পরিবেশের উপর বিমান চলাচলের প্রভাব
অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির দহনের ফলে সৃষ্ট নিঃসরণের মতো বিমানের ইঞ্জিনও গ্যাস ও অতিক্ষুদ্র দূষক কণা নিঃসরণ করে ও শব্দদূষণ সৃষ্টি করে। ফলে এগুলির বৈশ্বিক প্রভাব ও স্থানীয় বায়ুর গুণমানে এগুলির প্রভাব পরিবেশগত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।[২] জেট বিমানগুলি কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পাশাপাশি নাইট্রোজেন অক্সাইড, অতিক্ষুদ্র দূষক কণা ও ঘনীভূত রেশ নিঃসরণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক বিমান চলাচল ঐ বছর নিঃসৃত সমস্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ২.৪% উৎপাদন করেছিল।
জেট বিমানগুলি ১৯৬৭ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ৭০% অধিক জ্বালানির সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়। প্রতি টন-কিলোমিটার আয়ের জন্য কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ ২০১৮ সালে ১৯৯০ সালের তুলনায় ৪৭% কম ছিল। ২০১৮ সালে প্রতি বিমানযাত্রী প্রতি কিলোমিটারে গড়ে ৮৮ গ্রাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করতেন। যদিও বিমান চলাচল শিল্পটি অধিকতর জ্বালানি সাশ্রয়ী, সামগ্রিকভাবে শিল্পটির নিঃসরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে কেননা বিমানযোগে ভ্রমণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ বিমান চলাচলজনিত নিঃসরণ ২০০৫ সালের তুলনায় ৭০% বেশি ছিল এবং ২০৫০ সাল নাগাদ এগুলি ৩০০% (অর্থাৎ ৩ গুণ) বেশি হতে পারে।
বিমান শব্দ দূষণ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, শিশুদের পড়াশোনায় বিঘ্নের সৃষ্টি করে এবং হৃদবাহ রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। বিমানবন্দরগুলি পানি দূষণ সৃষ্টি করতে পারে। বিমান চলাচলের কারণে ওজোন গ্যাস ও অতিসুক্ষ্ম কণা নিঃসৃত হয়। উভয়েই স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। সাধারণ বিমান চলাচলে যে অ্যাভগ্যাস দহন করা হয়, তার ফলে বিষাক্ত সীসা নিঃসৃত হয়।
বিমান চলাচলের পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করা সম্ভব উন্নততর বিমানের জ্বালানি সাশ্রয় কিংবা বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড বহির্ভূত প্রভাব যেমন নাইট্রাস অক্সাইড, অতিক্ষুদ্র দূষক কণিকা বা ঘনীভূত রেশ থেকে পরিবেশের ক্ষতি কমানোর জন্য সর্বোত্তম উড্ডয়ন পথ নির্বাচন করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Lee2020
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Aircraft Engine Emissions"। International Civil Aviation Organization।