তশি চোজম
তশি চোজম হচ্ছেন একজন ভুটানি আইনজীবী এবং বিচারক যিনি ২০১২ সালে দেশের উচ্চ আদালতে নিযুক্ত প্রথম নারী।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]২০০৫-২০০৬ পর্যন্ত চোজম ওয়াশিংটন, ডি.সি.র ওয়াশিংটন আইন কলেজ, আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়-এ হবার্ট হামফ্রের সহকর্মী ছিলেন।[১][২] তিনি অধ্যাপক স্টিফেন ওয়ার্মেলের অধীনে থেকে কিশোর আদালত ব্যবস্থা এবং নারী বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।[৩]
চোজম কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, অস্ট্রেলিয়া (২০১০) থেকে আইনে মাস্টার্স করেছেন, এবং ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উৎকর্ষ পুরস্কার পান।[৪]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]প্রথম মহিলা হিসেবে, চোজম বিভিন্ন জেলা আদালতের বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন।[৩] তিনি উচ্চ আদালতের দায়িত্ব পালন করেন এবং রয়েল জুডিশিয়াল সার্ভিস কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন।[৫][৬] তিনি নারী বিষয় এবং কিশোর-কিশোরীর ক্ষেত্রে বিশেষ আগ্রহ দেখান এবং ভুটানে একটি পৃথক কিশোর আদালত প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন।[৩]
৩রা আগস্ট ২০১২ সালে চোজমকে উচ্চ আদালতে দশ বছরের মেয়াদে নিযুক্ত করা হয় এবং ১২ই সেপ্টেম্বর অফিসে বসেন এবং গোপনীয়তা শপথ নেন।[৭] তিনি আদালতের প্রথম ও একমাত্র মহিলা বিচারক।[৪][৮] তিনি আদালতের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যও।[২][৯]
২০১৩ এবং ২০১৫ সালে চোজম ড্রূক গ্যালাপ (ড্রাগন রাজা) জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক থেকে রয়েল সিভিল সার্ভিস পুরস্কার পান।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]চোজম বিবাহিত এবং তার দুইজন সন্তান রয়েছে।[৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Five Humphrey Alumni Featured in Fulbright Foreign Scholarship Board Annual Report"। The Hubert H. Humphrey Fellowship Program। ১৬ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৯।
- ↑ ক খ Annual Report 2011–2012 (পিডিএফ)। J. William Fulbright Foreign Scholarship Board। পৃষ্ঠা 38।
- ↑ ক খ গ "Introducing the AUWCL 2005 - 2006 Humphrey Fellows"। Washington College of Law।
- ↑ ক খ "Alumni profiles"। Queensland University of Technology।
- ↑ ক খ "Justice Tashi Chhozom"। Mountain Echoes।
- ↑ "Mountain Echoes culminates with unexpected ideas and unstoppable voices"। Bhutan Times। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ "Appointment of Dasho Tashi Chhozom to the Supreme Court of Bhutan" (পিডিএফ)। Judiciary of Bhutan। ৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৯।
- ↑ Janssen, Sarah (২০১৫)। The World Almanac and Book of Facts 2016। Simon & Schuster। পৃষ্ঠা 126।
- ↑ Tenzin, Langa (৯ আগস্ট ২০১২)। "Woman Supreme Court Judge and more"। Writers of Bhutan। ২১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৮।