বিষয়বস্তুতে চলুন

এমিলি ডিকিনসন

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
এমিলি এলিজাবেথ ডিকিনসন

এমিলি এলিজাবেথ ডিকিনসন (ইংরেজি: Emily Elizabeth Dickinson) (জন্ম: ১০ই ডিসেম্বর, ১৮৩০ - মৃত্যু: ১৫ই মে, ১৮৮৬) একজন বিখ্যাত মার্কিন কবি। তাঁর জীবদ্দশা সম্পর্কে খুব বেশি জানা না গেলেও তাঁকে মার্কিন কবিতার ইতিহাসে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্মরণ করা হয়।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • এমিলি
           আশার ডানা থাকে
       যা আত্মার মধ্যে অবস্থান করে।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ১১৬
  • যারা কখনও সফল হয় না, তাদের কাছে সাফল্য সবচেয়ে মধুর বলে বিবেচিত হয়।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৩৫
  • অমৃতের সাধ বোঝার জন্য, গরলের সাধ বোঝা প্রয়োজন।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৩৫
  • যেহেতু আমি মৃত্যুর জন্য থামতে পারিনি তাই সে সদয়ভাবে আমার জন্য থামল।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৩৫০
  • যদি আমি একটি হৃদয় ভেঙ্গে যাওয়া বন্ধ করতে পারি, আমার জীবন সার্থক হবে।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৪৩৩
  • এ জীবন আর দ্বিতীয়বার আসবে না, এই অনুভূতিটাই জীবনকে এত মিষ্টি করে তোলে।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৭০৬
  • যদি আমি একটি বই পড়ি এবং এটি আমার পুরো শরীরকে এতটা শীতল করে তোলে, যেন কোনও আগুন কখনও আমাকে উষ্ণ করতে না পারে, আমি জানি এটি কবিতা।
  • কখন ভোর হবে জানা নেই, তাই প্রতিটি দরজা খুলে রাখি (ভোরের আগমনের প্রতীক্ষায়)।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৬৬৬-৬৬৭
  • বসন্তে একটু পাগলামি এমনকি রাজার জন্যও স্বাস্থ্যকর।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৫৭৭-৫৭৮
  • আমি সম্ভাবনার মধ্যে বাস করি।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৩২৭
  • এমিলি
       আমি কেউ নই! তুমি কে?
        তুমিও কি কেউ নও?
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ১৩৩
  • বেঁচে থাকা এতটাই বিস্ময়কর যে অন্য কোনও কিছুর জন্য খুব কম সময় পরে থাকে।
  • এমিলি
         একটি শব্দের মৃত্যু হয়
         যখন বলা হয়ে যায়,
         কেউ কেউ বলে।
         আমি বলি আসলে এটি
         বাঁচতে শুরু করে
         সেই দিনটি থেকে।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৫৩৪-৫৩৫
  • সৌন্দর্যের কোনও কারণ থাকে না। এ শাশ্বত।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ২৫২
  • আমি লণ্ঠন নিয়ে বাইরে বেড়িয়েছি, নিজেকে খুঁজতে।
  • আত্মার সর্বদা উন্মুক্ত থাকা উচিত।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৪৮১
  • সত্য ঈশ্বররের মতোই প্রাচীন, তার দ্বিতীয় সত্তা।
  • আমার বন্ধুরা আমার সম্পত্তি।
  • প্রেম জীবনের পূর্ববর্তী, মৃত্যুর পরবর্তী, সৃষ্টির প্রারম্ভিক এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সূচক।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৪৩২
  • একটি আহত হরিণ সবচেয়ে উঁচু লাফ দেয়।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৭৭
  • লোকে বলে যে ঈশ্বর সর্বত্রই আছেন, তারপরও আমরা তাঁকে কিছুটা নির্জনপ্রিয় বলে মনে করি।
  • কী অদ্ভুত প্রকৃতি কড়া না নাড়লেও অনুপ্রবেশ করে না!
  • ভাগ্য সুযোগ নয়, এটি পরিশ্রম; ভাগ্যের ব্যয়বহুল হাসি অর্জিত হয়।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৫৮৩
  • প্রকৃতি সবচেয়ে কোমল মা, কোনও সন্তানের উপর বিরক্ত হয় না।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৩৮৫
  • খ্যাতি হল একটি পরিবর্তনশীল প্লেটে একটি চঞ্চল খাবার।
    • দ্যি কমপ্লিট পোয়েমস অফ এমিলি ডিকিনসন। টমাস এইচ. জনসন (সম্পাদিত)। লিটল, ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি, দ্বিতীয় মুদ্রণ। পৃষ্ঠা ৬৭৮

এমিলি ডিকিনসন সম্পর্কে উক্তি

[সম্পাদনা]
  • এই খাপছাড়া একগুঁয়ে একাকীত্বপ্রেমী তরুণীটিই হচ্ছেন আমেরিকার বিখ্যাত নারী কবি ‘এমিলি ডিকিনসন’।
  • ছোট্ট এমিলি ছিলেন খুবই শান্ত স্বভাবের মেয়ে। সঙ্গীতের প্রতি তার ছিল আসক্তি। শুনতে ভালোবাসতেন খুব। প্লিজ্যান্ট স্ট্রিটের দোতলা প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। কারণ তার বাবা চেয়েছিলেন মেয়েটি পড়াশোনা করে ভালো কোনো ব্যবসায় মনোনিবেশ করবে। অল্প বয়সেই এমিলি বিভিন্ন বিষয় শেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। যেমন ক্লাসিক সাহিত্য,ভারগিল ও লাতিন, গণিত,ইতিহাস ও উদ্ভিদবিজ্ঞান।
  • উনিশ শতকের আমেরিকার কবিদের মধ্যে দু’জনকে প্রকৃতই কবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একজন ওয়াল্ট হুইটম্যান, অন্যজন এমিলি ডিকিনসন।
  • এমিলি ডিকিনসন তার কবিতায় ভাঙা ছন্দ, ড্যাশ চিহ্ন, যত্রতত্র বড় হাতের অক্ষর ব্যবহারের মাধ্যমে নিজস্ব প্রকাশরীতির জন্য আজ বিশ্বব্যাপী খ্যাত। আমেরিকার স্কুলে অহরহ এমিলির কবিতা পড়ানো হয়। স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে সে দেশের সব ধরনের মানুষ এমিলি ডিকিনসনের নাম ও লেখার সঙ্গে পরিচিত।
  • আমেরিকার যে কোনো লাইব্রেরিতে গেলে এমিলি ডিকিনসনের ওপর শ’খানেক বই পাওয়া যাবে।
  • তাঁর কবিতার ধরণ ছিল ব্যতিক্রম। সেগুলো ছোট ছোট বাক্যের মধ্যে থাকতো। যেখানে না থাকতো টাইটেল, এমনকি কবিতার মধ্যে কিছু যতিচিহ্ন বা বর্ণ ব্যবহার করা হতো। তাঁর কবিতার মধ্যে মৃত্যু এবং অমরত্ব এই দুইটি ভাবের প্রকাশ ঘটতো। এমনকি বন্ধুদেরকে চিঠি লেখার সময়ও এই দুইটি ভাব লক্ষণীয় ছিল।
  • বাংলা কবি জীবনানন্দ দাশের মতো নির্জনতম আমেরিকান এই নারী কবি এমিলি ডিকিনসন।
  • এমিলি এলিজাবেথ ডিকিনসন ছিলেন তাঁর সময়ের চেয়ে অগ্রসর একজন কবি, একজন বিরল-অতিপ্রজ-অন্তর্মুখী ব্যক্তিগত-অনুষঙ্গের কবি।
  • ডিকিনসন তাঁর যৌবনকাল থেকেই বাড়ির অভ্যন্তরীণ মৃত্যুভয়ে ভীত ছিলেন। বিশেষ করে যারা তাঁর খুব ঘনিষ্ট ছিলেন, তাদের মৃত্যু। যখন ১৮৪৪ সালে তার ঘনিষ্ট বন্ধু ও চাচাতো বোন সোফিয়া হল্যাণ্ড টাইফয়েড আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২ বছর পরে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এমিলি লেখেন, “মনে হচ্ছিলো, যদি আমি তাকে – তার মুখের উপর দৃষ্টি দেয়ার সুযোগই না পাই তবে আমার মরাই উচিত”।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

ডেভিড হারবার্ট লরেন্স

উইলিয়াম ব্লেইক

লিও তলস্তয়

ল্যাংস্টন হিউজ

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]