মারকাজি মসজিদ, ডিউসবুরি
মারকাজি মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | |
ফেরকা | তাবলীগ জামাত |
অঞ্চল | ইউরোপ |
উৎসব | বার্ষিক ইজতেমা |
অবস্থান | |
অবস্থান | ডিউসবুরি, পশ্চিম ইয়র্কশায়ার |
দেশ | যুক্তরাজ্য |
স্থানাঙ্ক | ৫৩°৪০′৫২″ উত্তর ১°৩৭′৪৪″ পশ্চিম / ৫৩.৬৮১১১° উত্তর ১.৬২৮৮৯° পশ্চিম |
স্থাপত্য | |
প্রতিষ্ঠাতা | হাফিজ পাটেল |
ভূমি খনন | ১৯৭৮ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯৮২ |
ধারণক্ষমতা | ৪০০০ |
মারকাজি মসজিদ (কেন্দ্রীয় মসজিদ) যা ডিউসবুরি মারকাজ বা দারুল উলুম (জ্ঞানের ঘর) নামে পরিচিত, যুক্তরাজ্যের পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ডিউসবুরির সাভিল টাউন এলাকায় অবস্থিত একটি মসজিদ।[১]
এটি ইউরোপের বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি যার সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৪০০০। [২][৩] এটা ইউরোপে তাবলিগ জামাতের সদর দপ্তর ও ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র। [৪][৫][৬][৭] এখানে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের জন্য একটি স্বাধীন বোর্ডিং স্কুল রয়েছে যা যুক্তরাজ্যের দুটি প্রধান ইসলামি মাদ্রাসার মধ্যে একটি। [৮] মসজিদটি পুরো ইউরোপ জুড়ে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। [১]
মসজিদটির নির্মাণকাজ ১৯৭৮ সালে শুরু হয়ে ১৯৮২ সালে সম্পন্ন হয়েছিল; মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে। [২] ডিউসবুরি মারকাজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হাফিজ পাটেল, যিনি ২০১৬ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এর নেতৃত্বে ছিলেন। [৯]
সেবা
[সম্পাদনা]ডিউসবুরি মারকাজ তাবলিগ জামাতের সাথে জোটবদ্ধ এবং এর ছয়টি নীতিকে ভিত্তি করে তার পরিষেবাগুলি পরিচালিত হয়। প্রাত্যহিক পরিষেবাগুলিতে রয়েছে: নামাজ, আলোচনা এবং পাবলিক বক্তৃতা, জামাত (কয়েকজনের সমন্বয়ে গঠিত যারা ধর্ম প্রচার করে)। ইউরোপের তাবলিগ জামাতের সদর দফতর হওয়ায় প্রায়শই এখানে বার্ষিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।[১০] এটি ব্ল্যাকবার্ন, বার্মিংহাম, গ্লাসগো, লিসেস্টার এবং লন্ডনের পাঁচটি মারকাজ (আঞ্চলিক কেন্দ্র) এবং যুক্তরাজ্যের শতাধিক মসজিদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য জুড়ে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন করে। [১১]
বিতর্ক
[সম্পাদনা]তাবলিগ জামাত এবং ডিউসবুরি মারকাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তারা চরমপন্থী ইসলামবাদ প্রচার করে এবং ব্রিটেনে ইসলামী সন্ত্রাসবাদের সাথে যোগাযোগ রাখে। ২০০৫ সালের ৭ জুলাই লন্ডনের বোমা হামলাকারীদের মধ্যে দু'জন : মোহাম্মদ সিদ্দিক খান ও শেহজাদ তানভীর, এই মসজিদে নামাজে অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।[১২][১৩] উগ্রপন্থার অভিযোগ এবং সিদ্দিক খান বা তানভীর উভয়ই মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন বলে সুনির্দিষ্ট দাবি এর নেতারা অস্বীকার করেছেন। [১৪][১৫][১৬] এই ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রটি ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থাকে অবহেলা করে ধর্মীয় শিক্ষায় অধিক জোর দেওয়া এবং দুর্বল পরীক্ষা ব্যবস্থার কারণে ২০০৬ সালে অফসটেড দ্বারা সমালোচিত হয়েছিল। [৭][১৭][১৮] ২০০৮ সালে রিপোর্ট করা হয়েছিল যে, স্কুলটি সেই ক্ষেত্রে সন্তোষজনক। [১৯] দ্য টাইমসের সাংবাদিক অ্যান্ড্রু নরফোক যুক্তি দেখিয়েছেন যে, স্কুলটি স্থানীয় অঞ্চলে জাতিগত পৃথকীকরণে অবদান রাখছে। [১২][১৩]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Rex, John (২০০২)। "Islam in the United Kingdom"। Islam, Europe's second religion: the new social, cultural, and political landscape। Greenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 51–76। আইএসবিএন 0-275-97608-4।
- ↑ ক খ "Markazi Masjid"। Muslims in Britain। ২৫ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৭।
- ↑ "Markazi Masjid"। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ Michael Emerson Ethno-religious Conflict in Europe 2009 p.123 "3.1 Non-political religious groups Tablighi Jamaat Britain is the current locus of Tablighi Jamaat in the West, with the Dewsbury Central Mosque in West Yorkshire serving as its European headquarters, although the group is highly decentralised."
- ↑ Wainright, Martin (২৯ মে ২০০৮)। "The name's Dewsbury"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ Fred Burton and Scott Stewart (২৩ জানুয়ারি ২০০৮)। "Tablighi Jamaat: An Indirect Line to Terrorism"। StartforGI। Stratfor Global Intelligence। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ ক খ Institute Of Islamic Education (Jaamia Talimul Islam) (পিডিএফ)। Ofsted। ১৭ অক্টোবর ২০০৬। ৩ জুন ২০০৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ Werbner, Pnina (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬)। "The Making of Muslim Dissent: Hybridized Discourses, Lay Preachers, and Radical Rhetoric among British Pakistanis": 102–122। জেস্টোর 646256। ডিওআই:10.1525/ae.1996.23.1.02a00060।
- ↑ Timol, Riyaz। "Obituary: Hafiz Patel (1926-2016)"।
- ↑ Robinson, Andrew (২০১৮-১০-২০)। "Muslims travelled from across Britain to Dewsbury to hear this message"। ExaminerLive। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১০।
- ↑ Timol, Riyaz (১৪ অক্টোবর ২০১৯)। "first_pagesettings Open AccessArticle Structures of Organisation and Loci of Authority in a Glocal Islamic Movement: The Tablighi Jama'at in Britain"।
- ↑ ক খ Norfolk, Andrew (২১ অক্টোবর ২০০৬)। "How bombers' town is turning into an enclave for Muslims"। The Times। ২০ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ ক খ Norfolk, Andrew (১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Muslim group behind 'mega-mosque' seeks to convert all Britain"। The Times। ১৫ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "Mosque leaders should speak out, says Tory..."। The Press। ২২ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ Hookham, Mark (১১ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "Trial puts Dewsbury Islamic group in spotlight"। Yorkshire Evening Post। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Kristianasen, Wendy (নভেম্বর ২০০৬)। "Saturday afternoon in Dewsbury"। Le Monde diplomatique - English edition। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "BBC NEWS | Education | League Tables | Institute of Islamic Education"। BBC। ১৯ অক্টোবর ২০০৫।
- ↑ "BBC NEWS | Education | League Tables | Secondary schools in Kirklees"। BBC। ১০ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ Institute Of Islamic Education (পিডিএফ)। Ofsted। ১২ জুন ২০০৮। ৩ জুন ২০০৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১০।