রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (১২ এপ্রিল ২০২১) |
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ | |
---|---|
জন্ম | ১৭৮৬ |
মৃত্যু | ২ মার্চ ১৮৪৫ | (বয়স ৫৮–৫৯)
নাগরিকত্ব | ভারত |
পরিচিতির কারণ | আভিধানিক, পণ্ডিত |
পিতা-মাতা |
|
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ (জন্ম: ১৭৮৬ ― মৃত্যু: ২ মার্চ ১৮৪৫) একজন প্রখ্যাত আভিধানিক এবং স্মার্তপণ্ডিত। তিনি ব্রাহ্মসমাজের সাথে যুক্ত ছিলেন।[১] রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের আদি নিবাস নদীয়ার পালপাড়ায়। তার পিতার নাম লক্ষ্মীনারায়ণ তর্কভূষণ। তার বড়ভাই হরিহরানন্দ তীর্থস্বামী রামমোহন রায়ের বন্ধু ছিলেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ কিছুদিন রামমোহন রায় প্রতিষ্ঠিত বেদান্ত কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৪ মে ১৮২৭ খ্রিষ্টাব্দে সরকার দ্বারা সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। তিনি এই পদ থেকে ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে পদচ্যুত হন। ১৮৪২ খ্রিষ্টাব্দে সংস্কৃত কলেজে সহকারী সম্পাদক পদ পান। কলকাতায় রামমোহন রায়ের কাজকর্মের সাথে তার ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। আত্মীয়সভার অধিবেশনে তিনি ঈশ্বরের একত্ববাদের উপর মতামত জানান। ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসমাজের তিনি প্রথম সচিব নিযুক্ত হন। ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ ২১ জন যুবককে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত করেন। ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রামমোহনের বিপক্ষে যোগ দিলেও পরবর্তীকালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আগে হিন্দু বিধবা বিবাহ প্রস্তাব সমর্থন এবং বহুবিবাহের বিরুদ্ধে নিজমত নীতিদর্শন বক্তৃতামালায় দৃঢ়তার সাথে প্রকাশ করেন। ১৮২৯ খ্রিষ্টাব্দে রামমোহন রায় বিলেত গেলে দীর্ঘ ১০ বছর তার অসাধারণ পাণ্ডিত্য এবং বিষ্ণু চক্রবর্তীর সঙ্গীতের জন্যই ব্রাহ্মসমাজের অস্তিত্ব বজায় ছিল। তত্ত্ববোধিনী সভার সঙ্গে যুক্ত থেকে সভার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের উন্নতির চেষ্টা করেন। এই সভার নামও তার দেওয়া। বাঙালির শিক্ষা বাংলা ভাষার মাধ্যমে সঠিকভাবে হবে বলে বিশ্বাস করতেন। আদালতে ফারসি ভাষার পরিবর্তে বাংলা প্রচলনের উদ্দেশ্যে সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে ৬ মাস প্রধান পণ্ডিতের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। এই কাজে তিনি ডেভিড হেয়ার, প্রসন্নকুমার ঠাকুর প্রভৃতি ব্যক্তির সমর্থন পান। মৃত্যুকালে তিনি ব্রাহ্মসমাজকে ৫০০০ টাকা দান করেন।
সাহিত্যকর্ম
[সম্পাদনা]১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলা ভাষার প্রথম অভিধান সঙ্কলন করেন। রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থ:
- বঙ্গভাষাভিধান (১৮১৭)
- জ্যোতিষ সংগ্রহসার
- বাচস্পতি মিশ্রের বিবাদচিন্তামণিঃ
- শিশুসেবধি (১৮৪০)
- বর্ণমালা
- নীতিদর্শন
- পরমেশ্বরের উপসনা বিষয়ে প্রথম ব্যাখ্যান
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৬৫৯,আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |