মঞ্জুর হোসেন
মঞ্জুর হোসেন | |
---|---|
জন্ম | ১৯২৮ |
মৃত্যু | ১৯৬৮ |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা মেডিকেল কলেজ |
পুরস্কার | একুশে পদক (২০০২) |
মঞ্জুর হোসেন (১৯২৮ – ১৯৬৮) একজন বাংলাদেশি ভাষা সৈনিক ও চিকিৎসক ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়েছিল।[১]
জীবনী
[সম্পাদনা]মঞ্জুর হোসেন ১৯২৮ সালে নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি ১৯৪৩ সালে নওগাঁ কে.ডি. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতা থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[২] এরপর, তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তিনি সেখান থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।[২]
মঞ্জুর হোসেন ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মী পরিষদ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারি বৃহত্তর ধর্মঘটের ডাক দেয়। পরিস্থিতির মোকাবেলায় ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। [৩][৪] মঞ্জুর হোসেন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার পক্ষে ছিলেন। তিনি ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে বক্তৃতাও প্রদান করেছিলেন।[২]
মঞ্জুর হোসেন ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বের হওয়া প্রতিবাদ মিছিলগুলোর একজন সংগঠক ছিলেন। এছাড়া, তিনি মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি এর জন্য গ্রেফতার হয়েছিলেন।[২] তিনি প্রথম শহিদ মিনার প্রতিষ্ঠায়ও অবদান রেখেছেন।
এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করার পর মঞ্জুর হোসেন নওগাঁয় ফিরে আসেন ও সেখানে চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে শুরু করেন।[২] তিনি গরিবদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতেন। এছাড়া, তিনি তাদের বিনামূল্যে ওষুধও প্রদান করতেন।[২] তিনি রোগীদের উন্নততর চিকিৎসার জন্য রোগীদের নিজ খরচে ঢাকায় পাঠাতেন।
মঞ্জুর হোসেন সাংবাদিকতার সাথেও যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৬০ সালে সাপ্তাহিক দেশ বাণী র সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[২] তিনি ছাত্রজীবন থেকে বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন।
মঞ্জুর হোসেন ১৯৬৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[২] মৃত্যুর পর ২০০২ সালে তিনি ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ" (PDF)। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ "শহীদ মিনারের কারিগর নওগাঁর ডা. মঞ্জুর হোসেন"। জাগোনিউজ২৪.কম। ২১ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "১৪৪ ধারা ভঙ্গ"। প্রথম আলো। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ক্ষুব্ধ চেতনায় একুশের স্মৃতি"। কালের কণ্ঠ। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২০।