ভূমি পরিমাপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→কাঠা, বিঘা, একর অনুযায়ী পরিমাণ: বানান সংশোধন। ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
→লিঙ্ক অনুযায়ী পরিমাণ: বানান সংশোধন। ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
১১৭ নং লাইন: | ১১৭ নং লাইন: | ||
৮০ গান্টার বা ১৭৬০ গজ পর স্থাপিত হয় - মাইল ষ্টোন<ref>[http://www.rongginn.com/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AA/ জেনে নিন জমির মাপ]</ref> |
৮০ গান্টার বা ১৭৬০ গজ পর স্থাপিত হয় - মাইল ষ্টোন<ref>[http://www.rongginn.com/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AA/ জেনে নিন জমির মাপ]</ref> |
||
== লিঙ্ক অনুযায়ী |
== লিঙ্ক অনুযায়ী পরিমাণ == |
||
* ১ লিঙ্ক = ৭.৯২ ইঞ্চি |
* ১ লিঙ্ক = ৭.৯২ ইঞ্চি |
১৩:৪৯, ৩১ মার্চ ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ভূমির পরিমাপ পদ্ধতি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মানভূম ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকায় এককের মানে বিভিন্নতা পরিদৃষ্ট হয়।
বাংলাদেশে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল লিখন, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজে ব্যবহার্য দুই প্রকার পরিমাপ হলো শতাংশের হিসাব ও কাঠা'র হিসাব। এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক এই যে, এক একরের এক শত ভাগের এক ভাগকে বলা হয় "এক-শতাংশ" জমি। অধিকতর প্রচলিত শব্দবন্ধ হলো "এক ডেসিমাল জমি"। অন্যদিকে কাঠার উর্ধ্বতর একক হলো "বিঘা" এবং বিঘা'র উর্ধ্বতর একক হলো "একর।" ২০ কাঠা সমান এক বিঘা জমি এবং তিন বিঘা সমান এক একর জমি। এই পরিমাপ সর্বজনীন, এবং "প্রমিত মান" (Standard Measurement) হিসেবে সরকারীভাবে অনুমোদিত।[১] তবে আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে কখনো কখনো সরকারী কাগজে হেক্টর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বর্গগজ, বর্গফুট অনুযায়ী পরিমান
- ৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর
- ৪৩৫৬০ বর্গফুট = ১ একর
- ১৬১৩ বর্গগজ = ১ বিঘা
- ১৪৫২০ বর্গফুট = ১ বিঘা
- ৮০.১৬ বর্গগজ = ১ কাঠা
- ৭২১.৪৬ বর্গফুট = ১ কাঠা
- ৪৮.৪০ বর্গগজ = ১ শতাংশ
- ৪৩৫.৬০ বর্গফুট = ১ শতাংশ
- ৫.০১ বর্গগজ = ১ ছটাক
- ৪৫.০৯ বর্গফুট = ১ ছটাক
- ১.১৯৬ বর্গগজ = ১ বর্গমিটার
- ১০.৭৬ বর্গফুট = ১ বর্গমিটার
টিকা: কোন ভূমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গুণফল যদি ৪৮৪০ বর্গগজ হয় তাহলে এটা ১ একর হবে। যেমনঃ ভূমির দৈর্ঘ্য ২২০ গজ এবং প্রস্থ ২২ গজ সুতরাং ২২০×২২ গজ = ৪৮৪০ বর্গগজ।
হেক্টর অনুযায়ী পরিমাণ
- ১ হেক্টর = ২.৪৭ একর
- ১ হেক্টর = ৭.৪৭ বিঘা
- ১ হেক্টর = ১০০ এয়র
কাঠা, বিঘা, একর অনুযায়ী পরিমাণ
- ১ কাঠা = ১৬ ছটাক
- ১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ
- ১ কাঠা = ১৬৫ অযুতাংশ
- ১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ
- ১ বিঘা = ২০ কাঠা
- ১ একর = ১০০ শতাংশ
- ১ একর = ৬০.৬ কাঠা
- ১ একর = ৩.০৩ বিঘা
টিকা: একশত শতাংশ বা, এক হাজার সহস্রাংশ বা, দশ হাজার অযুতাংশ = ১ একর। দশমিক বিন্দুর (.) পরে চার অঙ্ক হলে অযুতাংশ পড়তে হবে।
কিলোমিটার, মিটার, সেন্টিমিটার, মিলিমিটার, মাইক্রোমিটার, মাইল, গজ, ফুট, ইঞ্চি অনুযায়ী পরিমান
- ১ কিলোমিটার = ১০০০ মিটার
- ১ কিলোমিটার = ১০৯৩.৬১ গজ
- ১ কিলোমিটার = ০.৬২ মাইল
- ১ মিটার = ১০০ সেন্টিমিটার
- ১ সেন্টিমিটার = ১০ মিলিমিটার
- ১ মিলিমিটার = ১০০০ মাইক্রোমিটার
- ১ মাইক্রোমিটার = ১০০০ ন্যানোমিটার
- ১ মাইল = ১৭৬০ গজ
- ১ মাইল = ১.৬ কিলোমিটার
- ১ গজ = ৩ ফুট
- ১ ফুট = ১২ ইঞ্চি
- ১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেন্টিমিটার
বিভিন্ন প্রকারের আঞ্চলিক পরিমাপ
বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের আশেপাশের ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলভেদে বিভিন্ন প্রকারের মাপ ঝোক প্রচলিত রয়েছে। এগুলো হলো কানি-গন্ডা, বিঘা-কাঠা ইত্যাদি। অঞ্চল ভেদে এই পরিমাপগুলো আয়তন বিভিন্ন রকমের হয়ে তাকে। বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমির পরিমাপ বিভিন্ন পদ্ধতিতে হলেও সরকারি ভাবে ভূমির পরিমাপ একর, শতক পদ্ধতিতে করা হয়। সারাদেশে একর শতকের হিসাব সমান।
কানি: কানি দুই প্রকার। যথা -
- (ক) কাচ্চা কানি
- (খ) সাই কানি
কাচ্চা কানি: ৪০ শতকে এক কাচ্চা কানি। কাচ্চা কানি ৪০ শতকে হয় বলে একে ৪০ শতকের কানিও বলা হয়।
সাই কানি: এই কানি কোথাও ১২০ শতকে ধরা হয়। আবার কোথাও কোথাও ১৬০ শতকেও ধরা হয়।
কানি গন্ডার সাথে বিভিন্ন প্রকারের পরিমাপের তুলনা:
- ১ গন্ডা = ৪ কড়া
- ১ গন্ডা = ৮৬৪ বর্গফুট
- ১ কড়া = ২১৬ বর্গফুট
- ১ কানি = ২০ গন্ডা
- ১ কানি = ১৭২৮০ বর্গফুট
- ২ কানি ১০ গন্ডা = ১ একর
- ১ কানি = ১৭২৮০ বর্গফুট
- ১ কানি = ১৯৩৬ বর্গগজ
- ১ কানি = ১৬১৯ বর্গমিটার
- ১ কানি = ৪০,০০০ বর্গ লিঙ্ক
- ১ একর = ১০ বর্গ চেইন
- ১ একর = ১০০ শতক
- ১ একর = ৪,০৪৭ বর্গমিটার
- ১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক
ছটাক, বিঘা এবং কাঠার হিসাব
- ১ ছটাক = ২০ গন্ডা
- ১ ছটাক = ৪৫ বর্গফুট
- ১ কাঠা = ১৬ ছটাক
- ১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট
- ১ বিঘা = (৮০ হাত×৮০ হাত) ৬৪০০ বর্গহাত
- ১ বিঘা = ২০ কাঠা
- ১ বিঘা = ৩৩,০০০ বর্গলিঙ্ক
- ১ বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট
গান্টার শিকল এর লিঙ্ক/জরীপ/কড়ি
ভূমির পরিমাপ পদ্ধতি সঠিক এবং সহজ করার জন্য ইংরেজ বিজ্ঞানী এডমন্ড গান্টা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি ভূমি পরিমাপের জন্য ইস্পাত দ্বারা এক ধরনের শিকল আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে তার নাম অনুসারেই এই শিকলের নামকরণ করা হয় গান্টার শিকল। আমাদের দেশে গান্টার শিকল দ্বারা জমি জরিপ অত্যন্ত জনপ্রিয়। একর, শতক এবং মাইলষ্টোন বসানোর জন্য গান্টার শিকল অত্যন্ত উপযোগী। এই শিকলের দৈর্ঘ্য ২০.৩১ মিটার (প্রায়) বা ৬৬ ফুট।[২]
গান্টার শিকল ভূমি পরিমাপের সুবিধার্থে একে ১০০ ভাগে ভাগ করা হয় থাকে। এর প্রতিটি ভাগকে লিঙ্ক বা জরীপ বা কড়ি বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।
দৈর্ঘ্য ১০ চেইন × প্রস্থে ১ চেইন = ১০ বর্গ চেইন = ১ একর
আমাদের দেশে জমি-জমা মাপ ঝোকের সময় চেইনের সাথে ফিতাও ব্যবহার করা হয়। সরকারি ভাবে ভূমি মাপার সময় চেইন ব্যবহার করা হয় এবং আমিন বা সার্ভেয়ার ইত্যাদি ব্যক্তিগণ ভূমি মাপার সময় ফিতা ব্যবহার করেন। ভূমির পরিমাণ বেশি হলে চেইন এবং কম হলে ফিতা ব্যবহার করাই বেশি সুবিধাজনক।
গান্টার শিকলে ১০ লিঙ্ক বা ৭৯.২ ইঞ্চি পর পর নস বা ফুলি স্থাপন করা হয়
২০ লিঙ্ক বা ১৫৮.৪ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়
৩০ লিঙ্ক বা ২৩৭.৩ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়
৪০ লিঙ্ক বা ৩১৬.৮ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়
৫০ লিঙ্ক বা ৩৯৬.০ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়
৮০ গান্টার বা ১৭৬০ গজ পর স্থাপিত হয় - মাইল ষ্টোন[৩]
লিঙ্ক অনুযায়ী পরিমাণ
- ১ লিঙ্ক = ৭.৯২ ইঞ্চি
- ৫ লিঙ্ক = ৩ ফুট ৩.৬ ইঞ্চি
- ১০ লিঙ্ক = ৬ ফুট ৭.২ ইঞ্চি
- ১৫ লিঙ্ক = ৯ ফুট ১০.৮ ইঞ্চি
- ২০ লিঙ্ক = ১৩ ফুট ২.৪ ইঞ্চি
- ২৫ লিঙ্ক = ১৬ ফুট ৬.০ ইঞ্চি
- ৪০ লিঙ্ক = ২৬ ফুট ৪.৮ ইঞ্চি
- ৫০ লিঙ্ক = ৩৩ ফুট
- ১০০ লিঙ্ক = ৬৬ ফুট
- ১০০ লিঙ্ক = ১ গান্টার শিকল
- ১০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ শতক
- ১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ একর
তথ্যসূত্র
- ↑ বাংলাপিডিয়া
- ↑ "ভূমি বিষয়ক তথ্য"। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ জেনে নিন জমির মাপ
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |