বিষয়বস্তুতে চলুন

শবে কদর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শবে কদর
আনুষ্ঠানিক নামআরবি: ليلة القدر, প্রতিবর্ণীকৃত: লাইলাতুল কদর
অন্য নামমহিমান্বিত রজনী, মর্যাদার রজনী, সৌভাগ্যের রজনী বা মূল্যবান রজনী[]
পালনকারীমুসলমানগণ
তাৎপর্যএই রাতে নবি মুহাম্মাদের নিকট কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল
পালনতাহাজ্জুদ নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, দোয়া, যিকির, ইতিকাফ
তারিখরমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর একটি

শবে কদর (ফার্সি: شب قدر) বা লাইলাতুল কদর (আরবি: لیلة القدر) এর অর্থ "অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত" বা "পবিত্র রজনী"। ফার্সি ভাষায় "শাব" ও আরবি ভাষায় "লাইলাতুল" অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী, অন্যদিকে ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হল ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা।[] ইসলাম ধর্ম অনুসারে, এ রাতে ইসলাম ধর্মের ধর্মপ্রচারক মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এই রাত অত্যন্ত পুণ্যময় ও মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত। কুরআনের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর মুসলিমদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে বলে তারা বিশ্বাস করে।[][] []

শবে কদরের ইতিহাস

[সম্পাদনা]

৬১০ সালে শবে কদরের রাতে মক্কার নূর পর্বতের হেরা গুহায় ধ্যানরত ইসলামের ধর্মের মহানবী, হযরত মুহাম্মদের নিকট সর্বপ্রথম কুরআন নাজিল হয়। সর্বপ্রথম তার নিকট প্রথম সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাজিল হয়। এ রাতে ফেরেশতা জীবরাইল এর নিকট সম্পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয় যা পরবর্তিতে ২৩ বছর ধরে ইসলামের নবী মুহাম্মদের নিকট তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট আয়াত আকারে নাজিল করা হয়।[]

মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাত সর্ম্পকে হাদিস শরীফে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। এমনকি মুসলমানদের প্রধান ধর্মী গ্রন্থ আল কুরআনে সূরা ক্বদর নামে স্বতন্ত্র একটি পূর্ণ সূরা নাজিল হয়েছে। এই সূরায় শবে কদরের রাত্রিকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[]

ইসলাম ধর্ম মতে, মুহাম্মদ এর পূর্ববর্তী নবী এবং তাদের উম্মতগণ দীর্ঘায়ু লাভ করার কারণে বহু বছর আল্লাহর ইবাদাত করার সুযোগ পেতেন। কুরআন ও হাদীসের বর্ণনায় জানা যায়, ইসলামের চার জন নবী যথা আইয়ুব, জাকরিয়া , হিযকীল ও ইউশা ইবনে নূন প্রত্যেকেই আশি বছর স্রষ্টার উপাসনা করেন এবং তারা তাদের জীবনে কোন প্রকার পাপ কাজ করেননি।[][] কিন্তু মুহাম্মদ থেকে শুরু করে তার পরবর্তী অনুসারীগণের আয়ু অনেক কম হওয়ায় তাদের পক্ষে স্রষ্টার আরাধনা করে পূর্ববর্তীতের সমকক্ষ হওয়া কিছুতেই সম্ভপর নয় বলে তাদের মাঝে আক্ষেপের সৃষ্টি হয়। তাদের এই আক্ষেপের প্রেক্ষিতে তাদের চিন্তা দুর করার জন্য সূরা ক্বদর নাজিল করা হয় বলে হাদিসের বর্ণনায় জানা যায়।[১০]

ধর্মীয় গুরুত্ব

[সম্পাদনা]

মুসলমানদের কাছে শবে কদর এমন মহিমান্বিত বরকতময় এবং বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এ জন্য যে, এ রজনীতে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ ‘আল-কুরআন’ অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেছেন,

নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, বিরাজ করে উষার আবির্ভাব পর্যন্ত। (সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)


কদরের রাত্রের যাবতীয় কাজের ইঙ্গিত দিয়ে এ রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের অন্যত্র ঘোষণা করেছেন,

হা-মীম! শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) এক মুবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। (সূরা আদ-দুখান, আয়াত: ১-৪)

ইসলাম ধর্ম মতে শবে কদরের রাতে ফেরেশতারা ও তাদের নেতা জিবরাঈল পৃথিবীতে অবতরণ করে উপাসনারত সব মানুষের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতে থাকেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, শবে কদরে হজরত জিবরাঈল (আ.) ফেরেশতাদের বিরাট একদল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামাজরত অথবা জিকিরে মশগুল থাকে তাঁদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (মাযহারি)

লাইলাতুল কদরে পরবর্তী এক বছরের অবধারিত বিধিলিপি ব্যবস্থাপক ও প্রয়োগকারী ফেরেশতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিজিক, সবকিছুর পরিমাণ নির্দিষ্ট ফেরেশতাদেরকে লিখে দেওয়া হয়, এমনকি কে হজ্জ করবে, তা-ও লিখে দেওয়া হয়।[১০][১১]

গুরুত্ব

[সম্পাদনা]

মুসলমানদের কাছে কদরের রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কুরআনের সূরা কদরে উল্লেখ আছে, হাজার মাস উপাসনায় যে পূন্য হয়, কদরের এক রাতের উপাসনা তার চেয়ে উত্তম।[১২] লাইলাতুল কদরের রাতে সৎ এবং ধার্মিক মুসলমানদের ওপর আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। লাইলাতুল কদরে মুসলিমরা আল্লাহর কাছে মাগফিরাত, নাজাত ও ক্ষমা পাওয়ার পরম সুযোগ লাভ করে। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে ইসলামের মহানবী বলেন, যে ব্যক্তি এ রাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করবে, আল্লাহ তাঁর পূর্বেকৃত সব গুনাহখাতা মাফ করে দেবেন। (বুখারি)

হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী, লাইলাতুল কদরের রজনীতে যে বা যারা আল্লাহর আরাধনায় মুহ্যমান থাকবে, স্রষ্টা তার ওপর থেকে দোজখের আগুন হারাম করে দেবেন। এ সম্পর্কিত হাদীসটি হল, সমস্ত রজনী আল্লাহ তাআলা লাইলাতুল কদর দ্বারাই সৌন্দর্য ও মোহনীয় করে দিয়েছেন, অতএব তোমরা এ বরকতময় রজনীতে বেশি বেশি তাসবিহ-তাহলিল ও ইবাদত-বন্দেগিতে রত থাকো। অন্য হাদিসে তিনি বলেছেন, তোমরা তোমাদের কবরকে আলোকিত পেতে চাইলে মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর রাতে জেগে রাতব্যাপী ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দাও।[১৩]

হাদিস অনুযায়ী, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজান দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। আয়েশা থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ আছে, মুহাম্মদ রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতে শবে কদর সন্ধান করো। (বুখারি ও মুসলিম) আরেকটি হাদিসে মুহাম্মদ বলেছেন, মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে তোমরা শবে কদর সন্ধান করো। [১৪] (সহীহ বুখারী)[১৫][১৬]

পুণ্যময় রাত্রি

[সম্পাদনা]

ইসলামের মহানবীকে তার স্ত্রী আয়েশা শবে কদর সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে রাসুলুল্লাহ! আমি যদি লাইলাতুল কদর পাই তখন কী করব? তখন নবী মত দেন, তুমি বলবে, হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করে দিতে ভালোবাসেন—অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। (তিরমিযি) মুসলমানদের ধারনায়, লাইলাতুল কদর গোটা মানবজাতির জন্য অত্যন্ত পুণ্যময় রজনী এবং এ রাত বিশ্ববাসীর জন্য স্রষ্টার অশেষ রহমত, বরকত ও ক্ষমা লাভের অপার সুযোগ এনে দেয়। এ রাতে কুরআন শরীফ নাজিল হয় যার অনুপম শিক্ষাই ইসলামের অনুসারীদের সার্বিক কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি, ইহকালীন শান্তি ও পারলৌকিক মুক্তির পথ দেখায়।[][][১১][১৩]

উদ্‌যাপন

[সম্পাদনা]

শবে কদরের রাত ইবাদত ছাড়াও মুসলিম সম্প্রদায় নানাভাবে উদ্‌যাপন করেন। একাধিক মুসলিম দেশ এ দিবস উপলক্ষে গণবিয়ে, নতুন শিশু রোযাদারদের জন্যে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। [১৭]

মরোক্কো

[সম্পাদনা]

মরোক্কোতে কদরের রাতে বাচ্চাদের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। মুসলিম অভিভাবকরা এ রাতে বাচ্চাদের জীবনের প্রথম রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করে এবং নতুন পোশাক কিনে দেয়। মেহেদি দিয়ে তাদের হাত রাঙিয়ে দেন। রোজা রাখে না বলে বাচ্চাদের রমজান মাসে ডিম খেতে দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র এ রাতে ডিম খেতে দেয়া হয়। এছাড়া বাচ্চাদের প্রথম রোজা রাখার পুরস্কার হিসেবে ‘কুসকুস’ খাবার রান্না করে মসজিদের দরজায় গরিব-মিসকিনদের দেয়া হয়।

আলজেরিয়া

[সম্পাদনা]

আলজেরিয়াতেও এই রাতকে বাচ্চাদের প্রথম রোজা মনে করা হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের ঘরে বিশেষ ধরনের শরবত বানানো হয়। যেসব বাচ্চা নতুন রোজা রেখেছে তাদেরকে তা খাওয়ানো হয়। পানি, মিষ্টি ও ফুলের পানি দিয়ে তৈরি এই বিশেষ শরবতের পাত্রে এক টুকরো স্বর্ণ অথবা রুপার আংটি রাখা হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Britannica Guide to the Islamic World (ইংরেজি ভাষায়)। Encyclopaedia Britannica, Inc.। ২০০৯। আইএসবিএন 9781593398491। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৭ 
  2. পবিত্র শবে কদর ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে, টেকনাফ নিউজ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৫/০৮/২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  3. পবিত্র শবে কদর আজ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৫ আগস্ট ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  4. আজ পবিত্র শবে কদর ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে,বিজনেসটাইমস২৪.কম। প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  5. সহীহ বুখারী[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ ০২, পর্বঃ ঈমান, হাদিস নাম্বারঃ ৪৭
  6. আল-কুরআন অবতরণ,মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান, দৈনিক প্রথম আলো। প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ০৩, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  7. আজ পবিত্র শবে কদর[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], ঢাকা নিউজ এজেন্সি। প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  8. মহিমান্বিত রজনী শবে-কদর[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],শাহ মো. ইমাদ উদ্দিন নাসিরী, দৈনিক নিউ সিলেট। প্রকাশের তারিখ: ১৩-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  9. লাইলাতুল কদরের তাৎপর্য ও শিক্ষা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], কক্সসবাজার নিউজ। প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  10. আজ রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ জুলাই ২০১৩ তারিখে,দৈনিক খোয়াই। প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  11. খোদাপ্রেমের মহামহিমান্বিত রজনী ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ আগস্ট ২০১৩ তারিখে, এ১ নিউজ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১২ এপ্রিল ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  12. ইবাদত ও দোয়ায় শবে কদর পালিত[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম । ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৭-০৯-২০১০ খ্রিস্টাব্দ।
  13. ‘লাইলাতুল কদর’ মহিমান্বিত ও শ্রেষ্ঠ রজনী ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৯-০৫-২২ তারিখে,মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৮-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  14. পবিত্র শব-ই-কদরের তারিখ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ ০২, পর্বঃ ঈমান, হাদিস নাম্বারঃ ৪৭
  15. পবিত্র শব-ই-কদরের শিক্ষা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ মার্চ ২০১৬ তারিখে, মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, দৈনিক সংগ্রাম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২১-০৮-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
  16. শবে কদর অনুসন্ধান[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], মাওলানা এম এ করিম ইবনে মছবি্বর, দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ৩১ আগস্ট ২০১০ খ্রিস্টাব্দ।
  17. "শবে কদরে তিউনিসিয়ায় অনেকে বিয়ে করেন"বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-০১ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]