বিষয়বস্তুতে চলুন

হেদায়াতুল কুরআন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হেদায়াতুল কুরআন
বাংলা সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকসাঈদ আহমদ পালনপুরী
মূল শিরোনামউর্দু: ہدایت القرآن‎‎
দেশভারত
ভাষাউর্দু
বিষয়তাফসীর
প্রকাশিত২০১৬
প্রকাশকমাকতাবাতুল হিজাজ
মিডিয়া ধরনশক্তমলাট
২৯৭.১২২৭

হেদায়াতুল কুরআন (উর্দু: ہدایت القرآن‎‎) দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক সদরুল মুদাররিস সাঈদ আহমদ পালনপুরীর লিখিত একটি জনপ্রিয় উর্দু তাফসীর গ্রন্থ।[][] ২০১৬ সালে মাকতাবাতুল হিজাজ থেকে এটি ৮ খণ্ডে প্রকাশিত হয়। এর অর্ধ শতাব্দী পূর্বে দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষক ওসমান কাশেফ হাশেমি এটি রচনা শুরু করেন। কিন্তু তিনি ৯ পারা পর্যন্ত রচনা করতে পেরেছিলেন। পরবর্তীতে তার অনুরোধে সাঈদ আহমদ পালনপুরী যদিও ১০ম পারা থেকে শুরু করেন কিন্তু তিনি নিজস্ব রচনাশৈলী অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ তাফসীর রচনা করেন।[] পালনপুরির কয়েকজন ছাত্র গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করেন, যা ২০২১ সালে মাকতাবাতুল মদীনা থেকে প্রকাশিত হয়।

বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]

তাফসীর গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য:[]

  1. এতে আয়াতের সাথে মিল রেখে শাব্দিক তরজমা করা হয়েছে।
  2. কঠিন শব্দগুলোর শাব্দিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
  3. এতে গুরুত্বপূর্ণ শব্দের বিশুদ্ধ তারকিব উল্লেখ করা হয়েছে।
  4. প্রত্যেক আয়াতের পূর্বাপর সম্পর্ক এমনভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আয়াতের তারকিবে কোথাও ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়নি।
  5. এতে সংক্ষেপে কুরআনে কারিমের মর্মকথা উপস্থাপন করা হয়েছে।
  6. এতে অতি কঠিন বিষয়কে সহজে উপস্থাপন করা হয়েছে।
  7. সংশ্লিষ্ট আলোচনাগুলো সাবলীল, শব্দ ও প্রকাশরীতি সাদাসিধে, যা সকলের বোধগম্য।
  8. এতে প্রথমে একটি/দুটি আয়াত উল্লেখ করতঃ শাব্দিক অনুবাদ, পরে আয়াতের পূর্বাপর সম্পর্ক, তারপর শিরোনাম যুক্ত করে সহজ ও বোধগম্য ব্যাখ্যা। অতঃপর রেখা টেনে আয়াতের পারিভাষিক অর্থ ও অস্পষ্টার ওয়াজাহত। কোথাও শেষে মুক্তাবাণীও লিখে দিয়েছেন, যা অতীতের আলোচনার প্রাণ হয়ে থাকে।
  9. এতে প্রত্যেক সুরার শুরুতে সুরার নাম, ক্রমিক নম্বর, নুজুল নম্বর, মক্কাবতীর্ণ না মাদানিবতীর্ণ, রুকু ও আয়াতসংখ্যা। তারপর সুরায় আলোচিত প্রধান বিষয়বস্তুসমূহ সারসংক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে।
  10. তাফসিরটি সাধারণ ও বিশেষ শ্রেণী; সকলের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
  11. লেখক আয়াতের যে তাফসির গ্রহণ করেছেন, সেটা সুস্পষ্ট শব্দে দ্ব্যর্থহীনভাবে লিখেছেন।
  12. তাফসিরটি বর্জনীয় শব্দ, বাক্য ও তারকিব থেকে মুক্ত।
  13. এতে ফিকহি মাসআলাগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
  14. এতে কঠিন বিষয়ের বোধগম্যে সহজ উদাহরণ টানা হয়েছে।
  15. ইতিহাস থেকে কিংবা নিজের জীবন থেকে শিক্ষনীয় ঘটনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি

[সম্পাদনা]
  1. উদ্দিন, শাহব (২০০৬)। Beeswin Sadi Main Ulama e Jamia Azhar Misr or Ulama e Darul Uloom Deoband Ki Tafseeri Khidmaat Ka Taqabuli Mutalah। ভারত: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৩৩। hdl:10603/250326 
  2. পালনপুরি, আদিল সাইদ। "سوانح حضرت مولانا مفتی سعید احمد صاحب پالن پوری"ফিকহ ও আকবর। ১৮ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২২ 
  3. কাসেমী, ইশতিয়াক আহমদ (অক্টোবর ২০১৭)। "নতুন বই: তাফসিরে হেদায়াতুল কুরআন"মাসিক দারুল উলুমদারুল উলুম দেওবন্দ 
  4. গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য, বঙ্গানুবাদ, মাকতাবাতুল মদীনা।

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]