এসএমএস মিটিওর (১৮৯০)
SMS Meteor at anchor
| |
ইতিহাস | |
---|---|
German Empire | |
নাম: | SMS Meteor |
নির্মাতা: | Germaniawerft |
নির্মাণের সময়: | 1888 |
অভিষেক: | 20 July 1890 |
কমিশন লাভ: | 19 May 1891 |
নিয়তি: | Scrapped, 1919 |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | Meteor-শ্রেণী aviso |
ওজন: | ১,০৭৮ metric ton (১,০৬১ লং টন; ১,১৮৮ শর্ট টন) |
দৈর্ঘ্য: | ৭৯.৮৬ মি (২৬২ ফু ০ ইঞ্চি) o/a |
প্রস্থ: | ৯.৫৬ মি (৩১ ফু ৪ ইঞ্চি) |
ড্রাফট: | ৩.৬৮ মি (১২ ফু ১ ইঞ্চি) |
প্রচালনশক্তি: | 2 × 3-cylinder double expansion engines, 2 shafts |
গতিবেগ: | ২০ নট (৩৭ কিমি/ঘ; ২৩ মা/ঘ) |
সীমা: | ৯৬০ নটিক্যাল মাইল (১,৭৮০ কিমি; ১,১০০ মা) at ৯ নট (১৭ কিমি/ঘ; ১০ মা/ঘ) |
লোকবল: |
|
রণসজ্জা: |
|
অস্ত্র: |
|
এসএমএস মিটিওর ছিল জার্মান রাজকীয় নৌবাহিনির একটি এভিসো জাহাজ, যা ছিল মিটিওর শ্রেণীর প্রথম জাহাজ। এটি এসএমএস কমেটের ভগিনী জাহাজ ছিল। এটি জার্মানিওয়াফট শিপইয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছিল।
ডিজাইন
[সম্পাদনা]মিটিওর-এর সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ছিল ৭৯.৮৬ মিটার (২৬২.০ ফুট), বীম ছিল ৯.৫৬ মিটার (৩১.৪ ফুট) এবং এর ড্রাফট সম্মুখ ছিল সর্বোচ্চ ৩.৬৮ মিটার (১২.১ ফুট)। মালামাল বহনকালে এর ওজন ছিল ১,০৭৮ মেট্রিক টন (১,০৬১ লং টন; ১,১৮৮ শর্ট টন)। তার পরিচালনা ব্যবস্থায় দুটি উলম্বিক থ্রি সিলিন্ডার ট্রিপল এক্সপানশন ইঞ্জিন নিয়ে গঠিত। ইঞ্জিনের জন্য বাষ্প চারটি কয়লা ভিত্তিক লোকোমোটিভ বয়লার দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছিল। জাহাজের পরিচালনা ব্যবস্থা তাকে সর্বোচ্চ ২০ নট (৩৭ কিমি/ঘ; ২৩ মা/ঘ) গতি প্রদান করতে সক্ষম ছিল এবং এর রেঞ্জ ছিল প্রায় ৯৬০ নটিক্যাল মাইল (১,৭৮০ কিমি; ১,১০০ মা) এর মধ্যে ৯ নট (১৭ কিমি/ঘ; ১০ মাপাঘ)। মিটিওরের ৭ জন অফিসার ও ১০৮ জন তালিকাভুক্ত ক্রু ছিল।[১]
এটি সজ্জিত ছিল চারটি ৮.৮ সেমি এসকে এল/৩০ বন্দুক দিয়ে, যার দুটি পাশাপাশি সামনের দিকে এবং দুটি পাশাপাশি জাহাজের পিছনের দিকে পিভটের উপরে সাজানো ছিল। বন্দুকসমূহ একসাথে ৪৬২ থেকে ৬৮০ রাউন্ড গোলাবারুদ নিক্ষেপ করতে পারত। এছাড়াও মিটিওরে তিনটি ৩৫ সেমি (১৪ ইঞ্চি) টর্পেডো টিউব ছিল, যার একটি বো-এ নিমজ্জিত ছিল এবং অপর দুইটি ডেকের উপরে ব্রোডসাইডে সাজানো ছিল। এর ১৫ মিমি (০.৫৯ ইঞ্চি) পুরু ডেক সুরক্ষিত ছিল, সেই সাথে ৩০ মিমি (১.২ ইঞ্চি) কনিংটাওয়ারের ইস্পাতের বর্ম প্লাটিং।[১]
পরিসেবার ইতিহাস
[সম্পাদনা]মিটিওর ১৯৮৮ সালে কিলের জার্মানিওয়াফট শিপইয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছিল এবং ১৮৯০ সালে ২০ জানুয়ারি চালু করা হয়েছিল। ১৮৯১ সালে ১৯ মে ফিটিং-আউট কাজ শেষ হওয়ার পর, মিটিওর জার্মান ফ্লিটে কমিশন লাভ করেছিল। মিটিওর জার্মান ফ্লিটে সংক্ষিপ্তভাবে ব্যবহৃত হয়, যার কারণ ছিল বৃহৎ অংশের দরিদ্র পরিচালনা ব্যবস্থা ও উচ্চ গতিতে অত্যধিক কম্পন সৃষ্টি।[২] ১৮৯৩ সালে এটিকে ডিসপাস ভ্যাসেল হিসাবে আই বিভাগে স্থান্তারিত করা হয়েছিল, যেখানে সাসেন-ক্লাস আয়রোণক্লাডের চারটি জাহাজের সাথে ক্ষান্ত হয়েছিল।[৩]
১৮৯৫ সালে মিটিওরকে ফ্রন্ট লাইন সার্ভিস থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং মৎস রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল।[১] এ কাজেও এক বছর লাগানোর পর তাকে পরিসেবার বাইরে স্থাপন করা হয়েছিল। ১৮৯৯ সালে তার ভগিনী জাহাস কমেটের সাথে হালকা ক্রুইজার হিসাবে ভাগ করা হয়েছিল[৪] এবং দুটি একই সাথে নৌবাহিনীর রেজিস্টার থেকে তাড়িত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এটি তার কর্মকক্ষতা অনুসারে পরিসেবা প্রদান করেছিল। ১৯১৯ সালে জার্মান ডিফেক্ট এটিকে বিক্রি করে দেয় এবং রেন্ডসবার্গে এটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল।[১]
নোট
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Gardiner, Robert, সম্পাদক (১৯৭৯)। Conway's All the World's Fighting Ships: 1860–1905। London: Conway Maritime Press। আইএসবিএন 0-85177-133-5।
- Gardiner, Robert; Gray, Randal, সম্পাদকগণ (১৯৮৪)। Conway's All the World's Fighting Ships: 1906–1922। Annapolis, MD: Naval Institute Press। আইএসবিএন 978-0-87021-907-8।
- Gröner, Erich (১৯৯০)। German Warships: 1815–1945। Annapolis, MD: Naval Institute Press। আইএসবিএন 0-87021-790-9।
- "Naval and Military Notes"। Journal of the Royal United Service Institution। London: Royal United Services Institute for Defence Studies। XXXVII (185): 811–823। জুলাই ১৮৯৩। ডিওআই:10.1080/03071849309416563।