কানসু বায়ু খামার
কানসু বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র | |
---|---|
দেশ | চীন |
অবস্থান | কানসু |
স্থানাঙ্ক | ৪০°১২′ উত্তর ৯৬°৫৪′ পূর্ব / ৪০.২০০° উত্তর ৯৬.৯০০° পূর্ব ৪০°১২′ উত্তর ৯৬°৫৪′ পূর্ব / ৪০.২° উত্তর ৯৬.৯° পূর্ব ৪০°৩৬′ উত্তর ৯৬°৫৪′ পূর্ব / ৪০.৬° উত্তর ৯৬.৯° পূর্ব ৪০°১৪′ উত্তর ৯৭°০৮′ পূর্ব / ৪০.২৩° উত্তর ৯৭.১৩° পূর্ব |
অবস্থা | সক্রিয় |
নির্মাণ শুরু | ২০০৯ |
মালিক | একাধিক |
বায়ু খামার | |
ধরন | ডাঙার দিকে |
বিদ্যুৎ উৎপাদন | |
নামফলক ধারণক্ষমতা | ৭,৯৬৫ মেগাওয়াট পরিকল্পিত: ২০,০০০ মেগাওয়াট |
কানসু বায়ু খামার (জুইকান উইন্ড বায়ু বেস নামেও পরিচিত) পশ্চিম চীনের কানসু প্রদেশের নির্মাণাধীন বড় বায়ু খামারগুলোর একটি। কানসু বায়ু খামার প্রকল্পটি কুয়াঝৌ কাউন্টির জিউকুয়ান শহরের কাছে মরুভূমি অঞ্চলের দুটি এলাকায় এবং কানসু প্রদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে উনেম শহরের কাছে গড়ে উঠেছে, এখানে বছরের সব সময়েই বায়ু সম্পদের প্রাচুর্য আছে।[১] এই কেন্দ্রের পরিকল্পিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৮ গিগাওয়াট।
বিবরণ
[সম্পাদনা]প্রকল্পটি চীনা সরকার[১] কর্তৃক অনুমোদিত ছয়টি বৃহৎ জাতীয় বায়ু প্রকল্পের মধ্যে একটি। কেন্দ্রটিতে ২০২০ সালের মধ্যে আনুমানিক ১২০ বিলিয়ন ইউয়ান (১৭.৫ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ে ২০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি ২০টিরও বেশি সংস্থা দ্বারা কুয়াঝৌ কাউন্টির দুটি এলাকাতে, এছাড়া ইউমেন শহরের কাছে বিকশিত হচ্ছে।[২][৩]
নির্মাণ পর্যায়
[সম্পাদনা]প্রকল্পটি একাধিক পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়। প্রথমে ৩,৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর্যায়ে ১৮টি ২০০ মেগাওয়াটের বায়ু খামার এবং দুটি ১০০ মেগাওয়াটের বায়ু খামার ছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৪০টি ২০০ মেগাওয়াটের বায়ু খামার রয়েছে। পরিকল্পনা করা হয়েছে বায়ু খামারটি থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ৫,১৬০ মেগাওয়াট, ২০১৫ সালের মধ্যে ১২,৭১০ মেগাওয়াট এবং ২০২০ সালে ২০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।[২]
সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র
[সম্পাদনা]১লা মার্চ ২০১২ সালে "বায়ু শক্তি সমন্বয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা" কানসু বায়ু খামার প্রকল্পের ১৮টি বায়ু খামারের আউটপুট সমন্বয় করার জন্য বাস্তবায়িত হয়েছিল, যা মোট ১০ গিগাওয়াটে ট্রান্সমিশন গ্রিডের চাহিদা মেটাতে পাড়ে, তবে ট্রান্সমিশন ১.৫ গিগাওয়াটে সীমিত ছিল। বায়ু শক্তি সমন্বয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি আগের চেয়ে প্রতিদিন ১ গিগাওয়াট বেশি উৎপাদন করার অনুমতি দেয় এবং ব্যবস্থার স্থিতিশীলতার উন্নতি করে।[৪][৫]
চাহিদা এবং ব্যবহার
[সম্পাদনা]অপর্যাপ্ত কয়লা এবং দীর্ঘ-দূরবর্তী পরিবহনে অক্ষমতার জন্য স্থানীয় সরকারের প্রচেষ্টায় কানসু "এখন চীনের বায়ু শক্তি খাতের সর্বোচ্চ অবদানকারী"। জাতীয় শক্তি প্রশাসনের পরিসংখ্যান দেখিয়েছিল যে, ২০১৫ সালে জুইকুয়ানে বাতাসের মাত্রা ৩৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।[৬]
বর্তমানে, কানসু সম্পূর্ণ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে অনেক দূরে এবং বায়ু খামার তার পূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এই ঘটনার দুটি প্রধান কারণ হল যে কানসু প্রধান চীনা শহরগুলোর থেকে অনেক দূরে অবস্থিত এবং চীনে বায়ু শক্তির চাহিদা নেই।[৪]
কানসু বায়ু খামার গোবি মরুভূমি বরাবর অবস্থিত যেখানে অত্যন্ত উচ্চ বায়ু প্রবাহ আছে। যাহোক, এই অবস্থানটি চীনের উচ্চ জনঘনত্বের বন্দর শহর থেকে প্রায় এক হাজার মাইল দূরে অবস্থিত, যা এই বায়ু শক্তির সবচেয়ে বড় ভোক্তা হিসেবে কাজ করবে।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Xinhua: Jiuquan Wind Power Base Completes First Stage, Xinhua News Agency, November 4, 2010. Retrieved from ChinaDaily.com.cn website January 3, 2013.
- ↑ ক খ China Starts Building First 10-GW Mega Wind Farm, Reuters
- ↑ "China's Jiuquan wind farm speeds up construction"। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Hernández, Javier C. (২০১৭)। "It Can Power a Small Nation. But This Wind Farm in China Is Mostly Idle."। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-০২।
- ↑ "China northwest grid wind electricity coordinated control system"। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৫।
- ↑ Hernández, Javier C., "It Can Power a Small Nation. But This Wind Farm in China Is Mostly Idle.", New York Times]], January 15, 2017. Retrieved 2017-01-16.