শান্তনু ভট্টাচার্য
শান্তনু ভট্টাচার্য | |
---|---|
জন্ম | পশ্চিমবঙ্গ, ভারত | ২৩ এপ্রিল ১৯৫৭
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পরিচিতির কারণ | প্রকৃতিতে লভ্য নয় এমন অ্যামিনো অ্যাসিড, চাক্রিক পেপটাইড, ডিএনএ গঠনকারী ক্ষুদ্র অণু ও প্রাকৃতিক দ্রব্য সংশ্লেষণ। |
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | |
ডক্টরাল উপদেষ্টা |
|
শান্তনু ভট্টাচার্য (জন্ম:১৯৫৭) একজন ভারতীয় রসায়নবিদ এবং ভারতীয় বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক।[১] তিনি অ্যামিনো অ্যাসিড, চাক্রিক পেপটাইড এবং জৈবনিকভাবে সক্রিয় প্রাকৃতিক উপাদানগুলো নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেছেন।[২] এছাড়াও শান্তনু ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমি[৩], বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমি[৪] ও ইন্ডিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস[৫] এর একজন নির্বাচিত ফেলো। রাসায়নিক বিজ্ঞানে অবদানের জন্য শান্তনুকে ভারতীয় বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল ২০০৩ সালে ভারতে বিজ্ঞানের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার প্রদান করে। [৬] এছাড়াও তিনি ২০০২ সালে ভারত সরকারের জীবপ্রযুক্তি বিভাগের জাতীয় জীববিজ্ঞান পুরস্কার[৭] এবং ২০১০ সালে টোয়াস পুরস্কারে ভূষিত হন। [৮] বর্তমানে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থান (IISER) - তিরুপতি এর ডিরেক্টর পদে আসীন।
জীবনী
[সম্পাদনা]শান্তনু ভট্টাচার্য ১৯৫৭ সালের ২৩ জুন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে রসায়নে স্নাতক (সম্মান) ও রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। [৩] অতঃপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র জীব-জৈব বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের নিউ ব্রান্সউইক শহরের (কানাডার নিউ ব্রান্সউইক শহরের সাথে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না) রুটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে রবার্ট এ মসের অধীনে শান্তনু গবেষণা শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। অতঃপর শান্তনু এমআইটিতে নোবেল বিজয়ী হর গোবিন্দ খোরানার অধীনে ডক্টরেটোত্তর পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। ঝিল্লিস্থ প্রোটিনে সংকেত সঞ্চালন ছিল এমআইটিতে তার গবেষণার বিষয়বস্তু। ভারতে প্রত্যাবর্তন করে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সহযোগী অধ্যাপক ও ২০০১ সাল থেকে অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[৯] তিনি বর্তমানে সেখানে জৈব রসায়ন বিভাগের সভাপতিরূপে দায়িত্ব পালন করছেন। [১০] তিনি জওহরলাল নেহরু বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের রাসায়নিক জীববিজ্ঞান শাখার অবৈতনিক অধ্যাপকরূপেও কর্মরত আছেন। [৩]
গবেষণা
[সম্পাদনা]রসায়ন ও জীববিজ্ঞান উভয় বিষয়ের সঙ্গেই তার গবেষণা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। প্রকৃতিতে লভ্য নয় এমন অ্যামিনো অ্যাসিড, চাক্রিক পেপটাইড, ডিএনএ অণুর বন্ধন গঠনকারী ক্ষুদ্র অণু - এসব বিষয়ে তার বিশদ পর্যবেক্ষণ ও অবদান রয়েছে।[১১] লিপিডের আণবিক গঠন, পেপটাইডের নকশা, মাইসেলির (কোষ প্রাচীরের ক্ষুদ্রতম গাঠনিক একক) গাঠনিক অধ্যয়ন, ডিএনএ বন্ধনসৃজক ক্যান্সারবিরোধী এজেন্ট [১২], ন্যানোকণা আবিষ্কার ও সংশ্লেষণ - এসব ক্ষেত্রে শান্তনুর কাজ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমির ওয়েবসাইটে তার ১১৭টি গবেষণা প্রবন্ধ তালিকাভুক্ত হয়েছে। [১৩] জৈব ও আণবিক অধ্যয়নের জন্য তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে একটি বিজ্ঞানাগার গড়ে তুলেন। তিনি বহু বিজ্ঞানীর স্নাতকোত্তর, ডক্টরেট এবং ডক্টরেটোত্তর গবেষণা তত্ত্বাবধান করেছেন। তিনি "বায়োকনজুগেট কেমিস্ট্রি" এবং আমেরিকান রসায়নবিদ সমিতির "লাংমুইর"(পৃষ্ঠীয় ও কলয়েড রসায়ন নিয়ে আলোচনা করা সাময়িকী) এর ন্যায় জার্নালের সম্পাদনা পর্ষদেও নিয়োজিত আছেন। [৯]
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]১৯৯৭ সালে শান্তনু ভট্টাচার্য বি.এম. বিড়লা বিজ্ঞান পুরস্কার লাভ করেন।[১৪] দুই বছর পরে তিনি ভারতের কণা গবেষণা সমিতির পদক লাভ করেন। জীববিজ্ঞান পুরস্কার, শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার এবং টোয়াস পুরস্কার ছাড়াও শান্তনু ২০১৩ সালে রণবক্সী গবেষণা পুরস্কার, ২০০৪ সালে পি ইউ ভাগ্যতারা জাতীয় পুরস্কার, ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় ঔষধ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিডিআরআই পুরস্কার ও ২০০৭ সালে জি ডি বিড়লা পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৮-২০০৩ মেয়াদে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের স্বর্ণজয়ন্তী ফেলোশিপ ও ২০০৮ সালে জগদীশচন্দ্র বসু বৃত্তি লাভ করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Awardee Details: Shanti Swarup Bhatnagar Prize"। ssbprize.gov.in।
- ↑ ক খ গ "INSA :: Indian Fellow Detail"। insaindia.res.in। ১৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Bhattacharya, Santanu"। TWAS।
- ↑ http://www.ias.ac.in/describe/fellow/Bhattacharya,_Prof._Santanu
- ↑ "View Bhatnagar Awardees"। ssbprize.gov.in।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৪ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "TWAS Announces 2010 Prize Winners"। TWAS।
- ↑ ক খ https://web.archive.org/web/20161129021144/https://orgchem.iisc.ernet.in/index.php/faculty/84-santanu-bhattacharya
- ↑ https://web.archive.org/web/20160509164915/http://orgchem.iisc.ernet.in/index.php/people/faculty
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Maji, Basudeb; Bhattacharya, Santanu (22 মে, 2014)। "Advances in the molecular design of potential anticancer agents via targeting of human telomeric DNA"। Chemical Communications। 50 (49): 6422–6438। ডিওআই:10.1039/C4CC00611A – pubs.rsc.org-এর মাধ্যমে। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Browse by Fellow - Publications of the IAS Fellows"। repository.ias.ac.in।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২০।