মালদ্বীপ–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
মালদ্বীপ |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
---|
মালদ্বীপ - যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বলতে মালদ্বীপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বোঝায়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে মালদ্বীপ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। [১] মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং শ্রীলঙ্কায় দূতাবাসের কিছু কর্মী মালদ্বীপে পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র মালদ্বীপের স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করে এবং ১৯৮৮ সালের নভেম্বরের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সময় মালদ্বীপ সরকারের পক্ষে ভারতের সময়োপযোগী হস্তক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র, প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিল। [২] মার্কিন নৌবাহিনী জাহাজগুলি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নিয়মিতভাবে মালেতে যাতায়াত করেছে ।অন্যদিকে মালদ্বীপ ২০০১-২০০২ সালে সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসবাদী অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মার্কিন প্রচেষ্টাকে দৃঢ় জানিয়েছিল ।
মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান মূলত আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্মসূচির মাধ্যমে করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে সুনামির পরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মালদ্বীপ পুনর্গঠনের সহায়তায় $,৮.৬ মিলিয়ন ডলার দ্বিপাক্ষিক সহায়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। এই অর্থ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, নর্দমা ব্যবস্থার উন্নয়ন, বৈদ্যুতিক সুবিধাগুলি পুনর্নির্মাণ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের পুনর্গঠনে সাহায্য করেছিল।। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বিমানবন্দর পরিচালনা ও মাদকদ্রব্য নিরোধের প্রশিক্ষণের জন্য অর্থায়ন করেছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মালদ্বীপের রীতিনীতি, অভিবাসন এবং ড্রাগ-নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার জন্য মালদ্বীপকে ডেস্কটপ কম্পিউটার সরবরাহ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর স্বল্প সংখ্যক মালদ্বীপের সামরিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়। প্রায় ১০ জন মার্কিন নাগরিক মালদ্বীপের বাসিন্দা; প্রায় ৫০০০ আমেরিকান প্রতি বছর মালদ্বীপে যান। [৩]
আলাইনা বি. টেপলিটজ মালদ্বীপে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাষ্ট্রদূত । [৪] বর্তমানে মালদ্বীপের মার্কিন দূতাবাসটি শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় রয়েছে । পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মালদ্বীপ ভ্রমণের সময় ঘোষণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র মালয়েতে একটি দূতাবাসের উদ্বোধন করবে। দূতাবাসের উদ্বোধনটি এমন একটি দেশে ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করবে যেটি গুরুত্বপূর্ণ জাহাজে রুটের মধ্যে অবস্থিত। [৫]
প্রতিরক্ষা
[সম্পাদনা]ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মালদ্বীপ তাদের সামরিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করে চলেছে । [৬] ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মালদ্বীপ ফিলাডেলফিয়ায় একে অপরের সাথে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে। [৭] ২০১৩ সাল থেকে চুক্তিটি কার্যকর ছিল, তবে এর আগে ভারত সরকারের এই চুক্তির বিরোধীতার জন্য চুক্তিটি অবরুদ্ধ ছিল। ভারতীয় কর্মকর্তারা তখন থেকে এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন যখন তারা মালদ্বীপকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। [৮][৯] মালদ্বীপের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সামরিক সহায়তা প্রদানকারী কয়েকটি দেশগুলির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একটি। [১০]
সাহায্য
[সম্পাদনা]মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় মালদ্বীপে ৬০ টি ভেন্টিলেটর অনুদান দিয়েছিল। [১১] এছাড়া মহামারী চলাকালীন অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য $২ মিলিয়ন ডলার এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের জন্য $১৫০,০০০ ডলার অনুদানও দিয়েছে। [১২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Policy & History"। U.S. Mission to Maldives। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Operation Cactus: India's 1988 intervention in the Maldives"। Pragati। ১৮ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Maldives"। U.S. Department of State। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "PN2031 - Nomination of Alaina B. Teplitz for Department of State, 115th Congress (2017-2018)"। www.congress.gov। ২০১৮-০৯-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৩।
- ↑ Verma, Pranshu (২৮ অক্টোবর ২০২০)। "U.S. to Establish Embassy in the Maldives"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ De Silva, Rohantha। "The US reinforces political and military relations with the Maldives"। World Socialist Web Site (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "The Maldives and U.S. Sign Defense Agreement"। U.S. DEPARTMENT OF DEFENSE। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Rej, Abhijnan। "India Welcomes US-Maldives Defense Cooperation Agreement in a Sign of Times"। thediplomat.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Mitra, Devirupa। "Seven Years On, India Now Backs a Defence Pact Between the US and Maldives"। The Wire। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Mohamed, Shahudha। "Chief of Defence denies foreign military presence in Maldives"। The Edition (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "The United States Donates 60 Ventilators to Maldives to Respond to COVID-19 - Maldives"। ReliefWeb (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Mohamed, Shahudha। "USA donates equipment for frontliners of Maldives' COVID-19 response"। The Edition (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০।