রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ - Rheumatic Heart Disease in Bengali

Dr. Nabi Darya Vali (AIIMS)MBBS

May 03, 2019

March 06, 2020

রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ
রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ

রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ কি?

রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ (আরএইচডি) একটা হার্টের রোগ যার ফলে হার্টের ভাল্ভের অপরিবর্তনীয়ভাবে ক্ষতি এবং হার্ট ফেলিওর বা হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়া, সাথে, অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া ও স্ট্রেপ্টোকক্কাল প্রকারের গলার সংক্রমণ ঘটে। তীব্র রিউমেটিক জ্বর (এআরএফ) এই রোগের পূর্বাভাস দেয়।

এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?

কখনো কখনো আরএইচডি কোনো উপসর্গ ছাড়াই হতে পারে, আর যদি কোনো উপসর্গ উপস্থিত থাকে সেগুলো হল:

  • যখন ক্ষতিগ্রস্ত হার্টের ভাল্ভ সংক্রামিত হয়, তখন জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়।
  • ফোলাভাব (ইডিমা)
  • শায়িত অবস্থায় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় ( অর্থাপনিয়া) এবং/অথবা পরিশ্রম করলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
  • বুকের ছাতিতে ব্যথা বা বুক ধড়ফড় করা।
  • ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনা বোধ করে উঠে বসা বা দাঁড়ানোর ইচ্ছা অনুভুত হওয়া (প্যারোক্সিস্মাল নক্টারনাল ডিস্পোনিয়া)।
  • সংজ্ঞানাশ (সিন্কোপ)
  • হার্টে কলকল ধ্বনি।
  • স্ট্রোক

এর প্রধান কারণগুলো কি কি?

আরএইচডির প্রধান কারণ হল গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকক্কি সংক্রমণ, যেটা জিনগতভাবে এই সংক্রমণের গ্রাহক হওয়ার যোগ্য এমন ব্যক্তির দেহে অস্বাভাবিক অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়া শরীরের বিভিন্ন শরীরকলায় প্রদাহ সৃষ্টি করে।

এটি কিভাবে নির্ণয় করা হয় ও এর চিকিৎসা কি?

চিকিৎসক উপসর্গগুলির বিশদ ইতিহাস এবং চিকিৎসাগত ইতিহাস (অতীতে এআরএফ বা স্ট্রেপ্টোকক্কাল সংক্রমণের ইতিহাস) জানতে চান সাথে সম্পূর্ন শারী্রিক পরীক্ষা করেন। কখনও কখনও, এই পরীক্ষার সময় হার্টে কলকল ধ্বনি শোনা যায়, যাতে আরএইচডি ধরা পড়ে। তবে, কোনো কোনো আরএইচডি রোগীর ক্ষেত্রে, হার্টে কলকল ধ্বনি শোনা নাও যেতে পারে। চিকিৎসক এরপর নিচে উল্লেখিত পরীক্ষাগুলো করাতে পরামর্শ দেন:

  • ছাতির এক্স-রে- হার্ট বৃদ্ধি পাওয়া বা ফুসফুসে তরল পদার্থের উপস্থিতি জানার জন্য করা হয়।
  • ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) - হার্টের প্রকোষ্ঠ বৃদ্ধি পাওয়া বা হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা (অ্যারিথমিয়া)।
  • ইকোকার্ডিওগ্রাম- হার্টের ভাল্ভের পরীক্ষা ( কোনো হানি বা সংক্রমণ আছে কিনা তা জানার জন্য)।

আরএইচডির চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের তীব্রতার উপর এবং এই উপায়গুলো নিচে বলা হল:

  • হার্ট ফেলিওরের ক্ষেত্রে, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা আবশ্যক।
  • সংক্রমণের জন্য, সাধারনত হার্ট ভাল্ভ পরীক্ষা করা হয়, অ্যান্টিবায়োটিকও (প্রধানত পেনিসিলিন) দেওয়া হয়।
  • স্ট্রোক আটকানোর জন্য বা ভাল্ভের পরিবর্তনের জন্য রক্ত পাতলা করা দরকার হয় তখন, রক্ত পাতলা করার ওষুধ দেওয়া হয়।
  • বন্ধ ভাল্ভ খোলার জন্য, বেলুনের সাহায্যে অস্ত্রোপচারের দরকার পড়ে যেখানে শিরার মাধ্যমে বেলুন ঢোকানো হয়।
  • ক্ষতিগ্রস্ত হার্ট ভাল্ভের মেরামত বা পরিবর্তনের জন্য , হার্ট ভাল্ভের অপারেশন করা দরকার হতে পারে।



তথ্যসূত্র

  1. Better health channel. Department of Health and Human Services [internet]. State government of Victoria; Rheumatic heart disease.
  2. Liu M et al. Rheumatic Heart Disease: Causes, Symptoms, and Treatments.. Cell Biochem Biophys. 2015 Jul;72(3):861-3. PMID: 25638346
  3. National Health Portal [Internet] India; Rheumatic fever and rheumatic heart disease.
  4. Sika-Paotonu D, Beaton A, Raghu A, et al. Acute Rheumatic Fever and Rheumatic Heart Disease. 2017 Mar 10 [Updated 2017 Apr 3]. In: Ferretti JJ, Stevens DL, Fischetti VA, editors. Streptococcus pyogenes : Basic Biology to Clinical Manifestations [Internet]. Oklahoma City (OK): University of Oklahom
  5. Harris C,Croce B,Cao C. Rheumatic heart disease. Ann Cardiothorac Surg. 2015 Sep;4(5):492. PMID: 26539360