হেদায়াতুল কুরআন
অবয়ব
লেখক | সাঈদ আহমদ পালনপুরী |
---|---|
মূল শিরোনাম | উর্দু: ہدایت القرآن |
দেশ | ভারত |
ভাষা | উর্দু |
বিষয় | তাফসীর |
প্রকাশিত | ২০১৬ |
প্রকাশক | মাকতাবাতুল হিজাজ |
মিডিয়া ধরন | শক্তমলাট |
২৯৭.১২২৭ |
হেদায়াতুল কুরআন (উর্দু: ہدایت القرآن) দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক সদরুল মুদাররিস সাঈদ আহমদ পালনপুরীর লিখিত একটি জনপ্রিয় উর্দু তাফসীর গ্রন্থ।[১][২] ২০১৬ সালে মাকতাবাতুল হিজাজ থেকে এটি ৮ খণ্ডে প্রকাশিত হয়। এর অর্ধ শতাব্দী পূর্বে দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষক ওসমান কাশেফ হাশেমি এটি রচনা শুরু করেন। কিন্তু তিনি ৯ পারা পর্যন্ত রচনা করতে পেরেছিলেন। পরবর্তীতে তার অনুরোধে সাঈদ আহমদ পালনপুরী যদিও ১০ম পারা থেকে শুরু করেন কিন্তু তিনি নিজস্ব রচনাশৈলী অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ তাফসীর রচনা করেন।[৩] পালনপুরির কয়েকজন ছাত্র গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করেন, যা ২০২১ সালে মাকতাবাতুল মদীনা থেকে প্রকাশিত হয়।
বৈশিষ্ট্য
[সম্পাদনা]তাফসীর গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য:[৪]
- এতে আয়াতের সাথে মিল রেখে শাব্দিক তরজমা করা হয়েছে।
- কঠিন শব্দগুলোর শাব্দিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
- এতে গুরুত্বপূর্ণ শব্দের বিশুদ্ধ তারকিব উল্লেখ করা হয়েছে।
- প্রত্যেক আয়াতের পূর্বাপর সম্পর্ক এমনভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আয়াতের তারকিবে কোথাও ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়নি।
- এতে সংক্ষেপে কুরআনে কারিমের মর্মকথা উপস্থাপন করা হয়েছে।
- এতে অতি কঠিন বিষয়কে সহজে উপস্থাপন করা হয়েছে।
- সংশ্লিষ্ট আলোচনাগুলো সাবলীল, শব্দ ও প্রকাশরীতি সাদাসিধে, যা সকলের বোধগম্য।
- এতে প্রথমে একটি/দুটি আয়াত উল্লেখ করতঃ শাব্দিক অনুবাদ, পরে আয়াতের পূর্বাপর সম্পর্ক, তারপর শিরোনাম যুক্ত করে সহজ ও বোধগম্য ব্যাখ্যা। অতঃপর রেখা টেনে আয়াতের পারিভাষিক অর্থ ও অস্পষ্টার ওয়াজাহত। কোথাও শেষে মুক্তাবাণীও লিখে দিয়েছেন, যা অতীতের আলোচনার প্রাণ হয়ে থাকে।
- এতে প্রত্যেক সুরার শুরুতে সুরার নাম, ক্রমিক নম্বর, নুজুল নম্বর, মক্কাবতীর্ণ না মাদানিবতীর্ণ, রুকু ও আয়াতসংখ্যা। তারপর সুরায় আলোচিত প্রধান বিষয়বস্তুসমূহ সারসংক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে।
- তাফসিরটি সাধারণ ও বিশেষ শ্রেণী; সকলের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
- লেখক আয়াতের যে তাফসির গ্রহণ করেছেন, সেটা সুস্পষ্ট শব্দে দ্ব্যর্থহীনভাবে লিখেছেন।
- তাফসিরটি বর্জনীয় শব্দ, বাক্য ও তারকিব থেকে মুক্ত।
- এতে ফিকহি মাসআলাগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
- এতে কঠিন বিষয়ের বোধগম্যে সহজ উদাহরণ টানা হয়েছে।
- ইতিহাস থেকে কিংবা নিজের জীবন থেকে শিক্ষনীয় ঘটনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- মাআরিফুল কুরআন — উসমানি
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]উদ্ধৃতি
[সম্পাদনা]- ↑ উদ্দিন, শাহব (২০০৬)। Beeswin Sadi Main Ulama e Jamia Azhar Misr or Ulama e Darul Uloom Deoband Ki Tafseeri Khidmaat Ka Taqabuli Mutalah। ভারত: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৩৩। hdl:10603/250326।
- ↑ পালনপুরি, আদিল সাইদ। "سوانح حضرت مولانا مفتی سعید احمد صاحب پالن پوری"। ফিকহ ও আকবর। ১৮ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ কাসেমী, ইশতিয়াক আহমদ (অক্টোবর ২০১৭)। "নতুন বই: তাফসিরে হেদায়াতুল কুরআন"। মাসিক দারুল উলুম। দারুল উলুম দেওবন্দ।
- ↑ গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য, বঙ্গানুবাদ, মাকতাবাতুল মদীনা।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- রহমান, মারগুবুর। مفتی سعید احمد پالنپوری کی فقہی بصیرت [মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরীর আইনশাস্ত্রীয় অন্তর্দৃষ্টি]। ভারত: জামিয়াতুল কিরাআত। পৃষ্ঠা ৩১।
- কাসেমি, আনিস আহমদ। তাজকিরায়ে সাঈদ। ভারত: দারুল মুআল্লিফীন। পৃষ্ঠা ৩৮৩।