পেপে (ফুটবল খেলোয়াড়)
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কেপলার ল্যাভেরান লিমা ফেরেইরা | ||
জন্ম | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ | ||
জন্ম স্থান | মাসেইও, ব্রাজিল | ||
উচ্চতা | ১.৮৭ মি (৬ ফু ২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | সেন্টার ব্যাক | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
জার্সি নম্বর | ৩ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৫-২০০১ | করিন্থিয়াস-আল | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০১-২০০২ | মার্টিমো বি | ১৪ | (১) |
২০০২-২০০৪ | মার্টিমো | ৬৩ | (৩) |
২০০৪-২০০৭ | পোর্তো | ৬৪ | (৬) |
2007– | রিয়াল মাদ্রিদ | ১৫৩ | (৬) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৭– | পর্তুগাল | ৫৭ | (৩) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৯:৫৮, ২২ ডিসেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৮:৪০, ১৯ নভেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
কেপলার ল্যাভেরান লিমা ফেরাইরা (জন্ম ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩) যার ডাকনাম পেপে একজন পর্তুগিজ ফুটবলার যিনি পর্তুগিজ ক্লাব এফ সি পোর্তো এবং পর্তুগিজ জাতীয় দলে একজন সেন্টার ডিফেন্ডার হিসেবে খেলে থাকেন। তার জন্ম ব্রাজিলের মারসেইওতে। জন্মসূত্রে একজন ব্রাজিলীয় হওয়া সত্ত্বেও তিনি ২০১০ বিশ্বকাপ ও দুইটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ক্লাব ক্যারিয়ার
[সম্পাদনা]মার্টিমো
[সম্পাদনা]ব্রাজিলে জন্মগ্রহণ করা পেপে তার ফুটবল জীবন শুরু করেন স্থানীয় ক্লাব করিন্থিয়াস এলাগোয়ানোর হয়ে। ১৮ বছর বয়সে তিনি পর্তুগালে চলে আসেন এবং সি,এস, মার্টিমোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন যেখানে তিনি তাদের বি টিমের হয়ে খেলেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে তিনি মার্টিমোর মুল দলে উন্নীত হন একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে। পরে ডিফেন্ডার হিসেবে তিনি খেলা শুরু করেন এবং নিজের যোগ্যতাকে সবার সামনে তুলে ধরেন। মার্টিমোকে ২০০৪-০৫ মৌসুমের উয়েফা কাপে কোয়ালিফাই করাতে তার অনবদ্য ভূমিকা ছিল। মার্টিমোর হয়ে তিনি ৩০ টি খেলায় অংশগ্রহণ করেন এবং ১টি গোল করেন।
পোর্তো
[সম্পাদনা]২০০৪ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে পেপে €১ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পর্তুগিজ জায়ান্ট পোর্তোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। এই চুক্তিতে পোর্তোর তিন জন খেলোয়াড় মার্টিমোতে যোগ দেয়। চুক্তিতে এও উল্লেখ ছিল যে মার্টিমোকে পেপের ভবিষৎ ট্রান্সফার ফির ২০ শতাংশ দিতে হবে। পোর্তোর হয়ে তার প্রথম মৌসুমে তিনি মূলত তাদের বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে ব্যবহৃত হন। কিন্তু ২০০৫-০৬ মৌসুমে তিনি নিজের জাত চেনান এবং নিজেকে পর্তুগিজ লিগের একজন সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হন। তার সয়হতায় পোর্তো পর পর দুইবার পর্তুগিজ কাপ জিততে সক্ষম হয়।
রিয়াল মাদ্রিদ
[সম্পাদনা]পোর্তোর হয়ে ভাল নৈপুর্নের সুবাদে রিয়াল মাদ্রিদ ২০০৭ সালের ১০ই জুলাই €৩০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পেপের সাথে ৫ বছর মেয়াদি চুক্তি করে।[১] ২০০৮ সালের ১৫ই মার্চে তার একমাত্র গোলের (আত্মঘাতী) কারণে রিয়াল মাদ্রিদ দেপর্তিভো লা করুণার সাথে ০-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়।[২] ৮ মাস পরে তিনি তার ক্লাবমেট জ্যাভিয়ার বালবোয়ার সাথে মারামারিতে লিপ্ত হন।[৩]
২০১১ সালের ১২ই জুলাই পেপে রিয়াল মাদ্রিদ এর সাথে চুক্তি নবায়ন করেন যার ফলে তাকে ২০১৫-১৫ মৌসুম পর্যন্ত তাকে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে হবে।[৪] ২০১১-১২ সালের কোপা দেল রের সেমিফাইনালে তার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত লিওনেল মেসির হাত মাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠে।[৫][৬] এই ঘটনা নিয়ে স্প্যানিশ মিডিয়ায় অনেক সমালোচনা হলে[৭] পেপে দাবি করেন যে ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত ছিল এবং তিনি এর জন্য ক্ষমা চান।[৮][৯][১০][১১]
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
[সম্পাদনা]পেপে কখনই ব্রাজিলের কোন যুবদলে খেলেননি। যদিও তার বাবার দাবি মোতাবেক ২০০৬ সালে ব্রাজিলের সাবেক কোচ দুঙ্গা পেপেকে দলে নেয়ার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন যদিও তিনি তা নাকচ করে দেন এই বলে যে সে(পেপে) যদি পর্তুগিজ নাগরিকত্ব পেয়ে যায় তাহলে সে খুব সহজেই পর্তুগাল জাতীয় দলে স্থান করে নিতে পারবে।[১২] ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে তিনি পর্তুগালের নাগরিকত্ব পান এবং ৩০এ আগস্ট তিনি পর্তুগালের জাতীয় দলের জন্য ডাক পান।[১৩] এর ৪ মাস পরে উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে তার অভিষেক ঘটে।
২০০৮ সালের ইউরো কাপের প্রত্যেকটি খেলায় তিনি প্রথম একাদশে ছিলেন। এই টুর্নামেন্টে তিনি তুরস্কের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের হয়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন।[১৪]
২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে তিনি মূলত একজন ডিফেন্সিফ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার সময় হাঁটুর ইনজুরি থাকা সত্ত্বেও তাকে ২০১০ বিশ্বকাপের মুল দলে নির্বাচিত করা হয় যেখানে তিনি ব্রাজিল ও স্পেইনের বিরুদ্ধে মাঠে নামেন।
আন্তর্জাতিক গোল
[সম্পাদনা]# | সময় | স্থান | প্রতিপক্ষ | স্কোর | ফলাফল | প্রতিযোগিতা |
---|---|---|---|---|---|---|
১. | ৭ জুন ২০০৮ | জেনেভা, সুইজারল্যান্ড | তুরস্ক | ১–০ | ২–০ | ২০০৮ উয়েফা ইউরো কাপ |
২. | ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরি | হাঙ্গেরি | ০–১ | ০–১ | ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব |
৩. | ১৩ জুন ২০১২ | ইউক্রেইন | ডেনমার্ক | ০–১ | ২–৩ | ২০১২ উয়েফা ইউরো কাপ |
অর্জন
[সম্পাদনা]ক্লাব
[সম্পাদনা]- পোর্তো
- প্রিমিয়েরা লিগা: ২০০৫-০৬,২০০৬-০৭
- টাসা দি পর্তুগাল: ২০০৫-০৬
- সুপারটাসা ক্যান্ডিও দি অলিভেইরা: ২০০৪,২০০৬
- ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ:২০০৪
- রিয়াল মাদ্রিদ
- লা লিগা:২০০৭-০৮,২০১১-১২
- কোপা দেল রে: ২০১০-১১,২০১২-১৩(রানার্স আপ)
- সুপারকাপ দি স্পানা:২০০৮,২০১২,২০১১(রানার্স আপ)
ব্যক্তিগত
[সম্পাদনা]- ২০০৮ উয়েফা ইউরো টুর্নামেন্ট সেরা একাদশ
- ২০১২ উয়েফা ইউরো টুর্নামেন্ট সেরা একাদশ
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Madrid pick up Pepe from Porto; UEFA.com, 10 July 2007
- ↑ Deportivo curse strikes again for Real ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ অক্টোবর ২০১১ তারিখে; Soccerway, 15 March 2008
- ↑ Balboa y Pepe se pelean durante el entrenamiento (Balboa and Pepe fight during training); Marca, 9 November 2007 (স্পেনীয়)
- ↑ "Official announcement"। Real Madrid C.F। ১২ জুলাই ২০১১। ২০১১-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১১।
- ↑ Lowe, Sid (১৯ জানুয়ারি ২০১২)। "Real Madrid's Pepe sparks controversy for stamp against Barcelona"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ Hayward, Paul (১৯ জানুয়ারি ২০১২)। "Barcelona magician Lionel Messi has a rare talent that deserves protection after Real Madrid rough-housing"। The Daily Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Spanish papers brand Pepe 'shameful' for stamping on Lionel Messi"। The Guardian। ১৯ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Pepe: "It was unintentional and I apologise if Messi was offended""। Real Madrid C.F। ১৯ জানুয়ারি ২০১২। ২২ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Pepe apologises for 'unintentional' stamp on Lionel Messi's hand"। The Guardian। ২০ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ Edwards, Luke (২৩ জানুয়ারি ২০১২)। "'Jose Mourinho to quit as Real Madrid manager in June'"। The Daily Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Pepe cleared over stamp claims"। Sky Sports। ২৪ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ “Pepe esteve exemplar” (“Pepe was perfect”) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে; Correio da Manhã, 9 June 2008 (পর্তুগিজ)
- ↑ Portugal name Pepe in Euro 2008 qualifiers squad[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]; ESPN Soccernet, 30 August 2007
- ↑ Pepe joy in Geneva; UEFA.com, 8 June 2008
- জীবিত ব্যক্তি
- ১৯৮৩-এ জন্ম
- ব্রাজিলীয় ফুটবলার
- পর্তুগিজ ফুটবলার
- ফুটবল রক্ষণভাগের খেলোয়াড়
- ফুটবল ক্লাব পোর্তুর খেলোয়াড়
- লা লিগার খেলোয়াড়
- রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- উয়েফা ইউরো ২০০৮ খেলোয়াড়
- ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়
- উয়েফা ইউরো ২০১২-এর খেলোয়াড়
- ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়
- ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়
- উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী খেলোয়াড়
- প্রিমেইরা লিগার খেলোয়াড়
- স্পোর্টস ক্লাব মারিতিমোর খেলোয়াড়
- সুপার লিগের খেলোয়াড়
- বেশিকতাশ জিমনাস্টিক ক্লাবের ফুটবলার
- পর্তুগালের আন্তর্জাতিক ফুটবলার
- পর্তুগালে ব্রাজিলীয় অভিবাসী
- ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়
- পর্তুগালের প্রাকৃতিক নাগরিক
- উয়েফা ইউরো ২০১৬-এর খেলোয়াড়
- ২০১৭ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের খেলোয়াড়
- উয়েফা ইউরো ২০২০-এর খেলোয়াড়
- ব্রাজিলীয় প্রবাসী ফুটবলার
- পর্তুগালে প্রবাসী ফুটবলার
- স্পেনে প্রবাসী ফুটবলার
- তুরস্কে প্রবাসী ফুটবলার
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী খেলোয়াড়
- পর্তুগালে ব্রাজিলীয় প্রবাসী ক্রীড়াবিদ
- স্পেনে ব্রাজিলীয় প্রবাসী ক্রীড়াবিদ
- উয়েফা ইউরো ২০২৪-এর খেলোয়াড়