আইএসআইএল আঞ্চলিক দাবি
ইসলামিক স্টেট الدولة الإسلامية আদ-দাওলাতুল ইসলামিয়া | |
---|---|
Flag | |
নীতিবাক্য: لا إله إلا الله، محمد رسول الله "Lā ʾilāha ʾillā llāh, Muhammadun rasūlu llāh" "There is no god but God; Muhammad is the messenger of God. دولة الإسلام باقية وتتمدد দাওলাত আল-ইসলাম বাকিয়া ওয়া-তাতামাদ্দাদ "ইসলামের রাষ্ট্র রয়েছে ও প্রসারিত হচ্ছে" | |
জাতীয় সঙ্গীত:
| |
অবস্থা | অস্বীকৃত প্রোটো-রাষ্ট্র একটি সন্ত্রাসী সংস্থা হিসাবে মনোনীত |
রাজধানী | রাক্কা (২০১৩-১৭) মায়াদিন[২] (২০১৭) |
সরকারি ভাষা | আরবি |
ধর্ম | সুন্নি (ইসলাম) |
সরকার | ঐক্যবদ্ধ ইসলামী ঐক্যমত্য সামগ্রিকতাবাদী "খিলাফত" |
• স্ব-ঘোষিত "খলিফা" | আবু বকর আল-বাগদাদি |
• শুরা কাউন্সিলের প্রধান | আবু আর্কান আল-আমেরি |
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই | |
• জামায়াত-আল-তাওহীদ ওয়াল-জিহাদ নামে প্রতিষ্ঠিত হয় | ১৯৯৯ |
• আল কায়েদার সাথে যুক্ত হয় | অক্টোবর ২০০৪ |
• ইরাক ইসলামী রাষ্ট্রএর ঘোষণা | ১৩ অক্টোবর ২০০৬ |
• লেভান্ট অঞ্চলের দাবি | ৮ ৈএপ্রিল ২০১৩ |
• আল-কায়েদা থেকে পৃথক | ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ |
• "খিলাফত" ঘোষণা | ২৯ জুন ২০১৪ |
১০ জুলাই ২০১৭ | |
মুদ্রা | ইসলামিক দিনার[৩] প্রকৃতপক্ষে ইরাকি দিনার, সিরীয় পাউন্ড |
গাড়ী চালনার দিক | ডান |
ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্টের (আইএসআইএল) দখলকৃত অঞ্চল হল ইরাক এবং সিরিয়া, যারা ২০১৪ থেকে নভেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের শহর, গ্রাম এবং মরুভূমি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট বা সংক্ষেপে আইএসআইএল ইয়েমেন, আফগানিস্তান, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, মিশর, এবং সম্ভবত সোমালিয়া এবং কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ভূমি নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। আলজেরিয়া, ইরাক, পাকিস্তান, তিউনিশিয়া, ককেশাস, ফিলিপাইন এবং সৌদি আরব যেখানে তারা এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি সেখানে গ্রুপটির বেশকিছু বিদ্রোহী উইংস রয়েছে। আইএসআইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের মতে অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত, আইএসআইএস ইরাক ও সিরিয়ার প্রায় ১০,২১০ বর্গ কি.মি. অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
নির্দিষ্ট আঞ্চলিক দাবি
[সম্পাদনা]ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট একটি সক্রিয় চরমপন্থী ইসলামী বিদ্রোহী গ্রুপ এবং তারা মধ্যপ্রাচ্যে খিলাফত ঘোষণা করে এবং একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র দাবি করে। তারা বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় থেকে খিলাফত ঘোষণার পর তরা বিশ্বব্যপী মুসলিমদের উপর ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামরিক কর্তৃত্ব দাবি করে। কোন রাষ্ট্রই এখনো পর্যন্ত আইএসআইএলকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। দলটির মূল লক্ষ্য হল একটি ইসলামী রাষ্ট্র এবং সামরিক জিহাদের মাধ্যমে সালাফি ইসলাম অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা।
আইএসআইএল প্রাথমিকভাবে সিরিয়া এবং ইরাক অঞ্চলের দাবি জানায়, এবং পূর্ববর্তী শাসন সীমানা উপর ভিত্তি করে প্রতিটি দেশকে একাধিক উইলায়হে (প্রদেশে) বিভক্ত করে। নভেম্বর ১৩, ২০১৪ সালে গ্রুপটির প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদী সিরিয়া এবং ইরাকে বাইরে থেকে প্রথম বারের মত ঐ অঞ্চলের কর্তৃত্ব দাবি করে। আল-বাগদাদি তখন লিবিয়ায় (উইলায়হে বারকাহ, উইলায়হে তারাবুলাস এবং উইলায়হে ফিজান) আলজেরিয়া (উইলায়হে আল-জাজায়ের), মিশর (উইলায়হে সিনাই), ইয়েমেন (উইলায়হে আল-ইয়ামান), এবং সৌদি আরবে (উইলায়হে আল- হারামাইন) নতুন উইলায়হে বা প্রদেশ ঘোষণা করেন।
২০১৫ সালে, আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে (উইলায়হে খোরাসান), উত্তর নাইজেরিয়ায় (উইলায়হে ঘার আফকিকিয়া), এবং উত্তর ককেশাসেসে (উইলায়হে আল-কাওয়াকাজ) নতুন প্রদেশ ঘোষণা করা হয়।
ইরাক ও সিরিয়া
[সম্পাদনা]ইরাক-ভিত্তিক বিদ্রোহী গ্রুপ মুজাহিদীন শুরা কাউন্সিল ঘোষণা করা হয় তখন আইএসআইএল অক্টোবর ২০০৬ এ একটি ইসলামিক স্টেট অব ইরাক প্রতিষ্ঠা করছিল, এটি সাত ইরাকি প্রদেশের, বাগদাদ, আল আন্বার, দিয়ালা, কির্কুক, সালাহ আল-দিনা, নিনাওয়া এবং বাবলের কিছু অংশ, উপর কর্তৃত্ব দাবি করে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Aymenn Jawad Al-Tamimi (২৮ জানুয়ারি ২০১৪)। ""My Ummah, Dawn Has Appeared": Nasheed for the Islamic State of Iraq and ash-Sham"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ Tomlinson, Lucas (২১ এপ্রিল ২০১৭)। "ISIS moves its capital in Syria"। Fox News। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "ISIS introduces 'Golden Dinar' currency, Hopes it will collapse U.S. dollar • The Foreign Desk"। ৬ জুলাই ২০১৬। ৭ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৮।