দীপক কাপুর
জেনারেল দীপক কাপুর পিভিএসএম, এভিএসএম, এসএম, ভিএসএম, এডিসি | |
---|---|
জন্ম | ১৯৪৮ |
আনুগত্য | ভারত |
সেবা/ | ভারতীয় সেনাবাহিনী |
কার্যকাল | ১১ জুন ১৯৬৭ – ৩১ মার্চ ২০১০ |
পদমর্যাদা | জেনারেল |
নেতৃত্বসমূহ | নর্দার্ন আর্মি কমান্ড আর্মি ট্রেনিং কমান্ড ৩৩ কোর ২২তম মাউন্টেন ডিভিশন ১৬১ পদাতিক ব্রিগেড ২য় কোরের একটি স্বতন্ত্র আর্টিলারী ব্রিগেড ৭৪ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারী |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১ জাতিসংঘ সোমালিয়া বিষয়ক কাজ |
পুরস্কার | পরম বিশিষ্ট সেবা পদক অতি বিশিষ্ট সেবা পদক বিশিষ্ট সেবা পদক সেনা পদক |
দীপক কাপুর ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল ছিলেন যিনি দেশটির ২২তম সেনাপ্রধান (চীফ অব আর্মি স্টাফ) হিসেবে ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পেয়েছিলেন। গোলন্দাজ বাহিনীর এই জেনারেল ১৯৭১ সালে অধস্তন কর্মকর্তা হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশে) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছেন। ২০১০ সালের ৩১ মার্চ তিনি প্রায় ৪৩ বছরের সামরিক জীবনের ইতি টানেন।[১][২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৬৭ সালের ১১ জুন দীপক ভারত সেনাবাহিনীর রেজিমেন্ট অব আর্টিলারীতে কমিশনপ্রাপ্ত হন ২য় লেফটেন্যান্ট পদবীতে। তিনি এর আগে সৈনিক স্কুল, ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমী এবং ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমীতে অধ্যয়ন করেন।[৩][৪]
দীপক ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ (ভারত), আর্মি ওয়ার কলেজ (ভারত) এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (দিল্লী) থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। জম্মু-কাশ্মীর এলাকায় তাকে ১৬১ ব্রিগেডের কমান্ডার করা হয়েছিলো। ১৯৯৮ সালে তিনি এই ব্রিগেডের নেতৃত্বদানের পুরস্কারস্বরুপ সেনা ম্যাডেল প্রাপ্ত হন। ২০০১-২০০২ সালে তিনি মেজর-জেনারেল পদবীতে ২২তম মাউন্টেন ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তাকে আসামিস্থত ৪র্থ কোরের প্রধান স্টাফ কর্মকর্তা হিসেবে পোস্টিং দেওয়া হয়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদবীতে উঠার পর তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের শিলিগুড়িতে সদর-দপ্তর ৩৩ কোরে কমান্ডারের পদে বসেন। কোর কমান্ডার হিসেবে তার কর্মস্বরূপ তিনি ২০০৬ সালের জানুয়ারী মাসে 'অতি বিশিষ্ট সেবা পদক' লাভ করেন। এরপর তিনি আর্মি ট্রেনিং কমান্ড এর প্রধান নিযুক্ত হন, তারপরে তাকে উত্তরাঞ্চলীয় সেনাবাহিনীর (নর্দার্ন কমান্ড, ইন্ডিয়ান আর্মি) প্রধান অধিনায়ক (জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চীফ) করা হয়।
২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি চীফ অব আর্মি স্টাফের দায়িত্ব বুঝে নেন জেনারেল জোগিন্দার যশবন্ত সিং এর কাছ থেকে, তিনি 'রেজিমেন্ট অব আর্টিলারী' এর সিনিয়র কর্নেল কমান্ড্যান্ট নিযুক্ত হন যেটি ছিলো একটি সেরেমোনিয়াল পদ। ২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট তিনি ভারতের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে সিনিয়র স্টাফ পোস্ট 'চেয়ারম্যান অব চীফস অব স্টাফ কমিটি' নিযুক্ত হন এবং ৩১ মার্চ ২০১০ তারিখ তার অবসরের দিন পর্যন্ত এ পদে বহাল থাকেন।