ইয়োসি বেইলিন
ডাঃ ইয়োসি বেইলিন একজন ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ ও পণ্ডিত, যিনি ইসরায়েল সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও নেতৃত্বের পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় লেবার পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি মেরেতজ -ইয়াকাদ রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর, ইয়োসি 'বিইলিংক' নামে একটি ব্যবসায়িক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ইসরায়েলি কাগজ হারেটজ ও ইসরাইল হায়োম-এ মতামত লিখেছেন।
ইয়োসি বেইলিন ১৯৯০-এর দশকে ইসরায়েল -ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ব্যাক-চ্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, যা অবশেষে ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তি গ্রহণের দিকে পরিচালিত করে, এটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসানের জন্য একটি কাঠামো চুক্তি। [১]
জীবনী
[সম্পাদনা]ইয়োসি বেইলিন একটি উদার পরিবারে তেল আবিব শহরে বেড়ে ওঠেন। বার মিতজভা বয়সে, তিনি আরও কঠোরভাবে ধর্মীয় জীবন গ্রহণ করেছিলেন, যদিও তিনি ইয়ারমুলকে (ঐতিহ্যবাহী ইহুদি টুপি) পরিধান করতে পছন্দ করেননি। তিনি হার্জলিয়া জিমনেসিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সসে (আইডিএফ) সিগন্যাল কোরে দায়িত্ব পালন করেন এবং সিনাই ডিভিশনে সিনাইয়ে ছয় দিনের যুদ্ধে (১৯৬৭) অংশগ্রহণ করেন। ইয়ম কিপ্পুর যুদ্ধে (১৯৭৩) সেনা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধের আঘাত তার বিশ্বাসকে নাড়া দেয় এবং তিনি ধর্মীয় জীবনযাপন বন্ধ করে দেন।
জনজীবন
[সম্পাদনা]১৯৬৯ সালে বেইলিন ড্যাভার পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৭৭সালে লেবার পার্টির মুখপাত্র হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৪৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শিমন পেরেসের নির্বাচনের পর তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮৬ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক হন। [২]
এই সময়কালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসন থেকে ইসরায়েলকে দূরে রাখার কাজ করেন। ইয়োসি বেইলিন ১৯৮৮ সালে লেবার পার্টি কর্তৃক নেসেটে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯০ সালে জাতীয় ঐক্য সরকারের বিলুপ্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ উপমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
ইয়োসি বেইলিন লেবার পার্টিতে থাকাকালীন সময়ে, ইয়ার হিরশফেল্ড ও রন পুন্ডকের সাথে ইকোনমিক কোঅপারেশন ফাউন্ডেশন (ইসিএফ) প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি ২০১৮ সাল থেকে ইসরায়েলের হিলেল ছাত্র সংগঠনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন।
অনার্স
[সম্পাদনা]তিনি ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে ইসরায়েলে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত কর্তৃক লেজিওঁ দনরে ভূষিত হন।[৩] একই বছর তিনি "ইতালিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউট আর্কাইভিও ডিসারমো" কর্তৃক জারি করা সাংবাদিকতার পুরস্কার গোল্ডেন ডোভস ফর পিস লাভ করেন[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Clyde Haberman (৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩)। "Mideast Accord: The Secret Peace/A special report; How Oslo Helped Mold the Mideast Pact - The New York Times"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৮।
- ↑ "Archived copy"। ২০১৬-০৩-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১১।
- ↑ "Yossi Beilin reçoit la légion d'honneur" (ফরাসি ভাষায়)। Guysen.com। ২০০৯-১১-১৮। ২০১১-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-১৯।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২২ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ধর্মনিরপেক্ষবাদী ইহুদি
- ইসরায়েলি শ্রমিক দলের রাজনীতিবিদ
- অ্যালাইনমেন্ট (ইসরায়েল) এর রাজনীতিবিদ
- লেজিওঁ দনর প্রাপক
- জীবিত ব্যক্তি
- ১৯৪৮-এ জন্ম
- ইহুদি অজ্ঞেয়বাদী
- মেরেটজের নেতা
- তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ইসরায়েলের উপমন্ত্রী
- নেসেটের সদস্য ১৯৮৮-১৯৯২
- নেসেটের সদস্য ১৯৯২-১৯৯৬
- নেসেটের সদস্য ১৯৯৬-১৯৯৯
- নেসেটের সদস্য ১৯৯৯-২০০৩
- নেসেটের সদস্য ২০০৬-২০০৯
- ওয়ান ইসরায়েলের রাজনীতিবিদ
- ইসরায়েলের বিচারমন্ত্রী
- ইসরায়েলের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী
- মেরেটজের রাজনীতিবিদ