কাসেম সোলেইমানির হত্যাকাণ্ড
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
২০২০ বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান হামলা | |
---|---|
the American-led intervention in Iraq (2014–present) (Operation Inherent Resolve) and the 2019–2020 Persian Gulf crisis-এর অংশ | |
ধরণ | Drone strike[১] |
অবস্থান | ৩৩°১৫′২৯″ উত্তর ৪৪°১৫′২২″ পূর্ব / ৩৩.২৫৮০৬° উত্তর ৪৪.২৫৬১১° পূর্ব |
আদেশদাতা | Donald Trump |
লক্ষ্য | Quds Force Popular Mobilization Forces |
তারিখ | ৩ জানুয়ারি ২০২০ |
নিষ্পন্নকারী | United States |
ফলাফল | Deaths of Qasem Soleimani and Abu Mahdi al-Muhandis |
হতাহত | At least 8[২] নিহত |
জেনারেল কাশেম সোলাইমানি শুধু ইরানের নয়, পুরো আরব বিশ্বের বীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার বুদ্ধি-সাহস, নেতৃত্বের গুণাবলী ও যুদ্ধক্ষেত্রের বিচক্ষণতার গল্প ছিলো মানুষের মুখে মুখে। দেশটির আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পরই তিনি ছিলেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি।[৩]
জন্ম ও কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১১ মার্চ ১৯৫৭ দক্ষিণ ইরানের কারমান প্রদেশের একটি দরিদ্র পরিবার জন্ম গ্রহণ করেন জেনারেল কাশেম সোলাইমানি। তিনি ১৩ বছর বয়স থেকেই নিজের পরিবারের হাল ধরেন।
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের সময় তিনি ইরানি সেনাবাহিনীর নজরে আসেন। তখন ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান রাজ্যে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ছয় মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
১৯৯৮ সালে কাশেম সোলাইমানি কুদস বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন। এসময় তিনি লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইরানের দীর্ঘদিনের বৈরি সম্পর্কের ইতি ঘটান এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইরানের একটি সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। একইসঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং ইরাকের শিয়া মিলিশিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। তিনি জেনারেল পদে উন্নীত হন ২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারি।[৪]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]৩ জানুয়ারী ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে কনভয়কে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়। এখানে ছিলেম ছিলেন ইরানের বিশেষ বাহিনী রেভ্যুলশনারি গার্ডের কুদস শাখার প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটস (পিএমইউ) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহানদিস।
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালে ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি প্রত্যাহার ও ২০১৯-২০ পারস্য উপসাগরীয় সঙ্কটের পর এই আক্রমণ হলো। এই সপ্তাহের পূর্বে উত্তরাঞ্চলীয় ইরাকে রকেট হামলায় মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঠিকাদার নিহত এবং কয়েকজন আমেরিকান ও ইরাকি সেনা আহত হয়েছেন।
রিপাবলিকানরা এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেছে, এতে করে ইরানকে কঠিন বার্তা দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের কাছে কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুতে ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ডেমোক্রেটরা অসংখ্য মার্কিনীর মৃত্যুর জন্য সোলায়মানিকে দায়ী করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সিরিয়া এই আক্রমণের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য সংযম ও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ CNN, Zachary Cohen, Hamdi Alkhshali, Arwa Damon and Kareem Khadder। "US drone strike ordered by Trump kills top Iranian commander in Baghdad"। CNN। ৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "(Update) 8 killed in rocket attack on Baghdad airport"। AFP। ৩ জানুয়ারি ২০২০। ৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২০-০১-০৩)। "ইরানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর জেনারেল কাশেম সোলাইমানি মার্কিন হামলায় নিহত"। দ্য ডেইলি স্টার Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-৩১।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২০-০১-০৩)। "কে এই কিংবদন্তি বীর জেনারেল কাশেম সোলাইমানি?"। দ্য ডেইলি স্টার Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-৩১।
- কাসেম সোলেইমানি
- সামরিক গুপ্তহত্যা
- ইরাকে ড্রোন হামলা
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জড়িত সামরিক অভিযান
- ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্ক
- ইরান–ইরাক সম্পর্ক
- ইরাক–মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
- ইরান–মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
- ইরান-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পর্ক
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত ড্রোন হামলা
- ইরাকে আক্রমণ
- ইরাকে গুপ্তহত্যা
- ২০২০-এর বিতর্ক
- ২০২০-এর বিমান হামলা
- ইরাকে হামলা
- ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্ব