উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
নীতিবাক্য | সমানো মন্ত্রঃ সমিতি সমানী |
---|---|
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১ জুন ১৯৬২ |
আচার্য | পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল |
উপাচার্য | সি এম রবীন্দ্রন |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২৬৬ (২০২২) |
শিক্ষার্থী | ১৮৮২ |
স্নাতক | ৬২৭ (২০২২)[১] |
স্নাতকোত্তর | ১৬৪ (২০২২)[১] |
১১৬৩ (২০২২)[১] | |
অবস্থান | , ৭৩৪০১১ |
শিক্ষাঙ্গন | গ্রামীণ |
ওয়েবসাইট | উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি ওয়েবসাইট |
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরাংশে তথা দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি শহরের লাগোয়া শিবমন্দিরের রাজা রামমোহনপুরে অবস্থিত একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ও প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমের ক্রমবর্ধমান আর্থ-সামাজিক ও কারিগরি মানবসম্পদ বিকাশের লক্ষ্যে ১৯৬২ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গের শুরুর দিককার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি , এমনকি গোটা উত্তরবঙ্গে গড়ে ওঠা প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। পরিধির দিক থেকে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। ৩১৫.৯৯ একরে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় রয়েছে বিস্তর জঙ্গলাকীর্ণ প্রান্তর,পদ্মজা নাইডু পার্ক, অক্ষয় কুমার মৈত্র হেরিটেজ মিউজিয়াম, রবীন্দ্র-ভানু মঞ্চ। এছাড়াও ছোট্ট একটি ধীর গতিসম্পন্ন নদী ও সুন্দর ছায়াপ্রদানকারী বৃক্ষের সমাহারে প্রকৃতির মনোরম রূপ দেখতে পাওয়া যায়।
্ বিজ্ঞান,কলা ও বানিজ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাদারী কর্মমুখী কোর্স(এমবিএ), স্থানীয় ভাষা, হিমালয় ও চা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্তিয়ারক্ষেত্রের অন্তর্গত কলেজেগুলি আছে।[২][৩][৪][৫][৬]
প্রাঙ্গণ
[সম্পাদনা]উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ি ও বাগডোগরা বিমানবন্দরের মধ্যবর্তী রাজা রামমোহনপুর অঞ্চলে ৩৩০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিবছর ৩৬ হাজারেরও বেশি স্নাতক ও দেড় হাজারেরও বেশি স্নাতকোত্তর ও গবেষক ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন বিষয়ে পঠনপাঠনের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এই ছাত্রছাত্রীরা যে শুধু উত্তরবঙ্গ থেকে আসেন তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অঞ্চল, সিক্কিম, বিহার, এমনকি ভুটান ও নেপাল মতো সার্কভুক্ত নানা দেশ থেকেও ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনার জন্য আসেন। তাই বর্তমানে এটি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে।
সংগঠন ও প্রশাসন
[সম্পাদনা]প্রশাসন
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে উপাচার্য পদটি শূন্য।
উপাচার্যের তালিকা
[সম্পাদনা]সিরিয়াল নম্বর | উপাচার্য | পদকাল |
---|---|---|
১ | বি. এন. দাশগুপ্ত | ১ জুন ১৯৬২ – ৩১ মে ১৯৬৬ |
২ | এ. সি. রায় | ১ জুন ১৯৬৬ – ৩১ মে ১৯৭০ |
৩ | পি. সি. মুখার্জী | ১ জুন ১৯৭০ - ৭ নভেম্বর ১৯৭৪ |
৪ | অমলান দত্ত | ৮ নভেম্বর ১৯৭৪ - ২০ নভেম্বর ১৯৭৭ |
৫ | প্রসাদ কৃষ্ণ ঘোষ | ২১ নভেম্বর ১৯৭৭ - ১৮ এপ্রিল ১৯৮২ |
৬ | এস. এন. সেন (অস্থায়ী) | ১৯ এপ্রিল ১৯৮২ - ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ |
৭ | এইচ. ভৌমিক (অস্থায়ী) | ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ - ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ |
৮ | ডি. বি. দত্ত | ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ - ৩১ আগস্ট ১৯৮৮ |
৯ | কে. এন. চ্যাটার্জী | ১ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ - ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৫ |
১০ | আর. জি. মুখার্জী | ১ জানুয়ারি ১৯৯৬ - ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯ |
১১ | পীযূষ কান্তি সাহা | ১ জানুয়ারি ২০০০ - ৩১ ডিসেম্বর ২০০৭ |
১২ | এ. বসু মজুমদার | ১ জানুয়ারি ২০০৯ - ৩১ মার্চ ২০১২ |
১৩ | সমীর কুমার দাস | ১ এপ্রিল ২০১২ - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ |
১৪ | সোমনাথ ঘোষ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
১৫ | সুবীরেশ ভট্টাচার্য | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ - ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ |
১৬ | ওম প্রকাশ মিশ্র (অস্থায়ী) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ - ২১ মে ২০২৩ |
১৭ | সঞ্চারি রায় মুখোপাধ্যায় (অস্থায়ী) | ২২ মে ২০২৩ – ১৬ জুলাই ২০২৩ |
১৮ | রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় (অস্থায়ী) | ১৭ জুলাই ২০২৩ - ৪ অক্টোবর ২০২৩ |
১৯ | সি. এম. রাভিন্দ্রন (অস্থায়ী) | ৫ অক্টোবর ২০২৩ - ২১ এপ্রিল ২০২৪ |
অনুষদ এবং বিভাগসমূহ
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩০টি বিভাগ রয়েছে, যা দুটি অনুষদ পরিষদে বিভক্ত।
অনুষদ | বিভাগসমূহ |
---|---|
বিজ্ঞান অনুষদ |
|
কলাঃ, বাণিজ্য এবং আইন অনুষদ |
|
কেন্দ্রসমূহ
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন গবেষণা এবং একাডেমিক কেন্দ্র সরবরাহ করে।
কেন্দ্রের নাম |
---|
বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও যন্ত্রপাতি কেন্দ্র |
কম্পিউটার কেন্দ্র |
উন্নয়ন অধ্যয়ন কেন্দ্র |
উচ্চ শক্তি এবং মহাজাগতিক রশ্মি কেন্দ্র |
রিমোট সেন্সিং আবেদন কেন্দ্র |
চা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র |
গণমাধ্যম কেন্দ্র |
হিমালয় গবেষণা কেন্দ্র |
নারী অধ্যয়ন কেন্দ্র |
সামাজিক গবেষণা কেন্দ্র |
স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র |
পর্যটন ও হোটেল ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র |
বিপণন ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র |
আম্বেডকর অধ্যয়ন কেন্দ্র |
উদ্ভাবনী গবেষণা কেন্দ্র |
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্র (কূটনীতি ও যুদ্ধ) |
অধিভুক্তি
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার চারটি অঞ্চলে এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামেরপুর সাব-ডিভিশনে বিস্তৃত। Template:University of North Bengal
একাডেমিক
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয় চার বছরের স্নাতক (বি.এ./বি.এসসি./বি.কম.) এবং পাঁচ বছরের বি.এ. এলএলবি ডিগ্রি প্রদান করে। এছাড়াও, এটি দুই বছরের এম.এ., এম.কম., এম.বি.এ., এম.এসসি., এম.সি.এ. এবং এম.ফার্ম ডিগ্রি, দুই বছরের এমফিল ডিগ্রি এবং পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করে।
অনুমোদন
[সম্পাদনা]২০২২ সালে, বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি কাউন্সিল (NAAC) থেকে ৭ পয়েন্ট স্কেলে ২.৮২ CGPA অর্জন করেছে এবং "B++" গ্রেডে সম্মানিত হয়েছে, যা ৫ বছর মেয়াদী।
মিউজিয়াম
[সম্পাদনা]অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়া হেরিটেজ মিউজিয়াম, রাজা রাজরাম মিউজিয়াম সংগ্রহসহ, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি এখন উত্তরবঙ্গের ইতিহাস সম্পর্কিত ভাস্কর্য, মুদ্রা, চিত্রকলা এবং পাণ্ডুলিপির সংগ্রহস্থল। এটি একটি আঞ্চলিক মিউজিয়াম এবং ভারতের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিয়ামের মধ্যে একটি। এটি ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষণ এবং অধ্যয়ন করে।
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]- সুবাশীষ দে, জলবিদ্যুৎ প্রকৌশলী এবং শিক্ষাবিদ
- চা রু মজুমদার, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা
- আবদুল করিম চৌধুরী, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গণশিক্ষা সম্প্রসারণ এবং গ্রন্থাগার সেবা মন্ত্রী
- মাহিমা চৌধুরী, ভারতীয় অভিনেত্রী এবং মডেল
- ড্যানি ডেনজংপা, ভারতীয় অভিনেতা, গায়ক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক
- জ্যোতি প্রকাশ তামাং, ভারতীয় খাদ্য প্রযুক্তিবিদ, মাইক্রোবায়োলজিস্ট
- পার্থসারথি চক্রবর্তী, ভারতীয় পরিবেশগত ভূ-রসায়নবিদ, প্রাক্তন সিনিয়র বিজ্ঞানী
- দেবকুমার মুখোপাধ্যায়, কোচবিহার পঞ্চানন বার্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
- প্রম সিং তামাং, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী
- সুমনা রায়, ভারতীয় লেখিকা এবং কবি
- ভীম হ্যাং লিম্বু, সিকিমের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মন্ত্রী
- সাবিনা ইয়াসমিন, ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
- সৌরভ চক্রবর্তী, সিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান
- চকিলা আইয়ার, ভারতের প্রথম নারী পররাষ্ট্র সচিব
- শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, সমাজকর্মী, নারী অধিকার আন্দোলনকর্মী
- সুকান্ত মজুমদার, ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ১০তম সভাপতি; লোকসভার সদস্য
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;nirf_stud
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "ফের অচলাবস্থা শিক্ষাঙ্গনে, পড়ুয়া-অশিক্ষক কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়"। sangbadpratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৯।
- ↑ "Bartaman Patrika"। bartamanpatrika.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৯।
- ↑ সাহা, কিশোর। "শিলিগুড়ি ফিরেই পরপর বৈঠকে উপাচার্য"। www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৯।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব। "আন্দোলনে ঝুলল তালা, থমকে বিশ্ববিদ্যালয়"। www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৯।
- ↑ "বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে অবিলম্বে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু দাবি DSO-র"। News18 Bengali। ২০২১-০৭-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৯।