রসুল বিজয় (জৈনুদ্দীনের কাব্য)
লেখক | জৈনুদ্দীন |
---|---|
দেশ | মুঘল ভারত |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | রাসুলের জীবনী ও যুদ্ধের বর্ণনা |
প্রকাশনার তারিখ | ১৫ শতক |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রিত গ্রন্থ (শক্তমলাট) |
রসুল বিজয় ১৫ শতকের একটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ, যেটি মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যকে প্রতিনিধিত্ব করে।[১] কাব্যটি মধ্যযুগের কবি জৈনুদ্দীন রচনা করেছেন, যিনি গৌড়ের সুলতান শামসুদ্দিন ইউসুফ শাহের সভাকবি ছিলেন, এবং তারই পৃষ্ঠপোষকতায় এটি রচনা করেছেন।[২] লেখক জৈনুদ্দীন এই কাব্যটি লিখেই জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি গৌড়ের সুলতান শামসুদ্দিন ইউসুফ শাহের (১৪৭৪ - ১৪৮১) সভাকবি ছিলেন, এবং শামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ সুলতান হবার আগে থেকেই জৈনুদ্দীনের লেখালিখির পৃষ্ঠপোষকতা করতেন।
রসুল বিজয় কাব্যটি তার মৌলিক রচনা নয় বরং কোনো ফার্সি গ্রন্থের অনুসরণে লিখিত। তার এই কাব্যটি প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে মুসলমান রচিত বিজয় কাব্যধারার অন্যতম পথিকৃৎ। কাব্যটি মূলত একটি কাহিনীকাব্য রচনা। এতে ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ ও ইরাক অধিপতি জয়কুমেরের মধ্যকার দীর্ঘ যুদ্ধের বর্ণনা করা হয়েছে, কাব্য যুদ্ধে শেষে ইসলাম ও মহানবীর বিজয় দেখানো হয়েছে। কাব্যে রসুলের উপদেশ ও বানী রয়েছে, এছাড়াও যুদ্ধের নানা বর্ণনা ও রসুলের শৌর্যবীর্যের যে ব্যাপক বর্ণনা রয়েছে।[৩]
কাব্যের উৎস ফারসি সাহিত্য থেকে নেওয়া হলেও, কোন কাব্য অনুসরণ এটি রচনা করা হয়েছে, এটা জানা যায়নি। প্রায় একই সময়ে রুকনউদ্দিন বারবাক শাহের রাজত্বকালে কবি মালাধর বসু শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্য রচনা করেন। রসুল বিজয় কাব্যটি সেই সময়ে এতোটাই জনপ্রিয় ছিলো যে, মনে করা হতো শ্রীকৃষ্ণবিজয়ের হিন্দুদের এবং রসুল বিজয় সাহিত্য ও ধর্মের মানদণ্ডে যথাক্রমে হিন্দুদের ও মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করছে।
আহমদ শরীফ সম্পাদিত মধ্যযুগের কাব্য-সংগ্রহের 'রণাঙ্গনের দৃশ্য'- অধ্যায়ে বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। রসুল বিজয় কাব্যটি সেই সময়ে এতোটাই জনপ্রিয় ছিলো যে, এটাকে হিন্দুদের শ্রীকৃষ্ণবিজয়ের সাথে সাহিত্য ও ধর্মের মানদণ্ডে প্রতিনিধিত্ব করছে বলে মনে করা হতো।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ রফিকুল ইসলাম ও অন্যান্য সম্পাদিত; কবিতা সংগ্রহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; তৃতীয় মুদ্রণ; জুলাই, ১৯৯০; পৃষ্ঠা- ৪৩৯
- ↑ "জৈনুদ্দীন - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২১।
- ↑ Ragib, Hammad (২০১৯-০৯-১৯)। "সুলতানি আমলে বাংলা সাহিত্য"। Fateh24 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২১।