ইংলিশ টিলা সুনামগঞ্জ জেলার অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান, যা সিলেটের ছাতকের অন্তর্গত বাগবাড়ি গ্রামে অবস্থিত।
বিশেষত্ব
পৌরশহরের প্রানকেন্দ্র পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাগবাড়ি গ্রামের প্রায় মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত জর্জ ইংলিশ এসকুয়ারের সমাধিস্থল ইংলিশ টিলা। ১৭৯৪ সালে ইংল্যান্ড থেকে জর্জ ইংলিশ এসকুয়ার নামের এক ইংলিশ ব্যবসায়ি স্ব-স্ত্রীক ছাতকে আসেন ব্যবসার জন্য। তিনি এখানে কোম্পানী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চুনাপাথর ব্যবসা শুরু করেন, যা ছাতকে সর্বপ্রথম চুনাপাথরের ব্যাবসা এবং তার প্রচেষ্ঠায়ই ছাতকে সম্ভাবনাময় চুনাশিল্পের দ্বার উন্মোচিত হয়। জর্জ ইংলিশ ছাতকে থেকে প্রায় ৫০ বছর ব্যবসা-বানিজ্য পরিচালনা করে ১৮৫০ সালে ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করলে তার স্ত্রী হেনরী ইংলিশ স্বামীর ব্যবসা-বানিজ্য দেখাশুনা করতে লাগেন। ঐ বছরই মিসেস হেনরী ইংলিশ স্বামীর স্মৃতি রক্ষার্থে টিলার উপর নির্মাণ করেন একটি দর্শনীয় বিশাল স্মৃতিসৌধ, যা পরবর্তীকালে সাহেব মিনার নামে পরিচিতি লাভ করে।
জর্জ ইংলিশ মারা যাবার ক’বছর পর তার স্ত্রী মিসেস হেনরী ইংলিশ ব্যবসা-বানিজ্য গুটিয়ে এ দেশ থেকে নিজ দেশ ইংল্যান্ডে চলে গেলে ইংলিশ টিলা ও সাহেবের মিনার সরকারি সম্পত্তিতে পরিণত হয়। প্রায় ২৫ ফুট উচু ও বর্গাকারে সাড়ে চারফুট চওড়া মিনারটির গায়ে মার্বেল পাথরে খোদাই করে ইংরেজীতে লিখা আছে ‘ইংলিশ দম্পতির’ ইতিহাস।
খাওয়া দাওয়া
ছাতকে স্থানীয় পর্যায়ের বিখ্যাত খাদ্য হলো আথনী পোলাও ও সাতকরা (হাতকরা)। এছাড়াও স্থানীয় আনারস, কমলা, পান, লেবু এবং কাঠালেরও সুখ্যাতি রয়েছে। হাওড় এলাকায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এবং খামার ভিত্তিক হাঁস পালন করা হয়। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। খাবারের জন্য যেতে পারেন -
- রয়েল পার্ক : ছাতক বাজার।
থাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান
ছাতকে থাকার জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার জেলা পরিষদ ডাক বাংলো ছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ের কিছু মানসম্মত রেস্ট হাউস ও মোটামুটি মানের হোটেল রয়েছে, যেখানে ৪০০ থেকে ২,০০০ টাকায় বিভিন্ন ধরণের রুম পাওয়া যায়। এসব হোটেলের মধ্যে রয়েছে -
- রইছ বোর্ডিং : পশ্চিম বাজার, ছাতক;
- রয়েল পার্ক : ছাতক বাজার;
- মাহবুব বোর্ডিং : পশ্চিম বাজার, ছাতক।