দুমকা জেলা
দুমকা জেলা | |
---|---|
ঝাড়খণ্ডের জেলা | |
ঝাড়খণ্ডে দুমকার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | ঝাড়খণ্ড |
প্রশাসনিক বিভাগ | সাঁওতাল পরগনা বিভাগ |
সদরদপ্তর | দুমকা |
তহশিল | ১০ |
সরকার | |
• বিধানসভা আসন | ৪ |
আয়তন | |
• মোট | ৩,৭৬১ বর্গকিমি (১,৪৫২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৩,২১,৪৪২ |
• জনঘনত্ব | ৩৫০/বর্গকিমি (৯১০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৬১.০২ শতাংশ |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৭৭ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
দুমকা জেলা পূর্ব ভারতে অবস্থিত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ২৪ টি জেলার একটি৷ ১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৩৯০ বঙ্গাব্দে(১লা জুন ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে) পুর্বতন সাঁওতাল পরগনা জেলা থেকে দুমকা জেলা গঠন করা হয়৷ ১২ই বৈশাখ ১৪০৮ বঙ্গাব্দে(২৬ এপ্রিল ২০০১ খ্রিষ্টাব্দ) আবার দুমকা জেলা থেকে দক্ষিণাংশ বিচ্ছিন্ন করে নতুন দুমকা জেলাটি গঠিত হয়৷ জেলাটি ঝাড়খণ্ডের উত্তর-পূর্ব অবস্থিত সাঁওতাল পরগনা বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর দুমকা শহরে অবস্থিত এবং একটি মাত্র দুমকা মহকুমা নিয়ে গঠিত৷
নামকরণ
[সম্পাদনা]সাঁওতাল পরগনা জেলার প্রথম শহর দুমকা৷ কিন্তু এর আয়তন অন্যান্য শহরগুলির থেকে ছোটো হওয়ার জন্য স্থানীয় সাঁওতালি ভাষাতে সুম্ক বা ছোটো জনপদ বলা হতো৷ এই সুম্ক থেকেই দুমকা নামটি এসেছে৷
অবস্থান
[সম্পাদনা]জেলাটির উত্তরে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলা৷ জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান) ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পাকুড় জেলা৷ জেলাটির পূর্বে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পাকুড় জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জামতাড়া জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দেওঘর জেলা৷ জেলাটির পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দেওঘর জেলা৷ জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) বিহার রাজ্যের বাঁকা জেলা৷[১]
জেলাটির আয়তন ৩৭৬১ বর্গ কিমি৷ রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ২৪ টি জেলার মধ্যে তম৷ জেলার আয়তনের অনুপাত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ৪.৭২%৷
ভাষা
[সম্পাদনা]দুমকা জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ -
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]মোট জনসংখ্যা ১১০৬৫২১(২০০১ জনগণনা) ও ১৩২১৪৪২(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ২৪ টি জেলার মধ্যে ১১তম৷ ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ৪.০১% লোক দুমকা জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ২৯৪ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫১ হয়েছে।
জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ১৯.৪২% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ১৬.৩৭% বৃদ্ধির হারের থেকে বেশি৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ৯৭৭(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯৬৬৷[৩]
শিক্ষা
[সম্পাদনা]জেলাটির স্বাক্ষরতা হার ৪৭.৯৪%(২০০১) তথা ৬১.০২%(২০১১)৷ পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৬২.৮৬%(২০০১) তথা ৭২.৯৬%(২০১১)৷ নারী স্বাক্ষরতার হার ৩২.৩৫%(২০০১) তথা ৪৮.৮২% (২০১১)৷ জেলাটিতে শিশুর অনুপাত সমগ্র জনসংখ্যার ১৬.৬১%৷[৩] জেলা তে সিধু কানহু মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয় আছে । যেখানে মোটামুটি সব বিষয়ের উচ্চশিক্ষা আর ব্যবস্থা আছে ।
নদনদী
[সম্পাদনা]ময়ূরাক্ষী এই জেলার প্রধান নদী । জেলার সদর শহর দুমকা এই নদীর তীরে অবস্থিত । দুমকা শহরের অদূরেই মাসেনজরে গড়ে উঠেছে মাসেনজর ড্যাম । দ্বারকা , বক্রেশ্বর , কুষকরানি , ব্রাম্ভোনি নদী উল্লেখযোগ্য ।
পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]মাসেঞ্জোর ড্যাম । এখানে প্রতিবছর শীতকালে ঝাড়খণ্ড সহ পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্য থেকে বহু পর্যটকদের আগমন ঘটে । এছাড়া আছে তাটলই উষ্ণ প্রস্রবণ , মন্দার পাহাড় উল্লেখযোগ্য ।
পরিবহন ও যোগাযোগ
[সম্পাদনা]সরকপথ
[সম্পাদনা]দুমকা ঝাড়খণ্ডের উপরাজধানী হওয়ায় এর যোগাযোগ প্রায় সব শহরের সাথে ভালো আছে । দুমকা শহর রাজধানী রাঁচি থেকে ২৭৮ কিমি দূরে অবস্থিত । এছাড়াও বিহারের ভাগলপুরের সঙ্গে এবং পশ্চিমবঙ্গের রামপুরহাট , সিউড়ি ও বহরমপুর শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে।
রেলপথ
[সম্পাদনা]দুমকা রেল স্টেশন ২০১১ সালে চালু হয়। ১২ জুলাই ২০১১ সালে জাসিডিহ-দুমকা রেলপথ চালু হয়। এই লাইনে দিনে ৩ টে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করে । ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে দুমকা ও রাঁচির মধ্যে প্রথম আন্তঃনগর এক্সপ্রেস চালু হয়। এটা বৃহস্পতিবার এবং রবিবার ছাড়া সপ্তাহে পাঁচ দিন চালানো হয় এই এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে। ৪ জুন ২০১৫ তে যাত্রা শুরু করে দুমকা থেকে রামপুরহাট লাইনে । এই লাইনে একটি প্যাসেঞ্জার ও একটি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে । দুমকা থেকে ভাগলপুরের লাইন ও চালু হয়েছে নিউ মদনপুর থেকে মন্দার হিল হয়ে । এর ফলে কলকাতা থেকে ভাগলপুরের দূরত্ব কমে হয়েচে ৩৯৮ কিমি। হাওড়া থেকে ভাগলপুর গামী কবিগুরু এক্সপ্রেস এই পথেই ভাগলপুর যায় ।