লাচুং
লাচুং | |
---|---|
পাহাড় স্টেশন | |
ভারতে সিকিমের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৭°৪১′২৪″ উত্তর ৮৮°৪৪′৪৬″ পূর্ব / ২৭.৬৯০° উত্তর ৮৮.৭৪৬° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
প্রদেশ | সিকিম |
জেলা | উত্তর সিকিম |
উচ্চতা | ২,৭০০ মিটার (৮,৯০০ ফুট) |
ভাষা | |
• অফিসিয়াল | নেপালি, ভুটিয়া, লেপচা, লিম্বু, নেওয়ারি, রাই, গুরুং, মঙ্গর, শেরপা, তামাং এবং সুনওয়ার |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | এসকে |
লাচুং হল ভারতের সিকিম প্রদেশে অবস্থিত একটি ছোট শহর এবং পাহাড়ি স্টেশন। তিব্বতের সীমান্তঘেরা এই স্থানটি উত্তর সিকিম জেলার মধ্যে অবস্থানরত।[১] লাচুং লাচেন নদী এবং লাচুং নদী থেকে প্রায় ৯,৬০০ ফুট (২,৯০০ মি) উচ্চতায় অবস্থিত। লাচেন ও লাচুং উভয় নদীই তিস্তা নদীতে গিয়ে পড়েছে। রাজধানী গ্যাংটক থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২৫ কিলোমিটার (৭৮ মা)।[২]
শব্দার্থ
[সম্পাদনা]লাচুং শব্দের অর্থ "ছোট গমনোপযোগী অঞ্চল"।
অবস্থান
[সম্পাদনা]শহরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবস্থান রয়েছে। ১৯৫৯ সালে তিব্বত চীনা সাম্রাজ্যভুক্ত হওয়ার আগে লাচুং সিকিম এবং তিব্বতের মধ্যকার বাণিজ্যিক অঞ্চল হিসেবে ব্যবহৃত হত। ভারত সরকার পর্যটন আরম্ভ করার পর শহরটির অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে। সারাবিশ্বের পর্যটকগণ অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত অঞ্চলটিতে ঘুরতে আসেন। মূলত ইয়ামথাং ভ্যালি, লাচুং মনাস্টেরি দেখার পথেই তারা লাচুং আসেন। লাচুংয়ের অধিকাংশ অধিবাসীই লেপচা এবং তিব্বতীয়। নেপালি, ভুটিয়া এবং লেপচা ভাষা ব্যবহৃত হয় এখানে। শীতকালে শহরটি তুষারে ঢাকা থাকে। রডোডেনড্রন ভ্যালি ট্রেকের শুরুও লাচুংয়ে, যা কিনা ইয়ামথাং ভ্যালি থেকে লাচেন ভ্যালি পর্যন্ত বিস্তৃত।[২]
যুক্তরাজ্যের ভ্রমণকারী জোসেফ ডাল্টন হুকার ১৮৫৫ সালে প্রকাশিত দ্য হিমালয়ান জার্নাল পত্রিকায় লাচুংকে "সিকিমের একদম ছবির মত গ্রাম" হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এই শহরের নিকটে ফুনিতে স্কিইং করা যায়।
গ্যালারি
[সম্পাদনা]-
লাচুং শহর
-
শহরের অংশ
-
লাচুংয়ের একটি বাড়ি
-
লাচুং মনাস্টেরি
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Lachung Population"। census2011.co.in।
- ↑ ক খ "লাচুং-ইয়ুমথাং-লাচেন-গুরুদোংমার"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ১ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৯।