বিষয়বস্তুতে চলুন

জনি আর্নল্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জনি আর্নল্ড
১৯৩৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জনি আর্নল্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জন আর্নল্ড
জন্ম(১৯০৭-১১-৩০)৩০ নভেম্বর ১৯০৭
কাউলি, অক্সফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু৪ এপ্রিল ১৯৮৪(1984-04-04) (বয়স ৭৬)
সাউদাম্পটন, হ্যাম্পশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি স্লো
ভূমিকাব্যাটসম্যান, আম্পায়ার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২৫৯)
২৭ জুন ১৯৩১ বনাম নিউজিল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২৯ - ১৯৫০হ্যাম্পশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪০২
রানের সংখ্যা ৩৪ ২১,৮৩১
ব্যাটিং গড় ১৭.০০ ৩২.৮২
১০০/৫০ –/– ৩৭/১১৭
সর্বোচ্চ রান ৩৪ ২২৭
বল করেছে ১,৪৮৯
উইকেট ১৭
বোলিং গড় ৬৯.৫২
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৩৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং –/– ১৮৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ফুটবল খেলোয়াড়ি জীবন
মাঠে অবস্থান আউটসাইড লেফট
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
অক্সফোর্ড সিটি
১৯২৮ - ১৯৩৩ সাউদাম্পটন ১০৬ (৪৬)
ফুলহাম ২১৩ (৫৭)
জাতীয় দল
১৯৩৩ ইংল্যান্ড (০)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

জন আর্নল্ড (ইংরেজি: Johnny Arnold; জন্ম: ৩০ নভেম্বর, ১৯০৭ - মৃত্যু: ৪ এপ্রিল, ১৯৮৪) অক্সফোর্ডের কাউলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩১ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে ডানহাতে স্লো বোলিং করতেন জনি আর্নল্ড

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯২৯ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত জনি আর্নল্ডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। জনি আর্নল্ড আক্রমণধর্মী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৯৩০ সাল থেকে পরবর্তী ২০ বছর হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে খেলেন। এ পর্যায়ে আবাসকালীন যোগ্যতা লাভের অধিকারী হন। এরপূর্বে মাইনর কাউন্টিজ ক্রিকেটে অক্সফোর্ডশায়ারের পক্ষে খেলেছিলেন। প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌসুম শেষে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। এরপর তিনি মাত্র একবার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এ সাফল্য লাভ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন।

১৯২৯ সালে নিজ কাউন্টির পক্ষে সফলতম মৌসুম অতিবাহিত করেন। ৫২.৭৫ গড়ে ৬৫০ রান তুলেন তিনি। মাইনর কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে বাকিংহামশায়ারের বিপক্ষে অপরাজিত ৬২ রানের দূর্দান্ত ইনিংস খেলে শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ১৯৩২ সালে কার্ডিফে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২২৭ রানের ইনিংস খেলেন।

১৯৩৪ সালে ৪৮ গড়ে ২২৬১ রান তুলেন। তবে, একবারই এক মৌসুমে দুই সহস্রাধিক রানের মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন। তন্মধ্যে সফররত অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৯ রান তুলেন।

বেশ কয়েক মৌসুমে দূর্দন্ত খেলা উপহার দেয়ার পর ১৯৩৮ সালে দূর্বলতর মৌসুম অতিবাহিত করেন তিনি। ১৯৩৮ সালে এক পর্যায়ে মাত্র ২০.৭০ গড়ে রান তুলেছিলেন তিনি। গ্রীষ্মের শেষ পর্যন্ত তাকে খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। কিন্তু কাউন্টি কর্তৃপক্ষ তাকে দলে ফিরিয়ে আনেন। এছাড়াও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে পাঁচটি মূল্যবান মৌসুম নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জনি আর্নল্ড। ২৭ জুন, ১৯৩১ তারিখে লর্ডসে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।

অভিষেক ঘটা ঐ টেস্টে ফ্রেড বেকওয়েলের সাথে জুটি গড়েন। ১৯৩১ সালে লর্ডসে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে বোলিং উদ্বোধনে নামেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেট থেকে জ্যাক হবসের অবসর গ্রহণ ও হার্বার্ট সাটক্লিফের আঘাতপ্রাপ্তির কারণে এ সুযোগ পান তিনি। তবে, তার এ অভিষেক পর্ব মোটেই সুখকর হয়নি। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪ রান করেছিলেন তিনি। এরপর আর তাকে টেস্ট আঙ্গিনায় খেলতে দেখা যায়নি।

খেলার ধরন

[সম্পাদনা]

আক্রমণধর্মী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। তবে, মাঝে-মধ্যে নিচেরসারিতেও খেলতে নামতেন। আক্রমণাত্মক ঢংয়ে ব্যাটিং করতেন। লেগ সাইডে খেলতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন তিনি। এছাড়াও চমৎকারভাবে ড্রাইভ মারতেন। স্বীয় গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে মাঠে বেশ প্রভাব ফেলতেন। খেলোয়াড়ী জীবনের মাঝামাঝি পর্যায়ে রক্ষণাত্মক খেলতেন। তবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পুনরায় সাবেকী ধাঁচে খেলতে অগ্রসর হন ও প্রভূতঃ সফলতা লাভ করেন। মূলতঃ অক্সফোর্ডের পক্ষে খেলতেন ও পরবর্তীতে হ্যাম্পশায়ারে চলে যান। খুব কম সময়ই কাউন্টিজ দলের বাইরে অবস্থান করেছিলেন। অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত কাউন্টি দলের পক্ষে ৩৭ সেঞ্চুরি সহযোগে একুশ হাজারের অধিক রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।

ফুটবলে অংশগ্রহণ

[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ফুটবল খেলায়ও দক্ষতা ছিল তার। অক্সফোর্ড সিটি, সাউদাম্পটনফুলহামের পক্ষে ফুটবল খেলেছেন জনি আর্নল্ড।[] ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটি আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি।[] এরফলে, ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিকে অঙ্গনে অংশগ্রহণকারী মাত্র ১২জন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে ক্রিকেট ও ফুটবল - এ দুই খেলায় অংশগ্রহণের কৃতিত্ব অর্জন করেন। গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত হোম ইন্টারন্যাশনাল খেলায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তার দল ২-১ ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল।[] খেলায় তিনি আউটসাইড লেফট অবস্থানে খেলেছিলেন।

১৯৫০ সালে শারীরিক অসুস্থতার কবলে পড়েন। এরপর আর কোন খেলায় অংশ না নিয়েই খেলার জগৎ থেকে দূরে সড়ে যান। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৬১ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত পরবর্তী ১৪ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

৪ এপ্রিল, ১৯৮৪ তারিখে ৭৭ বছর বয়সে হ্যাম্পশায়ারের সাউদাম্পটন এলাকায় জনি আর্নল্ডের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. England v New Zealand, 1st Test, 1931
  2. Holley, Duncan; Chalk, Gary (১৯৯২)। The Alphabet of the Saints। ACL & Polar Publishing। পৃষ্ঠা 16। আইএসবিএন 0-9514862-3-3 
  3. Profile of John Arnold
  4. England Players - Johnny Arnold

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]