পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সরকারী | ||||||||||
পরিচালক | ভুটানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | থিম্পু এবং পারো জেলা | ||||||||||
অবস্থান | পারো জেলা | ||||||||||
যে হাবের জন্য | ড্রুক এয়ার ভুটান এয়ারলাইন্স | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ২,২৩৫ মিটার / ৭,৩৩২ ফুট | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আইএটিএ: PBH, আইসিএও: VQPR) ভুটানের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরটি পারো শহর থেকে ৬ কিমি (৩.৭ মা; ৩.২ নটিক্যাল মাইল) দূরত্বে পারো নদীর তীরে অবস্থিত। এটির আশেপাশের পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ৫,৫০০ মি (১৮,০০০ ফু), এটিকে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর মনে করা হয়।[২] ২০০৯ সালে অক্টোবর মাসের হিসাব অনুযায়ী, মাত্র আটজন পাইলট এই বিমানবন্দরে বিমান পরিচালনার সনদ আছে। [৩][৪] এই বিমানবন্দরে পরিষ্কার আবহাওয়ায় পরিচালিত হয় এবং এখানকার বিমানবন্দর সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খোলা থাকে। [৫] এটি ভুটানের চারটি বিমানবন্দরের একটি।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬৮ সালে ভারতের সীমান্ত সড়ক সংস্থা পারো জেলায় একটি বিমানবন্দর স্থাপন করে, যেটি শুরুতে ভুটান সরকারের পক্ষে ভারতের সামরিক বাহিনী হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য নির্মাণ করে। ভুটানের প্রথম বিমানসংস্থা ড্রুক এয়ার স্থাপিত হয় ৫ এপ্রিল ১৯৮১।
পারো বিমানবন্দর উপতক্যার মাঝখানে সমুদ্রতল থেকে উচ্চতা প্রায় ২,২৩৫ মি (৭,৩৩২ ফু) এবং পারিপার্শ্বিক পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ৫,৫০০ মি (১৮,০০০ ফু).[৬] এই বিমানবন্দরের রানওয়ের দৌর্ঘ ১,২০০ মি (৩,৯০০ ফু),[৭] ভুটানের সরকারকে পারোতে চলাচলের জন্য বিশেষ বিমান পছন্দ করতে হয়। এখানে ১৮-২০ আসনের বিশেষ বিমান চলাচল করে। এই বিমান শুধু কলকাতা থেকে উড্ডয়ন করে পারো থেকে কলকাতা গিয়ে আবার জ্বালানী নিতে হত কারণ পারোতে পুনরায় জ্বালানী নেয়ার ব্যবস্থা ছিল না।
ড্রুক এয়ার ১৯৮৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজস্ব বিমান চালনা শুরু করে, প্রথম ফ্লাইট ১০১ কলকাতা থেকে পারো যাত্রা করে এবং পরের দিন ফ্লাইট ১০২ হিসাবে কলকাতা ফিরে আসে। পরিসেবা চালুর সময়ে পারো বিমানবন্দরে ছোট্ট রানওয়ে, দুই কক্ষবিশিস্ট বিমান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ভবন ছিল (যার নিচতলাতে বিমানবন্দরে চেক-ইন এবং উন্মুক্তস্থানে বহির্গমন ছিল)[৮] ১৯৮৬ সালের জানুয়ারিতে ভুটান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ স্থাপনের আগে ড্রুক এয়ার এই বিমানবন্দর পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল। [৯]
১৯৯০ সালে, বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য বড় করা হয় ১,৪০২ থেকে ১,৯৬৪ মি (৪,৬০০ থেকে ৬,৪৪৫ ফু) এবং সুপরিসর বিমান ওঠানামার জন্য রানওয়ে শক্ত করা হয়।[১০][১১] ভারতীয় সরকারের অর্থায়নে পারো বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে একাহ্নে বিমান সংরক্ষণের জন্য একটি হাঙ্গার নির্মাণ করা হয়।[১২]
২১ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে, ড্রুক এয়ারের প্রথম জেট বিমান BAe 146-100, পারো বিমানবন্দরে সরবরাহ করা হয়। ২০০৩ সালে, ড্রুক এয়ার BAe 146 -এর বদলী বিমান চায় এবং ২০০৪ সালের ১৯ অক্টোবর, এই এই এয়ারলাইন্সের প্রথম এয়ারবাস (Airbus A319-100) পারো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।[১৩]
সুবিধা
[সম্পাদনা]এই বিমান বন্দরে একটি, ১,৯৬৪ মি (৬,৪৪৫ ফু) আস্ফাল্ট রানওয়ে আছে,[১] এবং একটি টার্মিনাল ভবন আছে যেটি ১৯৯৯ সালে কমিশন করা হয়।[১৪]
২০১২ সালে ১,৮১,৬৫৯ জন যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে।[১৫]
এয়ারলাইন্স এবং গন্তব্য
[সম্পাদনা]ড্রুক এয়ার ভুটানের জাতীয় পতাকাবাহী বিমানসংস্থা এবং এটির মুল ঘাটি পারো বিমানবন্দর. ড্রুক এয়ার ২০১০ সালের আগস্টে পাড়ো বিমানবন্দরে প্রথম আন্তর্জাতিক বিমান পরিচালন আকরে। [১৬] তাশী এয়ার নেপালের একমাত্র ব্বেসরাকারি বিমান সংস্থা ২০১১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে।[১৭]
যাত্রী
[সম্পাদনা]বিমান সংস্থা | গন্তব্যস্থল |
---|---|
ভুটান এয়ারলাইন্স | ব্যাংকক-সুবর্ণভূমি, দিল্লি, Jakar (suspended), কাঠমান্ডু, কলকাতা, Trashigang (suspended) |
বুদ্ধ এয়ার | Charter: কাঠমান্ডু |
ড্রুক এয়ার | Bagdogra, ব্যাংকক-সুবর্ণভূমি, দিল্লি, ঢাকা, Gelephu, গয়া, গুয়াহাটি, জাকার, কাঠমান্ডু, কলকাতা, মুম্বাই, সিঙ্গাপুর, Trashigang (suspended) |
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Paro – Vqpr"। World Aero Data। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ Cruz, Magaly; Wilson,James; Nelson, Buzz (জুলাই ২০০৩)। "737-700 Technical Demonstration Flights in Bhutan" (পিডিএফ)। Aero Magazine (3): 1; 2। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১১।
- ↑ Farhad Heydari (অক্টোবর ২০০৯)। "The World's Scariest Runways"। Travel & Leisure। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১১।
- ↑ "The Himalayan airport so dangerous only eight pilots are qualified to land there - Daily Mail Online"। Mail Online। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Paro Bhutan"। Air Transport Intelligence। Reed Business Information। ২০১১। ৭ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১১।
- ↑ "The A319 excels in operations from high-altitude airports" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Airbus। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৫। ১৪ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৪।
- ↑ Christ, Rolf F. (জুন ১৯৮৩)। "Bhutan puts its flag on the world's air map"। ICAO Journal। Montreal, Canada: International Civil Aviation Organization। 38 (6): 11–13। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৪।
- ↑ Chattopadhyay, Suhrid Sankar (৯ মে ২০০৮)। "Aiming high"। Frontline। Chennai, India: The Hindu Group। 25 (9): 122। আইএসএসএন 0970-1710। ১৪ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৪।
- ↑ "Department of Civil Aviation"। Ministry of Information and Communication (Bhutan)। ৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ "On the Wings of a Dragon: 25 Years of Progress" (পিডিএফ)। Tashi Delek। XIII (3): 76। জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০০৮। ২৫ মে ২০১৩ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ Brunet, Sandra (২০০১)। "Tourism Development in Bhutan: Tensions between Tradition and Modernity" (PDF)। Journal of Sustainable Tourism। 9 (3): 243। ডিওআই:10.1080/09669580108667401। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১০। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ Zimba, Dasho Yeshey (১৯৯৬)। "Bhutan Towards Modernization"। Ramakant and Misra, Ramesh Chandra। Bhutan: Society and Polity (2nd সংস্করণ)। Indus Publishing। পৃষ্ঠা 144। আইএসবিএন 81-7387-044-6। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০০৮।
- ↑ "Drukair's first Airbus lands in Paro"। Paro: Kuensel। ২০ অক্টোবর ২০০৪। ১০ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ "Paro Airport"। dca.gov.bt। ২ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Running short of space and human resource"। KuenselOnline। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ Buddha Air in service ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে Bhutan Broadcasting Service, 24 August 2010.
- ↑ "Tashi Group - TASHI AIR LAUNCHED ON 4TH DEC. 2011"। tashigroup.bt। ৬ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৪।