বিষয়বস্তুতে চলুন

পেট্রোনাস টাওয়ার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা FARMER (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:১৭, ২৮ মার্চ ২০২১ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (সংশোধন, পরিষ্কারকরণ, অনুবাদ, রচনাশৈলী, বানান সংশোধন, হালনাগাদ করা হল, বিষয়বস্তু,)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

পেট্রোনাস টাওয়ারস
মেনারা বার্কেম্বার পেট্রোনাস
মানচিত্র
রেকর্ড উচ্চতা
Tallest in বিশ্বে from ১৯৯৮ হতে ২০০৪[I]
পূর্ববর্তী রেকর্ডউইলস টাওয়ার
নতুন রেকর্ডতাইপে ১০১
সাধারণ তথ্যাবলী
অবস্থাসমাপ্ত
ধরনবাণিজ্যিক অফিস এবং আকর্ষণীয় পর্যটন স্থাপনা
স্থাপত্যশৈলীআধুনিকোত্তর ইসলামী স্থাপত্য
অবস্থানজালান আমপাং, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া
নির্মাণকাজের উদ্বোধন১ জানুয়ারী ১৯৯২ (1 জানুয়ারী 1992)
নির্মাণ শুরু১ মার্চ ১৯৯৩ (1 March 1993)
সম্পূর্ণ১ মার্চ, ১৯৯৬ (1 March, 1996)
উন্মুক্ত হয়েছে৩১ শে আগষ্ট ১৯৯৯ (31 শে আগষ্ট 1999)
উদ্বোধন৩১শে আগষ্ট ১৯৯৯ (31শে আগষ্ট 1999)
সংস্কার১৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ (15 September 2011)
নির্মাণব্যয়মার্কিন$১.৬ বিলিয়ন[]
স্বত্বাধিকারীকেএলসিসি হোল্ডিংস এসডিএন বিএইচডি
Height
স্থাপত্য৪৫১.৯ মি (১,৪৮৩ ফু)[]
শীর্ষবিন্দু পর্যন্ত৪৫১.৯ মি (১,৪৮৩ ফু)
ছাদ পর্যন্ত৩৭৮.৬ মি (১,২৪২ ফু)
শীর্ষ তলা পর্যন্ত৩৭৫ মি (১,২৩০ ফু)[]
কারিগরী বিবরণ
তলার সংখ্যা৮৮ (৫টি ভূগর্ভস্থ তলা সহ)[]
তলার আয়তন৩,৯৫,০০০ মি (৪২,৫২,০০০ ফু)
লিফট/এলিভেটর৩৮টি (প্রতি টাওয়ারে)
নকশা ও নির্মাণ
স্থপতিসিজার পেল্লি[]
অবকাঠামোবিদথর্টন টমসেট্টি এন্ড রানহিল বার্সেকুটু[]
প্রধান ঠিকাদারটাওয়ার ১: হাজামা কর্পোরেশন
টাওয়ার ২: স্যামসাং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন এবং কুকডং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন
সিটি সেন্টার: বি.এল. হারবার্ট ইন্টারন্যাশনাল
তথ্যসূত্র
[][][][][]

পেট্রোনাস টাওয়ারস, পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার নামেও পরিচিত ( মালয় : মেনারা পেট্রোনাস বা মেনারা বার্কেম্বার পেট্রোনাস), হল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের একজোড়া আকাশচুম্বী বহুতল ভবন । কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিট্যাট ( সিটিবিইউএইচ) এর আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞা এবং র‍্যাঙ্কিং অনুসারে, ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এরা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন ছিল । এরপর তাইপে ১০১ তৈরী হলে, তা উচ্চতায় এদেরকে ছাড়িয়ে যায় । যদিও পেট্রোনাস টাওয়ারস বিশ্বের উচ্চতম যমজ টাওয়ার হিসেবে রয়ে গেছে।

নিকটবর্তী কুয়ালালামপুর টাওয়ার সহ এই ভবন দুটি কুয়ালালামপুরের পরিচিতি চিহ্ন; ২০২০ সালে মেরডেকা পিএনবি ১১৮ এদের উচ্চতাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এরা কুয়ালালামপুরের উচ্চতম ভবন ছিল ।

ইতিহাস এবং স্থাপত্য

পেট্রোনাস টাওয়ারসের কাঠামোগত পদ্ধতিটি হল টিউব ইন টিউব ডিজাইন ভিত্তিক; যা আবিষ্কার করেছিলেন ফজলুর রহমান খান[][] অতিমাত্রায় উঁচু ভবনের জন্য নল-কাঠামো প্রয়োগ করা একটি সাধারণ বিষয়।[][১০][১১]

৮৮ তলা বিশিষ্ট টাওয়ার দুটি মূলত ভেতরে স্টীলের পাত, লোহার রড ইত্যাদি বসিয়ে মজবুত করা কংক্রিট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, পাশাপাশি এর ইস্পাত ও কাঁচের সমন্বয়ে তৈরী সম্মুখ ভাগের অবকাঠামোটি ইসলামী শিল্পকলার কারুকার্যের নকশার সদৃশ, যা মালেয়শিয়ার মুসলিম ধর্মের প্রতিফলন ।[১২] নকশায় টাওয়ারগুলোর প্রস্থচ্ছেদ অংশটুকুতে রুব উল হিজব ভিত্তিক আরেকটি ইসলামিক ধারার প্রভাব দেখা যায়, যদিও অফিসের স্থান সংকুলানের জন্য গোলাকার অংশগুলো যোগ করা হয়েছে।[১৩] গোলাকার অংশটুকুর সাথে কুতুব মিনারের নীচের অংশের মিল রয়েছে।

রুব উল হিজব প্রতীক ভিত্তিক পেট্রোনাস টাওয়ারসের টাওয়ার-১ এর ৪৩ তলার পরিকল্পনা।[১৪]
পেট্রোনাস টাওয়ারের প্রস্থচ্ছেদ অংশটুকু রুব উল হিজব এর উপর ভিত্তি করে তৈরী। যদিও নীচের গোলাকার অংশটুকু কুতুব মিনারের নীচের অংশের সাথে মিলে যায়।

এই টাওয়ারগুলোর ডিজাইন করেছিলেন আর্জেন্টিনার স্থপতি সিজার পেল্লি । মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের জন্য একবিংশ শতাব্দীর একটি আইকন তৈরি করার জন্য একটি স্বতন্ত্র আধুনিকোত্তর রীতি শৈলীকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। পেট্রোনাস টাওয়ারগুলোর পরিকল্পনা ১ জানুয়ারী ১৯৯২ তে শুরু হয়েছিল এবং তাতে নকশাটির উপর কৃত্রিম বায়ুপ্রবাহ এবং কাঠামোগত ভর নেবার ক্ষমতার উপর কঠোর পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯৩ সালের ১ মার্চ খননকাজের মাধ্যমে, মূল সেলাঙ্গর তার্ফ ক্লাবের আগের নির্মাণস্থানে, সাত বছরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তাতে মাটির নীচে ৩০ মিটার (৯৮ ফু) গর্ত করার জন্য, এই খনন কাজে প্রতি রাতে ৫০০ ট্রাক বোঝাই মাটি সরাতে হয়েছিল ।

প্রধান ভিত্তির উপরে অট্টালিকা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৪ সালের ১ এপ্রিল। ১ জানুয়ারী ১৯৯৬ এ ফার্নিচার সহ অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়ে যায় । কাজ শুরু হওয়ার ৩ বছর পরে, ১৯৯৬ সালের ১লা মার্চে টাওয়ার ১ এবং টাওয়ার ২ এর সূক্ষ্মাগ্রি চূড়ার নির্মাণের শেষ হয় এবং পেট্রোনাসের কর্মীদের প্রথম ব্যাচটি ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারী তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে এই ভবনে চলে আসে। ৩১ আগস্ট ১৯৯৯ সালে ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তুন ডঃ মাহাথির বিন মোহামাদ [১৫]। জোড়া টাওয়ার দুটি কুয়ালালামপুরের ঘোড় দৌড়ের মাঠের উপর নির্মিত হয়েছিল।[১৬] মাটি পরীক্ষার জন্য বিশাল গর্ত করার পর দেখা গেল যে মূল নির্মাণ স্থানটি একটি খাঁড়া খাদের কিনারায় অবস্থান করছে। নির্মাণ স্থানের অর্ধেক অংশে ছিল ক্ষয়ে যাওয়া চুনাপাথর, বাকি অর্ধেকে ছিল নরম শিলা পাথর। এই কারণে পুরো নির্মাণ স্থানটি ৬১ মিটার (২০০ ফু)) সরানো হয়েছিল যেন দালানগুলো পুরোপুরি নরম শিলার উপর স্থাপন করা যায় ।[১৭] মাটির নীচের নরম স্তরের নিম্নবর্তী শক্ত নিরেট স্তরের গভীরতার কারণে, ভবনদ্বয় বিশ্বের গভীরতম ভিত্তির উপর নির্মিত হয়েছিল।[১৮] মাটিতে ৬০ থেকে ১১৪ মিটার (১৯৭ থেকে ৩৭৪ ফু) গভীর গর্ত করে, ১০৪টি কংক্রিটের তৈরী পাইল পোতা হয়েছিল। প্রতিটি টাওয়ারের জন্য একটানা ৫৪ ঘন্টা ১৩,২০০ ঘনমিটার (৪,৭০,০০০ ঘনফুট) কংক্রিট সমন্বিত বুনিয়াদী ঢালাই দেয়া হয়। এই ঢালাই ছিল প্রতিটি ৪.৬ মিটার (১৫ ফু) পুরু, ভর ছিল ৩২,৫০০ tonne (৩৫,৮০০ ton) এবং ২০০৭ সাল অবধি এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কংক্রিট ঢালাইয়ের রেকর্ড। নির্মাণ সংস্থা বাচি সোলতানচে ভিতটি তৈরী করার কাজ ১২ মাসের মধ্যে শেষ করেছিল এবং এর জন্য বিপুল পরিমাণে কংক্রিটের প্রয়োজন হয়েছিল।[১৯]

মালয়েশিয়ার সরকারের কর্তৃক ভবনগুলোর কাজ সম্পন্ন করার ৬ বছর সময় নির্দিষ্ট করে দেয়ায় সময়সীমা রক্ষা করার জন্য দুটি টাওয়ারের জন্য একটি করে নির্মাণ সংস্থার জোট নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। পশ্চিমের ১নং টাওয়ার, (উপরে ডানদিকের ছবিতে বাম পাশের টাওয়ারটি) তৈরী করেছিল হাজামা কর্পোরেশন এর নেতৃত্বে একটি জাপানী কনসোর্টিয়াম (জে, এ, জোনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানী, এমএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস এসডিএন বিএইচডি, হো হুপ কনস্ট্রাকশন কোম্পানী বিএইচডি, এবং মিতসুবিশি কর্পোরেশন) । ২নং টাওয়ার, পূর্ব দিকের টাওয়ারটি (উপরে ডানদিকের ছবিতে ডানদিকের টাওয়ারটি) নির্মিত হয়েছিল স্যামসাং সি অ্যান্ড টি কর্পোরেশন এর নেতৃত্বে দক্ষিণ কোরিয়ার কনসোর্টিয়াম (কুকডং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন এবং সায়ারিক্যাট জাসেটেরা এসডিএন বিএইচডি) এর মাধ্যমে ।

নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ে, কংক্রিটের একটি ব্যাচ নির্দিষ্ট শক্তির পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার ফলে নির্মাণ কাজ পুরোপুরি থেমে যায়। সম্পূর্ণ নির্মাণ শেষ হয়েছে এমন সব তলা পরীক্ষা করা হয়, তবে শুধু একটি তলায় ক্রটিপূর্ণ কংক্রিটের ব্যবহার শনাক্ত হয় এবং সেটিকে ভেঙ্গে ফেলা হয়। কংক্রিটের শক্তিমত্তার পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিটি নতুন কংক্রিটের ব্যাচ ঢালার আগে পরীক্ষা করা শুরু হয়। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিনপ্রতি ক্ষতির পরিমাণ দাড়াঁয় ৭,০০,০০০ মার্কিন ডলার। এই কারণে, নির্মাণ স্থানে তিনটি পৃথক কংক্রিট তৈরীর কারখানা স্থাপন করা হয়, যেন এক ব্যাচের কংক্রিট উৎপাদন খারাপ হলে অন্য দুটো দিয়ে সরবরাহ চালিয়ে যাওয়া যায়। কুকডং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন নির্মাণ স্থানের ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের চুক্তিটি সম্পন্ন করে। ২নং টাওয়ারটি (স্যামসাং সি এন্ড টি) তখনকার সময়ে বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা ভবন হিসেবে প্রথম স্থান অর্জন করতে পেরেছিল।

ইস্পাত আমদানির উচ্চ ব্যয়ের কারণে, তুলনামূলক কম খরচের একটি মৌলিক নকশার ভিত্তিতে টাওয়ারগুলোকে খুবই উচ্চ-শক্তিশালী কংক্রিট দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল।[২০] উচ্চ-শক্তির কংক্রিট এমন একটি উপাদান, যা এশিয়ান ঠিকাদারদের কাছে পরিচিত। নির্মাণ কাঠামোর নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটা ইস্পাতের চেয়ে দ্বিগুন কার্যকর; কিন্তু, এটা আবার দালানের ভিত্তির উপর ইস্পাতের চেয়ে দ্বিগুণ ওজন নিয়ে দাড়িঁয়ে থাকে। দৈর্ঘ্যে ২৩ ও প্রস্থে ২৩ মিটারের আভ্যন্তরীণ কংক্রিটের[২১] মৌল কাঠামোর শক্তি এবং বাইরের সুপ্রশস্থ জায়গাযুক্ত অতিশয় মজবুত গোল কলামের সাহায্যে, টাওয়ারগুলো একটি বাস্তবধর্মী অবকাঠামোগত ব্যবস্থা ব্যবহার করে, যার কারণে এর সরু নকশাটি রক্ষা পায় এবং এর জন্যই কোনও কলাম ব্যবহার না করেই অফিসের জন্য ৫৬০,০০০ বর্গ মিটার জায়গা পাওয়া যায় ।[২২] দু'টি টাওয়ারের নীচে রয়েছে একটি শপিংমল যার নাম সুরিয়া কেএলসিসি এবং পেট্রোনাস ফিলহারমনিক হল, যা মালয়েশিয়ার ফিলহারমনিক অর্কেস্ট্রা এর বাসভবন।

উল্লেখযোগ্য ঘটনা

১৫ই এপ্রিল ১৯৯৯, পেট্রোনাস টাওয়ারের জানালা পরিস্কার করার ক্রেন থেকে লাফিয়ে (আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে) বেজ জাম্পিংয়ের (দালান, স্প্যান, এ্যান্টিনা এবং পাহাড়ের চূড়া থেকে লাফান) বিশ্ব রেকর্ড গড়েন ফেলিক্স বামগার্টনার।[২৩][২৪]

  • ১১ ই সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক সিটির ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টাওয়ারদ্বয়ে হামলায় ধ্বংস হবার পরের দিন টুইন টাওয়ারে বোমা হামলার হুমকির কারণে ২০০১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বোমা নিরস্ত্রকরন বাহিনী পেট্রোনাস টাওয়ারগুলোতে কোনও বোমা খুঁজে পায়নি, তারপরও তারা সবাইকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়। তিন ঘন্টা পরে, দুপুরের দিকে, শ্রমিক এবং ক্রেতাদের ফিরে আসতে দেওয়া হয়েছিল। সবাইকে সরিয়ে নেবার সময় কেউ আহত হয়নি।[২৫]
  • ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় পেট্রোনাস টাওয়ারের নিচে সুরিয়া কেএলসিসি শপিং সেন্টারের সিনেমা কমপ্লেক্সে আগুন লাগে এবং দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কারো আহত হবার কোন খবর পাওয়া যায়নি। বেশী রাত হয়ে যাবার কারণে শপিংমল ও সুরিয়া কেএলসিসি ব্যতীত অন্যান্য ভবনগুলো মূলত খালি ছিল। সেখানে কেবলমাত্র কিছু চলচ্চিত্র দর্শক ছিলেন এবং কিছু লোক রেস্তোঁরাতে খাচ্ছিলেন।[২৬]
  • ২০০৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে ফরাসি শহুরে আরোহী অ্যালেইন "স্পাইডারম্যান" রবার্ট কেবল তার খালি হাত ও পা ব্যবহার করে এবং কোনও সুরক্ষা সরঞ্জাম না নিয়ে, মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে দুই নাম্বার টাওয়ারের শীর্ষে পৌঁছে যায় ।[২৭] ১৯৯৭ সালের ২০শে মার্চ তার প্রথম চেষ্টার পর "শীর্ষ সম্মেলন" কক্ষ থেকে ২৮ তলা দূরে ৬০তম তলায় এবং এর ঠিক দশ বছর পরে ২০০৭ সালের ২০ শে মার্চ, অন্য টাওয়ারে দ্বিতীয় চেষ্টার পর পুলিশ তাকে একই তলায় থামায়।[২৮]

ভাড়াটে

এক নাম্বার টাওয়ার পুরোটাই ভাড়া নেয় পেট্রোনাস এবং এর কয়েকটি সহায়ক ও সহযোগী সংস্থা, অন্যদিকে দুই নাম্বার টাওয়ারটিতে অফিসের জায়গাগুলো বেশিরভাগই অন্য কোম্পানীকে ইজারা দেওয়ার জন্য বরাদ্দ করা হয়।[২৯] দুই নাম্বার টাওয়ারে অনেক কোম্পানীর অফিস ছিল, যেমন, সাপুরা ওএমভি আপস্ট্রিম (সারাওয়াক) ইনক., সহ হুয়াওয়ে টেকনোলজিস, এভিইভিএ, আল জাজিরা ইংলিশ, কারিগালি হেস, ব্লুমবার্গ, বোয়িং, আইবিএম, খাজানা ন্যাশনাল বারহাদ, ম্যাকিনজি অ্যান্ড কোম্পানি, উইপ্রো লিমিটেড, টিসিএস, এইচসিএল টেকনোলজিস, ক্রোলার, মাইক্রোসফট, দ্য এজেন্সি (একটি মডেলিং সংস্থা) এবং রয়টার্স।

তলা

তলা টাওয়ার ১ টাওয়ার ২
৮৮ যন্ত্র-সংক্রান্ত
৮৭
৮৬ আরামকক্ষ পর্যবেক্ষণ ডেক
৮৫ সভাকক্ষ মাল্টিমিডিয়া সম্মেলন কক্ষ
৮৪এম৩ যন্ত্র-সংক্রান্ত
৮৪এম২
৮৪এম১
৮৪
৮৩ আরামকক্ষ পর্যবেক্ষণ ডেক, উপহারের দোকান
৮২ অফিস অঞ্চল ৫
৮১
৮০
৭৯
৭৮
৭৭
৭৬
৭৫
৭৪
৭৩ অফিস অঞ্চল ৪
৭২
৭১
৭০
৬৯
৬৮
৬৭
৬৬
৬৫
৬৪
৬৩
৬২
৬১
৬০ অফিস অঞ্চল ৩
৫৯
৫৮
৫৭
৫৬
৫৫
৫৪
৫৩
৫২
৫১
৫০
৪৯
৪৮
৪৭
৪৬
৪৫
৪৪
৪৩
৪২ দু্ই নাম্বার টাওয়ারের সাথে সংযুক্ত আকাশ সেতু, আকাশস্থ লবি এক নাম্বার টাওয়ারের সাথে সংযুক্ত আকাশ সেতু, আকাশস্থ লবি, মালয়েশীয় পেট্রোলিয়াম ক্লাব
৪১
৪০ সম্মেলন কেন্দ্র, নির্বাহীদের ভোজনশালা
৩৯ যন্ত্র-সংক্রান্ত
৩৮
৩৭ সম্মেলন কেন্দ্র
৩৬ অফিস অঞ্চল ২
৩৫
৩৪
৩৩
৩২
৩১
৩০
২৯
২৮
২৭
২৬
২৫
২৪
২৩ অফিস অঞ্চল ১
২২
২১
২০
১৯
১৮
১৭
১৬
১৫
১৪
১৩
১২
১১
১০
যন্ত্র-সংক্রান্ত
পেট্রোনাস পেট্রোলিয়াম রিসোর্স সেন্টার, পেট্রোসাইনস ডিসকভারি সেন্টার পেট্রোসাইনস ডিসকভারি সেন্টার
সুরাউ আল-মুহসিনিন পেট্রোনাস আর্ট গ্যালারী
পেট্রোনাস ফিলহারমোনিক হল
প্রবেশ লবি
ভূ-গর্ভস্থ তলা
মধ্যবর্তী সমাবেশক্ষেত্র যন্ত্র-সংক্রান্ত, লোডিং ডক
সমাবেশক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ ডেকের প্রবেশপথ, উপহারের দোকান, পেট্রোনাস কার্ড সেন্টার, মেসরা শপ, টুইন টাওয়ার ব্যায়াম কেন্দ্র
পি১ গাড়ির পার্কিং, যন্ত্র-সংক্রান্ত
পি২
পি৩
পি৪
পি৫

বৈশিষ্ট্যসমূহ

সুরিয়া কেএলসিসি

পেট্রোনাস টাওয়ারগুলোর পাদদেশে অবস্থিত সুরিয়া কেএলসিসি হল ১,৪০,০০০ মি (১৫,০০,০০০ ফু) আয়তনবিশিষ্ট একটি শীর্ষস্থানীয় খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র। এটির বৈশিষ্ট্য হল বিদেশী বিলাসবহুল পণ্য আর হাই-স্ট্রিট ব্র্যান্ডের সমারোহ। প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে আছে একটি আর্ট গ্যালারী, একটি পানির নীচের অ্যাকোয়ারিয়াম এবং একটি বিজ্ঞান কেন্দ্র। আনুমানিক ৩০০টি দোকান সমৃদ্ধ সুরিয়া কেএলসিসিকে মালয়েশিয়ার বৃহত্তম শপিংমল হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[৩০] টাওয়ারগুলোর ভূ-গর্ভে নির্মিত পেট্রোনাস ফিলহারমনিক হলটি প্রায়শই সুরিয়া কেএলসিসির নিচতলার সাথে যুক্ত হয়।

কেএলসিসি পার্ক

কেএলসিসি পার্ক

ভবনের নীচে ১৭ একর (৬.৯ হেক্টর) জায়গা জুড়ে রয়েছে কেএলসিসি পার্ক; যেখানে আছে জগিং এবং হাঁটার পথ, আলোক সজ্জিত ঝর্ণা, বাচ্চাদের নৈৗকা চালাবার জন্য কৃত্রিম জলাশয় এবং শিশুদের খেলার একটি মাঠ ।

আকাশসেতু

এই টাওয়ারগুলোর অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হলো দোতলা আকাশসেতু, এটি দুটি টাওয়ারের ৪১তম ও ৪২তম তলাকে সংযুক্ত করেছে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ দোতলা সেতু।[৩১] এটি মূল কাঠামোর সাথে সংযুক্ত নয়, তবে সেতুটির ভেঙ্গে যাওয়া রোধ করার জন্য ডিজাইনটি এমন ভাবে করা হয়েছে যেন আকাশসেতুটি টাওয়ারগুলোর ভেতরে এবং বাইরে যাওয়া আসা করতে পারে।[৩২] কারণ, জোরে বাতাস বইলে টাওয়ারগুলো একটা আরেকটা থেকে বেশ কয়েক ফুট দূরে সরে গিয়ে বা কাছে এসে দোল খেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিটি টাওয়ারগুলোকে কাঠামোগত দিক থেকে কিছুটা সহায়তা করে। সেতুটি মাটি থেকে ১৭০ মি (৫৫৮ ফু) উপরে এবং ৫৮.৪ মি (১৯২ ফু)দীর্ঘ, যার ভর ৭৫০ টন ।[৩৩] এই তলাটি মঞ্চ নামেও পরিচিত, কারন আরও উচুঁতে ওঠার জন্য দর্শনার্থীদের এখানে লিফট পরিবর্তন করতে হয়। আকাশসেতুটি সমস্ত দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত, তবে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার লোকের জন্য টিকিট সীমাবদ্ধ থাকে এবং অবশ্যই আগে এলে আগে ভিত্তিতে টিকিট দেয়া হয়ে থাকে । প্রথমদিকে, দর্শনার্থীদের জন্য এই ভ্রমণ ছিল বিনামূল্যে, ২০১০ সাল থেকে পেট্রোনাস টিকিট বিক্রি শুরু করে। দর্শনার্থীরা শুধু আকাশসেতুের দেখার জন্য প্রথম প্যাকেজ বেছে নিতে পারেন কিংবা ‍আকাশসেতুসহ ৮৬ তলা পর্যন্ত যাবার জন্য দ্বিতীয় প্যাকেজটি বেছে নিতে পারেন।[৩৪] দর্শনার্থীদের শুধু ৪১তম তলায় যাবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কারণ ৪২তম তলা কেবল মাত্র ভবনের ভাড়াটেরা ব্যবহার করতে পারেন।[৩৫]

আকাশসেতুটি নিরাপত্তা কৌশল হিসাবেও কাজ করে, যেন একটি টাওয়ারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে বা অন্যান্য জরুরী পরিস্থিতি তৈরী হলে, ভাড়াটেরা আকাশসেতু দিয়ে অন্য টাওয়ারে সরে যেতে পারে।[৩৬] ২০০১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বোমা হামলার হুমকির পরে (১১ই সেপ্টেম্বরের হামলায় নিউ ইয়র্ক সিটির ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দু'টি টাওয়ার ধ্বংস হয়ে যাবার পরের দিন) দেখা যায় যে, একই সাথে দুটো টাওয়ার খালি করার দরকার হলে সেতুটি কার্যকর হবে না কারন এ ধরনের ঘটনার জন্য সিঁড়িগুলোর ধারণ ক্ষমতা অপর্যাপ্ত।[৩৭] দুটি টাওয়ার একসাথে খালি করার প্রয়োজন হলে লিফটগুলো কিভাবে ব্যবহার করার যাবে সে ব্যাপারে পরিকল্পনা করার দরকার হয়ে পড়ে এবং সেই অনুযায়ী ২০০৫ সালে সংশোধিত পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি সফল মহড়া চালানো হয়।

দুটি কব্জাযুক্ত ধনুকের মতো খিলান আছে যার বাকাঁনো পা গুলোর অবলম্বনে আকাশসেতুটি বাড়তি শক্তি পায়। প্রতিটি খিলান ৫১ মিটার (১৬৭ ফু) লম্বা, যেগুলোকে প্রত্যেক টাওয়ারের ২৯ তলায় আটকে দেয়া হয়েছে।[৩৮] মাটিতে তৈরী হওয়ার পরে, ১৯৯৫ সালের জুলাইয়ে আকাশসেতুটি তিন দিন সময় ধরে টাওয়ারদুটিতে স্থাপন করা হয়।[৩৯] টাওয়ার দুটির সাথে সরাসরি সংযুক্ত না হওয়ার কারনে আকাশসেতুটি বাতাসের যে কোনও গতি পরিবর্তনে ভারসাম্য রক্ষার জন্য এগুলোর মধ্যে স্থান পরিবর্তন করতে বা সামনে পিছনে যাওয়া আসা করতে পারে। ৪১তম এবং ৪২তম তলা বরাবর থাকা আকাশসেতুটি, একটি সম্মেলন কক্ষ, একটি কার্যনির্বাহীদের ভোজনশালা এবং একটি প্রার্থনা কক্ষকে সংযুক্ত করেছে।

লিফট ব্যবস্থাপনা

প্রতিটি টাওয়ারের মাঝখানে লিফটের প্রধান পার্শ্বটি অবস্থিত। মূল লিফটগুলো সবগুলোই দোতালা। সব প্রধান লিফটই দোতলা; যেগুলো লিফটির নীচের তলার যাত্রীদের জোড় সংখ্যার তলাগুলোতে এবং উপরের তলার যাত্রীদের বেজোড় সংখ্যার তলাগুলোতে নিয়ে যায়। দালানের নীচের প্রথম তালা থেকে কোন যাত্রী বেজোড় সংখ্যার কোন তালায় যেতে চাইলে তাকে একটি এসকেলেটর দিয়ে প্রধান লিফটের উপরের তলায় বা ডেকে যেতে হবে ।[৪০]

এখানে ২৯টি ডাবল ডেকার বা দোতলা যাত্রীবাহী লিফট রয়েছে, এসব দোতালা লিফটের বিভিন্ন সেট টাওয়ারগুলোর নির্দিষ্ট তালায় সার্ভিস দিয়ে থাকে। বিশেষত, এই দোতলা যাত্রীবাহী লিফটের ছয়টির দুটি করে সেট যথাক্রমে ১-২৩ তলা এবং ১-৩৭ তলায় সেবা দিয়ে থাকে। ৫টি যাত্রীবাহী লিফটের আরও একটি সেট ৪১তম এবং ৪২তম তলায় যাত্রী পরিবহন করে, যেখানে তারা দালানের উপরের অংশে পৌঁছানোর জন্য লিফট বদল করতে পারে, প্রতিটি দোতলা লিফটের যাত্রী উত্তোলন ক্ষমতা ৫২ জন, প্রতি তলায় ২৬ জন করে যাত্রী। কাজের সাজ সরঞ্জাম বহনের জন্য ৬টি ভারী-বহন ক্ষমতার লিফটও রয়েছে।

পেট্রোনাস টাওয়ারসের লিফট চলাচলের চার্ট

পরিষেবা ভবন

পরিষেবা ভবনটি পেট্রোনাস টাওয়ারগুলোর পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং এতে পেট্রোনাস টাওয়ারগুলো শীতল ও আরামদায়ক রাখার জন্য চিলার প্লান্ট সিস্টেম এবং কুলিং টাওয়ার রয়েছে।

টিকিট ব্যবস্থা

পেট্রোনাস টাওয়ার ঘুরে দেখার জন্য, দর্শনার্থীদের অবশ্যই প্রথমে টিকিট কিনতে হবে। টিকিট অনলাইনে বা কাউন্টার থেকে কেনা যায়। ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সী বয়স্ক নাগরিক জন্য রয়েছে ছাড়কৃত টিকিট । টিকিটের জন্য দাড়াঁনো লাইনগুলো মাঝে মাঝে বেশ লম্বা হয়। সম্পূর্ণ টিকিটিং ব্যবস্থাটি পরিচালনা করছে মালয়েশিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান লংবোও টেকনোলজিস এসডিএন বিএইচডি।

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে

  • ১৯৯৯ সালে তৈরী ছবি এনট্রাপমেন্টে এ টাওয়ারগুলোকে বিশেষভাবে দেখানো হয়েছে । টাওয়ারগুলোতে অনেক দৃশ্য ধারনসহ আকাশসেতুের উপরের বিশেষ আবহ চিত্রায়ন করা হয়েছে। টাওয়ারগুলোর নীচে বস্তির দৃশ্য যোগ করতে কম্পিউটারের সিজিআই ব্যবহার করা হয়েছে।[৪১]
  • ইউএস টিভি সিরিজ ২৪ এর প্রথম পর্বে টাওয়ারগুলোর দেখা যায়।
  • বলিউড ছবি ডনঃ দ্য চেজ বিগিনস এগেইন এর বেশ কয়েকটি দৃশ্য পেট্রোনাস টাওয়ার এবং এর আকাশসেতুতে চিত্রায়িত হয়েছিল।
  • ফিনিয়াস এন্ড ফারব এর প্রথম পর্বের "ফিনিয়াস এবং ফারব সেভ সামার!" এ, "সামার অল ওভার দ্য ওয়ার্ল্ড" সংগীতের সময় টাওয়ারগুলো দেখা যায়।
  • এইদোস ইন্টারেক্টিভ তাদের ভিডিও গেমগুলোতে অনুপ্রেরণার জন্য দু'বার টাওয়ারগুলোকে ব্যবহার করেছে। ২০০২ সালে হিটম্যান ২ঃ সাইলেন্ট অ্যাসাসিন এ, মালয়েশিয়া ভিত্তিক অংশ বেসমেন্ট কিলিং, দ্য গ্রেভইয়ার্ড শিফট এবং জ্যাকুজি জব এর সবই পেট্রোনাস টাওয়ারে চিত্রায়ন করা হয়েছিল।[৪২] ২০১০ এ জাস্ট কজ ২-এ, কাল্পনিক পানৌ ফলস ক্যাসিনো পেট্রোনাস টাওয়ারের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
  • ২০০২ সালে অ্যানিমেটেড সিরিজ জ্যাকি চ্যান অ্যাডভেঞ্চারস এর "হোয়েন পিগস ফ্লাই" শিরোনামের একটি পর্বে (সিজন ৩, পর্ব ৬) এ টাওয়ারগুলোকে প্রধান বিষয় হিসেবে দেখান হয়েছে।
  • ২০০২ সালের অ্যামেজিং রেস ৩ এর একটি পর্বে ("হোয়াই ডিড ইউ টেইক ইউর প্যান্টস অফ?") প্রতিদ্বন্দী দলকে তাদের কাজ শেষ করার জন্য পেট্রোনাস টাওয়ার সামনে নিজের ছবি তুলতে হয়েছিল। [৪৩]২১ টি সিজন পরে এই অ্যামেজিং রেস ২৪ ("স্মার্টার, নট হার্ডার") এর একটি পর্বে টাওয়ারগুলো আবারও দেখা যায়।[৪৪]
  • অ্যানিমেটেড সিরিজ টোটালি স্পাইস এর "ম্যান অর মেশিন" শিরোনামের একটি পর্বে এ টাওয়ারগুলো দৃশ্যমান দেখানো হয়েছিল।
  • ২০১০ সালের চলচ্চিত্র ফেয়ার গেমের উদ্বোধনে কুয়ালালামপুরের আকাশ সীমানার পাশাপাশি এ দুটি টাওয়ারের দৃশ্য ছিল।[৪৫]
  • ২০১২ সালের হংকং-চীনা অ্যাকশন চলচ্চিত্র ভাইরাল ফ্যাক্টরের বেশ কয়েকটি দৃশ্যে এ দুটি টাওয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৪৬]
  • ২০১৬ সালের চলচ্চিত্র ইনডিপেন্ডেস ডেঃ রিসারজেন্স , এ একটি দৃশ্যে টাওয়ারগুলোকে এলিয়েনরা লন্ডন টাওয়ার সেতুর উপরে ফেলে দেয় আর ছবির একটি চরিত্র মন্তব্য করে: "দে লাইক টু গেট দ্য ল্যান্ডমার্কস "।[৪৭]
  • ২০০৯ সালে হিস্ট্রি চ্যানেলের মূল প্রোগ্রাম লাইফ আফটার পিপল-এ, "বাউন্ড অ্যান্ড বারিড" শিরোনামের পর্বে টাওয়ারগুলোকে দেখান হয় এবং বলা হয় যে টাওয়ারগুলো মানুষের রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই প্রায় ৫০০ বছর টিকে থাকবে, এবং সময়ের সাথে সাথে মালয়েশিয়ার আবহাওয়া ও ক্রান্তীয় জলবায়ুর কারণে ক্ষয় হতে হতে ভেঙে পড়বে ।
  • ২০০৫-এ, আমেরিকান পপ পাঙ্ক ব্যান্ড দ্য অডিশনের কনট্রোভারসি লাভস কোম্পানির অ্যালবাম কভারে টাওয়ারগুলোর দেখা যায় ।

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

  1. "পেট্রোনাস টাওয়ারস – দ্য স্কাইস্ক্র্যাপার সেন্টার"কাউন্সিল অন টল বিন্ডিংস এন্ড আরবান হ্যাবিট্যান্ট। ২৪ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "টুয়েন্টি ফাইভ ওর্য়াল্ড ফেমাস স্কাই স্ক্র্যাপারস"cnn.com। সিএনএন ট্রাভেল। ৬ আগষ্ট ২০১৩। 
  3. ইম্পরিসপেট্রোনাস টাওয়ার
  4. গ্লাস স্টিল অ্যান্ড স্টোন (আর্কাইভকৃত)-এ পেট্রোনাস টাওয়ার
  5. স্কাইস্ক্র্যাপারপেইজ -এ পেট্রোনাস টাওয়ার
  6. স্ট্রাকচারে পেট্রোনাস টাওয়ার (ইংরেজি)
  7. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২১ 
  8. লী, পি, কে, কে (জানুয়ারি ১৯৯৭)। স্ট্রাকচারস ইন দ্য নিউ মিলিনিয়ামআইএসবিএন 9789054108986 
  9. "Archived copy"। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১৮ 
  10. "নো অ্যাবাউট"Constructing world। ২৪ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  11. "Archived copy"। ২৪ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  12. উই, সি জে ওয়ান-লিং, এপ্রিল স্টংহোল্ড, জেমস পার্পান আলমেদা (২০০২) লোকাল কালচারস এন্ড দ্য “নিউ এশিয়া”ঃ দ্য ষ্টেট, কালচার, এন্ড ক্যাপিটালিজম ইন সাউথ এশিয়া, ” ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান ষ্টাডিস। পৃষ্ঠা ১৯৩.
  13. মসকাল, গ্রেগ (২০০৪)। মর্ডান বিল্ডিংস:আইডেন্টিফাইং বাইলেটারেল এন্ড রোটেশনাল সিমেট্রি। রোজেন ক্লাশরুম। পৃষ্ঠা 28আইএসবিএন 0-8239-8989-5 
  14. Galal Abada, "2004 On Site Review Report: Petronas Office Towers, Kuala Lumpur, Malaysia" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-১০-০১ তারিখে
  15. সেবেস্টেইন, গিউলা (১৯৯৮)। কন্সট্রাকশনঃ ক্র্যাফট টু ইন্ড্রাষ্ট্রি। টেলর এবং ফ্রান্সিস। পৃষ্ঠা ২০৫। আইএসবিএন 978-0-419-20920-1 
  16. জ্যাকনিক, ইভান; স্মিথ, ম্যাথিউ; রাইস, ডোলরেস বি। (১৯৯৮)। হান্ড্রেড অব দ্য ওয়ার্ল্ডস টলেষ্ট বিন্ডিংস্‌। ইমেজেস পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ২০৮। আইএসবিএন 978-1-875498-32-1 
  17. National Geographic Channel International / Caroline Anstey (2005), Megastructures: Petronas Twin Towers
  18. বেকার, ক্লাইড এন, জুনিয়র; ড্রামরাইট, এলিয়ট; জোসেফ, লিওনার্ড; আজম, তারেক (নভেম্বর ১৯৯৬)। "দ্য টলার দ্য ডিপার"। এএসসিই: ৩এ–৬এ। 
  19. Admin. (১৮ মার্চ ২০১০)। "Detailed Structural Analysis"The Petronas Towers। ১ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১১ 
  20. ওয়েলস, ম্যাথিউ (২০০৫)।
  21. ইনফরমেশন মালেয়শিয়া" (২০০৫)।
  22. তারানাথ, বুঙ্গালে এস (২০০৪)।
  23. ক্রেরার, সাইমন (১৫ অক্টোবর ২০১২)। "প্লেনস, কেভস এন্ড স্কাইস্ক্র্যাপার এমঙ্গ ফিয়ারলেস ষ্কাই ডাইভারস ফেলিক্স বামগার্টনারস ফেবুলাস ফিটস"Herald Sun। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১২ 
  24. "Petronas Towers (451 Meters), Malaysia"felixbaumgartner.com। Felix Baumgartner। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১২ 
  25. শেন ইয়ং (১২ সেপ্টেম্বর ২০০১)। "ওয়ার্ল্ডস টলেষ্ট টাওয়ারস, আইবিএম বিল্ডিং ইন মালেয়শিয়া ইভাকুয়েটেড আফটার থ্রেটস"দ্য এ্যাভালাঞ্চ জার্নাল। ১৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১১ 
  26. "ফায়ার ফোর্সেস ইভাকুয়েশন এট মালেয়শিয়া টাওয়ারস"সিবিএস নিউজ। ৪ নভেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১১ 
  27. ষ্টাফ রাইটার্স (১ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "'স্পাইডারম্যান' স্কেলস মালেয়শিয়া টাওয়ার"বিবিসি নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১১ 
  28. সেইন্ট (২০ মার্চ ২০০৭)। "'স্পাইডারম্যান' হ্যাজ এনাদার গো এট টুইন টাওয়ার"দ্য ষ্টার। ২২ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১১ 
  29. শীলা চন্দ্রন (২৫ আগস্ট ২০০৫)। "ডকুমেন্টারী অন দ্য পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারস"দ্য ষ্টার(মালেয়শিয়া)। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১০ 
  30. দো লেডেসমা, চার্লস; লুইস, মার্ক; সেভেজ, পলিন (২০০৩)। রাফ গাইড টু মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুর এন্ড ব্রুনাই। রাফ গাইডস। পৃষ্ঠা ১৩২। আইএসবিএন 1-84353-094-5 
  31. ফ্র্যাঙ্কহ্যাম, স্টিভ (২০০৮)। মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর। ফুটপ্রিন্ট ট্রাভেল গাইডস। পৃষ্ঠা ৬৮আইএসবিএন 978-1-906098-11-7 
  32. মোসকাল, গ্রেগ (২০০৪)।
  33. চ্যাং, ফু-কুও (২০০৫)। ষ্ট্রাকচারাল হেলথ মনিটরিং, ২০০৫ঃ এ্যাডভান্সমেন্টস এন্ড চ্যালেঞ্জেস ফর ইমপ্লিমেন্টেশন। ডেসটেক পাবলিকেশনস। পৃষ্ঠা ২৭০। আইএসবিএন 1-932078-51-7 
  34. "দ্য পেট্রোনাস টাওয়ারস স্কাইব্রিজ"। দ্য পেট্রোনাস টাওয়ারস। ২৫ অক্টোবর ২০১০। ৭ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১০ 
  35. রোথর্ন, ক্রিস; কোহেন, মুহাম্মদ; উইলিয়ামস, চায়না (২০০৮)।
  36. উড, এ,; চৌ, ডাব্লু, কে, (২০০৫)। "দ্য স্কাইব্রিজ ‍এ্যাজ এ্যান ইভাকুয়েশন অপশন ফর টল বিল্ডিংস ফর হাইরাইজ সিটিস ইন দ্য ফার ইষ্ট": ১১৩–১২৪। ডিওআই:10.2190/1417-hh0k-1w74-170r 
  37. World's Tallest Towers in Malaysia Evacuated After Threats.
  38. "দ্য পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারস অফিসিয়াল ওয়েব সাইট"। পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারস। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১২ 
  39. হুইলার, মার্ক (মে ১৯৯৬)। "দ্য ওয়ার্ল্ডস টলেষ্ট বিল্ডিং"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১২ 
  40. "পেট্রোনাস টাওয়ারস লিফট সিসটেম"। দ্য পেট্রোনাস টাওয়ারস। ২৫ অক্টোবর ২০১০। ৭ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১০ 
  41. "বিবিসি নিউজ - এন্টানটেইনমেন্ট - এনট্রাপমেন্ট র‌্যাপড বাই মালেয়শিয়ান পিএম"news.bbc.co.uk 
  42. "হিটম্যান টু সাইলেন্ট অ্যাসাসিন প্রিমা অফিসিয়াল ই-গাইড"। স্ক্রাইবড ডট কম। ২৬ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৩ 
  43. বলডেরাস, ক্রিস্টোফার (৩০ আগস্ট ২০১৮)। "টোয়েন্টি অব দ্য সিকেষ্ট প্লেসেস ফিচারড অন দ্য অ্যামাজিং রেস (দ্যাট উই ক্যান ভিজিট টু )"দ্য ট্রাভেল। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০২০ 
  44. কুইয়াটকভস্কি, এলিজাবেথ (১৭ মার্চ ২০১৪)। "'The Amazing Race: All-Stars' "Newlyweds" team Brendon Villegas and Rachel Reilly survive non-elimination leg"রিয়ালিটি টিভি ওর্য়াল্ড। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০২০ 
  45. https://musamonga.com/2017/05/03/5-hollywood-films-in-malaysia/ Hollywood movies shot in Malaysia
  46. http://www.hkmdb.com/db/movies/view.mhtml?id=14703&display_set=eng Viral Factor
  47. https://www.nst.com.my/news/2016/04/141082/petronas-twin-towers-features-independence-day-sequel-its-not-good-news Independence Day: Resurgence

বহিঃসংযোগ

রেকর্ড
পূর্বসূরী
উইলিস টাওয়ার
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন স্থাপত্য
৪৫২.০ মিটার (১,৪৮২.৯ ফুট)

১৯৯৮-২০০৩
উত্তরসূরী
তাইপে ১০১
পূর্বসূরী
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু দ্বৈত টাওয়ার
৪৫২.০ মিটার (১,৪৮২.৯ ফুট)

১৯৯৮-বর্তমান
উত্তরসূরী
বর্তমান