বিষয়বস্তুতে চলুন

আলা বখশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুহম্মদ আলা বখশ

ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
মৃত্যু
ধর্মইসলাম
উদ্ভব১৬শ শতাব্দী
সন্তানএলাহী বখশ
আখ্যাসুন্নী
ব্যবহারশাস্ত্রহনফী
তরিকানকশবন্দী তরিকা
সম্পর্কআব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী

শাহ মুহম্মদ আলা বখশ ছিলেন ষোড়শ শতাব্দীর একজন বাঙ্গালী ধর্মতত্ত্ববিদ বা আলিমে দ্বীন। তিনি আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলীর পূর্বপুরুষ ছিলেন, যিনি বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট সুফিও ছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন ও খান্দান

[সম্পাদনা]

আলা বখশ ১৫০০-এর শতাব্দীতে শাহী বাঙ্গালার শ্রীহট্ট শহরের একটি সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালী মুসলিম খান্দানে পয়দা হলেন। তিনি ইয়েমেনের শাহ কামাল (যিনি শাহ পাহলোয়ান নামেও পরিচিত) এর বংশধর ছিলেন। শাহ কামাল ছিলেন শাহ জালালের অন্যতম মুরীদ এবং ১৩০৩ খ্রীষ্টাব্দের শ্রীহট্ট বিজয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[][] বিজয়ের বাদে, উনি শাহ মঈনুদ্দীনের ও শাহ জওহর উদ্দীনের সাথে বর্তমান জালালপুরের মোকামদুয়ার গাঁওয়ে বসতি স্থাপন করেন। মোকামদুয়ারে এই তিন পীরদের মাজার এখনও বিদ্যমান রয়েছে।[]

আধ্যাত্মিক কারণে আলা বখশ তার খান্দানের সাথে জালালপুর থেকে চলে আসেন, অবশেষে ফুলতলী গাঁওয়ে বসতি স্থাপন করেন। শাহ এলাহী বখশ নামে তার একটি ছেলে ছিল।[]

দৃষ্টিভঙ্গি

[সম্পাদনা]

আলা বখশ সম্ভবত তাঁর পরদাদা-আওলাদদের মতোই নকশবন্দী তরীকার সাথে জড়িত ছিলেন। এই আন্দাজটি আরো স্পষ্ট হয় যখন দেখা যায় যে আলা বখশ পঞ্জাবের সমসাময়িক আলিম আহমদ সিরহিন্দীর তাবেদার ছিলেন।[] সিরহিন্দীর মতোই, আলা বখশও মোগল বাদশাহ আকবর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দীন-ই-ইলাহীর সমালোচক ছিলেন এবং ১৫৮০-এর দশকে সিরহিন্দির বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।[]

ওয়ারিশ

[সম্পাদনা]

বখশের আওলাদরা দ্বীনী এলেমের উল্লেখযোগ্য আশখাস হওয়ার খান্দানী ঐতিহ্য অব্যাহত রেখেছে। তাঁর নাতি শাহ মুহম্মদ সাদেককের ছেলে শাহ মুহম্মদ দানিশ। দানিশের ছেলে শাহ মুহম্মদ হিরন নামে পরিচিত ছিলেন। হিরন ছিলেন শাহ মুফতি মুহম্মদ আব্দুল মজীদ নকশবন্দী মুজদ্দিদীর বাবা, যিনি চৌধুরী উপাধিতে ভূষিত হন। হিরনের নাতি, আবদুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী বাংলাদেশ, ভারত এবং যুক্তরাজ্যের ফুলতলী মসলকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিশিষ্টতা অর্জন করেন।[] আলা বখশের আরেকজন বংশধর ছিলেন ফাতির আলী, যিনি ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দে বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করেছিলেন।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. হুদা, মুহাম্মদ শেহাবুল (১৯৮৫)। The Saints And Shrines Of Chittagong [চট্টগ্রামের সাধু-সন্ত ও মাজার] (গবেষণাপত্র) (ইংরেজি ভাষায়)। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৬৩। 
  2. সৈয়দ মুর্তাজা আলী (১৯৭১)। Saints of East Pakistan [পূর্ব পাকিস্তানের সাধুগণ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, পাকিস্তান শাখা। পৃষ্ঠা ২৭। 
  3. কুরাশি, ইশফাক (ডিসেম্বর ২০১২)। "তিন'শ ষাট আউলিয়ার বিবরণ"। শাহজালাল(রঃ) এবং শাহদাউদ কুরায়শী(রঃ) 
  4. "Family Background"। ফুলতলী। ২০০৭। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১০ 
  5. আহমেদ, আব্দুল-আজিম; আলি, মনসুর (২০১৯)। In Search of Sylhet – The Fultoli Tradition in Britain [সিলেটের অনুসন্ধানে - ব্রিটেনে ফুলতলী ঐতিহ্য] (গবেষণাপত্র)। যুক্তরাজ্য ইসলাম অধ্যয়ন কেন্দ্র, কার্ডিফ: কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় 
  6. আমিন, ফয়সাল (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "ফুলতলী কামিল মাদরাসার শতবর্ষ উদ্যাপন ২০ ফেব্রুয়ারি"দৈনিক ইনকিলাব