নিওফেলিস
নিওফেলিস | |
---|---|
সুন্দা মেঘলা চিতা (Neofelis diardi) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Mammalia |
বর্গ: | মাংশাশী |
পরিবার: | Felidae |
উপপরিবার: | Pantherinae |
গণ: | Neofelis Gray, 1867 |
Species | |
নিওফেলিস গণের প্রজাতিসমূহের বিস্তৃতি |
নিওফেলিস দু'টি প্রজাতি নিয়ে গঠিত প্রাণীজগতের একটি গণ। প্রজাতি দু'টি হচ্ছে লামচিতা (Neofelis nebulosa) এবং সুন্দা মেঘলা চিতা (Neofelis diardi)। দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে নিওফেলিস গণের প্রজাতি দু'টির বিচরণ। গ্রিক Neo অর্থ “নতুন” এবং ল্যাটিন Felis অর্থ “বিড়াল”। অর্থাৎ, Neofelis অর্থ "নতুন বিড়াল"।[১] অন্যান্য বিড়াল গোত্রের বড় প্রাণীদের সাথে এদের করোটির গঠনে তারতম্য থাকায় এদের আলাদা গণের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিস্তৃতি
[সম্পাদনা]ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও চীন এই প্রজাতিটির মূল আবাসস্থল।[২]
বিবরণ
[সম্পাদনা]এদের গায়ের লোম কালচে বলয়াকার, ডিম্বাকার কিংবা ছোপযুক্ত দাগসহ ধুসরাভ কিংবা হলদে। দেহের সামনের প্রান্তের তুলনায় পিছনের প্রান্ত ছোট কাঁধের দাগ কালচে। কপাল, পা ছোট ও লেজের গোড়ায় ফিতার মতো দাগ থাকে। লেজ দীর্ঘ, পা বলিষ্ঠ এবং থাবা প্রশস্ত ও শক্ত। করোটি লম্বা, নিচু ও সরু। উপরের চোয়ালের ছেদন দাঁত অনেকটা স্যাবার টুথ বা প্রাগৈতিহাসিক বিড়ালদের মত; অন্যান্য বর্তমান বিড়ালের তুলনায় বড়, আকারে দাঁতের কোটরের ভিত্তির বেড়ের তিনগুন লম্বা। কিন্তু স্যাবার টুথদের মত অতটা বিকশিত বা উদ্ধত নয়। তাদের সমানও নয়। প্রথম অগ্রপেষণ দাঁত অনেকখানি খাটো কিংবা হ্রাসকৃত, ছেদন দাঁত ও গালের দাঁতের মাঝে অনেক ফাঁক রয়েছে।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ জিয়া উদ্দীন আহমেদ (সম্পা), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: স্তন্যপায়ী প্রাণী, খণ্ড: ২৭ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০১১), পৃ. ১২২।
- ↑ Pocock, R. I. The fauna of British India, including Ceylon and Burma. Mammalia. – Volume 1. (London: Taylor and Francis, 1939), p. 247.