চামলিজা মসজিদ
চামলিজা মসজিদ | |
---|---|
Çamlıca Camii | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | ইস্তাম্বুল, তুরস্ক |
স্থানাঙ্ক | ৪১°০২′০৫″ উত্তর ২৯°০৪′১৫″ পূর্ব / ৪১.০৩৪৭° উত্তর ২৯.০৭০৮° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামি, উসমানীয় |
সম্পূর্ণ হয় | ২০১৯ |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ৬৩,০০০ |
গম্বুজসমূহ | ৭০ |
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে) | ৭২ মি (২৩৬ ফু) |
মিনার | ৬ |
মিনারের উচ্চতা | ১০৭.১ মি (৩৫১ ফু) |
চামলিজা মসজিদ (তুর্কি: Büyük Çamlıca Camii) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি তুরস্কের বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদে ৬৩,০০০ লোক একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে এবং এতে একটি যাদুঘর, আর্ট গ্যালারি, গ্রন্থাগার, কনফারেন্স হল এবং ৩,৫০০ যানবাহনের জন্য ভূগর্ভস্থ পার্কিং রয়েছে।[১][২]
অর্থনীতির শক্তি দেখাতে এবং পরিচালনাকারী এ কে পার্টির উত্তরাধিকার প্রদানে তুরস্ক সরকার দ্বারা নির্মিত বহু বড় কার্যক্রমগুলোর মধ্যে মসজিদটি অন্যতম। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান এর উদ্বোধনকালে বলেছিলেন: "যখন একটি ঘোড়া মারা যায় তখন সে তার মালামাল পেছনে ফেলে যায়, যখন একজন মানুষ মারা যায় সে তার কাজ পিছনে ফেলে যায়। আমরা এর জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকব।"[৩] তুরস্কের বিশ্লেষক জিয়া মেরাল দ্য টাইমসকে বলেছেন যে "এটি সংস্কৃতি কূটনীতি এবং বিশ্বে তুরস্কের ভূমিকার একটি দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কিত।"[৪]
২০১৯ সালের ৪ঠা মে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান এই চামলিজা মসজিদটি উদ্বোধন করেন।[১] সেনেগালের রাষ্ট্রপতি ম্যাকি সল, গিনির রাষ্ট্রপতি আলফা কনডে, আলবেনিয়ান রাষ্ট্রপতি ইলির মেতা, ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়িহ এবং অন্যান্য বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিরাসহ বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।[১]
বিবরন
[সম্পাদনা]দুইজন মহিলা স্থপতি বাহার মজরাক এবং হায়রিয় গাল তোতু চামলিজা মসজিদটির নকশা করেছিলেন। এর বাজেট ব্যয় প্রায় ১৫০ কোটি ডলার তুর্কি লিরা ($৬৬.৫ মিলিয়ন ডলার) ধরা হয়েছিল।[৫] চলন্ত সিড়ি দিয়ে উঠে মসজিদটির আঙিনায় দাঁড়ালে একনজরে বসফরাসকে বুকে ধারণকারী ইস্তাম্বুলের সিংহভাগ দেখা যায়। মসজিদের চারটি মিনারগুলির দৈর্ঘ্য ১০৭.১ মিটার, এই পরিমাপটি সেলজুক এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের দ্বারা ১০৭১ সালে লড়াইকৃত মালাজগির্দের যুদ্ধকে বোঝায়।[২] ঈমানের ৬ শর্তকে তুলে ধরতে ৬টি মিনার জুড়ে দিয়েছেন মসজিদটির গায়ে। ১০৭১ মিটার লম্বা চারটি মিনার আনাতোলিয়ায় তুর্কিদের প্রথম বিজয়কে স্মরণ করিয়ে দেবে। ১০৭১ সালে ‘মানজিকারট’ যুদ্ধে বাইজানটাইনের সঙ্গে সেলজুক তুর্কিরা জয় লাভ করে।
৭২ মিটার উঁচু বড় গম্বুজটি ঐতিহাসিকভাবে ইস্তানবুলে বসবাসরত ৭২টি জাতিগোষ্ঠির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ৩৪ মিটার ব্যাসার্ধের এ গম্বুজটি একই সঙ্গে আধুনিক ইস্তানবুলের আক্ষরিক পরিচয় বহন করে (তুরস্কের প্রতিটি শহরের এক একটি কোড রয়েছে। ইস্তানবুলের কোড নম্বর ৩৪) গম্বুজের ভেতরের অংশে ১৬টি তুর্কি সাম্রাজ্যের স্মরণে ১৬টি অংশে ভাগ করে আল্লাহর গুণবাচক নাম লেখা হয়েছে। গম্বুজের সাড়ে ৪ টন ওজনের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চাঁদ-তারা খচিত দণ্ড স্থাপন করা হয়েছে।
আরো ছবি
[সম্পাদনা]-
অভ্যন্তরভাগের দৃশ্য
-
গম্বুজের ছাদে সুদৃশ্য কারুকাজ
-
মেহরাবের দৃশ্য
-
জালিসহ জানালা
-
টাইলস প্যানেল
-
উঠোন
-
অভ্যন্তরভাগের নকশা
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "Erdogan opens Turkey's largest mosque in Istanbul"। Al Jazeera English। ৪ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৯।
- ↑ ক খ "Turkey's largest mosque opens its doors in Istanbul"। Gulf Times। Istanbul। DPA। ৮ মার্চ ২০১৯।
- ↑ Christie-Miller, Alexander (২০১৬-০৯-০৯)। "Bridge, mosque, airport – can Turkey afford Erdoğan's mega-monuments?"। Christian Science Monitor। আইএসএসএন 0882-7729। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৩।
- ↑ Smith, Hannah Lucinda। "Mega mosque is a microcosm of Turkish contradiction" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৩।
- ↑ "Çamlıca Mosque, largest in Turkey, opens in honor of Ramadan"। DailySabah। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৩।