হজ্জের ইতিহাস
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।(জুন ২০২৪) |
ইসলামি লেখকরা দাবী করেন যে এটি নবি ইবরাহিমের সময় থেকে ইসলামি নবি মুহাম্মদ দ্বারা ইসলামি হজ্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বর্তমান হজ্ব পর্যন্ত শুরু হয়েছিল, যেখানে লক্ষ লক্ষ মুসলমান তাদের বার্ষিক তীর্থযাত্রা পালন করেন।
ইসলামি বিবরণ মতে হযরত ইব্রাহিম (আব্রাহাম) এর সময়ে হজব্রত পালন প্রবর্তন করা হয়েছিল । ঈশ্বরের আদেশের ভিত্তিতে তিনি কাবা নির্মাণ করেছিলেন যা হজ্বের গন্তব্য হয়ে যায়। প্রাক-ইসলামি আরবে পৌত্তলিক আরবদের জন্য কাবা তখনও তাদের উপাসনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল । ইসলামি হজ্বের বর্তমান প্যাটার্নটি মুহাম্মদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের দিকে, যিনি পৌত্তলিক আরবদের প্রাক-ইসলামিক তীর্থযাত্রার সংস্কার করেছিলেন। মধ্যযুগীয় সময়কালে, হজ্বযাত্রীরা বসরা, দামেস্ক এবং কায়রো প্রভৃতি প্রধান শহরে জড়ো হত এবং দশ হাজার হজ্বযাত্রীরা সমন্বয়ে দলে দলে কাফেলাবদ্ধ হয়ে হজ্বব্রত পালনে মক্কায় গমন করেন।
উৎস
[সম্পাদনা]ইসলামি বর্ণনা অনুসারে হযরত ইব্রাহিম (আব্রাহাম) এর সময়ে হজ্ব ব্রত পালন চালু হয়েছিল। আল্লাহর আদেশে নবি ইব্রাহিম তার স্ত্রী হাজেরা (হাজর) এবং তার পুত্র ইসমাইলকে সঙ্গে অল্প জল ও খাবার দিয়ে প্রাচীন মক্কা প্রান্তরে এনে রেখেছিলেন - যা শীঘ্রই শেষ হয়েছিল। মক্কা তখন ছিল বসতি হীন জনমানব শূন্য একটি জায়গা।[১]
প্রাক-ইসলামি আরব
[সম্পাদনা]প্রাক ইসলামি আরবরা বিভিন্ন দেবতার পুজারী ছিল। কাবা তখনও তাদের উপাসনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল, এবং দেবদূতদের মূর্তি ও চিত্র দ্বারা ভরা ছিল । বার্ষিক তীর্থযাত্রা মরসুমে দেশ-বিদেশের লোকেরা কাবা ঘুরে দেখতেন। কুরাইশ গোত্রটি তীর্থযাত্রীদের বিনোদন ও সেবা দেওয়ার দায়িত্বে ছিল। শিবলি নোমানী উল্লেখ করেছেন যে, পৌত্তলিক আরবরা তাদের তীর্থযাত্রার সময় কিছু অশুচি অনুষ্ঠানের প্রচলন করেছিলেন। আজকের হজের বিপরীতে তারা সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে হাঁটেনি এবং আরাফাতে জড়ো হয়নি। কেউ কেউ পুরো তীর্থযাত্রায় নীরবতা বজায় রাখত। কুরাইশ গোত্রের লোক ব্যতীত অন্যরা উলঙ্গ অবস্থায় তাওয়াফ করত।
মুহাম্মাদ এবং হজ্ব
[সম্পাদনা]হজের বর্তমান প্যাটার্নটি ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যিনি পৌত্তলিক আরবদের প্রাক-ইসলামিক তীর্থযাত্রার সংস্কার করেছিলেন।[২]
আধুনিক যুগে
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Ibn Kathir (২০০১)। Stories of the Prophets: From Adam to Muhammad। Mansura: Dar Al-Manarah. English Translation by Sayed Gad et all। পৃষ্ঠা 78। আইএসবিএন 977-6005-17-9।
- ↑ "Hajj"। Encyclopædia Britannica। Encyclopædia Britannica, Inc.। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৪।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Peters, F. E. (১৯৯৪)। The Hajj: The Muslim Pilgrimage to Mecca and the Holy Places। New Jersey: Princeton University Press। আইএসবিএন 0-691-02120-1।
- Tagliacozzo, Eric; Toorawa, Shawkat, সম্পাদকগণ (২০১৬)। The Hajj: Pilgrimage in Islam। New York: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 113। আইএসবিএন 978-1-107-61280-8।
- Haykal, Muhammad Husayn (২০০৮)। The Life of Muhammad। Selangor: Islamic Book Trust। আইএসবিএন 978-983-9154-17-7।
- Cosman, Madeleine Pelner; Jones, Linda G. (২০০৮)। Handbook to Life in the Medieval World। New York: Facts On File। পৃষ্ঠা 814। আইএসবিএন 978-0-8160-4887-8।
- Campo, Juan E., সম্পাদক (২০০৯)। "Muhammad"। Encyclopedia of Islam। Facts On File। পৃষ্ঠা 494। আইএসবিএন 978-0-8160-5454-1।
- Davidson, Linda Kay; Gitlitz, David Martin (২০০২)। Pilgrimage: From the Ganges to Graceland: An Encyclopedia, Volume 1। California: ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 220। আইএসবিএন 1-57607-004-2।
- Al-Suyuti, Jalaluddin. Tarikh al-Khulafa (History of the Caliphs).
- Robinson, Francis, সম্পাদক (১৯৯৬)। The Cambridge Illustrated History of the Islamic World। Cambridge University Press। আইএসবিএন 9780521669931।
- Friedman, John Block; Figg, Kristen Mossler, সম্পাদকগণ (২০১৩)। "Ibn Jubayr (1145–1217)"। Trade, Travel, and Exploration in the Middle Ages: An Encyclopedia। Routledge। পৃষ্ঠা 270। আইএসবিএন 978-1135590949। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৫।
- Singer, Amy (২০০২)। Constructing Ottoman Beneficence: An Imperial Soup Kitchen in Jerusalem। SUNY Press। পৃষ্ঠা 141। আইএসবিএন 9780791453513।
- Al-Hariri Rifai, Wahbi (১৯৯০)। The Heritage of the Kingdom of Saudi Arabia। Washington DC: GDG Publications। পৃষ্ঠা 37। আইএসবিএন 0-9624483-0-3।