বিষয়বস্তুতে চলুন

ওপেথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ওপেথ
ওপেথ ওয়েভ গোতিক ট্রেফফেনে ২০০৯ সালে
ওপেথ ওয়েভ গোতিক ট্রেফফেনে ২০০৯ সালে
প্রাথমিক তথ্য
উদ্ভবস্টকহোম, সুইডেন
ধরনটেকনিক্যাল ডেথ মেটাল, প্রোগ্রেসিভ রক
কার্যকাল১৯৯০–বর্তমান
লেবেলরোডরানার রেকর্ডস, পিসভাইল রেকর্ডস
সদস্যমাইকেল আকেরফেল্ডত
ফ্রেড্রিক অ্যাকেসসন
মার্টিন মেন্ডেয
মার্টিন এক্সেনরট
পার উইবার্গ
ওয়েবসাইটopeth.com

ওপেথ একটি সুইডিশ হেভি মেটাল ব্যান্ড যা স্টকহোমে গঠিত হয়। ব্যান্ডটিতে এ পর্যন্ত অনেক পরিবর্তন হলেও এই ব্যান্ডের গিটারিস্ট, গান লেখক ও গায়ক মাইকেল আকেরফেল্ডত এখনো ব্যান্ডটির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে রয়ে গেছেন সেই ১৯৯০ সাল থেকে।

তাদের গানের শিকড় যদিও আছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ডেথ মেটাল, কিন্তু তারা তাদের গানে জ্যাজ সঙ্গীত, ব্লুজ রক, ফোক ও প্রোগ্রেসিভ সংগীতের প্রভাবিত দীর্ঘ দৈর্ঘ্যের গানের সমাহার ঘটিয়েছেন। তাদের গানে আছে মাঝে মাঝে অ্যাকুস্টিক গিটার ও দ্রুত গতির পরিবর্তন, আর সাথে সাথে আছে খালি গলা ও উচ্চস্বরের ব্যবহারও। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া ব্ল্যাক ওয়াটার পার্ক অ্যালবাম প্রকাশের পর তারা এটার প্রচারের জন্য সফরে বের হয়, যদিও এর আগের ৪টি অ্যালবামের প্রচারে জন্য তারা তেমন সফর করেনি।

ওপেথ এ পর্যন্ত নয়টি স্টুডিও অ্যালবাম, ২টি লাইভ অ্যালবাম, ২টি বক্স সেট ও ২টি ডিভিডি প্রকাশ করেছে। ১৯৯৫ সালে তারা তাদের প্রথম অ্যালবাম অর্কিড প্রকাশ করে। তাদের ঘোস্ট রিভারিস অ্যালবাটি আমেরিকায় বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ২০০৮ সালে প্রকাশিত ওয়াটার শেড অ্যালবামটি প্রকাশের আগে তারা আমেরিকায় তেমন বাণিজ্যিক সাফল্য পায়নি, যা বিলবোর্ড ২০০-তে ২৩তম স্থান পায় ও প্রকাশের সাথে সাথেই ফিনল্যান্ড-এ ১ম অবস্থানে চলে আসে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
মাইকেল আকেরফেল্ডত

ওপেথ ডেথ মেটাল ব্যান্ড হিসেবে ১৯৯০ সালে গঠিত হয় গায়ক ডেভীড ইসবার্গের মাধ্যমে। ইসবার্গ তার সাবেক ব্যান্ড ইরাপশনের সদস্য মাইকেল আকেরফেল্ডতকে বেজিস্ট হিসেবে ব্যান্ডে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। ব্যান্ডের কেউই তেমন জানত না যে তারা নতুন ব্যান্ড গঠন করতে যাচ্ছে।[] উইলবুর স্মিথের উপন্যাস সানবার্ড থেকে ওপেট শব্দটি নিয়ে তাদের ব্যান্ডের নাম রাখা হয়।[] তাদের ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত প্রথম অ্যালবাম অরচিড ডেথ মেটালের সীমা পরীক্ষা করে, এতে পিয়ানো, অ্যাকুস্টিক গিটার ও পরিষ্কার গলার ব্যবহার হয়। অলমিউজিকের মতে এটা মেধাবী, অদ্বিতীয় সূচনা, পাশবিকতা ও সৌন্দর্যের এক অপূর্ব মিশ্রণ।[] ইংল্যান্ড-এ কিছু লাইভ শো করার পর তারা স্টুডিওতে ফিরে আসে অ্যালবাম রেকর্ডিংয়ের জন্য। ১৯৯৬ সালের ২৪শে জুন তাদের ২য় অ্যালবাম মর্নিং রাইজ প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটিতে মাত্র ৫টি গান ছিল ও মোট দৈর্ঘ্য ছিল ৬৬ মিনিট। এতে ২০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ব্ল্যাক রোজ ইমরটাল গানও ছিল। এরপর তারা আবার ইংল্যান্ড ট্যুরে যায় যারপরেই ছিল তাদের স্ক্যান্ডিনেভিয়া সফর যাতে তাদের সাথে ছিল ক্রেডেল অব ফিলথ[] এই সফরে তারা সেঞ্চুরি মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। ১৯৯৮ সালের ১৮ই আগস্ট তাদের ৩য় অ্যালবাম মাই হার্টস, ইউর হার্স মুক্তি পায়। এটা তাদের আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাওয়া প্রথম অ্যালবাম। ২০০৩ সালের ১৪ই এপ্রিল তাদের অ্যালবাম ড্যামনেশন মুক্তি পায় যা ছিল আমেরিকান টপ চার্টে তাদের প্রথম উপস্থিতি ১৯২তম স্থানে। এটা সুইডিশ গ্রামি পুরস্কার জিতে নেয় সেরা মেটাল পারফরম্যান্সের জন্য।[] ২০০৮ সালের ৩রা জুন তাদের ওয়াটারশেড অ্যালবাম মুক্তি পায়। এই অ্যালবামটি আমেরিকান টপ চার্টের ২৩তম স্থান পায়। তারা পরিকল্পনা করে আর্চ এনিমি ব্যান্ডের সাথে ইংল্যান্ড সফর করার। ২০১০ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর তাদের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি ডিভিডি ইন লাইভ কনসার্ট অ্যাট রয়াল অ্যালবার্ট হল প্রকাশিত হয়।[]

সংগীতের ধরন ও অনুপ্রেরণা

[সম্পাদনা]
মাইকেল আকেরফেল্ডত ও মার্টিন মেন্ডেয ২০০৮ সালে সরাসরি গান গাইছেন

স্লেয়ার, ডেথ, মরবিড এ্যাঞ্জেল, ব্ল্যাক সাবাথ, কেল্টিক ফ্রস্টকিং ডায়মন্ড ওপেথ ব্যান্ডের ভোকাল মাইকেল আকেরফেল্ডতের অনুপ্রেরণা।[][][] পরে তিনি প্রোগ্রেসিভ রক ও ফোক সংগীতকে আবিষ্কার করেন ও অনুপ্রাণিত হন।[১০] তারা মূলত ডেথ মেটালের সাথে অ্যাকুস্টিক শব্দের মিলন ঘটাতে চেয়েছেন যেখানে তারা প্রোগ্রেসিভ রক[১১] ও প্রোগ্রেসিভ মেটালের[১২] উপাদানও ব্যবহার করেছেন। মাইকেলের গলা প্রথমদিকের গানগুলোতে ছিল ডেথ মেটাল প্রভাবিত। পরে তিনি স্বাভাবিক স্বর ব্যবহার করেন গানে, এমনকি মাঝে মাঝে ফিসফিসিয়ে গান করেছেন অ্যাকুস্টিক অংশে। ২০০৩ সালে বের হওয়া ড্যামনেশন অ্যালবামে তিনি শুধু স্বাভাবিক স্বরে গান করেন।[]

ব্যান্ড সদস্য

[সম্পাদনা]
  • মাইকেল আকেরফেল্ডত
  • ফ্রেড্রিক অ্যাকেসসন
  • মার্টিন মেন্ডেয
  • মার্টিন এক্সেনরট
  • পার উইবার্গ

ডিস্কোগ্রাফি

[সম্পাদনা]
  • অর্কিড (১৯৯৫)
  • মর্নিং রাইজ (১৯৯৬)
  • মাই আর্মস, ইউর হার্স (১৯৯৮)
  • স্টিল লাইফ (১৯৯৯)
  • ব্ল্যাক ওয়াটার পার্ক (২০০১)
  • ডেভিলারেন্স (২০০২)
  • ড্যামনেশন (২০০৩)
  • ঘোস্ট রিভারিস (২০০৫)
  • ওয়াটার শেড (২০০৮)

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. McIver, Joel (January 2008). "Pressing the Red Button". Metal Hammer.
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১০ 
  3. www.allmusic.com
  4. "Opeth And Arch Enemy To Headline Metal Hammer's Defenders Of The Faith Tour"। ১৮ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১০ 
  5. "OPETH Win Swedish GRAMMY! - Feb. 19, 2003"। ৪ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১০ 
  6. "Opeth to Release 'In Live Concert at the Royal Albert Hall' DVD This September"। ১৩ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১০ 
  7. "Born Within Sorrow's Mask"। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১০ 
  8. "Interview with Mikael Åkerfeldt of Opeth"। ২৬ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০০৮ 
  9. HM: G`day Mikael, how have things been for you lately?
  10. Biography
  11. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১০ 
  12. "Opeth - Damnation"। ২০ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]