বিষয়বস্তুতে চলুন

খালিদা পোপাল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

খালিদা পোপাল (১৯৮৭ সালে আফগানিস্তানের কাবুলে জন্মগ্রহণ করেন) একজন আফগান ফুটবল খেলোয়াড় এবং পরিচালক।[][] পোপাল গার্ল পাওয়ার অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, আফগানিস্তান মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের প্রোগ্রাম ও ইভেন্ট ডিরেক্টর, স্ট্রিট চাইন্ড ওয়ার্ল্ডকাপের রাষ্ট্রদূত এবং কলামন এর মেন্টর/রেফিউজি কনসালটেন্টের পরিচালক ও ইভেন্ট ম্যানেজার। তিনি একাধারে আফগানিস্তান মহিলা ফুটবল কমিটির সাবেক নেতা, আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক অর্থ কর্মকর্তা, আফগানিস্তান মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং আফগানিস্তানের অনূর্ধ্ব -১৭ এবং অনূর্ধ্ব -১৫ মহিলা ফুটবল দলের প্রাক্তন কোচ ছিলেন।[]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

[সম্পাদনা]

পোপাল ১৯৮৭ সালে আফগানিস্তানের কাবুলে জন্মগ্রহণ করেন এবং ডেনমার্কের বিজনেস একাডেমীতে ভর্তি হন, যেখানে তিনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং ম্যানেজমেনন্টের উপর ডিগ্রী অর্জন করেন। তার মা কাছেই তিনি ফুটবল খেলতে শিখেছেন। তার মা একটি স্কুলের শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক ছিলেন। তার মা নারীর জন্য খেলাধুলার শক্তি এবং কীভাবে এটি অল্পবয়সী মেয়েদের জন্য নতুন সুযোগ উন্মোচন করতে পারে তার উপর জোর দিতেন। একজন কিশোরী হিসেবে ফুটবল খেলতে গিয়ে তাকে অনেক বৈষম্য ও অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে, কারণ তখন মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধ অব্যাহত ছিল এবং তালিবান গোষ্ঠী কাবুলেরআশেপাশের এলাকাগুলি দখল করতে শুরু করেছিল। কাবুলে, আফগানিস্তানের একটি বড় শহর, প্রায় সবসময়ই দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত যেখানে নারীদেরতেমন কোন মানবাধিকার ছিল না। এই সময়ে, তালিবান গোষ্ঠী যেকোন ধরনের খেলাধুলা বা খেলাধুলার অনুষ্ঠানে নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। কোন পুরুষ যাতে তাদের ফুটবল খেলা না দেখে তার জন্য পোপাল ও তার বান্ধবীরা স্কুল ছুটির পর একটি জনবিচ্ছিন্ন মাঠে ফুটবল খেলত। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্ব্রে, এলাকার অনেক মেয়ে স্কুল ছুটির পর পোপালের সাথে ফুটবল খেলার জন্য যোগ দিতে শুরু করে। অল্পবয়সী মেয়েদের সংখ্যা যখন বৃদ্ধির পেত থাকলো পোপাল তখন জনসম্মুখে ফুটবল খেলা শুরু করল। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালিবানদের শাসন শেষ হলেও, পোপালকে স্থানীয় সম্প্রদায়ের হুমকি ও তীর্যক দৃষ্টিভঙ্গির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তার সম্প্রদায়ের অনেকেই অল্পবয়সী মেয়েদের ফুটবল খেলতে অস্বীকৃতি জানায় এবং পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে এবং ফুটবল খেলার জন্য তাদেরকে পতিতা ঘোষণা করে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Khalida Popal, Afghanistan football pioneer: 'If the haters couldn't stop me, Trump can't'"the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১১ 
  2. "Taliban, death threats & not giving up: Khalida Popal tells her inspiring story"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১১ 
  3. "Our People"www.girlpowerorg.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১১