১৯৭১–৭২ বুন্দেসলিগা
মৌসুম | ১৯৭১–৭২ |
---|---|
তারিখ | ১৪ আগস্ট ১৯৭১ – ২৮ জুন ১৯৭২ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ২য় বুন্দেসলিগা শিরোপা ৩য় জার্মান শিরোপা |
অবনমন | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড আরমিনিয়া বিলেফেল্ড (ডিএফবি দ্বারা অবনমিত) |
ইউরোপীয় কাপ | বায়ার্ন মিউনিখ |
কাপ উইনার্স কাপ | শালকে |
উয়েফা কাপ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ কলন আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট কাইজারস্লাউটার্ন |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৯৯৩ (ম্যাচ প্রতি ৩.২৫টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | গের্ড মুলার (৪০টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | বায়ার্ন মিউনিখ ১১–১ ডর্টমুন্ড (২৭ নভেম্বর ১৯৭১) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | বায়ার্ন মিউনিখ ১১–১ ডর্টমুন্ড (২৭ নভেম্বর ১৯৭১) |
← ১৯৭০–৭১ ১৯৭২–৭৩ → |
১৯৭১–৭২ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৯ম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৭১ সালের ১৪ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৭২ সালের ২৮শে জুন তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১][২] ফর্টুনা ডুসেলডর্ফের জার্মান মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হান্স শুলৎস এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৭০–৭১ মৌসুমে ৫০ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ২য় বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৫৫ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ২য় বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৩য় বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় গের্ড মুলার ৪০ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
[সম্পাদনা]প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুটি ক্লাব তাদের নিজ নিজ আঞ্চলিক লিগে অবনমিত হয়েছিল।
দল
[সম্পাদনা]১৯৭০–৭১ মৌসুম শেষে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড এবং আরমিনিয়া বিলেফেল্ড (মুলত ১৯৭১ সালের ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আরমিনিয়া বিলেফেল্ডকে অবনমন করেছিল। এই আসরে তাদের সকল তথ্য মুখে ফেলার পূর্বে তারা সর্বমোট ১৯ পয়েন্ট অর্জন করেছিল।) মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে বোখুম এবং ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | মাঠ[৪] | ধারণক্ষমতা[৪] |
---|---|---|
হের্টা | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ১,০০,০০০ |
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | আলম স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | আইন্ট্রাখট স্টেডিয়াম | ৩৮,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | রোটে আর্ডে স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩৮,৫০০ |
ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | পল ইয়ানেস স্টেডিয়াম | ২৮,০০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৮৭,০০০ |
হামবুর্গার | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৮০,০০০ |
হানোফার ৯৬ | নিডারজারকসেন স্টেডিয়াম | ৮৬,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | বেৎসেনবার্গ স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৭৬,০০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম | ৪৪,৩০০ |
মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম[ক] | ৭০,০০০ | |
রট-ভাইস ওবারহাউজেন | নিডার রাইন স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
শালকে | গ্লুকাউফ-কাম্পবান | ৩৫,০০০ |
স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৫৩,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২৪ | ৭ | ৩ | ১০১ | ৩৮ | +৬৩ | ৫৫ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | শালকে | ৩৪ | ২৪ | ৪ | ৬ | ৭৬ | ৩৫ | +৪১ | ৫২ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৩ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১৮ | ৭ | ৯ | ৮২ | ৪০ | +৪২ | ৪৩ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৪ | কলন | ৩৪ | ১৫ | ১৩ | ৬ | ৬৪ | ৪৪ | +২০ | ৪৩ | |
৫ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১৬ | ৭ | ১১ | ৭১ | ৬১ | +১০ | ৩৯ | |
৬ | হের্টা | ৩৪ | ১৪ | ৯ | ১১ | ৪৬ | ৫৫ | −৯ | ৩৭ | |
৭ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১৪ | ৭ | ১৩ | ৫৯ | ৫৩ | +৬ | ৩৫ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[খ] |
৮ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৩ | ৯ | ১২ | ৫২ | ৫৬ | −৪ | ৩৫ | |
৯ | বোখুম | ৩৪ | ১৪ | ৬ | ১৪ | ৫৯ | ৬৯ | −১০ | ৩৪ | |
১০ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৩ | ৭ | ১৪ | ৫২ | ৫২ | ০ | ৩৩ | |
১১ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১১ | ৯ | ১৪ | ৬৩ | ৫৮ | +৫ | ৩১ | |
১২ | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | ৩৪ | ৮ | ১৫ | ১১ | ৪৩ | ৪৮ | −৫ | ৩১ | |
১৩ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ৩৪ | ১০ | ১০ | ১৪ | ৪০ | ৫৩ | −১৩ | ৩০ | |
১৪ | ডুসবুর্গ | ৩৪ | ১০ | ৭ | ১৭ | ৩৬ | ৫১ | −১৫ | ২৭ | |
১৫ | রট-ভাইস ওবারহাউজেন | ৩৪ | ৭ | ১১ | ১৬ | ৩৩ | ৬৬ | −৩৩ | ২৫ | |
১৬ | হানোফার ৯৬ | ৩৪ | ১০ | ৩ | ২১ | ৫৪ | ৬৯ | −১৫ | ২৩ | |
১৭ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (R) | ৩৪ | ৬ | ৮ | ২০ | ৩৪ | ৮৩ | −৪৯ | ২০ | রেগিওনাললিগায় অবনমিত |
১৮ | আরমিনিয়া বিলেফেল্ড[গ] (R) | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ বায়ার্ন মিউনিখ এই স্টেডিয়ামে শুধুমাত্র তাদের শেষ ম্যাচ আয়োজন করেছিল।
- ↑ শালকে কাপ উইনার্স কাপের জন্য উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি ১৯৭১–৭২ ডিএফবি-পোকালের রানার-আপ কাইজারস্লাউটার্নকে প্রদান করা হয়েছিল।
- ↑ মুলত ১৯৭১ সালের ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আরমিনিয়া বিলেফেল্ডকে অবনমন করেছিল। এই আসরে তাদের সকল তথ্য মুখে ফেলার পূর্বে তারা তথ্য ছিল (৬ জয়, ৮ ড্র, ২১ হার, ৪১–৭৫ গোল, ১৯ পয়েন্ট)। যদি আরমিনিয়া বিলেফেল্ডের সকল তথ্য মুখে না ফেলা হলেও তারা পয়েন্ট তালিকায় সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হতো।
ফলাফল
[সম্পাদনা]শীর্ষ গোলদাতা
[সম্পাদনা]অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | গের্ড মুলার | বায়ার্ন মিউনিখ | ৪০ |
২ | ক্লাউস ফিশার | শালকে | ২২ |
৩ | হান্স ভালিৎসা | বোখুম | |
৪ | ফার্ডিনান্ড কেলার | হানোফার ৯৬ | ২০ |
৫ | ইয়ুপ হাইনকেস | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ১৯ |
৬ | ক্লাউস শেয়ার | শালকে | ১৮ |
৭ | গুন্টার নেৎসার | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ১৭ |
৮ | বার্ন্ড রুপ | কলন | ১৬ |
৯ | ইদ্রিজ হোশিচ | কাইজারস্লাউটার্ন | ১৩ |
১০ | বার্ন্ড নিকেল | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Schedule Round 1"। জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
- ↑ "Archive 1971/1972 Round 34"। জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
- ↑ "Bayern München - Fortuna Düsseldorf 3:1 (Bundesliga 1971/1972, 1. Round)"। worldfootball.net। ৫ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৭১–৭২ বুন্দেসলিগা (জার্মান)