ছোট ও বড় হাতের অক্ষর
ছোট হাতের অক্ষর (ইংরেজি: lowercase) ও বড় হাতের অক্ষর (ইংরেজি: uppercase) হচ্ছে কিছু ভাষার লিখন পদ্ধতিতে বর্ণের দুই ভিন্ন রূপ। বর্ণের এই দুই রূপের মধ্যে পার্থক্য ইংরেজিতে লেটার কেস (letter case) নামে পরিচিত। যেসব লিখন পদ্ধতি বর্ণের এই দুই রূপের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে সেইসব লিখন পদ্ধতিতে বর্ণের দুইরকম তালিকা বর্তমান: বড় হাতের তালিকার প্রত্যেক অক্ষরের পরিপূরক ছোট হাতের তালিকায় বর্তমান। কিছু পরিপূরক অক্ষরের আকৃতি একই কিন্তু আকার ভিন্ন (যেমন লাতিন লিপির ⟨C, c⟩ বা ⟨S, s⟩), কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে আকৃতি ভিন্ন (যেমন লাতিন লিপির ⟨A, a⟩ বা ⟨G, g⟩)। এই দুই ভিন্ন রূপের নাম ও উচ্চারণ একই এবং বর্ণানুক্রমে সাজানোর সময় এদের সাধারণত এক হিসাবে ধরা হয়। লেটার কেস বর্তমান এমন লিখন পদ্ধতির মধ্যে লাতিন লিপি, গ্রিক লিপি, সিরিলীয় লিপি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ছোট ও বড় হাতের অক্ষর সাধারণত মিশ্রভাবে ব্যবহার করা হয়, যেখানে স্পষ্টীকরণের জন্য কোনো প্রদত্ত লেখায় ছোট ও বড়–উভয় হাতের অক্ষর পাওয়া যায়। ছোট ও বড় হাতের অক্ষরের ব্যবহার সাধারণত কোনো ভাষার ব্যাকরণ কিংবা কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের নিয়মাবলী দ্বারা নির্ধারিত হয়। লিখনবিধিতে বড় হাতের অক্ষর সাধারণত বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, যেমন ইংরেজি ভাষায় বাক্য বা নামবাচক বিশেষ্যের প্রথম অক্ষর হিসাবে বড় হাতের অক্ষর ব্যবহার করা হয়, যা ইংরেজিতে ক্যাপিট্যলাইজ়েশ্যন্ (capitalisation বা capitalization) নামে পরিচিত। লেখায় সাধারণত ছোট হাতের অক্ষর বেশি ব্যবহৃত।
কিছুক্ষেত্রে ছোট ও বড় হাতের অক্ষরের মধ্যে যেকোনো একটি বাছাই করা হয়। যেমন, ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িঙে লেখালেখি সাধারণত সম্পূর্ণভাবে বড় হাতের অক্ষর দিয়ে করা হয়, কারণ ছোট হাতের অক্ষরের তুলনায় বড় হাতের অক্ষরদের আলাদাভাবে পার্থক্য করা যায় যখন ফাঁকা স্থানের অভাবে অক্ষরদের ছোট ক'রে লিখতে হবে। অন্যদিকে, গণিতে ছোট ও বড় হাতের অক্ষর ভিন্ন গাণিতিক বস্তুতে চিহ্নিত করে এবং একই অক্ষরের ভিন্ন কেস ব্যবহার করলে পরস্পর সম্পর্কিত গাণিতিক বস্তু বোঝাতে পারে। যেমন: ছোট হাতের x অক্ষরটি গাণিতিক সেট X-এর উপাদানকে চিহ্নিত করতে পারে।
পরিভাষা
[সম্পাদনা]ইতিহাস
[সম্পাদনা]মুদ্রণ-বিষয়ক বিবেচনা
[সম্পাদনা]ছোট হাতের অক্ষর কখনো বড় হাতের অক্ষরের ক্ষুদ্ররূপের মতো দেখতে হয় (যেমন: ⟨C, c⟩ এবং ⟨S, s⟩) অথবা এই দুই অক্ষর দেখতে একদম অন্যরকম হতে পারে (যেমন: ⟨D, d⟩ বা ⟨G, g⟩)। নিচে ইংরেজি বর্ণমালার প্রত্যেক বর্ণের ছোট ও বড় হাতের রূপভেদ দেওয়া হয়েছে (তবে টাইপফেস ও ফন্ট ভেদে এদের সঠিক উপস্থাপনা ভিন্ন হতে পারে):
বড় হাতের অক্ষর | A | B | C | D | E | F | G | H | I | J | K | L | M | N | O | P | Q | R | S | T | U | V | W | X | Y | Z |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ছোট হাতের অক্ষর | a | b | c | d | e | f | g | h | i | j | k | l | m | n | o | p | q | r | s | t | u | v | w | x | y | z |
মুদ্রণবিদ্যার দৃষ্টিভঙ্গিতে, ছোট ও বড় হাতের অক্ষরের মধ্যে পার্থক্য এই নয় যে ছোট হাতের অক্ষর ছোট এবং বড় হাতের অক্ষর বড়, বরং বড় হাতের অক্ষরের উচ্চতা সাধারণত একই। অবশ্য টাইপফেস ভেদে এখানে কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে, বিশেষ ক'রে "Q" ও "J" বর্ণের ক্ষেত্রে। এছাড়া, ডায়াক্রিটিক বর্ণের স্বাভাবিক উচ্চতার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
বিশেষ ব্যবহার
[সম্পাদনা]এসআই একক চিহ্ন এবং উপসর্গ
[সম্পাদনা]আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতিতে (এসআই) একক চিহ্ন হিসাবে ব্যবহার করার সময় ছোট হাত ও বড় হাতের ভেদে কোনো বর্ণের অর্থ ভিন্ন হয়। একক চিহ্নদের সাধারণত ছোট হাতের অক্ষর দিয়ে লেখা হয়, কিন্তু নামবাচক বিশেষ্য থেকে উদ্ভূত এককের নামের ক্ষেত্রে চিহ্নের প্রথম অক্ষর বড় হাতের হয়। অবশ্য জাতিবাচক বিশেষ্য হিসাবে এককের সম্পূর্ণ নাম ছোট হাতের অক্ষর দিয়েই লেখা হয়।[১] উদাহরণস্বরূপ:
- ১ s (এক সেকেন্ড), সময়ের একক।
- ১ S (এক সিমেন্স), তড়িৎ পরিবাহিতা ও গ্রাহকত্বের একক (ভার্নার ফন সিমেন্সের নামানুসারে এককটির নাম)।
মেট্রিক উপসর্গের চিহ্নের লেটার কেস একক চিহ্ন থেকে আলাদাভাবে নির্ধারণ করা হয়। সমস্ত অবগুণিতক উপসর্গ চিহ্ন এবং "k" ("কিলো" উপসর্গ, যার অর্থ ১০৩ = ১০০০) অবধি ছোট গুণিতক উপসর্গের জন্য ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, বড় গুণিতকের জন্য বড় হাতের অক্ষর ব্যবহার করা হয়।[১]
- ১ ms (মিলিসেকেন্ড), সময়ের ছোট একক ("m" হচ্ছে "মিলি", যার অর্থ ১০−৩ = +১/১০০০).
- ১ Ms (মেগাসেকেন্ড), সময়ের বড় একক ("M" হচ্ছে "মেগা", যার অর্থ ১০৬ = ১০,০০,০০০).
- ১ mS (মিলিসিমেন্স), তড়িৎ পরিবাহিতার ছোট একক।
- ১ MS (মেগাসিমেন্স), তড়িৎ পরিবাহিতার বড় একক।
- ১ mm (মিলিমিটার), দৈর্ঘ্যের ছোট একক।
- ১ Mm (মেগামিটার), দৈর্ঘ্যের বড় একক।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Bureau International des Poids et Mesures (২০০৬)। "The International System of Units" (পিডিএফ)। Organisation Intergouvernementale de la Convention du Mètre। পৃষ্ঠা 121, 130–131। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৪।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "AHD 2000" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Berdine" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Bloomberg" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Bolton 1997" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Guardian" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Harris 2003" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Kleve 1994" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Lewis 1890" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Ritter 2002" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Ruby" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Taaladvies" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
<references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Unicode" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।