ইরিনা বোকোভা
ইরিনা বোকোভা | |
---|---|
জন্ম | |
মাতৃশিক্ষায়তন | আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মস্কো স্টেট ইন্সটিটিউট |
পেশা | ইউনেস্কো মহাপরিচালক |
দাম্পত্য সঙ্গী | লুবোমির কোলারোভ (বিবাহ-বিচ্ছেদ) কালিন মিত্রেভ |
সন্তান | পল এবং নাইয়া |
ওয়েবসাইট | www.irinabokova.com |
ইরিনা বোকোভা (বুলগেরীয় ভাষায়ঃ Ирина Георгиева Бокова) (জন্মঃ ১২ জুলাই, ১৯৫২) বুলগেরীয় রাজনীতিবিদ এবং ইউনেস্কো'র বর্তমান মহাপরিচালক। তার পুরো নাম - ইরিনা জর্জিয়েভা বোকোভা। তিনি বুলগেরিয়ার সংসদে দুই মেয়াদে বুলগেরিয়ান সোশ্যালিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঝান ভিদেনোভ সরকারের মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী এবং উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীরূপে দায়িত্ব পালন করেন।[১] বুলগেরিয়া প্রজাতন্ত্রের পক্ষ থেকে ফ্রান্স এবং মোনাকোয় রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন।[২] এছাড়াও তিনি ইউনেস্কোয় বুলগেরীয় প্রতিনিধি এবং বুলগেরীয় প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি হিসেবে ২০০৫-২০০৯ সাল পর্যন্ত ফরাসী ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা অর্গ্যানাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল দ্য লা ফ্রাঙ্কোফোনি'র দায়িত্ব পালন করেন।
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]কমিউনিস্ট যুগের বিতর্কিত রাজনীতিবিদ গিওর্গি বোকোভের কন্যা ইরিনা বোকোভা। তার পিতা ছিলেন বুলগেরিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদপত্র রবোটনিচেস্কো দেলো'র প্রধান সম্পাদক।[৩] মেসিডোনিয়া অঞ্চলের বুলগেরীয় হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।[৪] আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে তিনি মস্কো স্টেট ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হন। ঘটনাক্রমে ১৯৯৬-৯৭ সালের শীতকালে তিনি মন্ত্রীত্ব অর্জন করেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি বুলগেরিয়ান কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন।
ইউনেস্কো মহাপরিচালক
[সম্পাদনা]২২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সালে ইউনেস্কোর মহাপরিচালকরূপে বোকোভাকে নির্বাচিত করা হয়।[১] প্যারিসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করেন। ৫ম পর্যায়ের ভোট পর্বে মিশরীয় বিমূর্ত চিত্রকর ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ফারুক হোসনিকে ৩১-২৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন বোকোভা।[১][২] হোসনি জয়ী হবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এলি উইসেল কর্তৃক ইসরায়েল বিরোধী বক্তব্যের কারণে সমালোচিত হন।[১][৫] ৪র্থ পর্বের ভোটে উভয়েই ২৯ ভোট নিয়ে সমান অবস্থানে ছিলেন। এ বিজয়ের ফলে বোকোভা জাপানের কোচিরো মাতসুরা'র কাছ থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[১] ইউনেস্কোয় তিনি চার বছরের মেয়াদকালের জন্য মনোনীত হন।[২] ১৫ অক্টোবর, ২০০৯ সালে ৩৫তম অধিবেশনে ইউনেস্কোর সাধারণ সভায় ১০ম মহাপরিচালক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ইরিনা বোকোভা বিশ্বের তথা পূর্ব ইউরোপের প্রথম নারী হিসেবে ইউনেস্কো প্রধানের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন।[১] ২৩ অক্টোবর, ২০০৯ সালের শুক্রবার বিকেলে ১নং কক্ষে অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Bokova wins Unesco leadership vote"। Al Jazeera। ২০০৯-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২।
- ↑ ক খ গ "Bokova beats Hosni for UNESCO head"। The Jerusalem Post। ২০০৯-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "A Glance at UNESCO's Next Leader"। The New York Times। ২০০৯-০৯-২২। [অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Стандарт", Брой 5860, 8 май 2009 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-১০-০৫ তারিখে. (বুলগেরীয়)
- ↑ STEVEN ERLANGER (২০০৯-০৯-২২)। "Bulgarian Defeats Egyptian in Unesco Vote"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২২।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Official website[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] (under Creative Commons License)