির আবেগ দিয়ে ভালোবেসেছেন। আবার যান্ত্রিক নগরজীবনকে সেরকমই ঘৃণা করেছেন। ১৯৪৩ সালে [[খাকসার আন্দোলন|খাকসার আন্দোলনে]] যোগ দেন তিনি।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{r|রহমান}} এর অব্যবহিত পরেই বেরিয়ে পড়েন এবং উপমহাদেশের পথে পথে ঘুরে তার অনেকটা সময় পাড় করেন। তখন ছিল [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সময়। ভারতে সে সময় অনেক মার্কিন ও ব্রিটিশ সৈন্য আবস্থান নিয়েছিল। তিনি ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে ঘুরে-ঘুরে ছবি এঁকে তা সৈন্যদের কাছে বিক্রি করতেন। মাঝে-মাঝে তার চিত্রকর্মের প্রদর্শনীও হয়েছে।{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}} এর মাধ্যমে তিনি শিল্পী হিসেবে কিছুটা পরিচিতি লাভ করেন। কিন্তু সুলতানের চরিত্রে পার্থিব বিষয়ের প্রতি যে অনীহা এবং যে খামখেয়ালীপনা ছিল তার কারণে সেই চিত্রকর্মগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সেগুলোর কোনো আলোকচিত্রও এখন আর পাওয়া যায় না। এছাড়া তিনি কখনও একস্থানে বেশিদিন থাকতেন না। তিনি বলেন:{{r|সাক্ষাতকার}}
আর্ট স্কুল ছেড়ে সুলতান ভারত ভ্রমণে বের হয়ে পড়েন।{{r|বাংলাপিডিয়া}} যে সময়ে বিশেষত [[কাশ্মীর|কাশ্মীরে]] ভ্রমণ তার উপর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রাখে, যা কয়েক দশক পরে তৈরি করা তার কাজগুলিতে দেখা যায়।{{r|বেঙ্গল}} শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাঁধাধরা জীবন এবং প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার কঠোর রীতিনীতি সুলতানের জীবনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। তিনি ছিলেন বোহেমীয় জীবনাচারের অনুসারী। চেতনায় তিনি ছিলেন স্বাধীন এবং প্রকৃতিগতভাবে ছিলেন ভবঘুরে এবং ছন্নছাড়া। প্রকৃতিকে তিনি সবসময় রোমান্টিক কবির আবেগ দিয়ে ভালোবেসেছেন। আবার যান্ত্রিক নগরজীবনকে সেরকমই ঘৃণা করেছেন। ১৯৪৩ সালে সুলতান ব্রিটিশ ভারতে আল্লামা মাশরিকীর খাকসার আন্দোলনে যোগ দেন।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{r|রহমান}} মোস্তফা জামান তার "লাল মিয়ার রূপকল্প পুনর্বিবেচনা" শিরোনামে লিখেছেন: "তার সাবলীল গতিবিধি নানা সামাজিক ভূগোলের মধ্য দিয়ে এবং কিছু অনন্য ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্য, আল্লামা মাশরিকীর খাকসার আন্দোলনের সাথে তার সম্পৃক্ততা, যা 'স্ব' এবং 'মুসলিম সামাজিকতা'কে সংগঠিত করে উপনিবেশ মুক্তির ভিত্তি স্থাপনের চেষ্টা করেছিল; এবং আমেরিকা ও ইউরোপে তার ভ্রমণ তাকে তার ক্যানভাসের জন্য প্রস্তুত করেছিল, যা শীঘ্রই শক্তিশালী পুরুষ ও মহিলাদের দ্বারা পূর্ণ হতে থাকে। এগুলো স্পষ্টতই সেই কৃষক জনসংখ্যার প্রতিফলন ছিল যার সাথে তিনি একাত্ম হয়ে উঠেছিলেন।"{{r|জামান}} এর অব্যবহিত পরেই বেরিয়ে পড়েন এবং উপমহাদেশের পথে পথে ঘুরে তার অনেকটা সময় পাড় করেন। তখন ছিল [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সময়। ভারতে সে সময় অনেক মার্কিন ও ব্রিটিশ সৈন্য আবস্থান নিয়েছিল। তিনি ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে ঘুরে-ঘুরে ছবি এঁকে তা সৈন্যদের কাছে বিক্রি করতেন। মাঝে-মাঝে তার চিত্রকর্মের প্রদর্শনীও হয়েছে।{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}} এর মাধ্যমে তিনি শিল্পী হিসেবে কিছুটা পরিচিতি লাভ করেন। কিন্তু সুলতানের চরিত্রে পার্থিব বিষয়ের প্রতি যে অনীহা এবং যে খামখেয়ালীপনা ছিল তার কারণে সেই চিত্রকর্মগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সেগুলোর কোনো আলোকচিত্রও এখন আর পাওয়া যায় না। এছাড়া তিনি কখনও একস্থানে বেশিদিন থাকতেন না। তিনি বলেন:{{r|সাক্ষাতকার}}
{{cquote|একেক জায়গায় এভাবে পড়ে আছে সব। শ্রীনগরে গেলাম। সেখানকার কাজও নেই। শ্রীনগরে থাকাকালীন পাকিস্তান হয়ে গেলো। '৪৮-এ সেখান থেকে ফিরে এলাম। কোনো জিনিসই তো সেখান থেকে আনতে পারিনি। একটা কনভয় এনে বর্ডারে ছেড়ে দিয়ে গেলো। পাকিস্তান বর্ডারে। আমার সমস্ত কাজগুলোই সেখানে রয়ে গেলো। দেশে দেশে ঘুরেছি। সেখানে এঁকেছি। আর সেখানেই রেখে চলে এসেছি।}}
{{cquote|একেক জায়গায় এভাবে পড়ে আছে সব। শ্রীনগরে গেলাম। সেখানকার কাজও নেই। শ্রীনগরে থাকাকালীন পাকিস্তান হয়ে গেলো। '৪৮-এ সেখান থেকে ফিরে এলাম। কোনো জিনিসই তো সেখান থেকে আনতে পারিনি। একটা কনভয় এনে বর্ডারে ছেড়ে দিয়ে গেলো। পাকিস্তান বর্ডারে। আমার সমস্ত কাজগুলোই সেখানে রয়ে গেলো। দেশে দেশে ঘুরেছি। সেখানে এঁকেছি। আর সেখানেই রেখে চলে এসেছি।}}
তবে এটুকু জানা গেছে যে, সেসময় তিনি প্রাকৃতিক নৈসর্গ্য এবং প্রতিকৃতি আঁকতেন। ১৯৪৬ সালে কানাডিয়ান শিল্পপ্রেমী মিসেস হাডসন [[সিমলা|সিমলায়]] সুলতানের আঁকা ছবির প্রথম প্রদর্শনী করেন।{{r|রহমান}}{{r|কালিওকলম-মজুমদার}} কাপুরতলার মহারাজা সেই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছিলেন।{{r|ইশতিয়াক}} ১৯৪৭ সালে [[ব্রিটিশ সাম্রাজ্য|ব্রিটিশ উপনিবেশ]] বিভক্ত হয়ে [[পাকিস্তান]] ও [[ভারত|ভারতের]] জন্ম হয়। এই বিভক্তির পর সুলতান কিছুদিনের জন্য নিজ দেশ তথা তৎকালীন [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] ফিরে আসেন।
তবে এটুকু জানা গেছে যে, সেসময় তিনি প্রাকৃতিক নৈসর্গ্য এবং প্রতিকৃতি আঁকতেন। ১৯৪৬ সালে কানাডিয়ান শিল্পপ্রেমী মিসেস হাডসন [[সিমলা|সিমলায়]] সুলতানের আঁকা ছবির প্রথম প্রদর্শনী করেন।{{r|রহমান}}{{r|কালিওকলম-মজুমদার}} কাপুরতলার মহারাজা সেই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছিলেন।{{r|ইশতিয়াক}}


===পাকিস্তানি আমল===
১৯৫০ সালে [[Ford Foundation|ফোর্ড]] এবং [[Rockefeller Foundation|রকফেলার ফাউন্ডেশনের]] অর্থায়নে, আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিনিময় প্রোগ্রামের অধীনে চিত্রশিল্পীদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে তিনি [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রে]] যান।{{r|হোক-সান্ডারেসন}} এই সফরে সুলতান [[নিউ ইয়র্ক শহর|নিউ ইয়র্ক]] এবং [[অ্যান আর্বার, মিশিগান|অ্যান আর্বার]] সফর করেন। তিনি [[ভার্মন্ট|ভার্মন্টেও]] বেশকয়েক সপ্তাহ কাটিয়েছেন।{{r|হোক-সান্ডারেসন}} সেখানে [[নিউ ইয়র্ক]], [[ওয়াশিংটন]], [[শিকাগো]] এবং [[বোস্টন|বোস্টনে]] তার চিত্রপ্রদর্শনী হয়। ১৯৫০ সালে [[লন্ডন|লন্ডনর]] হ্যামস্টেডে তার প্রদর্শনী হয়েছিল।{{r|হোক-সান্ডারেসন}} সেখানে [[পাবলো পিকাসো]], [[সালভাদোর দালি]], [[জর্জেস ব্রাক]], [[পল ক্লি]]র মতো আধুনিক চিত্রশিল্পীদের সাথে সুলতানের চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল।{{r|হোক-সান্ডারেসন}} সে সময়ে ইউরোপজুড়ে তার কুড়িটির মতো চিত্রপ্রদর্শনী হয়।{{r|গাফফার-কিআ}} সুলতানের জীবনমুখী ও বাংলার রূপের সেসব চিত্রকর্ম আলোড়িত এবং প্রশংসিত হয়েছিল।{{r|ইশতিয়াক}} ১৯৫১ সালে তিনি [[করাচি]] চলে যান।{{r|বাংলাপিডিয়া}} সেখানে পারসি স্কুলের শিল্প শিক্ষক হিসেবে দুই বছর কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় [[আবদুর রহমান চুঘতাই]] এবং [[শাকির আলী (শিল্পী)|শাকির আলীর]] মত প্রখ্যাত শিল্পীদের সাথে তার পরিচয় ঘটে।{{r|বাংলাপিডিয়া}} ১৯৫৩ সালের অক্টোবরে তিনি আবার নড়াইলে ফিরে আসেন।{{r|বাংলাপিডিয়া}} তার কিছুদিন পর তিনি চলে আসেন [[চাঁচুড়ী ইউনিয়ন|চাঁচুড়ী]] পুরুলিয়াতে। সেখানকার পরিত্যক্ত কৈলাসটিলা জমিদারবাড়ি পরিষ্কার করে সেখানে তিনি নন্দনকানন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নন্দনকানন চারুকলা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}} চারুকলা বিদ্যালয়টি পরে বন্ধ হয়ে যায়। নন্দনকানন প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরে চাচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। চারুকলা বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে অনেকটা অভিমান নিয়েই সুলতান আবার নড়াইলে ফিরে আসেন।{{r|গাফফার-কিআ}} এবার এসে তিনি শিশুশিক্ষার প্রসারে কাজ শুরু করেন। শেষবয়সে তিনি নড়াইলে ''শিশুস্বর্গ'' এবং [[যশোর|যশোরে]] ''চারুপীঠ'' নামে দুটি শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}}
১৯৪৭ সালে [[ব্রিটিশ সাম্রাজ্য|ব্রিটিশ উপনিবেশ]] বিভক্ত হয়ে [[পাকিস্তান]] ও [[ভারত|ভারতের]] জন্ম হয়। এই বিভক্তির পর সুলতান কিছুদিনের জন্য নিজ দেশ তথা তৎকালীন [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] ফিরে আসেন। দেশভাগের পরে, পাকিস্তানে তার দুটি পৃথক প্রদর্শনী হয়েছিল, ১৯৪৮ সালে লাহোরে এবং ১৯৪৯ সালে করাচিতে। চিত্রকর্ম সংরক্ষণের ব্যাপারে সুলতানের উদাসীনতার কারণে তার এই সময়ের কোনো শিল্পকর্মই টিকে নেই।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{r|টিপু}} পঞ্চাশের দশকের শুরুতে [[নিউ ইয়র্ক শহর|নিউ ইয়র্কের]] [[ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন]] তাদের আন্তর্জাতিক শিল্প কর্মসূচির মাধ্যমে ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অসাধারণ প্রতিশ্রুতিশীল বিদেশি শিল্পীদের [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রে]] কয়েক সপ্তাহের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দিত। এই শিল্পীদের নির্বাচন করা হতো [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ|মার্কিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়]] এবং ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের যৌথ উদ্যোগে। উক্ত কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাদুঘর পরিদর্শন, একটি স্কুলে সৃজনশীল কাজ বা অধ্যয়নের সময়কাল, আমেরিকার নেতৃস্থানীয় শিল্পীদের সাথে পরামর্শ এবং দর্শকদের কাজের প্রদর্শনী।{{r|আইআইই}}{{r|রকফেলার-১৯৫০}}{{r|রকফেলার-১৯৫১}} ১৯৫০ সালে [[Ford Foundation|ফোর্ড]] এবং [[Rockefeller Foundation|রকফেলার ফাউন্ডেশনের]] অর্থায়নে, আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিনিময় প্রোগ্রামের অধীনে চিত্রশিল্পীদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে তিনি [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রে]] যান।{{r|হোক-সান্ডারেসন}} এই সফরে সুলতান [[নিউ ইয়র্ক শহর|নিউ ইয়র্ক]] এবং [[অ্যান আর্বার, মিশিগান|অ্যান আর্বার]] সফর করেন। তিনি [[ভার্মন্ট|ভার্মন্টেও]] বেশকয়েক সপ্তাহ কাটিয়েছেন।{{r|হোক-সান্ডারেসন}} সেখানে [[নিউ ইয়র্ক]], [[ওয়াশিংটন]], [[শিকাগো]] এবং [[বোস্টন|বোস্টনে]] তার চিত্রপ্রদর্শনী হয়। ১৯৫০ সালে [[লন্ডন|লন্ডনর]] হ্যামস্টেডে তার প্রদর্শনী হয়েছিল।{{r|হোক-সান্ডারেসন}} সেখানে [[পাবলো পিকাসো]], [[সালভাদোর দালি]], [[জর্জেস ব্রাক]], [[পল ক্লি]]র মতো আধুনিক চিত্রশিল্পীদের সাথে সুলতানের চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল।{{r|হোক-সান্ডারেসন}} সে সময়ে ইউরোপজুড়ে তার কুড়িটির মতো চিত্রপ্রদর্শনী হয়।{{r|গাফফার-কিআ}} সুলতানের জীবনমুখী ও বাংলার রূপের সেসব চিত্রকর্ম আলোড়িত এবং প্রশংসিত হয়েছিল।{{r|ইশতিয়াক}} ১৯৫১ সালে তিনি [[করাচি]] চলে যান।{{r|বাংলাপিডিয়া}} সেখানে পারসি স্কুলের শিল্প শিক্ষক হিসেবে দুই বছর কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় [[আবদুর রহমান চুঘতাই]] এবং [[শাকির আলী (শিল্পী)|শাকির আলীর]] মত প্রখ্যাত শিল্পীদের সাথে তার পরিচয় ঘটে।{{r|বাংলাপিডিয়া}} ১৯৫৩ সালের অক্টোবরে তিনি আবার নড়াইলে ফিরে আসেন।{{r|বাংলাপিডিয়া}} তার কিছুদিন পর তিনি চলে আসেন [[চাঁচুড়ী ইউনিয়ন|চাঁচুড়ী]] পুরুলিয়াতে। সেখানকার পরিত্যক্ত কৈলাসটিলা জমিদারবাড়ি পরিষ্কার করে সেখানে তিনি নন্দনকানন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নন্দনকানন চারুকলা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}} চারুকলা বিদ্যালয়টি পরে বন্ধ হয়ে যায়। নন্দনকানন প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরে চাচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। চারুকলা বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে অনেকটা অভিমান নিয়েই সুলতান আবার নড়াইলে ফিরে আসেন।{{r|গাফফার-কিআ}} এবার এসে তিনি শিশুশিক্ষার প্রসারে কাজ শুরু করেন। শেষবয়সে তিনি নড়াইলে ''শিশুস্বর্গ'' এবং [[যশোর|যশোরে]] ''চারুপীঠ'' নামে দুটি শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}}


<gallery widths="170" heights="180" class="center">
<gallery widths="170" heights="180" class="center">
১২১ নং লাইন: ১২৩ নং লাইন:
| ১৯৪৬ || [[সিমলা]], ভারত || প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন কর্পূরীতলার মহারাজা{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}
| ১৯৪৬ || [[সিমলা]], ভারত || প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন কর্পূরীতলার মহারাজা{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}
|-
|-
| ১৯৪৮ || [[লাহোর]], পাকিস্তান || প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ফিরোজ খান নূন{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}
| ১৯৪৮ || [[লাহোর]], পাকিস্তান || প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন পাকিস্তানের ৭ম প্রধানমন্ত্রী [[ফিরোজ খান নুন]]{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}
|-
|-
| ১৯৪৯ || [[করাচি]], পাকিস্তান || প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ফাতেমা জিন্নাহ{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}
| ১৯৪৯ || [[করাচি]], পাকিস্তান || প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন [[ফাতেমা জিন্নাহ]]{{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}
|-
|-
| rowspan="4"| ১৯৫০ || [[Institute of International Education|ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ইনস্টিটিউট]], [[নিউ ইয়র্ক]], [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্র]] || {{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}
| rowspan="4"| ১৯৫০ || [[Institute of International Education|ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ইনস্টিটিউট]], [[নিউ ইয়র্ক]], [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্র]] || {{sfn|খান|২০০৩|pp=১৩৫}}
২০৭ নং লাইন: ২০৯ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|২|refs=
{{সূত্র তালিকা|২|refs=
<ref name="আইআইই">{{cite book |author=ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন |title=Institute of International Education 32nd Annual Report |অনূদিত-শিরোনাম=ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ৩২তম বার্ষিক প্রতিবেদন |url=http://www.iie.org/~/media/Files/Corporate/AR/1951-IIE-Annual-Report.ashx |format=PDF |location=নিউ ইয়র্ক |publisher=[[ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন]] |page=২৮, ৩১ |date=১৯৫১ |access-date=30 July 2014}}</ref>

<ref name="আবির পোথি">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Remembering SM Sultan, the Bangladeshi Artist Who Captured Peasants With Exaggerated Muscles |ইউআরএল=https://abirpothi.com/remembering-s-m-sultan-the-bangladeshi-artist-who-captured-peasants-with-exaggerated-muscles/ |ওয়েবসাইট=ভারতের একমাত্র দৈনিক ডিজিটাল আর্ট সংবাদপত্র |প্রকাশক=আবির পোথি |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |ভাষা=en |তারিখ=১০ আগস্ট ২০২৪ |আর্কাইভের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240921230014/https://abirpothi.com/remembering-s-m-sultan-the-bangladeshi-artist-who-captured-peasants-with-exaggerated-muscles/ |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="আবির পোথি">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Remembering SM Sultan, the Bangladeshi Artist Who Captured Peasants With Exaggerated Muscles |ইউআরএল=https://abirpothi.com/remembering-s-m-sultan-the-bangladeshi-artist-who-captured-peasants-with-exaggerated-muscles/ |ওয়েবসাইট=ভারতের একমাত্র দৈনিক ডিজিটাল আর্ট সংবাদপত্র |প্রকাশক=আবির পোথি |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |ভাষা=en |তারিখ=১০ আগস্ট ২০২৪ |আর্কাইভের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240921230014/https://abirpothi.com/remembering-s-m-sultan-the-bangladeshi-artist-who-captured-peasants-with-exaggerated-muscles/ |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>


২১৬ নং লাইন: ২২০ নং লাইন:
<ref name="গাফফার">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/kishoralo/article/1559588/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80|শিরোনাম=প্রাণ ও প্রকৃতির শিল্পী|শেষাংশ=গাফফার|প্রথমাংশ=আবদুল|তারিখ=৫ আগস্ট ২০১৮|ওয়েবসাইট=[[প্রথম আলো]]|সংগ্রহের-তারিখ=৮ জুলাই ২০২০|আর্কাইভের-তারিখ=১৯ মে ২০২০|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200519014034/https://www.prothomalo.com/kishoralo/article/1559588/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
<ref name="গাফফার">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/kishoralo/article/1559588/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80|শিরোনাম=প্রাণ ও প্রকৃতির শিল্পী|শেষাংশ=গাফফার|প্রথমাংশ=আবদুল|তারিখ=৫ আগস্ট ২০১৮|ওয়েবসাইট=[[প্রথম আলো]]|সংগ্রহের-তারিখ=৮ জুলাই ২০২০|আর্কাইভের-তারিখ=১৯ মে ২০২০|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200519014034/https://www.prothomalo.com/kishoralo/article/1559588/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
<ref name="গাফফার-কিআ">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=গাফফার |প্রথমাংশ1=আবদুল |সম্পাদক1-শেষাংশ=হক |সম্পাদক1-প্রথমাংশ=আনিসুল |সম্পাদক1-সংযোগ=আনিসুল হক |শিরোনাম=এস এম সুলতান: প্রাণ ও প্রকৃতির শিল্পী |সাময়িকী=[[কিশোর আলো]] |তারিখ=২৯ নভেম্বর ২০২০ |ইউআরএল=https://www.kishoralo.com/%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80 |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |ধারাবাহিক=গুণীজন |প্রকাশক=[[মতিউর রহমান (সাংবাদিক)|মতিউর রহমান]] |আর্কাইভের-তারিখ=২৩ জুন ২০২১ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210623220252/https://www.kishoralo.com/%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80 |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="গাফফার-কিআ">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=গাফফার |প্রথমাংশ1=আবদুল |সম্পাদক1-শেষাংশ=হক |সম্পাদক1-প্রথমাংশ=আনিসুল |সম্পাদক1-সংযোগ=আনিসুল হক |শিরোনাম=এস এম সুলতান: প্রাণ ও প্রকৃতির শিল্পী |সাময়িকী=[[কিশোর আলো]] |তারিখ=২৯ নভেম্বর ২০২০ |ইউআরএল=https://www.kishoralo.com/%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80 |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |ধারাবাহিক=গুণীজন |প্রকাশক=[[মতিউর রহমান (সাংবাদিক)|মতিউর রহমান]] |আর্কাইভের-তারিখ=২৩ জুন ২০২১ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210623220252/https://www.kishoralo.com/%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80 |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>

<ref name="টিপু">{{cite journal |last1=টিপু |first1=সাখাওয়াত |year=২০১০ |title=The resistant corpus: Recontextualizing the communal vision of Lal Miah |url=http://www.departmag.com/archive/2nd_issue/the_resistant_corpus.html |journal=Depart, 2nd Issue |archive-url=https://web.archive.org/web/20131106215306/http://www.departmag.com/archive/2nd_issue/the_resistant_corpus.html |archive-date=6 November 2013 |access-date=28 July 2014}}</ref>


<ref name="ছফা-যুগান্তর-২০০০">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=ছফা |প্রথমাংশ1=আহমদ |লেখক-সংযোগ1=আহমদ ছফা |শিরোনাম=100th Birth Anniversary of SM Sultan: My heart doesn’t desire to speak about Sultan |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/opinion/focus/news/my-heart-doesnt-desire-speak-about-sultan-3393716 |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[দৈনিক যুগান্তর]] |তারিখ=১৭ আগস্ট ২০০০ |আর্কাইভের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240914190633/https://www.thedailystar.net/opinion/focus/news/my-heart-doesnt-desire-speak-about-sultan-3393716 |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="ছফা-যুগান্তর-২০০০">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=ছফা |প্রথমাংশ1=আহমদ |লেখক-সংযোগ1=আহমদ ছফা |শিরোনাম=100th Birth Anniversary of SM Sultan: My heart doesn’t desire to speak about Sultan |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/opinion/focus/news/my-heart-doesnt-desire-speak-about-sultan-3393716 |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[দৈনিক যুগান্তর]] |তারিখ=১৭ আগস্ট ২০০০ |আর্কাইভের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240914190633/https://www.thedailystar.net/opinion/focus/news/my-heart-doesnt-desire-speak-about-sultan-3393716 |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>

<ref name="জামান">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=জামান |প্রথমাংশ1=মোস্তফা |শিরোনাম=Revisiting Lal Mia’s vision |ইউআরএল=https://www.newagebd.net/article/81178/revisiting-lal-mias-vision |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[নিউ এজ (বাংলাদেশ)|নিউ এজ]] |তারিখ=১০ আগস্ট ২০১৯ |ভাষা=en}}</ref>


<ref name="প্রাআ-নতুনরূপে">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=নতুনরূপে সুলতানের তিন ছবি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[প্রথম আলো]] |তারিখ=২৬ মার্চ ২০২১ |অবস্থান=[[নড়াইল]] |আর্কাইভের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240921230013/https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="প্রাআ-নতুনরূপে">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=নতুনরূপে সুলতানের তিন ছবি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[প্রথম আলো]] |তারিখ=২৬ মার্চ ২০২১ |অবস্থান=[[নড়াইল]] |আর্কাইভের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240921230013/https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
২২৮ নং লাইন: ২৩৬ নং লাইন:
<ref name="বিশ্বাস-বিডিনিউজ২৪">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=বিশ্বাস |প্রথমাংশ1=অমিত বিশ্বাস |শিরোনাম=শতবর্ষে এস এম সুলতান, ফিরে দেখা |ইউআরএল=https://bangla.bdnews24.com/kidz/4dcjht3sjj |সংগ্রহের-তারিখ=১৬ আগস্ট ২০২৪ |প্রকাশক=[[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] |তারিখ=১৭ আগস্ট ২০২৩ |আর্কাইভের-তারিখ=২৪ আগস্ট ২০২৩ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20230824075801/https://bangla.bdnews24.com/kidz/4dcjht3sjj |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="বিশ্বাস-বিডিনিউজ২৪">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=বিশ্বাস |প্রথমাংশ1=অমিত বিশ্বাস |শিরোনাম=শতবর্ষে এস এম সুলতান, ফিরে দেখা |ইউআরএল=https://bangla.bdnews24.com/kidz/4dcjht3sjj |সংগ্রহের-তারিখ=১৬ আগস্ট ২০২৪ |প্রকাশক=[[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] |তারিখ=১৭ আগস্ট ২০২৩ |আর্কাইভের-তারিখ=২৪ আগস্ট ২০২৩ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20230824075801/https://bangla.bdnews24.com/kidz/4dcjht3sjj |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=‘শিশু স্বর্গ’ গড়েছিলেন সুলতান |ইউআরএল=https://hello.bdnews24.com/onyachokhe/article11133.bdnews |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] |তারিখ=১১ আগস্ট ২০১৬ |আর্কাইভের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170914200430/http://hello.bdnews24.com/onyachokhe/article11133.bdnews |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=‘শিশু স্বর্গ’ গড়েছিলেন সুলতান |ইউআরএল=https://hello.bdnews24.com/onyachokhe/article11133.bdnews |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] |তারিখ=১১ আগস্ট ২০১৬ |আর্কাইভের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170914200430/http://hello.bdnews24.com/onyachokhe/article11133.bdnews |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>

<ref name="রকফেলার-১৯৫০">{{cite book |author=<!--Staff writer(s); no by-line.--> |title=The Rockefeller Foundation Annual Report 1950 |url=http://www.rockefellerfoundation.org/uploads/files/09171adf-c1fc-4866-90a5-4f3eb35b1992-1950.pdf |location=[[নিউ ইয়র্ক]] |publisher=[[রকফেলার ফাউন্ডেশন]] |page=২৫৬ |date=31 December 1950 |access-date=30 July 2014}}</ref>
<ref name="রকফেলার-১৯৫১">{{cite book |author=<!--Staff writer(s); no by-line.--> |title=The Rockefeller Foundation Annual Report 1951 |url=http://www.rockefellerfoundation.org/uploads/files/53029ed3-55f0-4cce-a6b8-20b40ed46932-1951.pdf |location=[[নিউ ইয়র্ক]] |publisher=[[রকফেলার ফাউন্ডেশন]] |page=৮৪ |date=31 December 1951 |access-date=30 July 2014}}</ref>


<ref name="মামুন">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=মামুন |প্রথমাংশ1=নাসির আলী মামুন |লেখক-সংযোগ1=নাসির আলী মামুন |শিরোনাম=শতবর্ষে এস এম সুলতান |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/unuibmt384 |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[প্রথম আলো]] |তারিখ=১০ আগস্ট ২০২৪ |আর্কাইভের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240920232003/https://www.prothomalo.com/bangladesh/unuibmt384 |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="মামুন">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=মামুন |প্রথমাংশ1=নাসির আলী মামুন |লেখক-সংযোগ1=নাসির আলী মামুন |শিরোনাম=শতবর্ষে এস এম সুলতান |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/unuibmt384 |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[প্রথম আলো]] |তারিখ=১০ আগস্ট ২০২৪ |আর্কাইভের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240920232003/https://www.prothomalo.com/bangladesh/unuibmt384 |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
২৫৬ নং লাইন: ২৬৭ নং লাইন:
* {{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=চলচ্চিত্রযাত্রা|শেষাংশ=মাসুদ |প্রথমাংশ=তারেক |লেখক-সংযোগ=তারেক মাসুদ |বছর=ফেব্রুয়ারি ২০১২ |প্রকাশক=[[প্রথমা প্রকাশন]] |অবস্থান=ঢাকা |অধ্যায়=যেভাবে 'আদম সুরত' |আইএসবিএন=978-984-33-3886-0 |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=চলচ্চিত্রযাত্রা|শেষাংশ=মাসুদ |প্রথমাংশ=তারেক |লেখক-সংযোগ=তারেক মাসুদ |বছর=ফেব্রুয়ারি ২০১২ |প্রকাশক=[[প্রথমা প্রকাশন]] |অবস্থান=ঢাকা |অধ্যায়=যেভাবে 'আদম সুরত' |আইএসবিএন=978-984-33-3886-0 |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সুলতান |শেষাংশ=হাই |প্রথমাংশ=হাসনাত আবদুল |লেখক-সংযোগ=হাসনাত আব্দুল হাই |বছর= |প্রকাশক=[[দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড]] |অবস্থান=[[ঢাকা]] |প্রকাশনার-তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |আইএসবিএন=978-984-506-219-0 |সংস্করণ=দ্বিতীয় |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সুলতান |শেষাংশ=হাই |প্রথমাংশ=হাসনাত আবদুল |লেখক-সংযোগ=হাসনাত আব্দুল হাই |বছর= |প্রকাশক=[[দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড]] |অবস্থান=[[ঢাকা]] |প্রকাশনার-তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |আইএসবিএন=978-984-506-219-0 |সংস্করণ=দ্বিতীয় |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |লেখক=[[গ্যোটে ইনস্টিটিউট|জার্মান সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট]] |বছর=১৯৮৭ |শিরোনাম=S.M. Sultan and His Paintings |অনূদিত-শিরোনাম=এস.এম. সুলতান এবং তাঁর চিত্রকর্ম |ইউআরএল={{গুগল বই|nfPVAAAAMAAJ|S_M_Sultan_and_His_Paintings|plainurl=yes}} |ভাষা=ইংরেজি |অবস্থান=ঢাকা |প্রকাশক=[[মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়]] |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |লেখক=জার্মান সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট |লেখক-সংযোগ১=গ্যোটে ইনস্টিটিউট |বছর=১৯৮৭ |শিরোনাম=S.M. Sultan and His Paintings |অনূদিত-শিরোনাম=এস.এম. সুলতান এবং তাঁর চিত্রকর্ম |ইউআরএল={{গুগল বই|nfPVAAAAMAAJ|S_M_Sultan_and_His_Paintings|plainurl=yes}} |ভাষা=ইংরেজি |অবস্থান=ঢাকা |প্রকাশক=[[মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়]] |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=এস এম সুলতান বৈচিত্র্যময় শিল্পজীবন |শেষাংশ=বিশ্বাস |প্রথমাংশ=সুভাষ |বছর=২০১৬ |প্রকাশক=উৎস পাবলিশার্স |আইএসবিএন=9789848637159 }}
* {{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=এস এম সুলতান বৈচিত্র্যময় শিল্পজীবন |শেষাংশ=বিশ্বাস |প্রথমাংশ=সুভাষ |বছর=২০১৬ |প্রকাশক=উৎস পাবলিশার্স |আইএসবিএন=9789848637159 }}
* {{বই উদ্ধৃতি |last=নিজার |first=সৈয়দ |title=Colonization of Indian Art and Sultan |অনূদিত-শিরোনাম=ভারতশিল্পের উপনিবেশায়ন ও সুলতানের বিউপনিবেশায়ন ভাবনা |publisher=চৈতন্য পাবলিশিং হাউস |year=২০১৭ |isbn=978-98-49-271154 |location=সিলেট, বাংলাদেশ |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |last=নিজার |first=সৈয়দ |title=Colonization of Indian Art and Sultan |অনূদিত-শিরোনাম=ভারতশিল্পের উপনিবেশায়ন ও সুলতানের বিউপনিবেশায়ন ভাবনা |publisher=চৈতন্য পাবলিশিং হাউস |year=২০১৭ |isbn=978-98-49-271154 |location=সিলেট, বাংলাদেশ |সূত্র=harv}}

১৮:২৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এস এম সুলতান
আত্মপ্রতিকৃতি
জন্ম(১৯২৩-০৮-১০)১০ আগস্ট ১৯২৩
মৃত্যু১০ অক্টোবর ১৯৯৪(1994-10-10) (বয়স ৭১)
সমাধিনড়াইল
জাতীয়তাবাংলাদেশী
অন্যান্য নামলাল মিয়া
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
মাতৃশিক্ষায়তনকলকাতা আর্ট স্কুল
পেশাচিত্রশিল্পী
কর্মজীবন১৯৪৬-১৯৯৪
পিতা-মাতা
  • শেখ মোহাম্মদ মেসের আলী (বাবা)
  • মোছাম্মদ মেহেরুননেসা (মাতা)
পুরস্কারএকুশে পদক (১৯৮২)
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৩)

শেখ মোহাম্মদ সুলতান, (১০ আগস্ট ১৯২৩ - ১০ অক্টোবর ১৯৯৪) যিনি এস এম সুলতান নামে সমধিক পরিচিত, ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপনিবেশিক এবং আভঁ-গার্দ চিত্রশিল্পী।[][] তিনি বাংলাদেশে আধুনিকতার অন্যান্য পথিকৃৎ।[][] তার জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মধ্যে। আবহমান বাংলার সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস তার শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। তার চিত্রকর্মে গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা, প্রাণপ্রাচুর্যের পাশাপাশি শ্রেণিদ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র ফুটে উঠেছে। তার চিত্রকর্মে বিশ্বসভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে গ্রামের মহিমা উঠে এসেছে এবং কৃষককে এই কেন্দ্রের রূপকার হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পীদের একজন হিসেবে বিবেচিত।[] তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে প্রথম বৃক্ষরোপণ (১৯৭৫), চরদখল (১৯৭৬), জমি চাষ (১৯৮৬), এবং "মাছ ধরা-৩" (১৯৯১)।[] তিনি একজন সুরসাধক এবং বাঁশিবাদক ছিলেন।[]

১৯৮২ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ম্যান অব এশিয়া খেতাব লাভ করেন। একই বছর তিনি একুশে পদক পান।[] বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, জাতীয় চিত্রশালা, সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশন সহ বাংলাদেশের বেশকয়েকটি বড় সংগ্রহে তার কাজ সংরক্ষিত আছে।

জীবনী

প্রাথমিক জীবন

২০১১ সালে নড়াইলের মাসিমদিয়া গ্রামে সুলতানের বাসভবন।

শেখ মোহাম্মদ সুলতান ১৯২৩ সালের ১০ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব বাংলা, ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) নড়াইলের মাসিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[][] তার পৈতৃক ভিটা পুরুলিয়া গ্রামে।[] তার জন্ম হয়েছিল দরিদ্র কৃষক-পরিবারে।[] তার মায়ের নাম মোছাম্মদ মেহেরুননেসা। তার বাবা শেখ মোহাম্মদ মেসের আলী পেশায় ছিলেন রাজমিস্ত্রী[][১০] তবে কৃষিকাজই ছিল তার বাবার মূল পেশা, পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য ঘরামির কাজ করতেন।[১১] সুলতান ছিলেন পরিবারের একমাত্র সন্তান।[][১২] শৈশবে পরিবারের সবাই তাকে লাল মিয়া বলে ডাকতো।[][১৩] বিদ্যালয়ে পড়ানোর মত সামর্থ্য তার পরিবারের না থাকলেও ১৯২৮ সালে নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে তাকে ভর্তি করানো হয়।[][১১] তবে মাত্র পাঁচ বছর অধ্যয়নের পর তিনি সেই বিদ্যালয়ে ছেড়ে বাড়ি ফিরে বাবার সহযোগী হিসেবে রাজমিস্ত্রীর কাজ শুরু করেন।[][১৪] এসময় বাবার ইমারত তৈরির কাজ সুলতানকে প্রভাবিত করে এবং তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজের ফাঁকে আঁকাআঁকি শুরু করেন। কাঠকয়লা দিয়ে আঁকার প্রতিটি সুযোগ তিনি কাজে লাগান।[১৫] তার বাবার এই পেশাই সুলতানের ভেতরে শিল্পীসত্তার জন্ম দেয়।[১৬] সুলতানের বাল্যবয়সের চরিত্র-গঠন সম্পর্কে আহমদ ছফা লিখেছেন: "কোনো কোনো মানুষ জন্মায়, জন্মের সীমানা যাদের ধরে রাখতে পারে না। অথচ যাদের সবাইকে ক্ষণজন্মাও বলা যাবে না। এরকম অদ্ভুত প্রকৃতির শিশু অনেক জন্মগ্রহণ করে জগতে, জন্মের বন্ধন ছিন্ন করার জন্য যাদের রয়েছে এক স্বাভাবিক আকুতি। ...শেখ মুহাম্মদ সুলতান সে সৌভাগ্যের বরে ভাগ্যবান, আবার সে দুর্ভাগ্যের অভিশাপে অভিশপ্ত।"[১৭][] ১৯৩৩ সালে, ১০ বছর বয়সে, যখন তিনি বিদ্যালয়ে পড়েন তখন রাজনীতিবিদ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি নড়াইলে ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল পরিদর্শনে এলে সুলতান তার একটি পেন্সিল স্কেচ আঁকেন।[১৮] শাম্যপ্রসাদ তার আঁকা পেন্সিল স্কেচ দেখে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন এবং এই পেন্সিল স্কেচের মাধ্যমেই শিল্পী হিসেবে সুলতানের প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে।[১০][১৪]

কলকাতা আর্ট কলেজে পড়াশোনা

কলকাতা আর্ট স্কুল

সুলতানের অল্প বয়সে স্থানীয় পৃষ্ঠপোষক তার আঁকা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তির জন্য জোর দেন। ছবি আঁকার প্রতিভার কারণে শৈশব থেকেই তিনি এলাকার জমিদার ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের স্নেহভাজন হয়ে উঠেন।[১৮] ধীরেন্দ্রনাথের ভাইয়ের ছেলে অরুণ রায় তখন কলকাতা আর্ট স্কুলের ছাত্র। সেই অরুণ রায়ের কাছে সুলতান ছবি আঁকা শিখতে শুরু করেন।[১৯]

গতানুগতিক পড়াশোনার প্রতি সুলতানের আগ্রহ না থাকায় ১৯৩৮ সালে অষ্টম শ্রেণীতে উঠে তিনি বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। একইবছর ছবি আঁকা শেখার জন্য কলকাতায় পাড়ি জমান।[] বয়স কম হবার কারণে তখন কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হতে পারেননি। কখনো ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ি, কখনো তার ভাই সত্যেন রায়ের বাড়ি, কখনো তাদের অন্যান্য ভাইদের বাড়িতে থেকে সুলতান তিন বছর ছবি আঁকার চর্চা করেন।[১০][২০]

১৯৪১ সালে তিনি কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় অংশ নেয়া চারশো ছেলেমেয়েকে পনেরো মিনিটে ভেনাস মিলোর ছবি আঁকতে দেয়া হয়। সুলতান প্রথম হন, কিন্তু প্রবেশিকা পাশ না থাকার কারণে তার ভর্তি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তখন ধীরেন্দ্রনাথ রায় বিষয়টা অবগত করেন শিল্প ইতিহাসবিদ ও সমালোচক হাসান শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীকে, যিনি তখন কলকাতা আর্ট স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সদস্য।[] তার সাহায্যে সুলতান কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হন।[] তিনিই সুলতানকে পরামর্শ দেন ভর্তি হবার সময় কাগজপত্রে লাল মিয়া না লিখে শেখ মোহাম্মদ সুলতান লিখতে। সুলতানকে সোহরাওয়ার্দী সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করতে থাকেন।[১৫] তার অসাধারণ সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার সুলতানের জন্য সব সময় উন্মুক্ত ছিল। কিছুকাল তার বাসায় ও তার ভাই শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বাসায় থেকে সুলতান পড়াশোনা করেন।[২১] কলকাতা আর্ট স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মুকুলচন্দ্র দের অধীনে, স্কুলটি পুরনো শিল্পগুরুদের অনুকরণকে গুরুত্বহীন করে তোলে এবং ভারতীয় পৌরাণিক, রূপক এবং ঐতিহাসিক বিষয়গুলিকে ছাড়িয়ে যায়। সেসময় শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মৌলিক বিষয়বস্তুর মাধ্যমে সমকালীন দৃশ্য এবং প্রতিকৃতি আঁকতে উৎসাহিত করা হত।[]

কলকাতা আর্ট স্কুলের অন্যান্য ক্লাসে তখন জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, সফিউদ্দিন আহমেদ, রাজেন তরফদার, আনওয়ারুল হকের মত মানুষেরা পড়াশোনা করতেন। ফলে তাদের সাথে সুলতানের যোগাযোগ ঘটে। ছাত্র হিসেবে সুলতান ভাল ছিলেন, এর পাশাপাশি মঞ্চনাটকে অভিনয় করেও প্রশংসা অর্জন করেন।[২২] ১৯৪৩ সালে, তৃতীয় বর্ষে উঠে সুলতান আর্ট স্কুল ছেড়ে দেন।[২৩][২৪]

কর্মজীবন

ভারতীয় আমল

আর্ট স্কুল ছেড়ে সুলতান ভারত ভ্রমণে বের হয়ে পড়েন।[] যে সময়ে বিশেষত কাশ্মীরে ভ্রমণ তার উপর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রাখে, যা কয়েক দশক পরে তৈরি করা তার কাজগুলিতে দেখা যায়।[] শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাঁধাধরা জীবন এবং প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার কঠোর রীতিনীতি সুলতানের জীবনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। তিনি ছিলেন বোহেমীয় জীবনাচারের অনুসারী। চেতনায় তিনি ছিলেন স্বাধীন এবং প্রকৃতিগতভাবে ছিলেন ভবঘুরে এবং ছন্নছাড়া। প্রকৃতিকে তিনি সবসময় রোমান্টিক কবির আবেগ দিয়ে ভালোবেসেছেন। আবার যান্ত্রিক নগরজীবনকে সেরকমই ঘৃণা করেছেন। ১৯৪৩ সালে সুলতান ব্রিটিশ ভারতে আল্লামা মাশরিকীর খাকসার আন্দোলনে যোগ দেন।[][১৮] মোস্তফা জামান তার "লাল মিয়ার রূপকল্প পুনর্বিবেচনা" শিরোনামে লিখেছেন: "তার সাবলীল গতিবিধি নানা সামাজিক ভূগোলের মধ্য দিয়ে এবং কিছু অনন্য ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্য, আল্লামা মাশরিকীর খাকসার আন্দোলনের সাথে তার সম্পৃক্ততা, যা 'স্ব' এবং 'মুসলিম সামাজিকতা'কে সংগঠিত করে উপনিবেশ মুক্তির ভিত্তি স্থাপনের চেষ্টা করেছিল; এবং আমেরিকা ও ইউরোপে তার ভ্রমণ তাকে তার ক্যানভাসের জন্য প্রস্তুত করেছিল, যা শীঘ্রই শক্তিশালী পুরুষ ও মহিলাদের দ্বারা পূর্ণ হতে থাকে। এগুলো স্পষ্টতই সেই কৃষক জনসংখ্যার প্রতিফলন ছিল যার সাথে তিনি একাত্ম হয়ে উঠেছিলেন।"[২৫] এর অব্যবহিত পরেই বেরিয়ে পড়েন এবং উপমহাদেশের পথে পথে ঘুরে তার অনেকটা সময় পাড় করেন। তখন ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ভারতে সে সময় অনেক মার্কিন ও ব্রিটিশ সৈন্য আবস্থান নিয়েছিল। তিনি ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে ঘুরে-ঘুরে ছবি এঁকে তা সৈন্যদের কাছে বিক্রি করতেন। মাঝে-মাঝে তার চিত্রকর্মের প্রদর্শনীও হয়েছে।[১৪] এর মাধ্যমে তিনি শিল্পী হিসেবে কিছুটা পরিচিতি লাভ করেন। কিন্তু সুলতানের চরিত্রে পার্থিব বিষয়ের প্রতি যে অনীহা এবং যে খামখেয়ালীপনা ছিল তার কারণে সেই চিত্রকর্মগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সেগুলোর কোনো আলোকচিত্রও এখন আর পাওয়া যায় না। এছাড়া তিনি কখনও একস্থানে বেশিদিন থাকতেন না। তিনি বলেন:[]

তবে এটুকু জানা গেছে যে, সেসময় তিনি প্রাকৃতিক নৈসর্গ্য এবং প্রতিকৃতি আঁকতেন। ১৯৪৬ সালে কানাডিয়ান শিল্পপ্রেমী মিসেস হাডসন সিমলায় সুলতানের আঁকা ছবির প্রথম প্রদর্শনী করেন।[১৮][২৪] কাপুরতলার মহারাজা সেই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছিলেন।[]

পাকিস্তানি আমল

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ বিভক্ত হয়ে পাকিস্তানভারতের জন্ম হয়। এই বিভক্তির পর সুলতান কিছুদিনের জন্য নিজ দেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসেন। দেশভাগের পরে, পাকিস্তানে তার দুটি পৃথক প্রদর্শনী হয়েছিল, ১৯৪৮ সালে লাহোরে এবং ১৯৪৯ সালে করাচিতে। চিত্রকর্ম সংরক্ষণের ব্যাপারে সুলতানের উদাসীনতার কারণে তার এই সময়ের কোনো শিল্পকর্মই টিকে নেই।[][২৬] পঞ্চাশের দশকের শুরুতে নিউ ইয়র্কের ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন তাদের আন্তর্জাতিক শিল্প কর্মসূচির মাধ্যমে ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অসাধারণ প্রতিশ্রুতিশীল বিদেশি শিল্পীদের যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক সপ্তাহের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দিত। এই শিল্পীদের নির্বাচন করা হতো মার্কিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের যৌথ উদ্যোগে। উক্ত কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাদুঘর পরিদর্শন, একটি স্কুলে সৃজনশীল কাজ বা অধ্যয়নের সময়কাল, আমেরিকার নেতৃস্থানীয় শিল্পীদের সাথে পরামর্শ এবং দর্শকদের কাজের প্রদর্শনী।[২৭][২৮][২৯] ১৯৫০ সালে ফোর্ড এবং রকফেলার ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে, আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিনিময় প্রোগ্রামের অধীনে চিত্রশিল্পীদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান।[৩০] এই সফরে সুলতান নিউ ইয়র্ক এবং অ্যান আর্বার সফর করেন। তিনি ভার্মন্টেও বেশকয়েক সপ্তাহ কাটিয়েছেন।[৩০] সেখানে নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন, শিকাগো এবং বোস্টনে তার চিত্রপ্রদর্শনী হয়। ১৯৫০ সালে লন্ডনর হ্যামস্টেডে তার প্রদর্শনী হয়েছিল।[৩০] সেখানে পাবলো পিকাসো, সালভাদোর দালি, জর্জেস ব্রাক, পল ক্লির মতো আধুনিক চিত্রশিল্পীদের সাথে সুলতানের চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল।[৩০] সে সময়ে ইউরোপজুড়ে তার কুড়িটির মতো চিত্রপ্রদর্শনী হয়।[১৬] সুলতানের জীবনমুখী ও বাংলার রূপের সেসব চিত্রকর্ম আলোড়িত এবং প্রশংসিত হয়েছিল।[] ১৯৫১ সালে তিনি করাচি চলে যান।[] সেখানে পারসি স্কুলের শিল্প শিক্ষক হিসেবে দুই বছর কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় আবদুর রহমান চুঘতাই এবং শাকির আলীর মত প্রখ্যাত শিল্পীদের সাথে তার পরিচয় ঘটে।[] ১৯৫৩ সালের অক্টোবরে তিনি আবার নড়াইলে ফিরে আসেন।[] তার কিছুদিন পর তিনি চলে আসেন চাঁচুড়ী পুরুলিয়াতে। সেখানকার পরিত্যক্ত কৈলাসটিলা জমিদারবাড়ি পরিষ্কার করে সেখানে তিনি নন্দনকানন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নন্দনকানন চারুকলা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।[১৪] চারুকলা বিদ্যালয়টি পরে বন্ধ হয়ে যায়। নন্দনকানন প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরে চাচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। চারুকলা বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে অনেকটা অভিমান নিয়েই সুলতান আবার নড়াইলে ফিরে আসেন।[১৬] এবার এসে তিনি শিশুশিক্ষার প্রসারে কাজ শুরু করেন। শেষবয়সে তিনি নড়াইলে শিশুস্বর্গ এবং যশোরে চারুপীঠ নামে দুটি শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।[১৪]

১৯৭০-এর দশক থেকে পরবর্তী

অনেকটা সময় তার নড়াইলেই কেটে যায়। ঢাকায় আধুনিক চিত্রশিল্পের বিকাশের সময়টায় তিনি প্রায় সকলের অজ্ঞাতেই ছিলেন। সত্তরের দশকের শুরুর দিকে তিনি নড়াইল জেলার পুরুলিয়া গ্রামে থাকতেন। এসময় তিনি তার সবচেয়ে পরিচিত চিত্রকর্ম প্রথম বৃক্ষরোপণ (১৯৭৫) আঁকেন।[৩১] ১৯৭৬ সালের আগ অবধি পুরুলিয়া গ্রামে তার যাওয়া-আসা ছিল। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি শিল্পরসিকদের চোখের আড়ালেই থেকে যান।[][১৪] সত্তরের দশকের মধ্যভাগে তার কিছু শুভানুধ্যায়ী তাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এখানে এসে তিনি কিছু চিত্রকর্ম আঁকেন। তার আঁকা এইসব চিত্রকর্ম নিয়ে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এক প্রদর্শনীর আয়োজন করে, এবং এই প্রদর্শনীর মাধ্যমেই তিনি নতুন করে শিল্পসমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।[][১১][২৪]

আশির দশক থেকে তিনি আবার নড়াইলেই থাকতে শুরু করেন। তার কাছে যেসব মানুষ এবং শিশু আশ্রয় নিয়েছিল তাদের জন্য তিনি নিজের ঘর ছেড়ে দেন। জীবজন্তুর প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি একটি অভয়ারণ্য তৈরি করেন এবং সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে শিশুদের জন্য সুন্দরী কাঠ দিয়ে একটি বড় আকারের নৌকাও তৈরি করেছিলেন।[১৪] তার ইচ্ছা ছিল শিশুরা সেই নৌকায় চড়ে সমুদ্র পরিভ্রমণে বের হবে আর শিল্পচর্চার উপকরণ খুঁজে পাবে।[] ১৯৮৬ সালের তার তেলরঙে আঁকা ধান-মাড়াই-১ (মতান্তরে ধান ঝাড়াই) শিরোনামের চিত্রকর্মগুলোতে মোটাদাগে গ্রামবাংলার চিত্র ফুটে উঠেছে। যেখানে পেশীবহুল কৃষক, গ্রামীণ নারীর দেহসৌষ্ঠব, গবাদি পশু, দোচালা খড়ের ঘর, গোলাঘর আর মাঠ-ঘাট-নদী-গাছপালার সৌন্দর্য ধরা পরে।[৩১] বাংলাআশির দশকের শেষদিকে তার স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। ১৯৯৪ সালে ঢাকার গ্যালারি টোনে তার সর্বশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।[১১] সে বছরেরই আগস্ট মাসে নড়াইলে ঘটা করে তার জন্মদিন পালন করা হয়।

শিল্পকর্ম

পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আধুনিক চিত্রকলার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছিল। অনেক শিল্পীই সেখানে নব নব শৈলী, গড়ন এবং মিডিয়া নিয়ে উপস্থিত হচ্ছিলেন। কিন্তু এস এম সুলতান সেসময়ও নড়াইলে থেকে যান, অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালে। এর কারণ অবশ্য গ্রামীণ জীবনের প্রতি তার চিরন্তন আকর্ষণ এবং সহমর্মিতা। তার শিল্পকর্মের স্বরূপটিও খুঁজে পাওয়া যায় এই গ্রামীণ জীবনযাত্রার প্রেক্ষাপটে। তার সে সময়কার চিত্রকর্মগুলোতে গ্রামীণ কৃষকদের দেখা যায় পেশীবহুল এবং বলশালী হিসেবে। এবিষয়ে তার বক্তব্য হল:[]

তার চিত্রকর্মে গ্রামীণ রমণীদের দেখা যায় সুডৌল ও সুঠাম গড়নে। নারীর মধ্যে উপস্থিত চিরাচরিত রূপলাবণ্যের সাথে তিনি শক্তির সম্মিলন ঘটিয়েছিলেন। একই সাথে তার এ চিত্রকর্মগুলোতে গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের শ্রেণী-দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির কিছু ক্রূর বাস্তবতা উঠে এসেছে। তার এরকম দুটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম হচ্ছে হত্যাযজ্ঞ (১৯৮৭) এবং চরদখল (১৯৮৮)।[]

১৯৭৬ সালে তার আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রদর্শনীতে তার চিত্রকর্মের মহিমা নতুন করে প্রস্ফুটিত হয়। এই চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে দেখা যায় বিশ্বের কেন্দ্র হচ্ছে গ্রাম আর সেই কেন্দ্রের রূপকার কৃষককে আপন মহিমায় সেখানে অধিষ্ঠিত দেখা যায়। গ্রাম ও গ্রামের মানুষ ছিল তার শিল্পকর্মের অনুপ্রেরণা আর উপকরণ ছিল কৃষক এবং কৃষকের জীবন চেতনা। এস এম সুলতান তেলরঙ এবং জলরঙে চিত্রকর্ম আঁকতেন৷ পাশাপাশি রেখাচিত্র আঁকতেন। আঁকার জন্য তিনি একেবারে সাধারণ কাগজ, রঙ এবং চটের ক্যানভাস ব্যবহার করেছেন। এজন্য তার অনেক চিত্রকর্মই রঙ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, যদিও এসবের প্রতি তিনি তেমন ভ্রূক্ষেপ করতেন না। নড়াইলে থাকাকালীন সময়ে তিনি অনেক চিত্রকর্ম কয়লা দিয়ে একেছিলেন তবে সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়৷ সুলতান তার সমাপ্ত চিত্রকর্মগুলোর সামান্যই যত্ন নিতেন, ফলে সেগুলির অধিকাংশ হারিয়ে যায়। চিত্রকর্ম সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে এমন উপকরণ ব্যবহারেও তিনি নির্লিপ্ত ছিলেন।[] ফলে জীবিতকালে তিনি নিজের শিল্পকর্ম সংরক্ষণে কোন তাগিদ দেখাননি।[৩২]

সুলতান আধুনিকতার একটি নিজস্ব সংজ্ঞা গ্রহণ করেছিলেন। তার তেমন কোনো অনুসারী ছিলনা যারা একই সংজ্ঞা মেনে শিল্পচর্চা করতেন। একারণেই তার প্রতিষ্ঠিত আধুনিকতার স্বরূপ নিয়ে নতুন কোনো ধারার সৃষ্টি হয়নি। কেউ তার মত করে আধুনিকতার ব্যাখ্যাও দেননি। এছাড়া তার মত মাটির জীবন তখনকার কোনো শিল্পী যাপন করেননি। তার কাছে আধুনিকতার সংজ্ঞা কেমন ছিল তা বলতে গিয়ে বাংলাপিডিয়ায় তার জীবনীর লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম লিখেছেন:[]

তাঁর কাছে অবয়বধর্মিতাই প্রধান। তিনি আধুনিক, বিমূর্ত শিল্পের চর্চা করেননি; তাঁর আধুনিকতা ছিল জীবনের শাশ্বত বোধ ও শিকড়ের প্রতিষ্ঠা করা। তিনি ফর্মের নিরীক্ষাকে গুরুত্ব দেননি, দিয়েছেন মানুষের ভেতরের শক্তির উত্থানকে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এবং ঔপনিবেশিক সংগ্রামের নানা প্রকাশকে তিনি সময়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থাপন করেছেন। এটাই তাঁর কাছে ছিল 'আধুনিকতা', অর্থাৎ তিনি ইউরো-কেন্দ্রিক, নগর নির্ভর, যান্ত্রিকতা-আবদ্ধ আধুনিকতার পরিবর্তে অন্বেষণ করেছেন অনেকটা ইউরোপের রেনেসাঁর শিল্পীদের মত মানবের কর্মবিশ্বকে।

সুলতান শেষজীবনে বলে গিয়েছেন:[]

শৈলী এবং কৌশল

সুলতানের প্রথমদিকের কাজগুলি পশ্চিমা কৌশল এবং গঠন, বিশেষ করে অন্তর্মুদ্রাবাদ দ্বারা প্রভাবিত। তবে, তার পরবর্তী কাজগুলিতে বিশেষত, ১৯৭৬ সালে প্রদর্শিত কাজগুলিতে, তার শিল্প কৌশল এবং গঠনগুলিকে উপনিবেশিত করার একটি ধ্রুবক প্রলোভন দেখা যায়।[৩৩] ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পীদের একজন হিসেবে তার তার অন্তর্মুদ্রাবাদী চিত্রকর্ম, তুলির তেজ ও নড়াচড়া, অবয়বের লাবণ্যতা, তাদের জাগতিকতা এবং কামুক সৌন্দর্য সম্পূর্ণরূপে মুক্ত নান্দনিকতার অন্তর্নিহিত যুক্তি প্রদান করতে সক্ষম।[] তার চিত্রকর্ম অতি সরল কিন্তু অত্যন্ত দার্শনিকতাপূর্ণ।[] আহমদ ছফার মতে সুলতানের কর্ম রেনেসাঁর চিত্রকর্মের যথেষ্ট সাক্ষ্য বহন করে।[] পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর সুলতান বেশিরভাগই বাংলা ও কাশ্মীরের ল্যান্ডস্কেপ একেছেন।[৩০] তিনি তার চিত্রকর্মের বিষয় হিসাবে কৃষকদের বেছে নিয়েছিলেন। তার চিত্রকর্মগুলি কৃষকদের বীরত্ব, বেঁচে থাকার শক্তি এবং ভূমির প্রতি অবিরাম প্রতিশ্রুতিকে চিত্রিত করেছে।[] সুলতানের চরিত্র ছিল কৃষক, গ্রামীণ নারী, শিশু, পশু এমনকি পোষা প্রাণী।[] তিনি বাড়িতে তৈরি মাটির রং ব্যবহার করে বড় পাটের ক্যানভাসে ছবি আঁকতেন।[] তার জলরংয়ে আঁকা চিত্রকর্মগুলিতে তিনি উজ্জ্বল-প্রাণবন্ত এবং গ্রামীণ জীবনের মনোরম দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন। সুলতানের অনেক আকর্ষণীয় তৈলচিত্র গ্রামজীবনের সংগ্রাম এবং স্থিতিস্থাপকতার মহাকাব্যিক আখ্যান তৈরি করে। তিনি কোনো ফাঁকা স্থান না রেখেই পুরো ক্যানভাস জুড়ে আঁকতেন। সুলতানের অক্ষত থাকা অনেক চিত্রকর্মে প্রাকৃতিক দৃশ্য, শান্ত প্রাণী, প্রাণবন্ত পুরুষ এবং স্বেচ্ছাচারী নারীদের চিত্রায়ন দেখা যায়।[] আধুনিক ইতিহাস গবেষণার পথিকৃৎ সিরাজুল ইসলাম এক প্রদর্শনী দেখে লিখেছিলেন, "এখানে এই অর্থে পার্থক্য সহ একটি প্রদর্শন রয়েছে যে এত বড় ক্যানভাসে এবং এত বড় পরিসরে এর আগে কোনও শিল্পী নিপুণ স্ট্রোক চালানোর সাহস করেননি। … এস এম সুলতান তার অসাধারণ শক্তিশালী চিত্রকর্মগুলিতে একটি নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক স্পর্শ প্রদান করেছেন।"[]

শিল্পসমালোচক মারিও পালমা তার "টেলস অব অ্যান আর্ট লাভার" গ্রন্থে সুলতান সম্পর্কে লিখেছেন, "আমার মতে, সুলতান হলেন বাংলাদেশের মাটি ও আত্মার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাকার... তার চিত্রকর্মগুলি সমসাময়িক শিল্পের দৃশ্যে সত্যিই আকর্ষণীয় এবং অনন্য।"[] বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, সুলতানের উপর তার দেশজ আধুনিকতা : সুলতানের কাজ (১৯৯৯) বইয়ে বলেছেন, "তাহলে সুলতান আসলে কে? একজন লুকানো পিকাসো? একজন অনাবিষ্কৃত ভিনসেন্ট ফন গখ? নিজের মধ্যে, সুলতান উভয়কে একত্রিত করেছেন। হয়তো আরও বেশি..."।[] তবে ১৯৮৭ সালের ৬ মে, সাপ্তাহিক প্রহারের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে, সুলতান স্পষ্টভাবে পিকাসোর সাথে তার শৈলীগত তুলনা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি।[] সুলতান বলেছিলেন, "পিকাসো এবং আমার মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। পিকাসো আলংকারিক শিল্প থেকে নন-ফিগারেটিভ শিল্পে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন এবং আমি নন-ফিগারেটিভ আর্ট থেকে আলংকারিক শিল্পে স্থানান্তরিত হয়েছি। পিকাসো তার গের্নিকা (১৯৩৭) চিত্রকর্মে সংঘটিত সহিংসতার একটি ছবি এঁকেছিলেন। আমি একটি বলিদানের ছবি এঁকেছিলাম।"[] আহমদ ছফা, দৈনিক যুগান্তরে লিখেছেন "সুলতানের চিত্রকর্মে অনন্তকাল এবং উজ্জ্বলতা রয়েছে যা অন্য শিল্পীদের মধ্যে খুব কমই পাওয়া যায়। জয়নুল আবেদিনও একজন প্রখ্যাত শিল্পী ছিলেন, কিন্তু সুলতানের সার্বজনীনতাই তাকে অন্য সবার থেকে আলাদা করেছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ শিল্পীর মধ্যে এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যটি অনুপস্থিত।"।[৩৪]

উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম

  • দুর্ভিক্ষের চিত্র (১৯৪৪)
  • শিরোনামহীন (১৯৫২)
  • শিরোনামহীন (কাশ্মীর ল্যান্ডস্কেপ) (১৯৬৮)
  • প্রথম বৃক্ষরোপণ (১৯৭৫)
  • কর্মক্ষেত্রে কৃষক (১৯৭৫)
  • চরদখল (১৯৭৬)
  • ক্ষেতদখল (১৯৮৫)[৩১]
  • বন্যার পর (১৯৮৬)
  • জমি চাষ (১৯৮৬)[৩৫]
  • যাত্রা (১৯৮৬)[৩১]
  • ধান মাড়াই (১৯৮৬)[৩৫][৩১]
  • হত্যাযজ্ঞ (১৯৮৭)
  • চরদখল (১৯৮৮)
  • "মাছ ধরা-৩" (১৯৯১)
  • গ্রাম্য কাইজা[৩৫]
  • ভক্ত
  • গাঁতায় কৃষক[৩৬]
  • চিত্রা নদীর তীরে[৩৬]
  • সভ্যতার ক্রমবিকাশ[৩৫]

প্রদর্শনীসমূহ

স্বাধীন বাংলাদেশে সুলতানের শিল্পকর্ম নিয়ে মাত্র দুটি শিল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথমটি ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে এবং দ্বিতীয়টি ১৯৮৭ সালে জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (বর্তমানে গ্যোটে ইনস্টিটিউট)।[৩৪]

একক প্রদর্শনী

সুলতানের জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পর দেশে-বিদেশে তার বহু একক চিত্রপ্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছে।[১০] এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে তার ১৭টি একক প্রদর্শনী হয়েছিল।[৩৭]

বছর স্থান তথ্যসূত্র
১৯৪৬ সিমলা, ভারত প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন কর্পূরীতলার মহারাজা[][১০]
১৯৪৮ লাহোর, পাকিস্তান প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন পাকিস্তানের ৭ম প্রধানমন্ত্রী ফিরোজ খান নুন[১০]
১৯৪৯ করাচি, পাকিস্তান প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ফাতেমা জিন্নাহ[১০]
১৯৫০ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ইনস্টিটিউট, নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র [১০]
ওয়াইএমসিএ, বোস্টন, যুক্তরাষ্ট্র [১০]
ইন্টারন্যাশনাল হাউজ, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র [১০]
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র [১০]
১৯৭৬ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা, বাংলাদেশ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর সুলতানের প্রথম একক প্রদর্শনী[১০]
১৯৮১ এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী, ফুকুওকা মিউজিয়াম, জাপান
১৯৮৭ গ্যোটে ইনস্টিটিউট, ঢাকা, বাংলাদেশ [][১০]
১৯৯৪ গ্যালারি টোন, ঢাকা, বাংলাদেশ [১১]

যৌথ প্রদর্শনী

বছর স্থান তথ্যসূত্র
১৯৫৬ ভিক্টোরিয়া এম্ব্যাঙ্কমেন্ট গার্ডেন, হ্যামস্টেড, লন্ডন, যুক্তরাজ্য পাবলো পিকাসো, সালভাদোর দালি, জর্জেস ব্রাক, পল ক্লী, জন মার্টিন প্রমুখের সাথে যৌথ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।[১০][][৩০]
১৯৭৫ জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা, বাংলাদেশ [১০]
১৯৭৬ জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা, বাংলাদেশ [১০]

পুরস্কার এবং সম্মাননা

তিনি ১৯৮০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার গ্রহণ করেন।[১০] তিনি ১৯৫১ সালে নিউ ইয়র্কে, ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন৷ এছাড়াও ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে আন্তর্জাতিক জুরী কমিটির অন্যতম সদস্য মনোনীত হন৷[৩৭] কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে "ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট" সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি বলছেন, "শিল্পের কখনো পুরস্কার হয় না। শিল্পের ভার তো প্রকৃতি স্বীয় হাতে প্রদান করে।"[]

বছর পুরস্কার আয়োজক টীকা
১৯৮২ "ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট" খেতাব কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
"ম্যান অব এশিয়া" খেতাব এশিয়া উইক
একুশে পদক বাংলাদেশ সরকার চারুকলায় অবদান[১০]
১৯৮৪ "আর্টিস্ট অব রেসিডেন্ট" বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি [১৬]
১৯৮৬ বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মান বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ [][১০]
১৯৯৩ স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার [১০]

শৈল্পিক কিংবদন্তি

১৯৯৭ সালের ২৬ জুন প্রবর্তিত বাংলাদেশের ডাকটিকিটে সুলতানের চিত্রকর্ম জমি কর্ষণ-২

১৯৮৪ সাল থেকে সুলতান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির একজন আবাসিক শিল্পী ছিলেন।[৩৮][১৬] ২০২৪ সালে তার জন্ম শতবর্ষে সুলতান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্‌যাপন কমিটি গঠিত হয়েছিল।[৩২] তার জীবন নিয়ে ঔপন্যাসিক হাসনাত আব্দুল হাই সুলতান (১৯৯১) নামে উপন্যাস লিখেছেন।[১৮]

আদম সুরত

১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সাত বছর ধরে সুলতানের উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয় আদম সুরত[] তারেক মাসুদের প্রযোজনা এবং পরিচালনায় এই প্রামাণ্যচিত্রে সুলতানের দৈনন্দিন কর্মজীবন তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলার সংস্কৃতি এবং কৃষিচিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।[৩৯]

অন্যান্য

সুলতানের জীবন এবং কর্মের ওপর ২০১০ সালে ফাহিম মিউজিকের ব্যানারে লাল মিয়া নামে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন আমিরুল ইসলাম। এতে সুলতানের স্মৃতিবিজড়িত নড়াইলের বিভিন্ন স্থান, চিত্রা নদী, শিশুস্বর্গ, বিভিন্ন সময়ে তার আঁকা চিত্র ও দুর্লভ আলোকচিত্র রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সুলতানের পাঁচ মিনিটের একটি সাক্ষাৎকার।[৪০]

সংগ্রহশালা

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, জাতীয় চিত্রশালা (বাংলাদেশ), এস.এম. সুলতান স্মৃতি জাদুঘর এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশন সহ বাংলাদেশের বেশকয়েকটি বড় সংগ্রহে তার কাজ সংরক্ষিত আছে।[]

সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা

নড়াইলের মাছিমদিয়ায় সরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।[৩৫]

সুলতান কমপ্লেক্স

সুলতানের স্মৃতিসংগ্রহ সুলতান কমপ্লেক্স চিত্রা নদীর তীরে নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া এলাকায় মনোরম পরিবেশে প্রায় ২৬ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এখানে চিত্রশিল্পী সুলতানকে সমাহিত করা হয়েছে। সমাধির সামনে সুলতানের আদি বাসভবনের একটি ছোট অংশ রয়েছে। এর পিছনে একটি দ্বিতল আধুনিক ফটোগ্যালারি রয়েছে যেখানে সুলতানের চিত্রকর্ম এবং বাসনপত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে। লাল সিরামিক দিয়ে মোড়ানো কমপ্লেক্সটি শান্ত, নির্জন এবং চমৎকার সব চিত্রকর্ম সুলতান কমপ্লেক্সের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে। কমপ্লেক্সের পাশে চিত্রা নদীর পাড়ে সংরক্ষিত হয়েছে সুলতানের তৈরি শিশুস্বর্গ।[৪১]

ব্যক্তিগত জীবন

সুলতান সাধারণত দীর্ঘ কালো কুর্তা, এবং একটি স্কার্ফ পরিধান করতেন। তিনি ছিলেন একজন সুরসাধক এবং বাঁশিবাদক। রাতের বেলা চিত্রা নদীর তীরে তিনি বাঁশি বাজাতেন।[] এছাড়াও বাজাতেন তবলা। মাঝে মাঝে শাড়ি পরে পায়ে ঘুঙুর পায়ে নাচতেন।[] তিনি বিষেষভাবে বিড়ালদের সঙ্গ পছন্দ করতেন।[] নিজের সৃষ্টিকর্মের বিষয়ে তার ছিল নির্মোহ দৃষ্টি। তার জীবনের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল শহরকেন্দ্রিক জীবনযাপনে অনীহা।[৪২]

সুলতান ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।[][]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বিশ্বাস, দোয়েল (১০ আগস্ট ২০২৩)। "100 Years of SM Sultan"দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  2. "এস এম সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ"প্রথম আলো। ১০ অক্টোবর ২০১৫। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০২০ 
  3. সেলিম, লালা রুখ (২০১৪)। "Art of Bangladesh: the Changing Role of Tradition, Search for Identity and Globalization"সাউথ এশিয়া মাল্টিডিসিপ্লিনারি একাডেমিক জার্নাল (ইংরেজি ভাষায়)। ডিওআই:10.4000/samaj.3725। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  4. "S M Sultan"বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  5. "Remembering SM Sultan, the Bangladeshi Artist Who Captured Peasants With Exaggerated Muscles"ভারতের একমাত্র দৈনিক ডিজিটাল আর্ট সংবাদপত্র (ইংরেজি ভাষায়)। আবির পোথি। ১০ আগস্ট ২০২৪। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  6. রশীদ, হারুনুর (সেপ্টেম্বর ১৯৯২)। "সাক্ষাতকার: অন্তরঙ্গ আলোকে শিল্পী এস, এম সুলতান"। নতুন ঢাকা ডাইজেস্টঢাকা। পৃষ্ঠা ৩৩-৩৮। 
  7. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (২০১২)। "সুলতান, এস.এম"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  8. খান ২০০৩, পৃ. ৩১।
  9. ইশতিয়াক, আহমাদ (১০ আগস্ট ২০২৩)। "এস এম সুলতান: বাংলার মাটি ও মানুষের শিল্পী"দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  10. খান ২০০৩, পৃ. ১৩৫।
  11. গাফফার, আবদুল (৫ আগস্ট ২০১৮)। "প্রাণ ও প্রকৃতির শিল্পী"প্রথম আলো। ১৯ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০ 
  12. "বরেণ্য: এস এম সুলতান"দৈনিক যুগান্তর। ১৪ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  13. হাই ২০১৮, পৃ. ১৪৫।
  14. "'শিশু স্বর্গ' গড়েছিলেন সুলতান"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১১ আগস্ট ২০১৬। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  15. জার্মান সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ১৯৮৭, পৃ. ১১–৩৫।
  16. গাফফার, আবদুল (২৯ নভেম্বর ২০২০)। হক, আনিসুল, সম্পাদক। "এস এম সুলতান: প্রাণ ও প্রকৃতির শিল্পী"কিশোর আলো। গুণীজন। মতিউর রহমান। ২৩ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  17. ছফা ১৯৮১
  18. রহমান, আশীষ উর (১০ আগস্ট ২০২৩)। "উজ্জ্বলতর শিল্পের সুলতান"ঢাকা: প্রথম আলো। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  19. হাই ২০১৮, পৃ. ১৩৬।
  20. হাই ২০১৮, পৃ. ১৪১-১৪২।
  21. হাই ২০১৮, পৃ. ১৪৩-১৪৫।
  22. হাই ২০১৮, পৃ. ১৪৬-১৪৭।
  23. হাই ২০১৮, পৃ. ১৫০।
  24. মজুমদার, মোবাশ্বির আলম। "এক ভবঘুরের মহাজাগতিক পরিভ্রমণ"কালি ও কলম। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০ 
  25. জামান, মোস্তফা (১০ আগস্ট ২০১৯)। "Revisiting Lal Mia's vision" (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ এজ। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  26. টিপু, সাখাওয়াত (২০১০)। "The resistant corpus: Recontextualizing the communal vision of Lal Miah"Depart, 2nd Issue। ৬ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৪ 
  27. ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (১৯৫১)। Institute of International Education 32nd Annual Report [ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ৩২তম বার্ষিক প্রতিবেদন] (PDF)। নিউ ইয়র্ক: ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন। পৃষ্ঠা ২৮, ৩১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৪ 
  28. The Rockefeller Foundation Annual Report 1950 (পিডিএফ)নিউ ইয়র্ক: রকফেলার ফাউন্ডেশন। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫০। পৃষ্ঠা ২৫৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৪ 
  29. The Rockefeller Foundation Annual Report 1951 (পিডিএফ)নিউ ইয়র্ক: রকফেলার ফাউন্ডেশন। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫১। পৃষ্ঠা ৮৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৪ 
  30. হোক, লটি; সান্ডারেসন, সানজুকটা (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Journeying through Modernism: Travels and Transits of East Pakistani Artists in Post-Imperial London"ব্রিটিশ আর্ট স্টাডিজ (ইংরেজি ভাষায়) (১৩)। ৯ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০ 
  31. বিশ্বাস, অমিত বিশ্বাস (১৭ আগস্ট ২০২৩)। "শতবর্ষে এস এম সুলতান, ফিরে দেখা"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৪ 
  32. মামুন, নাসির আলী মামুন (১০ আগস্ট ২০২৪)। "শতবর্ষে এস এম সুলতান"প্রথম আলো। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  33. নিজার ২০১৭
  34. ছফা, আহমদ (১৭ আগস্ট ২০০০)। "100th Birth Anniversary of SM Sultan: My heart doesn't desire to speak about Sultan"দৈনিক যুগান্তর। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  35. "নতুনরূপে সুলতানের তিন ছবি"নড়াইল: প্রথম আলো। ২৬ মার্চ ২০২১। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  36. হাই, হাসনাত আবদুল (১৮ আগস্ট ২০২৩)। "এস এম সুলতান কেন জাতিস্মর"প্রথম আলো। ২৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  37. বাংলাদেশ সরকারের ক্যাবিনেট ডিভিশন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  38. "চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান"দৈনিক কালবেলা। ১০ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  39. মাসুদ ২০১২, পৃ. ১৩-১৬।
  40. "এস এম সুলতানের ওপর প্রামাণ্যচিত্র"দৈনিক প্রথম আলোঢাকা। জানুয়ারি ২৭, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৩, ২০১০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  41. "সুলতান কমপ্লেক্স"বিউটিফুল বাংলাদেশ। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  42. সম্পাদকীয় (১০ অক্টোবর ২০২৩)। "এস এম সুলতান"আজকের পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 

উৎস

বহিঃসংযোগ