জেরোফথ্যালমিয়া
জেরোফথ্যালমিয়া | |
---|---|
জেরোফথ্যালমিয়ায়, বিটোটের দাগগুলি কনজাংটিভাল জেরোসিসের পরে দেখা দেয়। | |
উচ্চারণ |
|
বিশেষত্ব | চক্ষুচিকিৎসাবিজ্ঞান |
লক্ষণ | রাতকানা |
জটিলতা | কর্নিয়াল অস্বচ্ছতার কারণে অন্ধত্ব |
কারণ | ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি (প্রধান) |
জেরোফথ্যালমিয়া ভিটামিন 'এ' এর অভাব জনিত একটি রোগ।
ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জেরােফথ্যালমিয়া নামক রােগ হয়। যখন ভিটামিন এ-এর অভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়,তখন চোখের কর্নিয়ায় আলসার সৃষ্টি হয় সে অবস্থাকে জেরপথ্যালমিয়া বলে। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব পূরণ না হলে রােগটির মাত্রা ও তীব্রতা বাড়তে থাকে। জেরােফথ্যালমিয়ার সাত থেকে আটটি মাত্রা রয়েছে, যার সর্বনিম্ন মাত্রা হচ্ছে রাতকানা। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে এ রােগ বেশি দেখা দেয়। এতে চোখের সংবেদী ‘রড’ কোষগুলাে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, স্বল্প আলােতে ভালাে দেখতে পায় না। চোখে সবকিছু ঝাপসা দেখা যায়। রােগটা বেড়ে গেলে কর্নিয়া ঘােলাটে হয়ে যায়। রাতকানা দশা থেকে শুরু করে চতুর্থ বা পঞ্চম মাত্রার জেরােফথ্যালমিয়া ভিটামিন ‘এ’- সহ কিছু ওষুধ প্রয়ােগে ভালাে হয় কিন্তু রােগ চূড়ান্ত মাত্রায় বা তার কাছাকাছি পৌঁছে গেলে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার ছাড়া আর তেমন কিছু করার থাকে না।
রোগ সৃষ্টির প্রক্রিয়া ও ফলাফল
[সম্পাদনা]ভিটামিন 'এ' এর দীর্ঘদিনের অভাবে চোখের কর্নিয়ার আচ্ছাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে কর্নিয়ার উপর শুষ্ক স্তর পড়ে। তখন চোখ শুকিয়ে পানি পড়া বন্ধ হয়। চোখে আলো সহ্য হয় না। পুঁজ জমে আঠালো হয়ে চোখের পাতা ফুলে যায়। চোখে ব্যাকটেরিয়া ঢুকে কর্নিয়ায় ঘা বা আলসার দেখা দেয়। এই ধাপে চিকিৎসা করালে রোগ সেরেও যেতে পারে। তবে ভাল হবার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
[সম্পাদনা]এই রােগ প্রতিরােধের জন্য ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাদ্য, যেমন: মাছের যকৃতের তেল, কলিজা, সবুজ শাকসবজি, রঙিন ফল (পাকা আম, কলা ইত্যাদি) ও সবজি (মিষ্টি কুমড়া, গাজর ইত্যাদি) এবং মলা-ঢেলা মাছ খাওয়া উচিত।