রুসানাই[১] পরদীম জ্বালি কন্যা কোন্ কাম করিল।
কুমারের হাতের পায়ের বন্ধন খুলিল॥৩১৩
“উঠ উঠ পরাণপতি কইয়া বুঝাই তোরে।
বাপ ত দুষ্মন হইয়া রাখে বন্দিখানা ঘরে॥৩১৫
সোণার পালং পরে রে বন্ধু, হায় বন্ধু, ফুলের বিছানী।
কঠিন মাটির শেষে গোঁয়াও রে রজনী॥৩১৭
সোণার পালং পরে রে বন্ধু, হায় বন্ধু, ফুলের বিছানী।
সেও ফুলে পাইলে দুঃখ বুকে তুলতাম আমি॥৩১৯
শীতল মন্দিরে বন্ধুরে আরে বন্ধু নিদ্রায় কাতর।
আইজ বন্ধু কত কষ্টে বন্দিখানা ঘর॥৩২১
সুগন্ধী শীতল বারি, আবের[২] পাঙ্খা লইয়া।
ধুয়াইতাম যোগল চরণ কেশে ত মুছিয়া॥৩২৩
সোণার বাটায় পানের খিলি রে বন্ধু তুল্যা দিতাম মুখে।
পালংএতে পাইলে ব্যথা তুল্যা লইতাম বুকে॥৩২৫
শুন শুন রাজার ঝি আরে না কান্দিও আর।
নিদয়া নিঠুর হইল বাপ সে তোমার॥৩২৭
না দেখি না শুনি লো কন্যা তোর সোণার বরণ।
আইজ যদি যায় পরাণ সফল জনম॥৩২৯
কাইল ত বিয়ানে তোর বাপ কন্যালো মোরে দিব শুলে।
এক রাত্রির দেখা সুখ ঘটিল কপালে॥৩৩১
শুন শুন রাজার কন্যালো বইস মোর উরে।
চান্দ মুখ দেখি তোমার দুই চক্ষু ভইরে॥৩৩৩
তোমার বাপ বাক্যিদান লো কন্যা দিয়াছে তোমায়।
তোমারে ছাড়িয়া যাইতে মনে নাই সে চায়॥৩৩৫
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৬
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭২
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা