বাহাই বিশ্বাস ও লৈঙ্গিক সমতা
বাহাই বিশ্বাস |
---|
Part of a series on the |
বাহাই ধর্মের অন্যতম মৌলিক শিক্ষা হল যে, কিছু ছোটখাট দৃষ্টান্ত ব্যতীত নারী ও পুরুষ সমান[১] এবং লৈঙ্গিক সমতা হল একটি আধ্যাত্মিক ও নৈতিক মান যা পৃথিবীকে একীকরণের জন্য অপরিহার্য এবং শান্তির পূর্বশর্ত । বাহাই শিক্ষাচার ব্যক্তি, পরিবার এবং সম্প্রদায় জীবনে এই নীতি বাস্তবায়নের গুরুত্বের উপর জোর দেয়। তা সত্ত্বেও বাহাই মতে দুই লিঙ্গের পূর্ণ আধ্যাত্মিক ও সামাজিক সাম্যের ধারণা বলতে সমতা বোঝায় না, সেখানেও জীবনের নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক বৈষম্য এবং পার্থক্য দেখা যায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, যদিও বাহাই নারীরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় স্তরে ধর্মীয় পদে নির্বাচিত এবং নিযুক্ত হয়ে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করতে পারে কিন্তু তাদের বাহাই বিশ্বাসের সর্বোচ্চ পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল হাউস অফ জাস্টিসের সদস্য হিসাবে কাজ করার অনুমতি নেই।
সমতা
[সম্পাদনা]নারী ও পুরুষের সমতা একটি মৌলিক বাহাই নীতি,যা বাহাই বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠাতা বাহাউল্লাহর লেখায় স্পষ্ট এবং বিশেষ করে তার পুত্র এবং নির্বাচিত দোভাষী আব্দুল বাহার লেখা ও বক্তৃতায় স্পষ্ট। সম্প্রদায়ের শিক্ষা প্রদান ও তার প্রতিফলন বাহাই সম্প্রদায়ের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু, যা ব্যবহারিক পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়। বাহাই শিক্ষাচার বলে যে, নারীরা পুরুষের চেয়ে নিকৃষ্ট নয় এবং সামাজিক জীবনের দিক থেকে তাদেরকে পুরুষদের অধীনস্থ হওয়া উচিত নয়। আসলে, মেয়েদের শিক্ষাকে ছেলেদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় এবং তাই তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বাহাই দৃষ্টিতে, নারীরা সবসময় পুরুষদের সমান ছিল, এবং কেন মহিলারা এখনও পর্যন্ত এই সমতা অর্জন করতে পারেনি তার কারণ পর্যাপ্ত শিক্ষাগত এবং সামাজিক সুযোগের অভাব, এবং আরও একটি কারণ হল মহিলাদেরকে তাদের প্রকৃত সম্ভাবনা বিকাশ থেকে বিরত রাখতে পুরুষরা তাদের বৃহত্তর শারীরিক শক্তি ব্যবহার করেছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Lights of Guidance/Women - Bahaiworks, a library of works about the Bahá'í Faith"। bahai.works। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২১।