বিষয়বস্তুতে চলুন

এম. এ. হান্নান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rafiulkarimsh (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Rafiulkarimsh (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫০ নং লাইন: ৫০ নং লাইন:
}}
}}


'''এম. এ. হান্নান''' হলেন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। [[জিয়াউর রহমান]]ের পাশাপাশি তিনিও বাংলাদেশের জাতির জনক [[শেখ মুজিবুর রহমান]]ের প্রেরিত স্বাধীনতার ঘোষণা কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে পাঠ করেন। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধে]] অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ২০১৩ সালে তাকে “[[স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার]]” প্রদান করা হয়।<ref name="স্বাপু"/>
'''এম. এ. হান্নান''' হলেন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। [[জিয়াউর রহমান]]ের পাশাপাশি তিনিও বাংলাদেশের জাতির জনক [[শেখ মুজিবুর রহমান]]ের প্রেরিত স্বাধীনতার ঘোষণা কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে পাঠ করেন। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধে]] অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ২০১৬ সালে তাকে “[[স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার]]” প্রদান করা হয়।<ref name="স্বাপু"/>


== জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি ==
== জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি ==

০৪:৪৭, ৩০ মার্চ ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মোঃ আব্দুুুল হান্নান
জন্ম১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০
মৃত্যু১১ জুন, ১৯৭৪
মৃত্যুর কারণসড়ক দূর্ঘটনা
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
মাতৃশিক্ষায়তনদারিয়াপুর হাইস্কুল, মেহেরপুর
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ
জগন্নাথ কলেজ
সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
পেশারাজনীতি
প্রতিষ্ঠানবাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগ
বাংলাদেশ রেল শ্রমিক লীগ
আদি নিবাসমেহেরপুর, বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস

মুসলিম লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (১৯৬৪ সাল থেকে)
পিতা-মাতামওলানা মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান (পিতা)
পুরস্কারস্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৩)

এম. এ. হান্নান হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। জিয়াউর রহমানের পাশাপাশি তিনিও বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরিত স্বাধীনতার ঘোষণা কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে পাঠ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ২০১৬ সালে তাকে “স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[]

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি

জন্ম ১৯৩০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার খাসপুর গ্রামে। তার পিতা মওলানা মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান ব্রিটিশ ভারতে কংগ্রেস ও পরে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভারত বিভাগের পর মুহিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে সপরিবারে মেহেরপুর জেলার আমঝুপিতে এসে বসতি স্থাপন করেন।

শিক্ষাজীবন

এম.এ হান্নান ১৯৪৯ সালে মেহেরপুরের দারিয়াপুর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫১ সালে কুষ্টিয়া কলেজ থেকে আই.এ পাস করেন। ঢাকার জগন্নাথ কলেজে বি.এ অধ্যয়নকালে তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি চট্টগ্রামে সিটি কলেজে নৈশ বিভাগে ভর্তি হন।

কর্মজীবন

তিনি চার্টার্ড ব্যাংকে চাকরি গ্রহণ করেন। পরে তিনি আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপক হিসেবেও চাকরি করেন।

এম.এ হান্নান ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সম্মেলনে (আই এল ও কনভেনশন) যোগ দেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ রেল শ্রমিক লীগের সভাপতি, চট্টগ্রাম জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে অবদান

এম.এ হান্নান চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বিরোধী আন্দোলনে তিনি অংশ নেন। ১৯৬৮ সালে তিনি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৭০ সালে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং পরে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে তিনি ২৪ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে ‘সোয়াত’ জাহাজ থেকে পাকিস্তানিদের অস্ত্র খালাসের বিরুদ্ধে ছাত্র শ্রমিক জনতাকে নিয়ে প্রতিরোধ সৃষ্টি করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরিত স্বাধীনতার ঘোষণা কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে পাঠ করেন। পরে তিনি আগরতলা যান এবং সেখানে হরিনা যুব শিবির প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন।

মৃত্যু

এম.এ হান্নান ১৯৭৪ সালের ১১ জুন চৌদ্দগ্রামে এক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হন এবং পরদিন ফেনী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

পুরস্কার ও সম্মাননা

এদেশের স্বাধীকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১৩ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[][][] হিসাবে পরিচিত স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয় তাকে।[]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলামবাংলাপিডিয়াঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। 
  3. "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  4. "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ