ইভো আন্দ্রিচ
ইভো আন্দ্রিচ | |
---|---|
জন্ম | ডলিক,ট্রাভনিক শহরের কাছে একটি গ্রাম, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | ৯ অক্টোবর ১৮৯২
মৃত্যু | মার্চ ১৩, ১৯৭৫ বেলগ্রেড, যুগোস্লাভিয়া (বর্তমানে সার্বিয়া) | (বয়স ৮২)
পেশা | ঔপন্যাসিক, ছোটগল্প লেখক |
জাতীয়তা | যুগোস্লাভীয় |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (১৯৬১) |
ইভান "ইভো" আন্দ্রিচ (৯ অক্টোবর, ১৮৯২- ১৩ মার্চ, ১৯৭৫) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী যুগোস্লাভীয় ঔপন্যাসিক[১] ও ছোটগল্প লেখক। তার অধিকাংশ রচনার পটভূমি আর উৎস হচ্ছে বসনিয়া ও বসনিয়ায় তার অভিজ্ঞতা। ১৯৬১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। [২]
সংক্ষিপ্ত জীবনী
[সম্পাদনা]ইভো আন্দ্রিচ বসনিয়ার (তৎকালীন অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্গত) ট্রাভনিক শহরের কাছে ডলিক গ্রামে ১৮৯২ সালের ৯ অক্টোবর এক ক্রোট পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার নাম পিতৃপ্রদত্ত নাম ইভান হলেও তিনি ইভো নামে পরিচিত হন। আন্দ্রিচের বয়স যখন দুই, তখন তার বাবা আন্তুন মৃত্যুবরণ করেন। দারিদ্রের কারণে আন্দ্রিচের মা কাতারিনা আন্দ্রিচকে তার মায়ের কাছে, পূর্ব বসনিয়ার এক শহরে পাঠিয়ে দেন। শহরটি দ্রিনা নদীর তীরে অবস্থিত। এই দ্রিনা নদী, তার উপর অবস্থিত ষোড়শ শতাব্দীর একটি সেতু আর তার আশেপাশের মানুষের জীবনকাহিনী অবলম্বনেই ইভো আন্দ্রিচ তার কালজয়ী উপন্যাস, দ্য ব্রিজ অন দ্য দ্রিনা রচনা করেন।[৩]
ইভো আন্দ্রিচ জাগরেব, ভিয়েনা ও ক্রাকোউ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। এসময় তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন, যে আন্দোলনের সবচেয়ে মুখ্য আর উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল আর্চডিউক ফ্রানৎস ফার্দিনান্দের হত্যা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর তাকে তিন বছর কারাবাসে থাকতে হয়েছিল।[৪] তার কর্মজীবন শুরু হয় যুগোস্লাভ কূটনীতিক হিসেবে, এবং ১৯৩৯ সালে তিনি বার্লিনে রাষ্ট্রদূত পদেও উন্নীত হন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে আন্দ্রিচ বেলগ্রেডে থাকা শুরু করেন। বেলগ্রেডেই ১৯৪৫ সালের মধ্যে তিনি তার বিখ্যাত উপন্যাসগুলো রচনা করেন।
বেলগ্রেডে অবস্থানকালেই, ১৯৬১ সালে তার মহাকাব্যিক ক্ষমতা, যার সাহায্যে তিনি মূল খুঁজে বের করেছেন আর নিজ দেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করে বর্ণনা করেছেন মানুষের লক্ষ্যর জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৭২ সালে বেলগ্রেড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। ১৯৭৫ সালের ১৩ মার্চ বেলগ্রেডে ইভো আন্দ্রিচ মৃত্যুবরণ করেন। তাকে বেলগ্রেডেই সমাহিত করা হয়।[৩]
সাহিত্যকর্ম
[সম্পাদনা]প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পের লেখক এবং ঔপন্যাসিক আন্দ্রিচ সম্ভবত সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার মহাকাব্যিক উপন্যাসগুলোর জন্য। যদিও তিনি সাহিত্যজগতে পা রাখেন কাব্যচর্চার মাধ্যমে। দ্য ব্রিজ অন দ্য ড্রিনা আর বসনিয়ান ক্রনিকল তার জগদ্বিখ্যাত দুটি উপন্যাস। বলকানের অভিজ্ঞতাসম্বৃদ্ধ দুর্বোধ্য ট্রাজেডির গল্প থার্স্টের বিষয়বস্তু হল করুণা আর ইন্দ্রিয়তৃপ্তির অপরিহার্য ব্যাপারগুলোর মাঝে বিরোধ। কাহিনীর ধারাবাহিক বিবরণ দেওয়ায় প্রাক-হেমিংওয়ে রীতি-পদ্ধতির মধ্যে যে ক্ষমতা লুকিয়ে থাকে এই গল্পের মাধ্যমে সেটাই বেরিয়ে এসেছে। নিঃসন্দেহে স্লাভদেশীয় লক্ষণবৈশিষ্ট্যপূর্ণ কাহিনীর গতি মন্থর, বিশদভাবে বিস্তৃত, এক নির্লিপ্ত সমবেদনায় আবিষ্ট। তার উপন্যাসগুলো হচ্ছে-
- দ্য ব্রিজ অন দ্য ড্রিনা
- বসনিয়ান ক্রনিকল (ক্রনিকলস অব ট্রাভনিক নামেও পরিচিত)
- দ্য উওম্যান ফ্রম সারায়েভো[৫]
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম হচ্ছে[৬]-
- Ex Ponto[৫] (১৯১৮)
- Unrest[৫] (Nemiri, ১৯২০)
- The Journey of Alija Đerzelez[৭] (Put Alije Đerzeleza, ১৯২০)
- The Vizier's Elephant[৮] (Priča o vezirovom slonu, ১৯৪৮; অনূদিত ১৯৬২)
- The Damned Yard[৯] (Prokleta avlija, ১৯৫৪)
- Omer-Pasha Latas[১০] (Omerpaša Latas, মৃত্যুর পরে প্রকাশিত, ১৯৭৭)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Rajko Đurić, Romanies and Europe: Romanies as Characters in European Literature (Council of Europe, 1996: আইএসবিএন ৯২-৮৭১-২৮৫৫-৩), p. 11.
- ↑ "The Nobel Prize in Literature 1961"। NobelPrize.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৫।
- ↑ ক খ [১], nobelprize.org, ইভো আন্দ্রিচের জীবনী।
- ↑ বিশ্বের সেরা নোবেল বিজয়ীদের শ্রেষ্ঠ গল্প (২০১১), অনুবাদ-জুলফিকার নিউটন, ত্রয়ী প্রকাশন, ঢাকা।
- ↑ ক খ গ "Lyricists"। Ivoandric.org.rs। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৫, ২০১১।
- ↑ [২] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে, The Ivo Andric Foundation.
- ↑ "The Journey of Ali Djerzelez"। Ivoandric.org.rs। ১৭ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৫, ২০১১।
- ↑ "Andric's Treasury II"। Ivoandric.org.rs। ১৭ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৫, ২০১১।
- ↑ "The Damned Yard"। Ivoandric.org.rs। ১৭ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৫, ২০১১।
- ↑ "Omer Pasha Latas"। Ivoandric.org.rs। ১ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৫, ২০১১।