মহসিন ওয়ালি
ড. মহসিন ওয়ালি | |
---|---|
জন্ম | বিজনোর, উত্তরপ্রদেশ, ভারত | ২৮ নভেম্বর ১৯৫৩
মাতৃশিক্ষায়তন | Ganesh Shankar Vidyarthi Memorial Medical College, কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | কার্ডিওলজিস্ট |
কর্মজীবন | ১৯৭০ |
পরিচিতির কারণ | Physician to the President of India |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফররুখ নাজ |
সন্তান | আম্মার খান, সানা খান, আমির খান এবং আসিফ খান |
পিতা-মাতা | মেহবুব সুবহানী আলিয়া ওয়ালি |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী |
মহসিন ওয়ালি একজন ভারতীয় কার্ডিওলজিস্ট এবং আর. ভেঙ্কটরামন এবং শঙ্কর দয়াল শর্মার প্রাক্তন অনারারি চিকিৎসক এবং প্রণব মুখার্জির সেবাকারী চিকিৎসক।[১] ভারতের রাষ্ট্রপতির একজন চিকিৎসক হিসেবে তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল আর. ভেঙ্কটারমনের সাথে, ৩৩ বছর বয়সে। তিনিই ছিলেন ভারতীয় রাষ্ট্রপতিদের সেবাকারী সর্বকনিষ্ঠ চিকিৎসক।[২] তিনিই একমাত্র চিকিৎসক যিনি ভারতের তিনজন রাষ্ট্রপতির চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতীয় চিকিৎসায় তার অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ২০০৭ সালে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী প্রদান করে।[৩]
জীবনী
[সম্পাদনা]মহসিন ওয়ালি ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বিজনোরে মেহবুব সুবহানী এবং আলিয়া ওয়ালি দম্পতির পরিবারে ২৮ নভেম্বর ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক করার পর, তিনি গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসায় স্নাতক হন এবং ১৯৭৯ সালে কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি কানপুরের লালা লাজপত রায় হাসপাতালে একজন আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেন এবং এক বছর পর, তিনি একজন সিনিয়র রেজিস্ট্রার এবং টিউটর পদে উন্নীত হন, এই পদটিতে তিনি ১৯৭৯ সালে স্নাতকোত্তর শেষ হওয়া পর্যন্ত অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ১৯৮০ সালে একজন মেডিকেল অফিসার হিসাবে এক বছরের জন্য জিবি পান্ত হাসপাতালে যোগদান করেন এবং ১৯৮১ সালে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে (সাবেক উইলিংডন হাসপাতাল) অনুষদের সদস্য হিসেবে স্থানান্তরিত হন এবং ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেন, একই বছর তিনি মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট লাভ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]</link> ২০১৪ সালে, তিনি সিকিম মণিপাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাতে ব্যবসায় প্রশাসন (এমবিএ) বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[১]
১৯৯০ সালে, ওয়ালিকে ৩৩ বছর বয়সে ভারতের অষ্টম রাষ্ট্রপতি আর. ভেঙ্কটরামনের সাম্মানিক চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়, এবং তিনিই হন এই সম্মান প্রাপ্ত সর্বকনিষ্ঠ চিকিৎসক।[৪] তিনি একই সাথে সুরাট মেডিকেল ট্রাস্টের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন। শঙ্কর দয়াল শর্মা ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে ওয়ালি দ্বিতীয়বার একজন ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সেবা করার সুযোগ পান। তিনি বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সাম্মানিক চিকিৎসকও, এইভাবে তিনি হন তিনজন ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সেবা করা প্রথম চিকিৎসক,[৫] এবং রাষ্ট্রপতির সফরের সময় রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হন।[৬] তিনি অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ সোসাইটি, নিউ দিল্লি এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের একজন[৭] এবং রাষ্ট্রপতির এস্টেটের অধীনে এইডস নিয়ন্ত্রণের একজন নোডাল অফিসার।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তিনি ভারতীয় রেড ক্রসের মাতৃত্ব ও কল্যাণ বিভাগের সদস্য এবং ইন্ডিয়ান হার্ট জার্নালের প্রাক্তন সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য। তিনি ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অফ নিউট্রিশনের একজন ফেলো এবং নিউ ইয়র্ক একাডেমি অফ সায়েন্সেস, ন্যাশনাল সোসাইটি অফ জেরিয়াট্রিক্স, ন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অফ ব্লাইন্ডনেস এবং কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার মতো সংস্থার সদস্য।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তিনি কিউনেটের সাথেও যুক্ত আছেন, তাদের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডের একজন সদস্য হিসেবে[৮] এবং চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থে অধ্যায়গুলিতে অবদান রেখেছেন।[৯]
ওয়ালি, যিনি ভারতে জেরিয়াট্রিক মেডিসিন প্রবর্তনে অবদান রেখেছেন বলে জানা গেছে,[৮] আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলো।[১] ভারত সরকার তাকে ২০০৭ সালে পদ্মশ্রী বেসামরিক সম্মানে ভূষিত করে[৩]
পুরস্কার
[সম্পাদনা]- ভারতীয় চিকিৎসায় তার অবদানের জন্য ভারত সরকার কর্তৃক ২০০৭ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার[৩]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]ওয়ালি ফররুখ নাজকে বিয়ে করেছেন, যিনি একজন মানবহিতৈষী, সমাজসেবক এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্রী, এবং এই দম্পতির তিন ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।[১০][১১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "Dr Mohsin Wali- Physician to the President of India completes his MBA Degree from SMU-DE at 61"। Sikkim Manipal University। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Radio Dwarka News"। Chat Show। Radio Dwarka। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Prez's doc recalls days at GSVM"। Times of India। ১৭ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Men & Women In News"। Milligazette। ১৮ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "'Public' visit of the President" (পিডিএফ)। Government of India। ২০১২। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Minority Development & Protection Foundation"। Minority Development & Protection Foundation। ২০১৫। ১১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ "QNET Scientific Advisory Board"। Business for Home। ১২ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ Chronic Kidney Disease and Hypertension। Springer। ২০১৪। পৃষ্ঠা 257। আইএসবিএন 9781493919826।
- ↑ "Farrukh Naaz - a woman of many facets"। The Rahnuma Daily (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-২৩। ২০২১-১০-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৭।
- ↑ "കൊഴുപ്പ് മുഴുവനും ഉപേക്ഷിക്കാന് പറയുന്ന ഒരു ഡയറ്റ് പ്ലാനും വിശ്വസിക്കരുതെന്ന് ഡോ. മൊഹ്സിന് വാലി"। Deshabhimani (মালায়ালাম ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- "A special talk with physician to the President : Dr Mohsin Wali"। YouTube video। Inext Live। ১৫ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫।
- "General Physician : Dr Mohsin Wali"। Healserv Webpage। www.helaserv.com। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Mohsin Wali, Sudhir R. Naik, C, Venkata S. Ram (২০১৪)। Resistant Hypertension in Patients with Chronic Kidney Disease। Springer। পৃষ্ঠা 25–35। আইএসবিএন 9781493919826।