পারমাণবিক অস্ত্র বিলুপ্তির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান
সংক্ষেপে | আইক্যান |
---|---|
গঠিত | ২০০৭ |
প্রতিষ্ঠাস্থান | মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া |
ধরন | অমুনাফাভোগী আন্তর্জাতিক সংহতি |
সদরদপ্তর | জেনেভা, সুইজারল্যান্ড |
ক্ষেত্রসমূহ | নিউক্লীয় নিরস্ত্রকরণ |
সদস্যপদ (২০১৯) | ১০৩টি রাষ্ট্রে ৫৩২টি সহযোগী সংস্থা |
নির্বাহী পরিচালক | বিয়াত্রিচ ফিন |
ওয়েবসাইট | www |
মন্তব্য | শান্তিতে নোবেল পুরস্কার (২০১৭) |
পারমাণবিক অস্ত্র বিলুপ্তির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান বা ইংরেজি ভাষায় ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপন্স (সংক্ষেপে আইক্যান) হল বিশ্বব্যাপী নাগরিক সমাজের একটি জোট যারা নিরবচ্ছিন্নভাবে পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে (নিউক্লিয়ার ওয়েপনস প্রোহিবিশন ট্রিটি) সকলের আনুগত্য এবং পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। এই আন্দোলনটি ২০০৭ সালে চালু হয় এবং ২০১৯ পর্যন্ত ১০৩টি দেশে এর ৫৩২টি সহযোগী সংস্থা রয়েছে।
সংস্থাটি "পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়াবহ পরিণতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং এই অস্ত্রকে নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টার" জন্য ২০১৭ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে।[১][২]
মিশন
[সম্পাদনা]আইক্যানের প্রতিষ্ঠাতাগণ ১৯৯৭ সালে বিরোধী কর্মীদের খনি নিষেধাজ্ঞা চুক্তিতে স্থলমাইন নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান (ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু ব্যান ল্যান্ডমাইন্স)-এর সাফল্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। তারাও একই ধরনের প্রচারাভিযানের আদল গ্রহণ করে।[৩]
গঠন
[সম্পাদনা]২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১৯৮৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সংস্থা পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক চিকিৎসকবৃন্দ (ইন্টারন্যাশনাল ফিজিসিয়ানস ফর দ্য প্রিভেনশন অব নিউক্লিয়ার ওয়ার) ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে তাদের দ্বিবার্ষিক কংগ্রেসে বিশ্বব্যাপী আইক্যান চালু করার প্রস্তাব গ্রহণ করে।[৪] আইক্যান সার্বজনীনভাবে দুটি অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে শুরু হয়। প্রথমটি ছিল ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে, যেখানে এই প্রচারাভিযান শুরুর জন্য তহবিল গঠন করা হয় এবং দ্বিতীয়টি ছিল ভিয়েনায় ২০০৭ সালের ৩০ এপ্রিল পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি) রাষ্ট্রসমূহের সভা। পৃথিবীর প্রায় সকল অঞ্চলে বিভিন্ন দেশে জাতীয় প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়।
সদস্যপদ ও সমর্থন
[সম্পাদনা]আইক্যান ১০৩টি দেশের ৫৩২টি সহযোগী সংস্থা নিয়ে গঠিত। প্রচারাভিযানটি মূল দল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থান করে এবং সেখান থেকে তাদের কাজ পরিচালনা করে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "The Nobel Peace Prize 2017"। নোবেল পুরস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেল আইক্যান"। বিবিসি বাংলা। ৬ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ McCoy, Ronald (৩০ এপ্রিল ২০১৬)। "The International Campaign to Abolish Nuclear Weapons" (পিডিএফ)। icanw (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ মে ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "Campaign milestones 2006"। আইক্যান (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]পুরস্কার ও স্বীকৃতি | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস |
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ২০১৭ |
উত্তরসূরী দ্যনিস মুকওয়েগে ও নাদিয়া মুরাদ |