বিষয়বস্তুতে চলুন

গ্রাহাম ডাউলিং

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্রাহাম ডাউলিং
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
গ্রাহাম থর্ন ডাউলিং
জন্ম(১৯৩৭-০৩-০৪)৪ মার্চ ১৯৩৭
ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান, অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৯৩)
২৬ ডিসেম্বর ১৯৬১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৯ মার্চ ১৯৭২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৯ ১৫৮
রানের সংখ্যা ২৩০৬ ৯৩৯৯
ব্যাটিং গড় ৩১.১৬ ৩৪.৯৪
১০০/৫০ ৩/১১ ১৬/৪৪
সর্বোচ্চ রান ২৩৯ ২৩৯
বল করেছে ৩৬ ৬৫৬
উইকেট
বোলিং গড় ১৯.০০ ৪২.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/১৯ ৩/১০০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৩/- ১১১/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

গ্রাহাম থর্ন ডাউলিং (ইংরেজি: Graham Dowling; জন্ম: ৪ মার্চ, ১৯৩৭) ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৬১ থেকে ১৯৭২ সময়কালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন গ্রাহাম ডাউলিং

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৬২-৬৩ মৌসুম থেকে ১৯৭১-৭২ মৌসুম পর্যন্ত ক্যান্টারবারি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে ব্রুস বোল্টনের সাথে ২১৪ রানের জুটি গড়েন।[]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩৯ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান তিনি। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৬১ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে গ্রাহাম ডাউলিংয়ের। ৩১ গড়ে রান তুলতে পেরেছেন তিনি।

অধিনায়কত্ব লাভ

[সম্পাদনা]

১৯৬৮ থেকে ১৯৭২ সময়কাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ১৯ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভারত, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট জয়ে দলকে পরিচালনা করেছেন। ব্যাট হাতে মাঝারীমানের সফলতা পেয়েছেন।

১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে তার সুন্দর মুহূর্ত আসে। সুদীর্ঘ নয় ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করে ২৩৯ রান তুলে ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম জয়ের সন্ধান এনে দেন। এ টেস্টটি অধিনায়ক হিসেবে তার প্রথম অংশগ্রহণ ছিল। এছাড়াও, অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে দ্বি-শতক করেছিলেন। পরবর্তীকালে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল তার এ অর্জনের সাথে সম্পৃক্ত হন। তার এ সংগ্রহটি নিউজিল্যান্ডের তৎকালীন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ছিল। তবে, পরবর্তী দুই টেস্টে নিউজিল্যান্ড দল পরাজিত হয়ে সিরিজে ১-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

১৯৬৯-৭০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় সংক্ষিপ্ত সফরে যান ও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ১৯৭০ সালে এ আঘাতের কারণে বামহাতের মধ্যমা কেটে ফেলতে হয়েছিল।[] ১৯৭১-৭২ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। এ সফরেও পিঠে আঘাত পান। ফলশ্রুতিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের পর দেশে ফিরে আসতে হয়। এরফলে তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

১৯৮৭ সালে নববর্ষের সম্মাননায় গ্রাহাম ডাউলিংকে ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অফিসার অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পদবীতে ভূষিত করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Canterbury v Northern Districts 1959-60"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৭ 
  2. Andy Quick, "Look Out Australia", Australian Cricket, January 1971, p. 47.
  3. London Gazette (supplement), No. 50766, 30 December 1986. Retrieved 20 January 2013.

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
ব্যারি সিনক্লেয়ার
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৬৭/৬৮-১৯৭১/৭২
উত্তরসূরী
বেভান কংডন