বিষয়বস্তুতে চলুন

ডেস হোর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডেস হোর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ডেসমন্ড এডওয়ার্ড হোর
জন্ম (1934-10-19) ১৯ অক্টোবর ১৯৩৪ (বয়স ৯০)
পার্থ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
লেগ ব্রেক
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২১৮)
২৭ জানুয়ারি ১৯৬১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬৩
রানের সংখ্যা ৩৫ ১২৭৬
ব্যাটিং গড় ১৭.৫০ ১৮.৪৯
১০০/৫০ ০/০ ১/৩
সর্বোচ্চ রান ৩৫ ১৩৩
বল করেছে ২৩২ ১২৪২৫
উইকেট ২২৫
বোলিং গড় ৭৮.০০ ২৬.৯১
ইনিংসে ৫ উইকেট ১২
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৬৮ ৮/৯৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/০ ৩০/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ জুলাই ২০১৯

ডেসমন্ড এডওয়ার্ড হোর (ইংরেজি: Des Hoare; জন্ম: ১৯ অক্টোবর, ১৯৩৪) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬১ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম কিংবা লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করেছেন ডেস হোর

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম পর্যন্ত ডেস হোরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘদেহী ফাস্ট বোলার ও কার্যকরী নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন ডেস হোর। ১৯৬০-৬১ মৌসুমের শেষদিকে সফরকারী দল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলে। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১৩৩ রান তুলেন। এটিই তার একমাত্র সেঞ্চুরি ছিল। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৮/৯৮ ও ২/৫৫ পান। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে ছয় ওভারে ৬/১৮ নিয়ে সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে ৫৬ রানে গুটিয়ে দিতে প্রভূতঃ ভূমিকা পালন করেন।[]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ডেস হোর। ২৭ জানুয়ারি, ১৯৬১ তারিখে অ্যাডিলেডে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।

১৯৬০-৬১ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। ঐ সফরের চতুর্থ টেস্ট খেলার জন্যে নির্বাচিত হন। আহত অ্যালান ডেভিডসনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। কনরাড হান্টফ্রাঙ্ক ওরেলের উইকেট লাভ করেন। ড্র হওয়া ঐ টেস্টে নবম উইকেট জুটিতে রিচি বেনোর সাথে ৮৫ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন ৩৫ রান।[] সিরিজের পঞ্চম টেস্টে অ্যালান ডেভিডসন পুনরায় দলে ফিরে আসলে তাকে দলের বাইরে চলে আসতে হয়েছিল। ১৯৬১ সালে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়নি।

১৯৬৩ ও ১৯৬৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে পেশাদারী পর্যায়ে নেলসনের পক্ষে খেলেন। মৌসুম বহির্ভূত সময়ে ইংল্যান্ডে অবস্থান করতেন ও ঘোড়া পালনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় খেলেননি। পরবর্তীতে ঐ অভিজ্ঞতা পার্থভিত্তিক সোয়ান ব্রিউয়েরিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজে লাগান।[]

ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলেও দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ১৯৫০-এর দশকে ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ফুটবল লীগে (ডব্লিউএএনএফএল) ইস্ট ফ্রিম্যান্টলের পক্ষে অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল খেলেছেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Western Australia v South Australia 1959–60
  2. Australia v West Indies, Adelaide 1960–61
  3. The Oxford Companion to Australian Cricket, Oxford, Melbourne, 1996, p. 246.
  4. The West Australian, "Hoare To Undergo Operation", 23 June 1954. p. 19

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
পূর্বসূরী
জনি ওয়ারডল
পেশাদার
নেলসন ক্রিকেট ক্লাব

১৯৬৩ - ১৯৬৪
উত্তরসূরী
সাঈদ আহমেদ